পালি বলিয়াছেন, সংস্কৃত ও পালি তুই সহোদর ভগিনী, উহার উভয়েই এক আর্য ( বৈদিক ) ভাষা হইতে সমুদ্ভূত হইয়াছে। পালি ও মাগধী একভাষা কিনা তাহাও নিৰ্দ্ধারিত হয় নাই । সাহিত্যদর্পণ নামক সংস্কৃত অলঙ্কার গ্রন্থের ভাষাবিভাগবর্ণন অধ্যায়ে লিখিত আছে – “অত্রোক্ত মাগধী ভাষা রাজাস্তঃপুরচারিণাম । চেটানাং রাজপুত্রাণাং শ্রেণ্ঠিনাং চাৰ্দ্ধমাগধী ॥” ( সাহিত্যদর্পণ ) নাটকের অভিনয়কালে রাজার অন্তঃপুরচারিগণ মাগধী ভাষায় কথোপকথন করিবেন এবং চেট, রাজপুত্র, ও বণিগৃগণ অৰ্দ্ধমাগধীতে কথা বলিবেন । এন্থলে দর্পণকার মাগধী ও অৰ্দ্ধমাগধী শব্দে যে পালিভাষাকে লক্ষ্য করিয়াছেন, ইহা বোধ হয় না । কতিপয় পালিওন্থের মতে পালি ও মাগধী এক ভাষা নহে । মগধ দেশের ভাষাকে মাগধী এবং সাকেত অর্থাৎ অযোধ্য প্রদেশের ভাষাকে "সাকেত" (সকট) বলে। পালিটীকাকারগণ লিথিয়াছেন, সকট ভাষাই সংস্কৃতভাষা । মাগধী সকটভাষা হইতে পৃথক্ । পালি আবার মাগধী ও সকট এতফুভয় হইতে পৃথক্ । বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বগণের ভাষাই পালি । উহ! মানবের ভাষা নহে । শেধ বুদ্ধ মগধরাজ্যে অবস্থিতি করিয়াছিলেন বলিয়। অনেকে মাগধী ও পালি এতদুভয়কে একভাষা বলিয়া প্রচার করিয়াছেন এবং অনেকে পালি মাগধী এই নামে পালিভাষাকে লক্ষ্য করিয়াছেন । ভ্রমপূর্ণ। ধৰ্ম্মগ্রন্থে স্পষ্টই লিখিত আছে, মাগধীভাষী মানবের ভাষা, পালিভাষী দেবগণ ও বৃদ্ধগণের ভাষা । এই মতের স্বপক্ষে গাণিগ্রন্থসমূহে নিম্নলিথিত আখ্যায়িকী eijॐ इ sग्न! शॉग्न : “প্রথম যুদ্ধের অবির্ভাবের পূৰ্ব্বে স্ত্রীরূপিণী আদাদেবতা জগৎ স্বষ্টির মানস করেন। তিনি অগ্রে নয়টা জপ্ত স্থষ্টি করিয়৷ উহাদের নামকরণ করেন । তিনি যে ভাষায় ঐ নয়ট নাম ওথিত করিয়াছিলেন, উহাই পালিভাষায় প্রথম প্রকাশ। অনস্তর বুদ্ধগণ আবিভূত হইয়া প্রত্যেকেই ঐ ভাষা গ্ৰহণ করেন এবং ঐ ভাষার সাহায্যেই তাহীদের ধৰ্ম্ম প্রচারিত হয় । কয়েক বৎসর অতীত হইলে উক্ত দেবতা তিনটী মানবের কৃষ্টি করেন। উছার মধ্যে একট পুরুষ, একটা স্ত্রী ও তৃতীয়ট ক্লাব। স্ত্রী ও পুরুষ উভয়েই ক্লীবকে ঘৃণা করায়, ঈর্ষার বশে পুরুষটকে নিহত করে। ঐ পুরুষ মৃত্যুকালে ৭ট পুত্র ও - কিন্তু এই মত । [ ৩২২ ] ৬টা কস্তা রাখিয়া যান। তাহার