পারদ মহাদেবের শুক্র পৃথিবীতে পতিত হয়, সেই শুক্র হইতেই পারদের উৎপত্তি হইয়াছে। শিযশরীরজাত সার পদার্থ হইতে উৎপন্ন হইয়াছে বলিয়া উহা শ্বেতবর্ণ বা স্বচ্ছ । এই শিববীর্য্যোৎপন্ন পারদ ক্ষেত্রভেদে চারিপ্রকার যথাশ্বেত, রক্ত, পীত ও কৃষ্ণ । এই চারিজাতি পারদ যথাক্রমে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশু ও শূদ্র নামে অভিহিত অর্থাৎ শুক্লবৰ্ণ পারদ ব্রাহ্মণ, রক্তবর্ণ পারদ ক্ষত্রিয়, পীতবর্ণ পারদ বৈখ্য এৰং কৃষ্ণবর্ণ পারদ শূত্র নামে খ্যাত। এই চরিপ্রকার পারদের মধ্যে রোগনাশবিষয়ে শ্বেতবর্ণ পারদই প্রশস্ত । রক্তবর্ণ পারদ রসায়নে, পীতবর্ণ পারদ ধাতুভেদে এবং কৃষ্ণবর্ণ পারদ আকাশগতি সাধনবিষয়ে হিতকর । রসেঞ্জ, মহারস, চপল, শিববীৰ্য্য, রস, সুত ও শিবপৰ্য্যায়ক শব্দ সকল পারদের মাম। এই পারদ মধুরাদি ছয় রসযুক্ত, স্নিগ্ধ, ত্রিদোষনাশক, রসায়ন, যোগবাহী, শুক্রবর্দ্ধক, চক্ষুর হিতকর, সকল রোগনাশক এবং কুণ্ঠরোগে বিশেষ হিতকর । স্বচ্ছপারদ ব্ৰহ্মতুল্য, বদ্ধপারদ জনাৰ্দ্দন সদৃশ, রঞ্জিতপারদ স্বয়ং মহেশ্বর। মূৰ্ছিত পারদ রোগনাশক, বদ্ধপারদ আকাশগতিসাধক, মারিত পারদ জল্লামাশক । এই কারণে পারদ অতিশয় হিতকর । যে সকল রোগ অসাধ্য, অস্ত কোন প্রকার চিকিৎসাতেই আরোগ্য হয় না, মনুষ্য, হস্তী ও অশ্বসমূহের সেই সকল রোগ পারদদ্বারা সম্পূর্ণরূপে নিরাকৃত হয় । পারদে স্বভাবতঃ মল, বিষ, বহি, প্রস্তর চাঞ্চল্য, বঙ্গ ও নাগ এই কয়ট দোষ অবস্থিত । পারদের এই সকল দোষ পরিহার না করিয়া সেবন করিলে মলদোৰ্থ দ্বারা মূৰ্ছ, বিষদোষে মৃত্যু, অগ্নিদোধে অতি কষ্টতম গাত্রদাহ, প্রস্তর দোষে শরীরের জড়ত, চাঞ্চল্যদোষে বীর্যনষ্ট, বঙ্গদোষে কুষ্ঠ এবং নাগদোষদ্বারা ষগুত হয়। এই কারণে পারদশোধুন করা সৰ্ব্বতোভাবে বিধেয় । १५ • * পারদে বহ্নি, বিধ ও মল এই তিনদোষই প্রধান । এই দোষত্রয় যথাক্রমে সস্তাপ, মৃত্যু ও মূৰ্ছা জন্মায়। বৈদ্যগণ পারদের অষ্ঠাগু দোষও বর্ণন করিয়াছেন, কিন্তু উক্ত তিনটী [ २88 ] ব্ৰাহ্মণ: ক্ষত্রিয়ো বৈষ্ঠ পুত্ৰক থলু জাতিতঃ। শ্বেতং শস্তং রুজtং নাশে রক্তং কিল রসায়নে । ধাতুবাদে তু তৎপীতং খেগতে কৃষ্ণমেব চ। পায়াঃ বড় সঃ স্নিগ্ধ দোষয়ে রসায়নঃ ॥ যোগৰাহী মহাবৃধ্যঃ সদ। দৃষ্টিবলপ্ৰদ: | नकर्षाभब्रइब्र: catद्ध: शिt*षा९ नर्स्कूईशू९ ॥ ৰস্থো রসে ভবেৎ ব্রহ্ম যক্ষে। মেয়ে জলাঙ্গন । ब्रश्चिउ: अभिङकोनि नtकारकtवा भरश्श्वग्नः ॥' (छांषयकां★ ) পারদ দোষই বিশেষ অনিষ্টজনক । যে ব্যক্তি পারদের দেখি সংশোধন না করিয়া সেবন করে, তাহার অতি কষ্টকর রোগ ও শরীরের বিনাশ হয়। (ভাবপ্রকাশ পূৰ্ব্বখ৩) এই ধাতু অতিপ্রাচীনকাল হইতে প্রচলিত । ইহা সচরাচর তরল অবস্থায় দেখিতে পাওয়া যায়। পারদ খনির মধ্যে স্পেনদেশে আলমাদেন নামক স্থানে কাৰ্ণিওলায় ইঞ্জিয়ার খনি সৰ্ব্বাপেক্ষা বিখ্যাত। হাঙ্গারি, ট্রান্সালভেনিয়া এবং জৰ্ম্মণির অন্তর্গত ডিউপাণ্টস্ নামক স্থানেও পারদের খনি অাছে। একসময়ে চীন ও জাপানে যথেষ্ট পারদ পাওয়া যাইত । পাশ্চাত্য পদার্থবিৎ প্লিনি বলেন, কালিয়াস নামে একজন আথেনীয় ৫০৫ খৃঃ পূৰ্ব্বাস্কে পারদ হইতে হিস্কুল প্রস্তুত করিবার প্রণালী আবিষ্কার করেন । প্লিনি অtলমাদেনের পারদ খনির বিষয় উল্লেখ করিয়াছেন। লা প্লে (Le Play ) নামে একজন ফরাসী ভূতত্ত্ববিৎ এই খনি পরিদর্শন করিয়াছিলেন। তিনি এই স্থানে ৭•• জন লোক কার্যে নিযুক্ত ছিল দেখিয়াছিলেন এবং তাহার মতে এই খনি হইতে প্রতিবৎসর ২২৪৪ • • • পাউণ্ড পারদ উত্ত্বোলিত হইত। পারদ যখন খনি হইতে তোলা হয়, তখন গন্ধক লৌহ রজও প্রভৃতি ধাতুর সহিত মিশ্রিত থাকে। পরে পৃথক্ করিয়া লওয়া হয় । তবে সচরাচর গন্ধকের সহিতই অধিকাংশ মিশ্রিত থাকে । পারদকে অন্তান্ত ধাতু হইতে পৃথক্ করিবার জন্ত বিবিধ উপায় অবলম্বিত হইয়াছে। অপরিস্কৃত পারদ লৌহের সহিত কোন আবৃত পাত্রের মধ্যে রাখিয়া তাপ দেওয়া হয়। তাপ প্রাপ্ত হইয়া গন্ধক লৌহের সহিত মিশ্রিত হইয়া ষায় এবং পারদ পৃথক হইয় পড়ে। পারদধাতু তরল এবং রঞ্জতের স্তায় শুভ্রবর্ণ। ইহা গন্ধ ও স্বাদবিহীন এবং বায়ু স্পর্শে অতি অল্পই বিকার প্রাপ্ত হয়, জল সহযোগে কিছুই হয় না । ইহার আপেক্ষিক গুরুত্ব ১৩:৫৬৮, এবং ৬৭৯° তাপে ফুটিয় উঠে এবং ৪০° ডিগ্রিতে জমিয় যায়। কঠিন অবস্থায় ইহার সাসকের ন্যায় শব্দ হয় এবং ছুরি चांद्र! दtप्ले श्वtग्न । - পারদ তাপ ও বিদ্যুতের পরিচালক । কিন্তু তাপ অতি অল্পপরিমাণে সহ করিতে পারে। ৩২° ডিগ্রি হইতে ২১২° ডিঞ্জি পৰ্য্যস্ত তাপ সংযোগে পারদ সমপরিমাণে বৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে। বিশুদ্ধ অবস্থায় ইহা অল্পপরিমাণে থাকিলে গোলাকৃতি ধারণ করে। অপরিস্কৃত পারদ পরিশ্রুত করিয়া লইলে বিশুদ্ধ হয় । কখন কথন বা নাইটিক এসিড সংযোগে বিশুদ্ধ করা হয়। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, খনিতে পারদ প্রায়ই গন্ধকের সহিত মিশ্রিত থাকে। এই মিশ্রিত পদার্থকে হিঙ্গুল কহে ।
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/২৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।