পাতঞ্জলদর্শন [ ১৯০ J পাতঞ্জলদর্শন BB BBS mmBB BB BBBS BBBBB BB BBB S BBBB BBBBB BBB D DBC DuD DD DDB এ1ং পাপীর প্রতি উপেক্ষ করাই যোগশাস্ত্রের অভিমত জানিতে হইবে । চিত্ত নিৰ্ম্মল হইলে তাহীকে স্থির বা একতান করিবার অন্ত এক সুগম উপায় আছে, তাহ একমাত্র প্রাণায়াম । প্রথমে শাস্ত্রোক্ত প্রণালী অবলম্বন করিয়া গুরূপদেশ ক্রমে নাসিকা দ্বারা অমৃতময় বাহবায়ু গ্ৰহণ, পশ্চাৎ পরিমিতরূপে ঐ বায়ু ধারণ, মন মুর তাহ ধীরে ধীরে পরিত্যাগ করিতে হুইবে । [ প্রাণায়াম দেখ । ] এই প্রাণায়াম যদি সুসিদ্ধ হয়, তাহ হইলে মনের যে কিছু বিক্ষেপ সমস্তই বিদূরিত হয়। নির্দোষ ও নির্কিক্ষেপ চিত্ত তখন অfপনা হইতেই স্থ প্রসন্ন, সুপ্রকাশ না একাগ্রযোগ্য হইয়া পড়ে। এইরূপ করিতে করিতে বিষয়বতী প্রবৃত্তি অর্থাৎ গন্ধাদি সাক্ষাৎকাররূপ প্রত্ন উৎপন্ন হয়, মন তাহাতেই স্থির হয় । এই উপায় দ্বারা চিত্ত নিৰ্ম্মল হইলে তাহাকে যথেচ্ছপ্রয়োগ করা যায়। নিৰ্ম্মল চিত্ত যখন যে বিষয়ে ধৃত হইবে, সেই বিষয়েই স্থির ও তন্ময় হইবে । ইহাতে ক্রমে চিত্তে একা • গ্রতা দিন দিন বাড়িতে থাকিবে । এইরূপে একাগ্রতা বৃদ্ধি হইলে তখন হৃৎপদ্মধধ্যে একপ্রকার জ্যোতিঃ ব' আলোক সাক্ষাৎ হয়, সে জ্যোতির বা সে আলোকের তুলনা নাই । ইহা নিস্তরঙ্গ ও নিষ্কল্লোল ক্ষীরোদার্ণব তুল্য মনোহর ও প্রশান্ত । এই আলোক বা জ্যোতিঃ সাক্ষাৎ হটলে তার কোন শোকই থাকেন। সেইজ এ আলোক ‘বিশোক’ নামে খ্যাত । এই তাবস্থা হইলে শীঘ্রই সম্প্রজ্ঞাত সমাধি বা উৎকৃষ্টতম যোগ উপস্থিত হয় । ভগবান পতঞ্জলি চিত্ত্বস্থৈৰ্যোর আরও একটা সুগম উপায় নি কারণ করিয়াছেন । তাহা এই, —যে কোন মনোজ্ঞ বস্তু যাহা মনে হইলে মন প্রফুল্ল হয় ও শাস্ত হয়, একাগ্রত শিক্ষার নিমিত্ত তাচার ধ্যানও শ্ৰেয়ঃ। পূর্পোক্ত মৈত্রী ভাবনাদি দ্বারা চিত্ত্ব নিৰ্ম্মল ও বাঞ্ছিত তত্ত্বে উৎকট মনোনিবেশ বা একাগ্রতা অভ্যাস সিদ্ধ হইলে চিত্ত স্থিরস্বভাব প্রাপ্ত হয় । তথন স্বাগতম পরমাণু হইতে বৃহত্তম পরমাত্ম পৰ্য্যস্ত সমুদয় বস্তুই তাহার গ্রাহ, প্রকাশ বা বহু হয়। চিত্ত তখন বৃত্তিশূন্ত হইয়া ফটকমণির গুtয় তন্ময়ভাবধারণে সক্ষম হয় । একাগ্র শিক্ষার নিয়ম এই যে, প্রথমে ওtহ অর্থাৎ জ্ঞেয় পদার্থ অবলম্বন করিয়া একাগ্রতা অভ্যাস করিতে হয় । জ্ঞেয় বস্তু দ্বিবিধ স্থল ও স্বল্প। প্রথমে স্থল পরে সুক্ষ্ম । প্রথমতঃ স্কুলে চিত্তস্থির আরম্ভ করিতে হয়, তাহ। অভ্যস্ত