পারিজাত [ ২৯১ -- J • পারিজাত বনের গুণ, সৌরভ ও প্রভাব এ পরিঞ্জাত অপেক্ষা অনেক অধিক । তথায় পারিজাত বৃক্ষ সকল মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়া প্রমথগণের সহিত নিরস্তুর মহাদেবের উপাসনা করিয়া থাকে। এই বৃক্ষ সকল পাৰ্ব্বতীরও বিশেষ প্রিয়। একদা পাপীয়া অন্ধক বলদৰ্পে দর্ণিত হইয়। ঐ পারিজাতবনে প্রবেশ করে। ঐ দুরায়ু সকলের অবধ্য । ইহার বল বুরামর হইতেও দশ গুণ অধিক, কিন্তু এই বনে প্রবেশ করিবামা এই মহাদেব কর্তৃক নিহত হয়। অতএব তিনিও যে আপনাকে পারিজাত বৃক্ষ প্রদান করিবেন, আমার এরূপ বোধ হয় না । পুনরায় কৃষ্ণ নারদকে কছিলেন, ইন্দ্র যদি সহজে ইহা দিতে না স্বীকার করেন, তাহা হইলে বাধ্য হইরা তাহার সহিত আমি যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইব ; কিন্তু আপনি ইহা সকলের শেষে কহিবেন । নারদ তাঁহাই হইবে, এইরূপ প্রতিশ্রত হইয়া স্বর্গে গমন করিলেন। স্বর্গে যাইয়া ইজকে এই সকল কথা অতি সাবধানে কহিলেন । ইন্দ্র ইহা শুনিয়া বলিলেন, এই পারিজা ত স্বর্গের অমূল্য সম্পত্তি, মর্ত্যলোকে ইহা কিছুতেই দেওয়া যাইতে পারে না। এই পারিজাত স্বর্গভ্রষ্ট হইলে আর কেহই স্বর্গের প্রতি আদর করিবেন না, ঐ পারিজীত প্রভাবে জনগণ মর্ত্যলোকে থাকিয়া স্বর্গমুখ অনুভব করিতে পরিবে। আমি পারিজাত স্বৰ্গচ্যুত করিয়া দিলে দেবগণ আমার উপর অসন্তুষ্ট হইবেন । এই সকল কারণে আমি কিছুতেই পারিজাত দিতে পারি না । তথন নারদ কছিলেন, যদি আপনি ইহা সহজে না দেন, তাহা হইলে কৃষ্ণের সহিত আপনার যুদ্ধ বাধিবে। এখন আপনি বিবেচনা করিয়া উত্তর দিলে আমি তাঙ্কাকে কহিব । তখন ইন্দ্র কহিলেন, আপনি কৃষ্ণকে কহিবেন, আমি যখন স্বর্গের অধিপতি, তথন আমার সাধ্য থাকিতে কছুতেই পারিজাত স্বৰ্গচ্যুত করিতে পারিব না। ইহাতে যদি কৃষ্ণের সহিত যুদ্ধ করিতে হয়, তাহীতেও আমি অপ্রস্তুত নহি । পারিজাত স্বৰ্গচ্যুত হইলে ক্রমে আমাদের প্রভাবও নিস্তেজ হইয়া পড়িবে। তথন স্বর্গ ও মর্ত্য এক হইয়া উঠিবে। স্বর্গের জন্য কেহই আর যজ্ঞাদির অনুষ্ঠান করিবে না। স্বর্গের গৌরব রক্ষা করা আমার অবশ্ন কর্তব্য। আপনি কৃষ্ণকে যাইয়া এই কথা বলুন, তাহাতে র্তাহার যেরূপ অভিরুচি হয়, তিনি তাহাই করিবেন। তখন নারদ দ্বারকায় যাইয়া কৃষ্ণকে আদ্যোপাস্ত কহিলেন । কৃষ্ণ দেখিলেন, যুদ্ধ বিনা পারিজাতुणtrडद्र श्रश्च श्रीनि ऎळैश्itम्र मtङे । एठ१न ङिनि शूंष्य़ छञ्छ ৰু অনিশ্চয় হইলেন এবং নারদকে কহিলেন আপনি পুনরায় জার একবার স্বর্গে যাইয়া ইক্সকে বলুন, তিনি আমার সহিত যুদ্ধে কখনই জয়লাভ করিতে পরিবেন না, তখন বৃথা কেন যুদ্ধ করিয়া বিদ্বেষভাজন হইবেন এবং আমাকে কনিষ্ঠ ভ্রাত। বলিয়া প্রদান করিলে কোন গোলযোগই হইত না । অতএব তিনি যুদ্ধের জন্ত প্রস্তুত হউন, আমি সত্বরই যুদ্ধযাত্রা করিব। নীরদ পুনরায় স্বর্গে যাষ্টয়া এই কথা ষ্টকে কছিলেন। তখন ইঙ্গ যুদ্ধ নিশ্চয় জানিয়া বৃহস্পতিকে ডাকিয়া এই नभूलग्न ठूखास्त्र জানাইলেন। বৃহস্পতি ইহা শুনিয়া ইন্দ্রকে কছিলেন, আমি ব্ৰহ্মলোকে গমন করিয়াছি, আর তুমি আমাকে না জিজ্ঞাসা করিয়া মন্ত্রভেদপুৰ্ব্বক বিষম অনৰ্থ ঘটাইয়। বসিয়tছ। অথবা তোমারই দোষ কি ? ভবিতব্যই সমস্ত ঘটনার মূল যাহা হউক, এখন তুমি যতদূর পর সপুত্রে জনাৰ্দ্দনের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হও। আমি ও অন্ত উপায় দেখিতেছি। বৃহস্পতি এই কথা বলিয়া ক্ষীরোদসাগরে গমন করিলেন। তথায় উপস্থিত হইয়া এই সকল বৃত্তাস্ত কগুপকে কহিলেন । কগুপ এই ৰাক্য শুনিয়া কহিলেন, ইস্ত্র যখন দেবশর্মিার অনুরূপ পত্নীকে কামনা করিয়াছেন, তখন সেই মুনিশাপে অবগুই এইরূপ ঘটনা ঘটবে। আমি ঐ দোষশাস্তির নিমিত্ত এই উদবাসত্রত আরম্ভ করিয়াছি, কিন্তু কিছুতেই রক্ষা করিতে পারিলাম না। যে দোষ আশঙ্কা করিয়াছিলাম, তাহাই উপস্থিত হইল। চেষ্টা করিয়া দেখি, যদি দৈবপ্রতিকুল না হয়, তাহ হইলে একরূপ উভয়কে নিরস্ত করিতে পারিব । তখন কগুপ অদিতির সহিত মহাদেবের স্তব করিতে লাগিলেন । মহাদেৰ স্তবে সস্তুষ্ট হইয়া তথায় উপস্থিত হইয়া কহিলেন, তুমি যে জন্ত আমার স্তব করিয়tছ, তাহ আমি অবগত আছি। ইন্দ্র ও উপেন্দ্র ইহার শীঘ্রই স্বাস্থ্যলাভ করিবেন, কিন্তু কৃষ্ণ পারিজাত লইয়া যাইবেন, তাছাতে আর সন্দেহ নাই। মহেঞ্জ তপঃপ্রদীগু দেবশ"ার ভার্য্যাকে অভিলাষ করিয়াছিলেন, তাহাতে তপোধন তাচাকে শাপ দেন। সেই জন্তই এইরূপ ঘটনা হইয়াছে। যাহা হউক ইহার জন্ত কোন ভাবনা নাই । কণ্ডপ এই কথা শুনিয়া হৃষ্টচিত্তে প্রস্থান করিলেন । এদিকে ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ রৈবতক পৰ্ব্বতে মুগয়াবাপদেশে গমন করিলেন । তথা হইতে সাত্যকিকে স্বরথে লইয়। পারিজাতহরণের জষ্ঠ দেবোদ্যtনে আসিলেন, সেই বন দেবযোদ্ধগণে পরিবেষ্টিত ছিল। কৃষ্ণ ঐ সকল দেবরক্ষিগণের সমক্ষেই অবলীলাক্রমে পারিজাততরুকে উৎপাটিত করিয়া গরুড়পুষ্ঠে আরোপণ করিলেন ; তখন পারিজাতমূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়া কেশব সন্নিধানে উপস্থিত হইল। কৃষ্ণ তাহাকে সাস্বনা করিয়া কহিলেন, তোমার ভয় নাই । আমস্তর পারিজাত প্রস্থান করিল দেখিয়া কৃষ্ণ অমরাবতী প্রদক্ষিণ করিতে লাগিলেন। অনস্তর পারিজতিরক্ষক দেবগণ ইঙ্গ
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/২৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।