পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৫৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুনর্ণব পুনরুক্ততা (স্ত্রী) পুনরুকস ভাব তল-টাপ পুন: রক্তের ভাব, পুনরুক্তের কথন। সাহিত্যদর্পণে পুনরুজ্ঞতা দোষ বলিয়া অভিহিত হইয়াছে। এক রাক্যের পুনৰ্ব্বার কথন হইলেই এই দোষ হইবে । কাব্যাদিতে এই দোষ বিশেষ নিন্দনীয়। ( সাহিত্যদ- ৭ পরি° ) । পুনরুক্তবদাভাস ( পুং ) পুনরুক্তবৎ আভাসে যত্র । অলঙ্কারবিশেষ । এই অলঙ্কার শঙ্কালঙ্কার। ইহার লক্ষণ,— “আপতিতে যদর্থস্য পোনরুক্ত্যাবভাসনম্। পুনরুক্তবদাভাস: স ভিন্নাকারশব্দগঃ ॥” (সাহিত্যদ” ১০ম পরিণ) আপাততঃ যে স্থলে ভিন্নাকার শব্দদ্বারা পোনরুক্তের স্থায় কথন হয়, সেই স্থলে এই অলঙ্কার হইয়া থাকে। যথার্থ পুনরুক্ত নহে, কিন্তু বিভিন্ন শব্দ প্রয়োগে পুনরুক্তের স্তায় বোধ হইলে পুনরুক্তবদাভাস হয়। ইহার উদাহরণ— “ভুজঙ্গকুগুলী ব্যক্তশশিশুভ্রাংগুশীতগুঃ । জগস্ত্যপি সদাপায়াদব্যাচ্চেতোহর; শিব; ॥” ( সাহিত্যদ” ১০ম পরি” ) ভুজঙ্গ ও কুগুলী এই দুই শব্দেরই অর্থ সৰ্প, আপাতত: দেখিলে পুনরুক্ত বলিয়া বোধ হয়, কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহে, ‘ভুজঙ্গকুগুলী” এইস্থলে অর্থ এইরূপ, ভূজঙ্গরূপ কুণ্ডল বিদ্যমান আছে যাহার, তিনিই ভুজঙ্গ কুণ্ডলী, ইহা মহাদেবের বিশেষণ । কিন্তু এইস্থলে পুনরুক্তের আভাস হওয়ায় এই অলঙ্কার হইল । এইরূপ শশী, শুভ্রাংশু ও শীতগু, ‘হর ও শিব’ ‘পায়াৎ ও * অব্যাৎ ইত্যাদি শব্দ আপাততঃ একাথের দ্যায় প্রতীয়মান হওয়ায় পুনরক্তবদtভাস অলঙ্কার হইল । পুনরুক্তি ( স্ত্রী ) উৎপল্লের পুনৰ্ব্বার কথন । পুনরুৎপত্তি (স্ত্রী) পুনৰ্বার উৎপত্তি, পুনর্জন্ম। সিদ্ধান্তকারগণ বলেন, উৎপন্নের পুনৰ্ব্বার উৎপত্তি হইতে পারে না। পুনরুৎস্থষ্ট (পুং) পশুভেদ। পূৰ্ব্বং বাহিত দৌর্বল্যাৎ স উৎকৃষ্টঃ পুনরপি সবলো জাতঃ, পুনরপি বাহিত: পুনশ্চ দৌর্বল্যাদ্য উৎস্থঃস্তাদৃশে পশো’ (কাতা স্বত্রভা ৭৷১৫ ) । পুনরুৎসূত ( ত্রি ) পুনরায় যোজিত, পুনরায় তালি দেওয়া । পুনরুপাগম (পুং ) পুনরাগমন । পুনর্গমন (ক্লী ) পুনৰ্ব্বার গমন । পুনগ্রহণ (ক্লা) ১ পুনরায় গ্রহণ। ২ পুনরুক্তি। পুনর্জন্মন (ক্লী ) পুনভূয়ো জন্ম । পুনৰ্ব্বার উৎপত্তি । পুনর্জাত (ত্রি) পুনরায় উৎপন্ন । পুনর্ণ(ন)ব (পুং পুনরপি নবী, ‘পূর্বপদাং সংজ্ঞায়ামগুণ ইতি ংজ্ঞায়াং ণত্বং, অন্যত্ৰ ন ণত্বং । ১ নথ । ( হেম ) । ( ত্রি ) ভূয়োনব, এই অর্থে ণত্ব হইবে না, [ (లిe } পুনর্নবাগুগগুলু