পাথরী
ইহার সামান্ত লক্ষণ—এই রোগ উৎপন্ন হইলে নাভি, সেবলী এবং মূত্রাশয়ের উপরিভাগে বেদন হয়। পাথরী কর্তৃক মূত্রদ্ধার রুদ্ধ হইলে বিছিন্ন ধারায় মুত্র নির্গত হয়। মূয়রদ্ধ হইতে স্থার অপসারিত হইলে বিনাক্লেশে গোমেদকের হায় কিঞ্চিং লোহি স্বচ্ছমূত্র নিঃসারিত হইয়া থাকে। যদি পাথর সঞ্চরণ হেতু মুত্রবস্থা স্রোতে ক্ষত হয়, তাহা হইলে রক্তসংযুক্ত সূত্র নির্গত হয় এবং কুন্থন করিলে অত্যন্ত বেদন ছইয়া থাকে। বাতোৰণ অশ্মরীর লক্ষণ-বাতজ পাথরীতে পীড়িত ব্যক্তি সকল অtéনাদের সহিত দন্তঘর্ষণ এবং শিশ্ন ও নাভিদেশ পীড়ন করে, মূৰবেগ দিলে শব্দের সহিত মলত্যাগ হয় ও পুনঃ পুনঃ বিদু বিন্দু মুত্রত্যাগ হইয়া থাকে। এই বাতজ পাথর খামবর্ণ রগা ও কণ্টক পরিবেষ্টিত হয়। পিত্তজ পাথরীরোগে—মূত্রাশয়ে দাহ ও অগ্নিদ্বারা দ্বন্ধ হইতেছে এরূপ বোধ হয়, ইহা ভেলার বীজ সদৃশ, রক, পীত বা কৃষ্ণবর্ণ হইয় থাকে। শ্লেষ্মাশ্বরীরোগে—রোগীর মৃত্ৰাশয় শীতল, গুরু ও হুটবিদ্ধবৎ বেদনাযুক্ত হয়, এই পাণী বৃহৎ আকার, মহণ, শুক্লবৰ্ণ বা মধুর স্থায় কিঞ্চিৎ পিঙ্গলবর্ণ হইয়া থাকে। এই ত্ৰিবিধ অশ্মরী প্রায় বাল্যকালেই হইয়া থাকে। বাল্যবস্থায় মুবাশয় ছোট এবং অল্পমাংসবিশিষ্ট থাকে, এই জন্ত শস্ত্রক্রিয়ার পর পাথরী অনায়াসে অাকর্ষণ ও গ্রহণ করিতে পারা যায় । শুক্রশ্মিরী—শুক্রবেগ ধারণহেতু বয়ঃপ্রাপ্ত ব্যক্তিদিগের এই রোগ হয় । বালকগণের শুক্রবেগধারণ জন্ত অহিত হেতুর সম্ভাবনা নাই। যখন কামবেগবশতঃ স্বস্থানচ্যুত শুক্র স্থলিত না হইয়া উহা বায়ু কর্তৃক শিশ্ন ও মুগ্ধদ্বয়ের মধ্যগত বস্তিমুখে ধৃত ও শোধিত হয়, তখন শুক্রাশ্মরী হইয়া থাকে। এই শুক্রর পাথরীতে সূত্রাশয়ে বেদন ও কষ্টের সহিত সূত্র নির্গম হয় এবং মুগ্ধদ্বয়ে শোথ জন্মে, ইহা উৎপন্নমাত্রেই শুক্র খলন হইতে থাকে, শিশ্ন ও মুষ্কের মধ্যদেশ পীড়ন করিলে পাথর অভ্যস্তরে লীন হয় । শর্কর ও সিকতারোগ পাথরীর অবস্থাস্তর মাত্র। পাথরী বায়ু কর্তৃক ভিন্ন অর্থাৎ চিনিকণার স্থায় হইলে তাহাকে শর্কর এবং ঐ রূপে যখন বলুকাকণায় স্তায় হয়, তখন তাহাকে সিকতা কহে । শর্কর ও সিকতা এই দুয়ের প্রভেদ এই যে, শর্কর অপেক্ষ সিকতার রেণুসমূহ স্বল্প। বায়ু কর্তৃক প্রভিন্ন [ २०१ ] শর্কর ও সিকতারোগে যদি বায়ু স্বপথগামী হয়, তাহা হইলে সূত্রের সহিত ঐ রেং সকল বহির্গত হয় এবং বায়ু