পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- পারদ বাজায়ে যে সকল পারদ বিক্রয় হয়, তাহ হিঙ্গুল হইতে দংগৃহীত হইয় থাকে। ভারতবর্ষে পারদের খনি অধিক माहे । ८कदणभांझ cन*ांण ७धं८मtनं *iांsग्र! यांग्न । अधिकांश* পারদ চীন ও স্পেনদেশ হইতে রপ্তানি হইয়া থাকে। হিজুল উজ্জ্বল ও রক্তবর্ণ, সাইটুক বা হাইড্রোক্লোরিক এসিড ইহার উপরে কার্য্য করে মা, কিন্তু এই দুই এসিড মিশ্রিত করিলে ছিকুলের উপর কার্য্য কল্পিয় থাকে। হিস্কুলের ১•• ভাগের মধ্যে ১৪-২৫ ভাগ গন্ধক এবং ৮৫ ভাগ পারদ আছে। ক্লোরিনের মিশ্রণে যে পারদ প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহাকে ক্লোরাইড অব মার্কারি বা হর্ণ মার্কারি বলে। ক্লোরাইড, অব মার্কারিতে ১• • ভাগের মধ্যে ক্লোরিন ১৪৮৯ এবং পারদ ৮৫, ১১ ভাগ কাছে । ইহাভিন্ন পারদ রঞ্জত, আইএডিন, সিলেনাইড প্রভৃতি পদার্থের সহিত মিশ্রিত অবস্থায় পাওয়া যায়। পায়দ অত্যস্ত প্রয়োজনীয় ধাতু। ইহা অনেক কাৰ্য্যে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। দর্পণ প্রস্তুত করিবার জন্ত পারদ ব্যবহৃত হয় । খনিজ স্বর্ণ ও রৌপ্য বিশুদ্ধ করিতে পারদ আবণ্ডক । ইহা ভিন্ন পারদ গিন্টি করিতে লাগিয়া থাকে। অনেক রোগে পারদ ঔষধাৰ্থে ব্যবহৃত হয়। পারদের রোগনাশক শক্তি বহুপূৰ্ব্বে ভারতবর্ষ, আরব এবং : পারস্তদেশের লোকের জানিতেন। ইহা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করিয়া থাকেন যে, পুৰ্ব্বদেশীয় লোকেরা সৰ্ব্বপ্রথমে পারদ মহাব্যাধি প্রভৃতি চৰ্ম্মরোগচিকিৎসায় ব্যবহার করিত। আরবের বা ভারতবর্ষীয় লোকের পারদের এই গুণ সৰ্ব্বপ্রথম আবিষ্কার করিয়াছিলেন কি না, তাহ অদ্যাপি স্থিরীকৃত হয় নাই। য়ুরোপে পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে ঔষধাৰ্থে পারদ প্রথম প্রচলিত হয় । সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন সংস্কৃত চিকিৎসা গ্ৰন্থ চরকে পারদের উল্লেখ দেখা যায়। চরক পারদের পরিবর্তে 'রস' শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন, কিন্তু রস শব্দের অর্থ পারদ কি না, এবিষয়ে অনেকে সমোহ করেন। অষ্টম শতাব্দীতে এতদ্দেশীয় চিকিৎসকদিগকে “পারদ’ শব্দ ব্যবহার করিতে দেখা যায়। যুরোপীয় চিকিৎসকের অনেক রোগে পারদ প্রয়োগ করিয়া থাকেন। পারদ এবং পারদ হইতে যে সকল মিশ্র পদার্থ উৎপন্ন হয়, তাহ গাত্রে লাগিলে কিছুক্ষণ কোন প্রকার দাহ উপস্থিত হয় না, কিন্তু বাহপ্রয়োগ করিতে হইলে পারদঘটিত বীৰ্য্যবান ঔষধ সকল অতিশয় সাবধানে ব্যবহার করা