পুরাণ শৈব আখ্যান বর্ণিত হইলেও ইহার অধিকাংশই নিতান্ত আধুনিক কালে রচিত হইয়াছে, সন্দেহ নাই । ১২ বরাহপুরাণ-লিঙ্গপুরাণের দ্যায় এই বরাহপুরাণকে প্রকৃত পুরাণ না বলিয়া একখানি কৰ্ম্মগ্রন্থ বলা যাইতে পারে । খৃষ্টীয় ১২শ শতাব্দীর প্রসিদ্ধ বৈষ্ণব রামান্থজের সময়ের আভাস এই পুরাণে অাছে । ১ও স্বলপুরাণ–এই পুরাণ নানাখণ্ডে বিভক্ত। তন্মধ্যে উৎকলথগু, কাশীখণ্ড ইত্যাদি বিশেষ প্রচলিত। উৎকলখণ্ডে জগন্নাথের মাহাত্মা-বর্ণিত। ( পূৰ্ব্বে ব্ৰহ্মপুরাণের বিবরণ দেখ। ] ১৪ বামনপুরাণ-ইহার প্রতিপাদ্য বিষয়াদি আলোচনা করিলে এই বামনকে ও পুরাণ বলিয়া মনে করা যায় না। এখানি তিন চারি শত বর্ষ পূৰ্ব্বে কাশীবাসী কোন ব্রাহ্মণকর্তৃক সংগৃহীত। ১৫ কুণ্ঠপুরাণ–এই পুরাণে ভৈরব, বাম, যামল প্রভৃতি তন্ত্রশাস্ত্রের উল্লেখ আছে । এই গ্রন্থ প্রাচীন হইতে পারে না । कोङ्ग५ उल्लिक, श्रृंख्। ७ दैछनग्नुट्टप्रोप्ग्रग्न फे९श्रृद्धिच्न बङ् श्रृएङ्ग এই পুরাণ রচিত হইয়াছে। ১৬ মৎস্তপুরাণ–এই পুরাণে নানাবিষয় থাকিলেও ইহাতে মহাপুরাণের পঞ্চলক্ষণ আছে ; কিন্তু পদ্মপুরাণ হইতে এই পুরাণ সঙ্কলিত হইয়া থাকিলে ( কারণ এক স্থানে এরূপ প্রসঙ্গ আছে ) এবং উপপুরাণসমূহের বর্ণনা থাকায়, ইহা পরের রচনা এবং বেশী পুরাতন বলিয়া বোধ হয় না। ১৭ গরুড়পুরাণ—মৎস্তপুরাণে গরুড়পুরাণের যে লক্ষণ অাছে, তাহার সহিত এখনকার গরুড়পুরাণের কিছুমাত্র মিল নাই। ইহ নামমাত্র গরুড় পুরাণ। গরুড়ের বিষয় কিছুমাত্র নাই । ১৮ ব্ৰহ্মাওপুরাণ-স্কন্দপুরাণের দ্যায় একখানি ও একখালি পুরাণের আকারে পাওয়া যায় না । বহুতর খণ্ড ও মাহাত্ম্য এই পুরাণের অন্তর্গত বলিয়া খ্যাত। ব্রহ্মাওপুরাণ নামে কখন কখন বায়ুপুরাণের পুথি পাওয়া যায় । বায়ুপুরাণের শেষাংশের নাম ব্রহ্মাণ্ডখণ্ড। সম্ভবতঃ অজ্ঞ লেখক তস্ক ষ্টে সমস্ত অংশকেই ব্ৰহ্মাগুপুরাণ বলিয়া মনে করিয়া থাকিবে । ব্ৰহ্মাণ্ডের দ্বিতীয়াংশ সংহিতা বা খণ্ডে বিভক্ত, ইহা দক্ষিশাত্যে প্রচলিত ।” - এইরূপ অধ্যাপক হ হ উইলসন সাহেব পুরাণ সম্বন্ধে যে মত প্রকাশ করিয়াছেন, বহু পাশ্চাত্য এবং এদেশীয় অক্ষয়কুমারদত্ত প্রমুখ পুরাবিদগণও ঐ মতের অমুসরণ করিয়াছেন । এখন কথা হইতেছে, সত্যই কি পুরাণগুলি এত আধুনিক ? বৈদিক গ্রন্থে ও প্রাচীন স্মার্কগ্রন্থে যে পুরাণের প্রসঙ্গ রহিয়াছে, সেই সকল পুরাণ কি এককালে লোণ হইয়াছে ? এখন যে সকল পুরাণ পাইতেছি, সমস্তই কি এত