পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাতঞ্জলদর্শন o [ -7 ভগবান পতঞ্জলি ধারণ, ধ্যান ও সমাধি এই তিনকে সংযম আখ্যা দিয়াছেন, এই সংযম জয় হইলে প্রজ্ঞানামক উৎকৃষ্ট বুদ্ধির আলোক সমধিক নৈৰ্ম্মলাজনিত প্রকাশ বা শক্তি বিশেষ eाइड्रउ झ्छ । এই সংযম নামক যোগাঙ্গ পূৰ্ব্বোক্ত যমনিয়মাদি অপেক্ষা সমাধির অস্তুরঙ্গ অর্থাৎ ( সাক্ষাৎ ) সাধন। যম নিয়মাদি দ্বারা শরীরের জড়তা-নিবৃত্তি, ইঞ্জিয়ের তীক্ষ্ণতা এবং চিত্তের নিৰ্ম্মলতা উপস্থিত হয় । আর সংযমের দ্বারা চিত্তকে সুহ্মাদপি সূক্ষ্মতম পদার্থে সমাহিত করা যায়, সুতরাং পূৰ্ব্বোক্ত অঙ্গ গুলি সমাধির বহিরঙ্গসাধন, আর সংযম তাহার অন্তরঙ্গসাধন । চিত্তের ক্ষিপ্তাদি রাজসিক পরিণামের নাম বুখান এবং কেবলমাত্র বিশুদ্ধ সত্ত্ব পরিণামের নাম নিরোধ 1 চিত্তের সম্প্রজ্ঞাত অবস্থা ও পুৰ্ব্বোক্ত প্রকারের পর বৈরাগ্য অবস্থা, এই দুই অবস্থাও যথাক্রমে বুখান ও নিরোধ। এই দুই পরি৭ামের সংস্কার যখন যথাক্রমে অভিভূত ও প্রাচুভূত হয়, বুথিানংস্কার অভিভূত হইয়া নিরোধ সংস্কারট পুষ্ট হইয়। দাঁড়ায়। চিত্ত তখন নিরোধ নামক অবসরের অমুগত হয়। তাদৃশ •আনুগত্যের অর্থাৎ তাদৃশ অবসর-প্রাপ্তির বা তুষ্ট্ৰীস্তাব প্রাপ্তির নাম নিরোধপরিণাম। সংস্কার দৃঢ় হইলেই তৎপ্রভাবে তাহার ( নিরোধ-পরিণামের ) প্রশাস্তবাহিত ব৷ স্থৈর্যাপ্রবাহ জন্মে । ংযমদ্বারা চিত্তগত কৰ্ম্মসংস্কার সকল ( ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম বা পাপপুণা ) প্ৰত্যক্ষ হয় । যোগী তখন পূৰ্ব্বজন্ম বৃত্তান্ত জানিতে পারেন । জীব পূৰ্ব্বজন্মে ও ইহজন্মে যে কিছু কৰ্ম্ম করিয়াছে ও করিতেছে, সে সমস্তই তাহদের চিত্ত্বক্ষেত্রে অতি সুক্ষ্মভাবে বীজে অসুরশক্তির দ্যায় সংস্কাররূপে নিহিত থাকে। এই ংস্কার সকল তখন প্রত্যক্ষের দ্যায় বোধ হয়, ইহাতে যোগী সকল জানিতে পারেন। তখন তাহার পূৰ্ব্বজন্ম ও ইহজন্মের সকল বৃত্তান্তই স্মরণ হয়। এই স্মরণ ব্যতীত তাহার বিপাক স্বরূপ কৰ্ম্মফলাদি কিছুই ভোগ করিতে হয় না। চিত্ত-সংযম । ভগবান জৈগীষব্য সংযমদ্বারা আত্মনিষ্ঠ সংস্কার সাক্ষাৎ করিলে তাহার দশকল্পের জন্মবৃত্তান্ত স্মরণ হইয়াছিল। একদ। অবিদ্যনামে জনৈক যোগী জৈগীষবাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, ভগবন! আপনি দশমহাকল্প পর্য্যন্ত বীর বার স্বর, নর ও তির্যাক্যোনিতে উৎপন্ন হইয়াছিলেন, অথচ আপনার বুদ্ধি অভিহত হয় নাই। আজি জানিতে ইচ্ছা করি, আপনার ১৯৪ ] অমৃভূত সেই সেই জন্মের মধ্যে আপনি কোন জন্মে কোম্ শরীরে কিরূপ মুখ ও ছঃপ এবং কো শরীরেই বা তদুভয়ের । পাতঞ্জলদর্শন আধিক্য অনুভব করিয়াছেন। জৈগীষবা বলিয়াছিলেন, আয়ুষ্মন্‌ ! আমি বার বার দেবতা, ময়ুৰ্য্য ও পশ্বাদি হইয়। যে কিছু অনুভব করিয়াছি, তাহ সকলই দুঃখ, একটও মুখ নহে । তখন অtধস্থ বলিলেন, তবে কি প্রকৃতিবশিত্ব, যাহার প্রভাবে লোকের ইচ্ছানুসারেই দিব্য ও অক্ষয় ভোগ সকল উপস্থিত হয়, তাহাও কি আপনার নিকট মুখ নহে? ভগবান জৈগীষবা বলিলেন, প্রকৃতিবগুত মুখ বটে ; কিন্তু তাহ লৌকিক মুখ অপেক্ষ উত্তম ; কিন্তু কৈবল্য অপেক্ষ নহে। কৈবল্যের সহিত তুলনা করিলে তাহ দুঃখ বলিয়া বিবেচিত হয়, সুখ বলিয়া জ্ঞান হয় না। জীবের তৃষ্ণাস্বত্র ছিন্ন না হওয়া পৰ্য্যন্ত সমস্তই দুঃখ । ংযমসংস্কার সাক্ষাৎ করিতে পারিলেই এইরূপ পূৰ্ব্বজন্মাদির জ্ঞান হইয়া থাকে। সংস্কার সাক্ষাৎ হইলে পরচিত্তজ্ঞান হয় বটে ; কিন্তু তাহার আলম্বনগুলির (তখন যে সকল বিযয় ভাবিতেছে তাহার ) জ্ঞান হয় না । কেন না সে সকল বিষয় তাহার তাৎকালিক সংযমের আবিষয় । তিনি তখন সংস্কারের প্রতিই সংযম করিয়াছিলেন, অন্ত কিছুতে করেন নাই ; সুতরাং সে যাহ। ভাবিতেছে, যোগী তাহ{ জানিতে পারেন না । সে সকল জানিবার জন্য পৃথক্ প্রণি ধানের বা সংযমের আবিষ্ঠক । যোগী কৰ্ম্মের প্রতি সংযম প্রয়োগ করিলে, অপরস্তি জ্ঞান (মৃত্যুবিষয়ক জ্ঞান ) হয়। তিনি তখন কবে মুতু্যু হইবে ইত্যাদি বিষয় প্রত্যক্ষরূপে দেখিতে পাইয়া থাকেন। যোগী পুৰ্ব্বোক্ত মৈত্রী, করণ ও মুদিত নামে মনোভাব বিশেষের প্রতি সংযমী হইলে সেই সেই ভাবের উৎকর্যত হয় । তিনি তখন সেই সেই ভাবে বলীয়া হন । ভাবমাত্রে বলীয়ান হইতে পারলেই প্রাণমাত্রের সুখদাতা ও সুহৃদ হওয়া যায় এবং ইচ্ছামাত্রেই দুঃখিত জীবের দুঃখোদ্ধার করা যায়। জগতের কোথায় কি হইতেছে, কোন নিয়মে কিরূপ ভাবে জাগতিক কার্য চলিতেছে, স্বৰ্য্যসংযমী যোগী তাহা সকলই বিদিত হইতে পারেন। চন্দ্রে চিত্তসংঘমে তারাম গুলের যথার্থ তত্ত্ব প্রতিভাত হয় এবং ধ্রুবতারায় কৃতসংযমী হইলে তারকাগণের গতি জ্ঞাত হওয়া যায় । শরীরের মধ্যস্থলে নাড়ীমণ্ডল আছে, এই নাড়ীমগুলে বা নাভিচক্রে চিত্তসংযম করিলে কায়বৃহ-শারীরিক সংস্থান জ্ঞাত इट्रेष्ठ ४ifद्र रुग्न । কণ্ঠকুপের নীচে ও উরঃপ্রদেশে কুৰ্ম্ম নামে নাড়ী আছে। কুৰ্ম্মনাড়ীতে চিত্তসংযমে শরীর ও মনের স্থিরতা জন্মে। মূৰ্দ্ধস্থিত তেজোবিশেষে কৃতসংযমী হইলে সিদ্ধপুরুষ দর্শন এবং