বিপথগামী । পাথরী হইলে রুদ্ধ হয় ও মূলস্রোতের সহিত সংলগ্ন হইলে দুর্বলত, শরীরের অবসরত, কৃশত, কুক্ষিশূল, অরুচি, পাণ্ডু, পিপাস, হৃদ্রোগ ও বমি প্রভৃতি উপদ্রব হইয়া থাকে। পাথরীতে যদি রোগীর নাভিতে ও মুন্ধদ্বয়ে শোথ এবং মুত্ররোধ হয়, তাহা হইলে রোগীর জীবননাশ হইয়া থাকে। । ইহার চিকিৎসা—বাতজন্ত পাথরীর পূর্ণ লক্ষণ উপস্থিত হইলে স্নেহাদি দ্বারা চিকিৎসা করিতে হইবে। শুষ্ঠা, গণিয়ারী, পাষাণভেদী, সঞ্জিনা, বরুণ, গোঙ্গুর, গাম্ভীর ও সেঁদাল ইহাদের কাথে হিন্ধু, যবক্ষার এবং সৈন্ধবচূর্ণ প্রক্ষেপ দিয়৷ পান করিলে পাথরীরোগ প্রশমিত হয়। ইহা অগ্নিপ্রণীপক ও পাচক । ইহার নাম শুষ্ঠাদিকষায় । এলাচি, পিপুল, যষ্টিমধু, পাষাণভেদী, রেণুকা, গোস্কুর, বাসক এবং ভেরেণ্ডার মূল ইহাদের কাথে ৩ বা ৪ ঘাষা শিলাজতু প্রক্ষেপ দিয়া পান করিলে এই রোগ প্রশমিত হয়। ইহার নাম এলাদিকাথ। বরুণছলের কাথে শুঠচুর্ণ, গোকুর, যবক্ষার ও পুরাতন গুড় প্রক্ষেপ দিয়া পান করিলে শ্লেষ্মজ পাথরী বিনষ্ট হয়। ইহার নাম বর্ণাদি কযায়। পাষাণভেদাদ্য স্থতও এই রোগে বিশেষ ফলপ্রদ । o পিত্তজন্ত পাথরী। কুশাদ্য স্কৃতদ্বারা ক্ষার, যবগু, পেয়, কাথ, দুগ্ধ বা কোন প্রকার আহারীয় দ্রব্য পাক করিয়া সেবন করিলে পিত্তজ পাথরী ও পিত্তাশ্মরী ও ভাল হয়। শ্লেষ্মজ অশ্মরী । বর্ণন্থত ও বরুণাদিগণ সেবনে শ্লেষ্মাজগু পাথর আরোগ হয় । শুক্রাশ্মরীরোগে--পুরাতন কুমড়ার রস ৮ তোলা, যবক্ষার ১২ মাষা এবং গুডু ৬ মাষ, একত্র মিশাইয়া পান করিলে শুক্রাশ্বরী আরোগ হয়। এখন এই ঔষধ অৰ্দ্ধমাত্রায়ই প্রায় বাবহৃত হয়। তিল, অপমাৰ্গ, কদলী, পলাশ, যব ও বেলশুঠ ইহীদের কাথ পান এবং কেবুক, কতক, সেগুন ও নীলোৎপল এই সকল চূর্ণ সমভাগে গুড়সাযুক্ত উষ্ণজলের সহিত পান করিলে পাথর মূত্রের সহিত বহির্গত হইয়া থাকে। গাযাণভেদী, গোকুর, ভেরেও মূল, বৃহতী, কণ্টকারী ও কোকিলাক্ষ মূল এই সকল চূৰ্ণ সমভাগে দুগ্ধ দ্বারা পেষণ रुद्विग्नां नृ १द्र সহিত পান করিলে পাথরীরোগ নষ্ট হয়। কুটকচুর্ণ দধির সহিত পান করিয়া বা দধির সহিত কান্ন ভোজন করিলেও ঐ পাথরী দূর হয়। শশার ধীরে অথবা নারিকেলের ফুল পেষণ করিয়া ফুগ্ধের সস্থিত পান করিলে অল্পদিনের মধ্যেই পাথর ভাল হয় । গোকুর, বরুণবৃক্ষ ও শুষ্ঠীর কাথ মধুযুক্ত করিয়া পান, পুরাতন কুমড়ার রস, হিমু ও যবক্ষার একত্র করিয়া মেবলে পাথরী