- بیب۔ সীরালী জমীদারী স্থাপন করিয়া তাহার ব্যবস্থার জন্ত এই রায়চৌধুরীগণের সহিত পরামর্শ করিয়া তাছাদেরই হস্তে উমীদারীর বন্দোবস্তের ভার অর্পণ করেন। খাঁ জাহান আলী অতি বিস্তীর্ণ জঙ্গলের অধিপতি হওয়ায় শীঘ্রই নবাৰ খা-জাহান্ আলী হইয়া পড়িলেন। সামান্ততঃ নবাব খাঞ্জে-আলী নামে ইনি প্রসিদ্ধ। শেষে যখন জমাদারীর কতকটা সুব্যবস্থা হইল, তখন, সামুচর নবাব খ জাহান আলী তৎপ্রদেশের হিন্দুগণকে মুসলমান করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । এক ব্রাহ্মণ-সস্তান এই সময়ে নবাব খী জাহানের অতি প্রিয়পাত্র হইয়া পড়িয়াছিলেন। ইনিই অবশেষে নবাবের অনুরোধে মুসলমান ধৰ্ম্মগ্রহণ করিয়া মহম্মদ-তাহের নাম গ্রহণ করেন। মহম্মদ-তাহের মুসলমান হুইয়া বড়ই গোড়া হইয়া পড়েন । ইহার উদ্যোগে নবাব খ জাহান আলী এই অংশে তিনশত যাটট মসজিদ ও অন্যান্ত কীৰ্ত্তি স্থাপন করেন। ক্রমে মহম্মদ-তাহের নবাবের উজীর ছন এবং ইসলাম ধর্মের শ্ৰীবৃদ্ধিকামনায় বদ্ধপরিকর হওয়াতে মুসলমানের নিকট পীর আলী মামে খ্যাত হন। পীর আলী উজীর হইয় পুৰ্ব্বোক্ত রায়চৌধুরী-বংশের কয়েক ব্যক্তিকে অনেক প্রধান কৰ্ম্মে নিযুক্ত করেন। ইছারা আবার অধস্তন কৰ্ম্মেও আপনাদের অস্ট্রিীয় স্বজনকে নিযুক্ত করিয়াছিলেম। মহম্মদ-তাহের বা পীর-আলী নিজে ব্রাহ্মণ ছিলেন বলিয়া ব্রাহ্মণ জাতিকে বড়ই শ্রদ্ধা করিতেন এবং বুদ্ধিমান ও সদ্বিবেচক বলিয়া এই জাতির কৰ্ম্মচারী পাইলে, অষ্ঠ জাতির লোক রাখিতেন না । রায়-চৌধুরীবংশের লোকজন সমস্ত উচ্চ কৰ্ম্মে নিযুক্ত থাকায় অধস্তন কৰ্ম্মচারিগণের মধ্যে র্তাহীদের অনেক বিদ্বেষ্ট ছিল। এই রায়-চৌধুরীগণের মধ্যে কামদেব-রায়-চৌধুরী ও জয়দেবরায় চৌধুরী নামক দুই ভ্রাতা অতি উচ্চপদে নিযুক্ত ছিলেন। এক সময়ে রোজার উপবাসের মধ্যে একদিন উজীর পীরআলী খ বায়াওtয় বসিয়া আছেন ; নিকটে কামদেব, জয়দেব প্রভৃতি কৰ্ম্মচারীও আছেন, এমন সময়ে কোন কৰ্ম্মচারী তাহার নিজের বাগানের ঘৃতকলম্বা নেবু উপহার দিল। পীরআলী নেবুটয় অন্ত্ৰিাণ লষ্টা বলিলেন—“ডাঃ কি জুগন্ধ !” রায়-চৌধুরীস্বয় নিষ্ঠাবানু হিন্দু ছিলেন। তাহারা আপনাদের ধৰ্ম্মেল্প নায় অপরের ধৰ্ম্মকে ও গুজা করিতেন । কামদেব রায়চৌধুরী রোঙ্গার দিন উপবাস-কালে উজীয় সাহেবকে নবুর জাম্ৰাণ লইতে দেখিয়া ক্ষুণ্ণ হুইয়া বলিলেন, “হুজুর, কি করি. লেন ? রোজার দিন লেবুর আঘ্ৰাণ লইলেন কেন?” উজীর জিজ্ঞাসা করিলেন, "কেন দোষ কি” । কামদেব উত্তর করিলেন, “আমাদের শাস্ত্রে বলে, ভ্রাণে অৰ্দ্ধেক ভোজন হয়।” [ 8vరి l পীরালী سیار পীর