পালি এক্ষণে পালিগ্রন্থসমূহ ভারতে নাগরী অক্ষরে, সিংহলে সিংহী অঙ্করে, ব্রহ্মদেশে ত্রাঙ্গী অক্ষরে, স্যামদেশে কম্বোজ বা চম্পা অক্ষরে এবং যুরোপে নাগরী ও রোমক অক্ষরে মুদ্রিত হইতেছে। পুরাকালে পালিভাষার গ্রন্থসমূহ কি প্রকার অক্ষরে লিখিত হইত, ইহা সুন্দরন্ধপে জনা যায় না। উহা নাগরী, সিংহলী বা ব্রাহ্মী অক্ষরে লিখিত হইত না, ইহা এক রূপ নিশ্চিত । উড়িষ্যা, বেহার, মালাহাবাদ, দিল্লী, পঞ্জীব, গুজরাত, তাtফগানিস্থান প্রভৃতি প্রদেশে যে সকল পোদিতলিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে, উহাতে খৃঃ পূঃ ৩য় ও ৪র্থ শতাব্দীর পালি অক্ষরের নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায়। বক্রিয়ার রাজগণ খৃঃ পূঃ দ্বিতীয় অব্দে বক্রিয় রাজ্যে ব্যবহৃত মুদ্রার এক পাশ্বে পালি অক্ষর ও অপর পাশ্বে গ্ৰীক অক্ষর সন্নিবেশিত করিতেন। যে সময়ে আলেকসান্দর ( Alexander ) ভারত আক্রমণ করেন, তাহার বহু পূৰ্ব্বে করনন্দ নামক নৃপতি মগধে রাজত্ব করিতেন। করনন্দের সময়ের অনেক মুদ্র। ༣i།Sa། গিয়াছে, উহার একপাশ্বে ভারতীয় পালি ও অপর পাশ্বে সেমিতিক-পালি অক্ষর খোদিত আছে। নিনেভীনগরের ইষ্টকফলকে যেরূপ ফিনিকীয় অক্ষর খোদিত ছিল, এই সেমিতিক পালি অক্ষর তাহার সদৃশ । আমুর ( Assyrian ) অক্ষরের ‘র’ প্রভৃতির সহ প্রস্তরফলকথোদিত ‘র’ প্রভৃতি পালি অক্ষরসমূহের সোসাদৃশু দেখিয়া অনেকে অনুমান করেন, পালি অক্ষরসমূহ কালরূপী লিপি হইতে সমুদ্ভূত। যাহা হউক, ইহা নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে যে, দুই সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে কম্বোজ হইতে কাবুল পর্যন্ত সমগ্র প্রদেশে পালি অক্ষর ব্যবহৃত হইত। পালি অক্ষরের সহ কখনও গ্রীক কখনও বা ফিনিকীয় অক্ষর খোদিত দেখিতে পাওয়া যায় । [ বর্ণমালা দেখ । ] প্রাচীন তাম্রশাসন, প্রস্তরলিপি, ইষ্টক লিপি প্রভৃতি পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ সিদ্ধাস্ত করিয়াছেন, প্রাচীন পালি অক্ষরসমূহ সরলরেখা, ত্রিভুজ, সমকোণী চতুভুজ, বৃত্ত ও বিন্দু এই কয়েকটা আকৃতির মুসদৃশ ছিল। কোন কোন অক্ষর বা এই সকল আকৃতির দুই তিনটীর সমবায়ে যে আকার উৎপন্ন হয়, তাহার সদৃশ ছিল । আবার কণ্ঠ, তালু, ওষ্ঠ, দস্ত ইত্যাদির সহিতও ঐ সকল আকৃতির যথাসম্ভব সামঞ্জস্য আছে । পালি শব্যের প্রকৃতিপ্রত্যয় নিরূপণ করিবার জন্য শত শত পণ্ডিত চেষ্টা করিয়াছেন, কেহই অভ্রাস্ত সত্যে উপনীত হইতে পারেন নাই। কেহ বলেন, মগধের প্রাচীন নাম পালাশ, এই পালাশ প্রদেশের ভাষাই পালিভাষা। কাহার মতে পল্লীর ভাষাই পালিভাষা এবং পল্লী শব্দের অপভ্রংশে পালি শলা জন্ম XI し”〉 [ ৩২১ ]
