পুন্তাম্বা পুনশ্চন্দ্র। ( স্ত্রী) নদীভেদ । ( মহাভারত বনপ” ) পুনশ্চরণ ( ক্লী ) পুনঃ পুনঃ চৰ্ব্বণ বা রোমন্থন। পুনশ্চিতি (স্ত্রী) পুনঃ পুনঃ সংগ্রহ। "বজ্ঞং যজমানে যৎপুনশ্চিতিং ।” (তৈত্তি" সংহিতা ৫।৪।১৩।৩) পুনাব, গয়াজেলার অন্তর্গত একখানি প্রাচীন গ্রাম। গয়াধামের ৭ ক্রোশ পূৰ্ব্বে কুইট ক্ষুদ্র পৰ্ব্বতের মধ্যবর্তী অধিত্যকভূমে অবস্থিত। এখানে বুদ্ধ করতাল ও ফরমারতাল নামে ছুইটী পুণ্যসলিল দীর্থিক বিদ্যমান আছে । ত্রিলোকনাথের মন্দির থাকার এই স্থানট সমধিক বিখ্যাত। মম্বিরের দেবতা ত্রিচুড়মুকুটধারী বুদ্ধ মূৰ্ত্তি, তাহার উভয় পাশ্বে নয়ট বিভিন্ন মূৰ্ত্তি যোড় করে দণ্ডায়মান । পৰ্ব্বতের পাদদেশে অসংখ্য প্রস্তরময়ী মূর্তি ও প্রস্তর গুস্তু ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে। ইছাদের গাত্রোপরি অক্ষরগুলি প্রায় হাজার বৎসরের প্রাচীন বলিয়া বোধ হয়। নিকটস্থ ৬০ ফিট উচ্চ চতুরস্র গুপের উপরিভাগে বঙ্গ-বারাহীর ভগ্নমন্দির। দেবীমূর্তির ইট মুখ মঙ্গুষ্যের মত এবং অপরট বরাহমুখী । ইদানীস্তন বৌদ্ধগণ এই দেবীমূর্তিপূজায় বিশেষ আস্থাবান ছিলেন। পীঠের উপর সাতটা শূকরমূৰ্ত্তি আছে, নার্তিঙ্গ মন্দিরের সন্নিকটে আরও কতকগুলি ভগ্নস্তম্ভ ও মূৰ্ত্তি পড়িয়া রহিয়াছে। পুনাশ, মধ্যভারতের নিমার জেলার উত্তরস্থিত একটা নগর। খগুব হইতে প্রায় ১৬ ক্রোশ দূরে অবস্থিত। অক্ষা” ২২°১৪’ উঃ এবং দ্রাধি” ৬৭”২৬ পূঃ । তুয়ার-বংশীয় রাজপুত-সর্দারদিগের অধীনে এই নগর বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করে। এখালে ১৭৩০ খৃঃ অব্দে সর্দার রামকুশলসিংহ কর্তৃক একটী দুর্গ নিৰ্ম্মিত হয় । ১৮৫৭ খৃষ্টাবো সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংরাজগণ এখানে আশ্রয় পাইয়াছিলেন । পিণ্ডারি-দসু্যদিগের অত্যাচারে ক্রমে নগর শ্ৰীহীন হইয়া পড়ে। ১৮৪৬ খৃঃ অধো কাপ্তেন ফ্রেঞ্চ এখানকার পুষ্করিণীর জীর্ণসংস্কার করিয়া দেন । প্রতি শনিবারে এখানে একটা হাট বসে । পুস্তাম্বা, বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর আহ্মদনগর জেলার অন্তর্গত একটী নগর । গোদাবরী নদীতীরে কোপরগীও হইতে ৬ ক্রোশ দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত। এখানে ধোন্দ-মনমাড় রেলওয়ের একটা ষ্টেশন আছে, এ কারণ এই স্থান একট বাণিজ্যস্থল হইয়া দাড়াইয়াছে। এখানে গোদাবরীতীরে প্রায় ১৪টা প্রধান মন্দির অাছে, সকলগুলির সিড়ি গোদাবরীগর্ভবিলম্বিত, তন্মধ্যে ইন্দোর-রাজরাণী অহল্যাবাই (১৭৬৫-৯৫ খৃঃ অবো ) ও শিবরাম-কুমল প্রতিষ্ঠিত মন্দির দুইটাই সুন্দয় । দাক্ষিণাত্যের বিখ্যাত সাধু চাঙ্গ দেব নিৰ্ম্মিত মন্দিরই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রধান । এতদ্ভিন্ন অন্নপূর্ণ, বালাজী, ভদ্রকালী, শঙ্কর, গোপালকৃষ্ণ, জগদম্ব, [ ৫৩৩ ] পুন্দীর TT- ~ কালভৈরব, কাণীবিশ্বেশ্বর, কেশবরাজ, মহারুদ্র শঙ্কর, রামচঞ্জ, রামেশ্বর ও ত্রিম্বকেশ্বর নামে কএকটী দেবালয় দেখিতে পাওয়া যায় । পুন্দর, বা পুীর, রাজপুতজাতির একটা শাখা। ইহার মিছা শ্রেণীর অন্তভূক। সাতশতবৎসর পূৰ্ব্বে দহিমা-রাজপুতগণ বিশেষ প্রতিপত্তি ও সস্ত্রমের সহিত সদৰ্পে বীরত্ব করিয়া গিয়াছেন। রাজস্থানের সুপ্রসিদ্ধ কবিগণ আজিও এই দহিম রাজপুতগণের গুণগরিয়া গান করিয়! থাকেন। যখন চৌহান-সম্রাট পৃথ্বীরাজ দিল্লীর সিংহাসনে সমাসীন, তখন উক্ত দহিমাগণ বয়ান। নামক স্থানে আধিপত্য করিতেছিলেন । ইহারা সম্রাটু পৃথ্বীরাজের অধীনস্থ সামগুদিগের সর্বপ্রধান ছিলেন । উক দছিমাবংশের তিনভ্রাতা দিল্লীশ্বরের অধীনে উচ্চপদে অভিষিক্ত ছিলেন। জ্যেষ্ঠ কোণাস মহামন্ত্রী পদে ও মধ্যম পুীর অধিনায়ক হইয়া সসৈন্তে লাহোর সীমাস্তে নিযুক্ত এবং তৃতীয় ৰ৷ কনিষ্ঠ চাদরায় কাগৃগার নদীর সমরেশ এই যুদ্ধে রাজা নিহত হন ) পৃথ্বীরাজের প্রধান সহকারী ছিলেন । তবকাতি-নাসিরিপাঠে জানা যায় যে, সাহাবুদ্দীনের জীবনীলেখক মুসলমান ঐতিহাসিকগণ বিখ্যাত দহিমাবীর চাদরায়কে খণ্ডেরাও নামে উল্লেখ করিয়াছেন । চৌহান-রাজপুতগণের অবনতির সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিভাশালী পরাক্রাস্ত দহিমাবংশের ও লোপ হয় । সম্ভবতঃ সীমাস্তবাসী পুন্দীরবংখোস্তুব রাজপুতগণ পুর্নীর নামে আপনাদিগের পরিচয় দিয়া থাকেন । থানেশ্বর, কুরুক্ষেত্র, কর্ণাল ও অম্বালা প্রভৃতি স্থানে যে সকল পুীর-রাজপুত পূৰ্ব্বে বাস করিত, এখন তাহারা পঞ্জাব দেশীয় পুর্নীর নামে অভিহিত । পুণ্ডী, রস্ত, হাত্রী ও পুণ্ডক নশর তাহাদের অধিকারভুক্ত ছিল। চৌহানরাজ রাণ হররায় তাহাদিগকে তাড়াইয়া ঐস্থান নিজে দখল করেন, কাছেই পুর্নীর যমুনার অপর পারে যাইয়। বাসস্থাপন করিতে বাধ্য হন । এই সময় হইতে এই প্রদেশে পুর্নীর রাজপুতদিগের বসবাস অtরস্ত হয় । দোয়াববাসী পুর্নীরগণ ৰলে যে, তাছাদের রাজা সর্দার দামরসিংহ আলিগড় জেলার আক্রাবাদ পরগণার অস্তুগত গম্ভীর নগরে অসিয়া বাস করে এবং নগর রক্ষার জন্তু নিজ৯ ভ্রাতার বিজয়ের নামাকুসারে উক্ত নগরে বিজয়গড় নামে দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । ১৮•৩ খুঃ অব্দে কর্ণেল গর্ডন ও অপর কতকগুলি ইংরাজ সেনানীর মৃত্যুর পর বিজয়গড় দুর্গ ইংরাজের হস্তগত হয়। পরে ইংরাজরাজ উহ! আবাধিপতিকে দান করেন । ইহারা উচ্চশ্রেণীয় সকল রাজপুতের ঘরেই অtদান প্রদান করে । XI లి8
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৫৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।