হইলে ক্রমে মন, বুদ্ধি, অহঙ্কার প্রভৃতি আভ্যন্তরীণ জীবাত্মায় মনলয় হয়, ক্রমে সম্প্রস্ত্রীত সমাধিলাভ হয়। সমাধির ভেদ ও অখন্থ। । ao সমাধি আবার চারিপ্রকার-সবিতর্ক, নিবিবতক, সবিচার ও নির্বিচার। চিত্ত যখন স্থলে তন্ময় হয়, তখন যদি তৎসঙ্গে বিকল্পজ্ঞান থাকে, তাহা হইলে সেই তন্ময়ত সবিতর্ক এবং যদি বিকল্প জ্ঞান না থাকে, তবে তাহা নিধিতর্ক । সবিচার ও নিৰ্বিচার যোগও এইরূপ । এই দুয়ের অালম্বনীয় বিষয় স্বক্ষবস্তু। তন্মধ্যে প্রথম পঞ্চভূত, তদপেক্ষ স্বপ্ন তন্মাত্র ও ইন্দ্রিয়, তদপেক্ষা সুগা অহংতত্ত্ব, তৎপরে মহত্তত্ব এবং তৎপরে প্রকৃতি । সুহ্মবিষয়ক যোগের সীমা এই পর্যন্ত বটে, কিন্তু পরমাত্মযোগ বা পরব্রহ্মযোগ এতদপেক্ষাও সুগা ও স্বতন্ত্র । এই চারি প্রকার সমাধিই সবীজসমাধি । এই সকল সমাধিতে ংসারাবস্থার বীজ থাকে। এই চারিপ্রকার সমাধির মধ্যে নিৰ্ব্বিচার সমাধিই শ্রেষ্ঠ । এই নির্মিচার উত্তমরূপ অভ্যস্ত হইলেই চিত্তের স্বচ্ছস্থিত প্রবাহ দৃঢ় হয়। কোন দোষ বা কোন প্রকার ক্লেশ কি কোন মালিগুই থাকে না । সৰ্ব্বপ্রকাশক চিত্তসত্ত্ব তখন নিতাস্ত নিৰ্ম্মল হয় এবং আত্মী ও তখন বিজ্ঞাত হন । এই সময় যে উৎকৃষ্ট ও নিৰ্ম্মল প্রজ্ঞা অর্থাৎ জ্ঞানালোক আবিভূর্ত হয়, তাহার নাম সমাধিপ্রজ্ঞ। এই BBBKKBB BB BB KBBB KBS K KB BBB KK অর্থাৎ সত্যকেই প্রকাশ করে । তৎকালে ভ্রম ও প্রমাদের লেশও থাকে না । যোগিগণ এই ঋতস্তরীপ্রজ্ঞা দ্বারা সমুদয় বস্তুতত্ত্ব যথাবৎ সাক্ষাৎকার করিয়া থাকেন । এই প্রজ্ঞার সহিত অন্য কোন প্রজ্ঞার তুলনা হয় না। এই সম্প্রজ্ঞাত বৃত্তিটী যখন নিরুদ্ধ হয়, তখন সৰ্ব্বনিরোধ নামক নিবীজসমাধি জন্মে । যোগী বহুকাল হইতে নিরোধাভাস করিতেছিলেন, এক্ষণে সেই অভ্যাসের বলে তঁtহার চিত্ত্বের সেই অবলম্বনটও নিরুদ্ধ বা বিলীন হইয়া গেল। চিত্ত যে বীজ অবলম্বন করিয়া বর্তমান ছিল, তাহাও যখন নষ্ট হইল, তখন যোগীর নিববীজ সমাধি হইয়াছে স্থির করিতে হইবে। এই নিৰ্ব্বীজসমাধি যেমন পরিপাক প্রাপ্ত হইল, চিত্ত অমনি আপনার জন্ম ভূমি প্রকৃতি আশ্রয় করিল। প্রকৃতিও স্বতন্ত্র হইলেন এবং পরমাত্মা ও প্রকৃতির বন্ধন হইতে মুক্ত হইলেন। তাহার আর শরীর বা জন্মমরণ কিছুই হইবে না । ইহাই পুরুষের প্রধান উদ্দেশু । ইহার জন্যই যোগের মাৰগু কত । ক্রিয়াযোগ ও জ্ঞানযোগ । সমাধি লাভ করিতে হইলে প্রথমে ক্রিয়াযোগ আবশ্বক।
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।