পানীত্যয়
"-ro
পানাগড়, ১ মধ্যপ্রদেশের অন্তর্গত জব্বলপুর জেলার জবলপুর তহীলভুক্ত একটী নগর । অক্ষা” ২৩° ১৭' উঃ এবং দ্রাঘি ৮০° ২' পূঃ, জব্বলপুর নগরের ৯ মাইল পূৰ্ব্বে অবস্থিত। নিকটবর্তী খনি হইতে লৌহ পাওয়া যায়। এখানে ইক্ষুর চাষ হইয়া থাকে। ২ বাঙ্গালাদেশে বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত একট প্রাচীন ও বদ্ধিষ্ণু গ্ৰাম । পানাগার (পুং ) পানস্ত আগারঃ ৬তৎ। পানগৃহ, যে গৃহে মদ্য পান করা হয় । পানাত্যয় (পুং) পানীদ্ধেতোঃ জাতে যোংতায় রোগবিশেষঃ । মদাত্যয়রোগ, মদ্যপানজনিত রোগ সুশ্রীতে লিখিত আছে—অতিরিক্ত মদ্যপানে বিবিধ পীড়া জন্মে। পানজন্ত রোগ চারি প্রকার—পানাত্যয়, পরমদ, পানাজীর্ণ এবং পানবিভ্রম। ইহার মধ্যে স্তস্তু, অঙ্গমৰ্ম, ( কামড়ানি ), হৃদয়ে বেদন, তেদি ও কম্প এই সকল বায়ুজ মদাত্যয়ের লক্ষণ । স্বেদ, প্ৰলাপ, মুৰ্থশোধ, দাহ, মূৰ্ছ, মুখ ও চক্ষুর পীতবর্ণত এই সকল লক্ষণ পিত্তজ পানীত্যয়ে হইয়া থাকে। বমন, শীত, ও কফম্রাব শ্লেষ্মজষ্ঠ পানান্ত্যয়ের লক্ষণ। সন্ধিপাতজ হইলে এই সকল লক্ষণই দৃষ্ট হইয়া থাকে। শরীর উষ্ণ ও ভার, মুখবৈরস্ত, শ্লেষ্মার আধিক্য, অরুচি এবং মলমূত্ররোধ, এই সকল পরমদের লক্ষণ। তৃষ্ণ, শিরোবেদন, সন্ধিভেদ, আধান, অমরসের উদগীরণ এবং গাত্রজ্বালা ইহা পানাঙ্গীর্ণের লক্ষণ। এই রোগ পিত্ত প্রকোপ দ্বারা জন্মে। হৃদয়ে বেদন, গাত্রবেদন, বমন, জ্বর, মূৰ্ছ, কফম্রাব, উৰ্দ্ধগত রোগ, বিদাহ, সুরা, অন্ন বা অন্নজাত ভক্ষ্যদ্রব্যে দ্বেষ এই সকল পানবিভ্রমের লক্ষণ। অধরোষ্ঠ স্থল এবং উত্তরেীষ্ঠ অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র হওয়া, অতিশয় শীত, দাহ এবং মুখ যেন তৈলাক্ত হওয়া এইগুলি অতিপানের লক্ষণ। এই লক্ষণ হইলে রোগী ৰঞ্জনীয়। পানহিত হইলে জিহবা, ওষ্ঠ ও দস্ত কৃষ্ণ বা নীলবর্ণ, নেত্ৰ পীত ও রক্তাভযুক্ত, হিক, জ্বর, বমন, কম্প, পাখশুল, কাশ ও ভ্রম এই সকল লক্ষণ হয়। ইহার চিকিৎসা-চুক্ৰ, মরিচ, আদ্রক, যমানী, কুষ্ঠ, দেব চল এই সকল দ্রব্য প্রচুর পরিমাণে সংযোগ করিয়া মদ্যপান করিলে বায়ুর শান্তি হয়। অথবা দ্রাক্ষা, যমানী, শুষ্ঠ, হিঙ্গু ও সেীবর্চল সহযোগে পান করিবে। অাম্রাতক, দাড়িম, মাতুলঙ্গ, এই সকলের রস, আনুপবর্গের মাংস সহিত সেবন, পিত্তপ্রবণতা স্থলে মধুর বর্গের কাথ, গন্ধদ্রব্য এবং মধু ও শর্করার সহিত সেবন এবং প্রচুর পরিমাণে ইক্ষুরস সহযোগে মদ্যপান করিলে ক্ষণকাল অপেক্ষা করিয়া নিঃশেষে ব্যান করিবে। লাব ও তিত্ত্বিরি মাংসের রস ও অমরহিত মুগযুদ্ধ, - ΧΙ ©Ꮼ I ২২১ ] পানাত্যয়