পুনর্নব (স্ত্রী) ছিন্নায়াং পুনরপি নব, বা পুনভূয়োভূয়ঃ নুরুতে আয়তে ইতি মু-অপ, ততষ্ঠাপ, ক্ষুভূদিত্বাং ন ণত্বং । শাকfitots i Boerhavia procumbens. শ্বেতপুণ্য, গাদাপুণ্য । হিন্দী শাস্তৃত । মহারাষ্ট্র পাগুরী, ৰেঙুলী, রত্নঘেণ্ডুলী । কর্ণাটবিলিয়ন্ধুবেল্লড়কিলু, কৈং পিনবেল্লভূকিলু। তৈলঙ্গ-অতিকমমেদি । তামিল—মুকরক্তে ফিরে । বম্বে পুনর্ণব । সংস্কৃত পৰ্য্যায়-শোথী, বর্ধাতু, প্রাবৃষায়ণী, কঠিল্লক এই সকল রক্ত পুনর্নবার পর্য্যায় । শ্বেতপুনর্নবার পর্য্যায়—বৃশ্চির, চিরাটিকা, বিশাখ, কঠিন, শশিবাটিক, পৃথ্বী, পিতবর্ষাভু, বনপত্র, কঠিল্লক । চরকে স্বত্রস্থানে ৩৮ অধ্যায়ে তিন প্রকার পুনর্ণব নির্দিষ্ট হইয়াছে, যথা শ্বেতা, রক্ত ও নীলা । কিন্তু ভাবপ্রকাশাদিতে শ্বেতা ও রক্ত এই দুই প্রকারের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায় । ইহার গুণ উষ্ণ, তিক্ত, কফ, কাস, হৃদ্রোগ, শূল, অস্ত্র, পাণ্ডু, শোফ ও বায়ুনাশক । ( রাজনি” ) ভেদক, রসায়ন, আম, ব্ৰঞ্জ ও উদররোগনাশক । ( রাজব” ) ভাব প্রকাশ-মতে শ্বেতমূলার পুনর্নবা গুণ—কটু, কষায়, রুচিকর, শোথ, অর্শ ও পাণ্ডুরোগনাশক এবং দীপন । শোফ, বায়ু, শ্লেষ্ম, ব্ৰঃ ও উদয়রোগনাশক । রক্তপুনর্নবার গুণ-তিক্ত, কটুপাক, শীত, লঘু, বাতল, গ্রাহক, শ্লেষ্মা, পিত্ত ও রক্তনাশক । ( ভাবপ্র” ) ইহার শাক-গুণ-বীৰ্য্যবদ্ধক, উষ্ণ, ভেদক ও রসায়ন । ( রাজব” ) মূলের কাথগুণ-ভেদক, উদরাময়নাশক, শীতল, শ্বাসরোগে হিতকর এবং বমনপ্রদ । ( রাজব” ) পুনর্নবাগুগগুলু (পুং ) গুগগুলু ঔষধবিশেষ । ইহার প্রস্থত প্রণালী—শ্বেতগুনর্নবার মূল সাড়ে বারসের, ভেরেণ্ডামূল ১২॥• সের, শুষ্ঠা ২ সের, এই সকল দ্রব্য এক মণ চব্বিশ সের জলে সিদ্ধ করিয়া আটভাগের একভাগ থাকিতে নামাইতে হইবে। পরে উহ। ছাকিয় লইয়া এক সের গুগগুলু মিশাইয়। পাক করিতে হইবে । পরে উহাতে এরওতৈল অৰ্দ্ধসের, তেউড়াচুর্ণ আড়াই পোয়া, দস্তীমূলচুর্ণ অৰ্দ্ধপোয়, গুলঞ্চচূর্ণ এক পোয়, ত্রিফলাটুর্ণ তিন ছটাক, চিতাচুর্ণ তিনছটাক, সৈন্ধব, ভল্লাতক ও বিড়ঙ্গ অৰ্দ্ধপোয় করিয়া, স্বর্ণমাক্ষিক দুই তোলা, পুনর্নবাচুর্ণ অৰ্দ্ধপোয়, এই সকল দ্রব্যচুর্ণ প্রক্ষেপ দিয়া নামাইতে হইবে। পরে ইহ, শীতল হইলে ঔষধার্থে প্রয়োগ করা যাইবে । ইহার মাত্র দুই তোলা। রোগীর বল অনুসারে ইহার কম বেশী অর্থাৎ চিকিৎসক যেরূপ মাত্র বিবেচনা করিবেন, সেই পরিমাণ মাত্রা ব্যবহার করিতে পরিবেন। এই ঔষধ সেবনে বাতরক্ত, বৃদ্ধি, জঙ্ঘা, উরু, পৃষ্ঠ, ত্রিক ও বস্তিজাত