আলী শুনিয়া অপ্রভিত হইলেন, কিন্তু পরক্ষণেই তাছার ক্ৰোধ উপস্থিত হইল। তিনি ভাবিলেন, কামদেব উtহায় পূৰ্ব্বব্ৰাহ্মণত্ব স্মরণ করাইয় তাহাকে বিরূপ করিতেছেন। কাজেই তিনি বিক্রপের প্রতিশোধ লইতে মনস্থ করিলেন। সেদিন মজলিস ভঙ্গ হইলে উল্লীর রায় চৌধুরীদ্বয়ের সর্বনাশের আয়োজন করিতে প্রস্তুত হইলেন। তিনি জানিতেন, তাহারই অধীনে রায়-চৌধুরীদিগের অনেক বিদ্বেষ্ট আছে। তাহীদের সহিত পরামর্শ করিয়া পীর আলী স্থির করিলেন যে, উহাদিগকে জাতিচু্যত করিতে পারিলে ঠিক প্রতিশোধ লওয়া হইবে। পরামর্শ স্থির হইলে, উজীর পীর আলী একদিন হিন্দু মুসলমান সমস্ত কৰ্ম্মচারী এবং মাওববর প্রজাদিগকে দরবারে আহবান করিলেম । দরবার-গৃহের পাখে এক বৃহৎ গৃহে সুগন্ধ মশলা, পলাণ্ডু, লণ্ডনাদি দিয়া গোমাংস রন্ধনের আদেশ দিলেন । দরবারগৃহ সেই গন্ধে ভামোদিত হইয়া উঠিল । প্রজা ও কৰ্ম্মচারী সকলেই উপস্থিত হইলেন । অভাগত অনেকেই সেই গন্ধে নালিকায় বক্স দিয়া বসিলেন । কামদেব ও জয়দেব চৌধুরীও তদ্রুপ করিয়া বসিয়াছিলেন ; অধিকন্তু উজীরের সন্মুখে বিরক্তি-প্রকাশ করিতে লাগিলেন । পীর জাগী মনে মনে হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “চৌধুরী ব্যাপার কি ?” কামদেব মুখ বিকৃত করিয়া উত্তর দিলেন,-“মাংসের গন্ধ।” উজীর বলিলেন, “আগে গন্ধ পাইয়। পরে মুখে কাপড় দিয়াছ ত ? তাহ হইলে স্রাণে তপ্তভোজন হইয়। গিয়াছে। আজি তোমাদের সকলেরই জাতি গিয়াছে।” কামদেব চমকাইয়া উঠিলেন । উষ্ঠীর সভায় দিকে চাহিয়া বলিলেন, কেমন হিন্দুর শাস্ত্রাতুসারে ইছা ঠিক। বিদ্বেষীয় দল যায় দিল । উজীর তখন বলিলেন, “জমাদার, পাকৃড়ে ষ্টয়ে দোনে বদমাসকো” । তাহারা ধৃত হইলেন, বলপূৰ্ব্বক উদ্ধাদের মুখে সেই মাংস দেওয়া হইল। তখন বিপদ গুরুতর বুঝিয়। অপর সকলে পলাইলেন । তৎপরে জাতিত্বের ঘোট হইল। এামস্থ জাতক্রোধ লোকের সুযোগ পাইয়া একযোগে স্নায়চৌধুরীবংশকে পতিত বলিয়; সিদ্ধাস্তু করিলেন এবং তাছাদের সছিত অt চার ব্যবহার বন্ধ করিলেন । কামদেব ও জয়দেবের মুখে গোমাংস পড়িয়ছে, সুতরাং দুই ভ্রাতাকে দেশস্থ জ্ঞাতিবর্গও পরিত্যাগ করিলেন। তখন তাছাদের মুসলমান হওয়া ব্যতীত গতাত্তর নাই দেখিয় তাহারা মম্বাবের শরণাগত হইলেন । নবাব খ-জৗছান-আলী তাছাদের যথাক্রমে ক্ষমাল উী খ৷ চৌধুরী ও জামাল উদ্দীন খাঁ চৌধুরী মম রাখিয়া যশোর हहेtछ ८ (कांश भूब्र गिरशिप्रt &ांम जांकौञ्च निइ टशांक दाग করাইলেন ।
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৪৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।