মৃত্যুর পূর্কে তিনি মাদাদেবতার প্রথমস্থষ্টি নয়টা জন্তুকে তাছার সন্তানগণের সমীপে । জানয়ন করিয়াছিলেন। সন্তানগণ ঐ নয়টা জহুর সহ ক্রীড়া । পালি করিত এবং উহাদের দেখিয় যে নয়ট নাম উচ্চারণ করিয়াছিল, উহাই মাগধী ভাষার ভিত্তি । অতএব মাগধী ভাষা মানবের উদ্ভাবিত। পূৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে, আদ্যাদেবী স্বয়ং যে ময়ট নাম উচ্চারণ করিয়াছিলেন, উহা হইতে পালিভাষী জন্মলাভ করিয়াছিল । সুতরাং পালিভাষী দেবভাষা ।” উক্ত গ্রন্থে গ্রন্থকার পালি ও মাগধীর পরম্পর প্রভেদ প্রদর্শন করিবার জন্য ছয়ট উদাহরণ দিয়াছেন ঃ– সংস্কৃত পালি মাগধী । 뼈 সস Cii l সুপ্লব সুপব সন। কুকু (ট), কুকু ( II অশ্ব অসদ ংগ । শ্বন স্বল্ সচ । ব্যাঘ্র ব্যাকৃখো 1 উল্লিখিত উদাহরণ দ্বারা স্পষ্টই প্রতীত হইবে ম'গল্পী ও পালি এক ভাষা নহে । অনেকে বলেন, মগধে তিন চারিট ভাষা প্রচলিত ছিল, পালি ইহাদের অন্যতম। এই ভাষা পূৰ্ব্বে নগণ ছিল, পরে বুদ্ধদেব স্বয়ং এই ভাষায় ধৰ্ম্মপ্রচার করায় ইহা অমর হইল্প পড়িল । পক্ষান্তরে ‘প্রয়োগসিদ্ধি’ ‘পট্রিসস্তিদা অতুবাব, ‘বিভঙ্গ অতুবাব, প্রভৃতি পালিগ্রন্থে বর্ণিত আছে, পালি ও মাগধী একই ভাষা এবং উহাই জগতের মূলভাষা। পালি হইতেই অক্সান্ত) ভাষার উৎপত্তি হইয়াছে । কচ্চায়ন ( কাত্যায়ন ) এই ভাষা সম্বন্ধে লিখিয়াছেন ঃ– “স মাগধী মূলভাষা নরা যা আদিকপ্লিক । ব্রাহ্মণ চ অসমৃতালাপী সম্বুদ্ধ চাপি ভাসরে ॥” ( কচ্চায়ন ) জগতে একটা ভাষা আছে যাহা সকল ভাষার মূল। পূৰ্ব্বে অষ্ট কোন ভাষা ছিল না, কল্পের প্রারস্তে মনুষ্য ও ব্রাহ্মণগণ এই ভাষায় কথা বলিতেন । বুদ্ধগণও এই ভাষায় কথোপকথন করিতেন । ইহার নাম মাগধী ।
- বিভঙ্গ অতুধাব” নামক পালিগ্রন্থে নিম্নলিখিত যুক্তি लेक्ज्र इडेग्राप्छ :
‘সন্তানগণ পিতামাতার ক্রেীড়ে প্রতিপালিত হয় । পিত। মাতা প্রভৃতি অভিভাবকগণ শিশুসন্তানদিগের সমক্ষে নানা কথা । বলেন । সস্তানগণ পিতামাতার উচ্চারিত শব্দসমূহ বারংবার শ্রবণ করিয়া ঐ সকল শব্দ মনোমধ্যে অঙ্কিত করিয়া রাখে। এইরূপে তাহার পিতামাতার অনুকরণে সমগ্রভাষা শিক্ষা করে। দমিল ( দ্রাবিড় ) দেশীয় স্ত্রীর সহ যদি অন্ধক দেশীয় কোন পুরুষের বিবাহ হয়, তাহা হইলে ঐ অন্ধক দেশীয় পুরুষের