পুং বৰ্দ্ধন -ജാ -T দিয়া প্রবাহিত হইত। মালদহের দুই ক্রোশ পশ্চিমে ভাগীরণীপুর নামে একখানি গওগ্রাম রহিয়াছে। তাহারই কিছু দুয়ে ভাগীরথী নামে এক ক্ষুদ্র স্রোতস্বতী দক্ষিণাভিমুখে প্রবাহিত হইয়া, বুড়ীগঙ্গার মিলিত হইয়াছে। অনেকের | বিশ্বাস, পূৰ্ব্বকালে এই ভাগীরণী দিয়াই গঙ্গার মূলস্রোত | বহিত ও মালদার পার্থে প্রবাহিত-মহানন্দার অদূরে কালিনীর সহিত মিলিত ছিল । সুতরাং বহুজনাকীর্ণ বিখ্যাত পেও,ৰন্ধন নগর গঙ্গার অনতিদূরে ও মহানন্দার তট হইতে বর্তমান বারদোয়ারী পর্যন্ত মুবিস্তৃত ছিল, তাহ অসম্ভব নহে । পুড়েবায় বারদোয়ারীর একক্রোশ উত্তরপূৰ্ব্বে হোয়দীর্ঘ বা হেমিং দীঘী নামে এক প্রাচীন স্থান অাছে। কেহ কেহ মনে করেন, এখানে আদিশূরানীত পঞ্চ ব্রাহ্মণ হোম করিতেন। হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন এই তিন সম্প্রদায়ের নিকটই পুণ্ডবৰ্দ্ধন এক সময়ে পবিত্র পুণ্যস্থান বলিয়া গণ্য ছিল । স্কন্দপুরাণীয় প্রভাসখণ্ডে লিখিত আছে, এখানে ‘মনার নামক শিবমূৰ্ত্তি বিদ্যমান। দেবীভাগৰতের মতে, সতীর খণ্ডিত দেহাংশ হইতে যে ১৯৮টা পীঠ উৎপন্ন হয়, তন্মধ্যে পুগু,বৰ্দ্ধন একটা । এখানে পাটল নামে দেবীমূৰ্ত্তি অবস্থান করেন। (দে° ভা” ৭।৩০ অ”) এদিকে স্কনপুরাণীয় রেবাখণ্ডে (২৯ তা”) পুণ্ড বৰ্দ্ধন যজ্ঞকারী চক্ৰবৰ্ত্তীরাজগণের প্রাচীন নিবাস বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে । খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দে যে সময়ে চীন-পরিব্ৰাজক ছিড এন্সিয়াং এখানে আগমন করেন, তখন পূৰ্ব্বভারতের অনেক বিখ্যাত বৌদ্ধাচার্য এখানে অবস্থান করিতেন । পুণ্ডবৰ্দ্ধন নগরের প্রায় আড়াই ক্রোশ পশ্চিমে গগনস্পর্শী চূড়াবিলম্বিত বশিভা-সঙ্ঘারামের নিকট তিনি অশোকরাঞ্জনিৰ্ম্মিত স্তুপ ও স্ববৃহৎ বোধিসত্ত্বমূৰ্ত্তিসমন্বিত একটী বৌদ্ধবিহার দর্শন করিয়াছিলেন । এই চীনপরিব্রাজক লিথিয়াছেন, দেখানে অশোকরাজ শু,প নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন, তথায় পূৰ্ব্বকালে তথাগত ( বুদ্ধ ) তিনমাসকাল ধৰ্ম্মোপদেশ প্রদান করিয়াছিলেন। চাতুর্মান্তকালে এখানে চারিদিকে উজ্জ্বল তালোক দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে। পূর্বে লিখিয়া, চীনপরিব্রাজক এখানে সৰ্ব্বাপেক্ষা বহুসংখ্যক নিগ্ৰস্থ ( জৈন ) দর্শন করিয়াছিলেন। বাস্তবিক জৈনদিগের কল্পস্বত্র নামক ধৰ্ম্মগ্রন্থে ‘পুণ্ডবৰ্দ্ধনীয়’ নামে একটা জৈনশাখার উল্লেখ পাওয়া যায়। খৃষ্ট জন্মের প্রায় দুইশত বর্ষ পূৰ্ব্বে এই শাখার উৎপত্তি । এরূপ স্থলে তাহারও পূৰ্ব্বে যে পুং বৰ্দ্ধন নগর স্থাপিত হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। এক সময়ে ভারতের অপর প্রান্তে পুণ্ডবৰ্দ্ধনবাসী ব্ৰাহ্মণের সমাদর বিস্তৃত হইয়াছিল। রাষ্ট্রকুটরাঙ্গ নিত্য বর্ষ ৮৫৫ শকে কেশবদক্ষিত নামে এক [ ৫১১ ] পুণ্যকত্রত পুণ্ড বৰ্দ্ধনবাসী কৌশিক গোত্রীয় ব্রাহ্মণকে স্বরাজ্যে (মাগুখেটে) আনাইয়া যে ভূমি দান করেন, তাহা হইতেই প্রতিপন্ন হইতেছে । পুঞ্জ,শর্কর ( স্ত্রী ) গুণ্ড কেক্ষুভবশর্কর । চলিত পুড়ি অীকের চিলি । ইহার গুণ স্নিগ্ধ, ক্ষীণ, ক্ষয় ও অরুচিতে হিতকর । ( রাজনি" ) ২ পঞ্চবিষেষ্ণু শর্কর । ( বৈদ্যকনি” ) পূণ্ড সহিব (পুং ) পুণ্ডরীকবৃক্ষ, গুণ্ডারিয়া গাছ। (বৈদ্যকনি) পুণ্য ( ) পূয়তেহনেনেতি পূ:যৎ গুগগমঃ হ্রস্বশ (পূঙে যন্নু,কছুক্ষশ্চ। উণ, ৫৷১৫ ) শুভদৃষ্ট । পৰ্য্যায়—ধৰ্ম্ম, শ্রেয়ঃ, সুকৃত, বৃষ । ( অমর ) যে কোন কার্য্যের অনুষ্ঠান করা যায়, তজন্ত একটা অদৃষ্ট জন্মে। যে কর্মের অনুষ্ঠানে শুভাষ্টি জন্মে, তাহাকে পুণ্য কহে, অশুভ দৃষ্টজনককে পাপ কহে। [ পাপের বিষয় পাপশষো দেখ । ] পাণ ও পুর্ণা ধৰ্ম্ম ও অধৰ্ম্মপদ বাচ্য । পুণ্যকর্মের পরিগাম সুখ । পাপের ফল ফুঃখ । পুণ্যকৰ্ম্মের অনুষ্ঠানে স্বর্গাদি ভোগ হয়, আবার পুণ্য ক্ষীণ হইলে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিতে হয়। শ্রুতিতে লিখিত অাছে “ক্ষীণে পুণ্যে মর্ত্যলোকং বিশস্তি” ( শ্রীতি ) ৷ মুখাভিলাষী মছুষ্য মাত্রেরই পুণ্যকর্মের অনুষ্ঠান বিধেয় । পুণ্য কারণ, সুখভোগ তাহার কার্য । নিজে পুণ্য করিয়া তাহ লোকের নিকট বলিতে নাই । বলিলে তাঁহা ক্ষয় হইয়া থাকে। “ইষ্টং দত্তমধাতং বা বিনগুতাজুকীৰ্ত্তনাৎ । শ্লাঘাসুশোচনাভ্যাঞ্চ ভগ্নতেজো বিভিন্থতে ॥ তন্মাদাত্মভূতং পুণ্যং বৃথা ন পরিকীৰ্ত্তয়েৎ ॥” (শুদ্ধতত্ত্বে দেবল) পুণ্য কৰ্ম্ম করিয়া তাহার বিষয় নিজে কীৰ্ত্তন করিলে আত্মাভিমান বাড়িয়া যায়, এই জন্ত শাস্ত্রকারগণ বোধ হয় কীৰ্ত্তন করিতে নিষেধ করিয়াছেন । ত্রাহ্মণ প্রভৃতি চারিবর্ণের যথাশাস্ত্র আশ্ৰমধৰ্ম্ম প্রতিপালন করিলেই পুণ্য হইয়া থাকে । শাস্ত্রের বিধান লঙ্ঘন করিলেই পাপ হয় । ধৰ্ম্মকার্যের অঙ্গুষ্ঠানে পুণ্য সঞ্চয় হইয়া থাকে। শীরে যtহ লিখিত হইয়াছে, তাহার অনুষ্ঠানেই পাপ, স্মার বিহিতের অনুষ্ঠানে পুণ্য হইয়া থাকে। { ধৰ্ম্মকার্যোর বিশেষ বিবরণ ধৰ্ম্মশব্দ দেখ । ] ২ শোভনকৰ্ম্ম । ৩ পাবন। (ত্রি) ৪ জুলার। ( হেম ) ৫ সুগন্ধি । ( জটাধর ) পুণ্যক (ক্ল ) পুখায় কাতি কৈ-ক। ১ ব্রত, যাহার অঙ্কুষ্ঠানে পুণ্য হয়, উপবাদ প্রভৃতি । ২ বিষ্ণু । পুণ্যকত্ৰত (রা) পুণ্যকং নামব্রত। খ্ৰীকৰ্ত্তব্য হতবিশেষ।
- হরেরারাধনং কৃত্ব ব্ৰতং কুর বরাননে ।
তাঙ্ক