আধুনিক ? [ ¢७२ ] পুরাণ প্রচলিত পুরাণসমূহের সঙ্কলনকাল । আরণ্যক, গৃহ ও ধৰ্ম্মশাস্ত্ররচিত হইবার সময় যে একাধিক পুরাণ প্রচলিত ছিল, শ্রীষ্কাদি ধৰ্ম্মকার্যে তাছার প্রয়োজন হইত, তাহ ইতিপূৰ্ব্বে লিখিয়াছি। কিন্তু তৎকালে কোন কোন পুরাণ প্রচলিত ছিল, তাহার স্পষ্ট আভাস দিই নাই। বেদব্যাস পুরাণকে অষ্টাদশভাগে বিতাগ করিয়াছেন এ কথা সম্ভবপর নহে, এ কথা প্রাচীন পুরাণসন্মতও নহে, তাই বলিয়া কি পূৰ্ব্বকালে বিভিন্ন নামধেয় পুরাণ ছিল না ? অধ্যাপক উইলসন ও ৮মক্ষয়কুমার দত্ত মহাশয়ের মত পর্যালোচনা করিলে সকলেই একবাক্যে বলিবেন যে, ধৰ্ম্মশাস্ত্র-রচনার সময় এতগুলি পুরাণ বা পুরাণবিভাগ ছিল না । পুরাণ নামে পূৰ্ব্বকালে যে শাস্ত্র প্রচলিত ছিল, তাহ বর্তমান পুরাণ হইতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র জিনিস। কিন্তু এখন দেখাইতেছি, উপরোক্ত পণ্ডিতগণ পুরাণগুলিকে যেরূপ আধুনিক মনে করেন, প্রকৃত প্রস্তাবে এত আধুনিক নহে। কোন কোন পুরাণে আধুনিক বিষয় প্রক্ষিপ্ত হইলেও বহু পূৰ্ব্বকাল হইতে ভারতে অষ্টাদশ পুরাণ প্রচলিত অাছে, এ সম্বন্ধে সন্দেহ করিবার বিশেষ কারণ দেখি না । দুই একটা উদাহরণ দিলেই যথেষ্ট হইবে । আপস্তম্বধৰ্ম্মস্থত্রে এইরূপে পুরাণবচন উদ্ধৃত হইয়াছে— *অথ পুরাণে শ্লোকাবুদtহরস্তি । - অষ্টাশীতিসহস্রাণি যে প্রজাণীষিরষয়ঃ । দক্ষিণেনাধর্মণঃ পন্থানং তে শ্মশাননি ভেজিরে ॥ অষ্টাণীতিসহস্রাণি যে প্রজাং নেধিরধাঃ। উত্তরেণার্যক্ষ্মণঃ পন্থানং তেহুমূতত্বং হি কল্পতে ॥” - ( অপিস্তম্বধৰ্ম্মপুত্র ২২৩৩ e ) ‘অনন্তর তাহার। পুরাণ হইতে ( এই ) দুইটী শ্লোক উদাइङ्ग५ लिम्न थाप्रुन, ‘সেই অষ্টাশীতি সহস্ৰ ঋষি যাহার। প্রজাকামনা করেন, র্তাহারা অর্যামার দক্ষিণ পথে গিয়া শ্মশান পাইয়াছিলেন এবং যে অষ্টাশীতি সহস্ৰ ঋষি, প্রজা কামনা করেন না, তাহার। অর্থমার উত্তর পথে গিয়া অমরত্ব লাভ করিয়াছিলেন ।” আপস্তম্বধৰ্ম্মসুত্রে যে পুরাণবচন উদ্ধত হইয়াছে, পুরাণেও ঐরূপ বচন পাইয়াছি । যখ! ব্রহ্মগুপুরাণে— “অষ্ট্রাণীতি সহস্রাণি মুনিনাং গৃহমেধিলাম । সবিতুৰ্দ্দক্ষিণং মার্গং শ্রিত হাচক্ৰতারকম। ক্রিয়ানওtং প্রসথ্যৈষ যে শ্মশালানি ভেজিরে । cलोकम१याबश्ttब्र-१ फूडाङ्गडकूरङन 5 | हेछझांएषशबटॉरेष्क्रव ८भधूनां°शंभाष्क व ॥
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৫৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।