কর্তব্য। ক্ষতরোগে পারদ হইতে প্রস্তুত ঔষধ প্রয়োগ করিলে চারি প্রকার ফল উপস্থিত হয় । ইহা ΧΙ [ २8& ] পারদ সঙ্কোচক, প্রদাহমাশক, উত্তেজক এবং পচলনিবারকের কার্য্য করে । পারদের বাহ ও আভ্যন্তরিক প্রয়োগ হইয়া থাকে। পারদ অন্যান্ত ধাতু এবং মূল পদার্থের সহিত মিশ্রিত হয়, তাহ *एर्ति दणां श्हेग्नांरछ् । to কাচ পারদ বুপিল প্রস্তুত করিতে ভাবগুক হয়। ৰূপিল জোলাপের জন্ত ব্যবহৃত হইয় থাকে। উপদংশরোগে বুপিল, কুইনাইন এৰং অহিফেন সংযোগে রোগীকে সেবন করান হয় । কুপিল কয়েক দিবস অনবরত ব্যবহার করিলে দাতের গোড়া ফুলিয় উঠে এবং মুখ দিয়া লাল। পড়িতে থাকে। এইরূপ অবস্থা হইলে পারদ লেবন বন্ধ করা উচিত। পূৰ্ব্বে কুপিল পিত্তনিঃসরিক বলিয়া বিবেচিত হইত, কিন্তু এক্ষণে পরীক্ষা দ্বারা স্থিরীকৃত হইয়াছে যে, পারদ ব্যবহারে পিত্তনিঃসারণের পরিমাণ অল্প হইয়া যায়। তবে ইছ। ব্যবহার করিলে শরীরের অষ্টান্ত যন্ত্রের কার্যাবরোধক দুষিত পদার্থ সকল দেহ হইতে বাহির হইয়া যায়। ব্লুপিল ব্যবহারে অত্যন্ত যাতনাপ্রদ প্রদাহ নষ্ট হয় । এতদ্ব্যতীত যকৃৎ এবং মূত্রগ্রন্থি সঙ্কুচিত হইলে ইহার প্রয়োগে উপকার পাওয়া যায় । উপদংশ, শোথ প্রভৃতি রোগে বুপিল ব্যবহৃত হইয়া থাকে। • অত্যন্ত দুৰ্ব্বলাবস্থায়, অবসন্ত্রাবস্থায়, বা রোগ অত্যস্ত পুরাতন হইয়া পড়িলে ব্লুপিল প্রয়োগ নিষিদ্ধ। কুপিল অধিক মাত্রায় সেবন করিলে মুখ হইতে বহু পরিমাণে লীলা-নিঃসারণ, ভেদ, রক্তহীনতা, গাত্রে ত্রণের অাবিভাব, হাত পা খেচুনি, পক্ষাঘাত প্রভৃতি স্নায়বিক বিকার অবিভূত হয়। একটা মাত্র কুপিল সেবন করিলে কাহারও কাহারও মুখ দিয়া লালা নিঃসরণ হয় । এই কুপিল অতি সাবধানে ব্যবহার করা কর্তব্য । ফু পার হইতে গ্রেপাউডার নামে আর এক প্রকার ঔষধ প্রস্তুত হইয়া থাকে । এই ঔষধ প্রস্তুত করিতে হইলে ২ আউন্স খড়ি এবং ১ আউন্স পায়দ লইয়। খলিতে হয়। পরে ঘসিতে ঘলিতে যখন পারঙ্গবিন্দুগুলি অদৃগু হইয়া যায়, তখন এই ঔষধ প্রস্তুত হয় । এই ঔষধ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । যে স্থানে পারদঘটিত অন্তান্ত ঔষধ ব্যবহার করিতে পারা যায় না, সেই স্থলে গ্রেপাউডার গ্রয়োগ করা হয়। ইহার মাত্রা ১ হইতে ৩ গ্রেণ পর্য্যন্ত । গ্রেপাউডার ধাতুপরিবর্তৃক এবং মুহুবিরেচক । এতদ্ব্যতীত ইহ যকৃৎধিকারে এবং চৰ্ম্মরোগে ব্যবহৃত হইয়া থাকে । পারদ ও ক্লোরিনসংযোগে যে ২ট মিশ্র পদার্থ উৎপন্ন হয়, তাহার একটর নাম পায়ক্লোরাইড্‌ অব মার্কায়ি এবং দপরের নাম সাবৃক্লোরাইড অব মার্কারি বা ক্যালোমেল ।

          • --

ᏄᏬᎸ☾