স্বত ও চিলিসহযোগে সেবন বিধেয় । কফজন্তু পানাস্ত্যয়ে বিম্বফল ও বেতসের রসযোগে মদ্যপানপূর্বক কফ উল্পেখন করিতে হইবে। তিক্ত ও কটুত্রব্য যোগে যুদ্ধ, যবার, জাঙ্গল মাংস, এবং শ্লেষ্মনাশক অষ্টান্ত দ্রব্য সেবন করিবে । সৰ্ব্বদোষজ হইলে পূৰ্ব্বোক্ত সকল ক্রিয়া এবং দ্বিদোষজ হইলে দোষের প্রাধান্ত বিবেচনা করিয়া প্রতিক্রিয়া করিতে হইবে। পানাস্ত্যয়ে এই যোগগুলি বিশেষ উপকারী,—গুড়ত্বক, নাগকেশর, পিপ্পলী, এলাচি, যষ্টিমধু, ধনে, কৃষ্ণজীরক ও মরিচ চূর্ণ সমভাগে লইয়া প্রচুর কপিথ রস, জল এবং পক্লষকের সহিত সংযোগ করিয়া পান করিবে। লোএ, পদ্ম, করণীয়, অন্যান্য জলজ পুষ্প, পাকাষ্ঠ এবং সারিকাদিগণ এই সকল সহযোগে শীতল জল সেবন করিবে। যষ্টিমধু, কটুকী, গ্রাহ্মা, শসার মূল, কার্পাস মূল এবং গোরক্ষ চাকুলে এই সকল সমভাগে লইয়া পানীয় প্রস্তুত করিবে। গান্তারী, দেবদার, বিটুলবণ, দাড়িম, পিপ্পলী ও দ্রাক্ষ, ইহাদের জলে পানক প্রস্তুত করিয়া বীজপুরের রসসহ পান করিলে পানজন্তু রোগের শাস্তি হয়। প্রাক্ষ, চিনি, মধু, কৃষ্ণজীর, ধনে, পিপ্পলী ও ত্রিবৃৎযোগে অথবা ফলামের রস, সেীবর্চলযোগে পানীয় প্রস্তুত করিয়া পান করিলে পানীত্যয় রোগ প্রশমিত হয়। ইক্ষাকু (তিতলাউ ), অপমাৰ্গ, কুটজবীজ, বকপুষ্প ও উড়ম্বর একত্র যুদ্ধে পাক করিয়া একগোয় পরিমাণে পান করিয়া বমন করিবে। তৎপরে দিবাবসানে মদ্যপান করিবে । গুড়ত্বক, পিপ্পণী, নাগকেশর, বিটুলবণ, হিঙ্গু, মরিচ ও এলাচি এই সকল যোগে ফলাম পান অথবা উঞ্চোদক সহ সৈন্ধব, বিটুলবণ, গুড়ত্বকৃ, চব, এলাচি, হিঙ্গ, পিপ্পলী, পিপ্পলীমূল, শুষ্ঠা এবং খাড় (গুড় ) যোগে ভোজন করিলে এই রোগ অনেকটা প্রশমিত হয়। অথবা দ্রাক্ষ, কপিখ ও দাড়িম এই সমুরে পাণক প্রস্তুত করিয়া পান করিলে পানবিক্রমের শাস্তি হয়। অথবা প্রচুর পরিমাণে মধু, শর্কর, অাম্রাতক ও কোলের রস যোগে পানক অথবা খর্জুর, বেত্র, করার, পক্ষক, প্রাক্ষ, ত্রিবৃৎ, চিনি, গাস্তারী বা যুষ্টিমধু ও উৎপল হিমদ্বলে মিশ্রিত করিয়া পান করিবে। ক্ষীরিবৃক্ষের অঙ্কুর, মৃণাল, জীরক, নাগকেশর, তেজপত্র, এলবালু, পদ্ম, পদ্মকাষ্ঠ, আম্রাতক, কামরাঙ্গা, করঞ্জ, কপিখ, কোল, বৃক্ষণম, বেত্রফল, জীয়ক ও দাড়িম এই সকল সেবনে পানীত্যয় প্রশমিত হয় । মনোহারিণী কামিনীর সমাগমও পানাত্যয়ে বিধেয় । দাড়িম এবং আমড়া প্রভৃতি অক্সফলের রস, চিনি, মৌল, দারুচিনি, এলাচি, তেজপত্র, নাগকেশর, জীয়ক, পিপ্পলী, মরিচ এই সকলের চুর্ণ সমভাগে লইয়৷ পান করিবে। মুখ,