- fलेि
--WikitanvirBot (আলাপ) _ লাভ করিয়াছে । কেহ অনুমান করেন, দুর্গবাচক পালি শৰী হইতে ভাষাবাচক পালি শব্দের উৎপত্তি হইয়াছে। কেহ কেহ পালেষ্টাইন, পালাটাইন, পালবী ও পালিটুর নগর হইতে পালিভাষার জন্ম নির্ধারণ করিয়াছেন। পাটীপুত্রের * ভাষাকেও পালিভাষা বলা যাইতে পারে। গ্রীকের পাটলীপুত্রকে পালিবোথর বলিয়া নির্দেশ করিতেন। কাছারও মতে পাটী শব্দের অপভ্রংশে পালি শব্দের উৎপত্তি হু ওয়৷ অসম্ভব নহে । কেহ কেহ বলেন পালি শব্দের অর্থ শ্রেণী, ঘথা --“ৰমা বাসপালি ব্যাধানাং তদা আসি নিবেসিত ।” তখন রাজার ব্যাধগণের নিমিত্ত গৃহশ্রেণী নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। কেহ বলেন, যে ভাষা সত্য অর্থ রক্ষা করে, তাহাকে পালিভাষা বলে। পালি শব্দ রক্ষণার্থ পালি শব্দ হইতে উৎপন্ন। "সন্ধৎথং পালেতীতি পালি।” কাহার যতে পালি শব্দের অর্থ মূলগ্রন্থ, মূলপাঠ, মূলপদ ইত্যাদি। যথা— “নেব পালিয়ং ন অটুঠকথয়াং দিস্মৃতি ।” মূলগ্রন্থ বা অর্থকথা (টকা) কোথায়ও ইহা দৃষ্ট হয় । চুলবগৃেগ লিখিত আছে – “পালিয়ং আহ অভিধৰ্ম্মস্স” (চুলবগ্গ ) । অভিধৰ্ম্মের পদসমূহ উচ্চারণ করিল। অশোকরাজের সময়ে লিখিত একখানি প্রস্তরফলকে পাওয়া গিয়াছে, তাহাতে লিখিত আছে – “হেবম চ হেবৰ্ম্ম চ মে পালিয়ো বদেথ।” এইরূপে তোমরা অামার শাসন বিজ্ঞাপন করি ও । অনেকে বলেন, খৃঃ পুঃ ৩• ৭ অক্যে অশোক রাজের পুত্র মহেন্দ্র পলিগ্রন্থসমূহ সিংহলে লইয়া যান। সেই সময়ে সিংহলবাসিগণ ঐ সকল গ্রন্থ সিংহলী ভাষায় অতুবদিত করেন। অম্বুবাদের পর সিংহলে পালিওস্থ মূলগ্রন্থ বলিয়া স্বীকৃত হইল । তদবধি পালি শব্দের অর্থ মূলগ্রন্থ হইয়াছে। বিগত কয়েক বৎসর হইল, সংস্কৃত ও পালিভাষার পরম্পর সম্বন্ধ নিরূপণ করিবার জন্য অনেক পণ্ডিত স্বীয় প্রতিভার পরিচয় প্রদান করিয়াছেন । কেহ বলেন, সংস্কৃতভাষা হইতে পালিভাষার উৎপত্তি হইয়াছে। কাহারও মতে, পালিভাধ। হইতে সংস্কৃতভাষা জন্মলাভ করিয়ttছ । এই সকল পরস্পর বিরোধী মতসমূহের মধ্যে সামঞ্চস্ত সংস্থাপন করিয়া পণ্ডিতগণ « Vidie Joiirnal of the Royal Asiatic Society for 1900, purt l.