পুরাণ বেদে বিষ্ণুর প্রসঙ্গ । ব্ৰহ্মই আৰ্যসস্তানগণের প্রাচীনতর উপাস্য, দেবতা বটে, কিন্তু বিষ্ণু, শিব প্রভৃতির উপাসনা তাই বলিয়া নিতান্ত অপ্রাচীন নছে । ঋকসংহিতায় ১২২.১৬-২১, * Itr¢। १, २l> • I¢ २, > >d 8॥२-७, , રાગા , • לוטאט לן ל ,이s-, ગા૪૭8ા૭૭(》(》 ,9 - לו 44 לוי રારા, ગબ8, ગssા૦8, દાદાર, 8ારાજ, કાગ૧, દાગન૦૦, ৮৮৯৷১২, ইত্যাদি শত শত মন্ত্রে বিষ্ণুর প্রসঙ্গ রহিয়াছে, সামবেদ, যজুৰ্ব্বেদ ও অথর্ববেদেও বিষ্ণুমাহাত্মপ্রকাশক বহুতর মন্ত্রের অভাব নাই। কেবল মাত্র চতুৰ্ব্বেদের সংহিতাভাগ হইতেই প্রমাণ করা যায় যে, বিষ্ণু ভারতীয় আর্যগণের এক অতিপ্রাচীন উপাস্য দেবতা । বেদের ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদের সময় ব্রহ্মের উপাসনা সমধিক প্রবল হইয়াছিল সন্দেহ নাই, কিন্তু তাহারও বহু পূৰ্ব্বে বেদের সংহিতা প্রচারিত হুইবার সময়ে বিষ্ণু যেরূপ আর্যখষিগণের হৃদয়ে উচ্চাসন লাভ করিয়া ছিলেন, ব্ৰহ্ম সেইরূপ শ্রেষ্ঠ বলিয়া গণ্য হইয়াছিলেন কিনা সমোহ । - বেদে মহাদেবের প্রসঙ্গ । ঋকুসংহিতায় মহাদেব রুদ্র নামেই প্রসিদ্ধ হইয়াছেন। ঋক্, যজুঃ, সাম ও অথৰ্ব্ব এই চারি বেদসংহিতায় রুদ্রের স্তুতি দৃষ্ট হয়। এই সকল স্তুতির মধ্যে যজুর্বেদের অন্তর্গত 'ক্লী’ বা রুদ্রাধ্যায় বিশেষ প্রসিদ্ধ। যদিও অধুনাতন বেদবিৎ পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ বর্তমান মহাদেব ও বৈদিক রুদ্রের অভিন্নতা স্থাপনে অগ্রসর নহেন । কিন্তু বাজসনেয়সংহিতায় শতরুদ্রীয় মধ্যে যখন শিব, গিরিশ, পশুপতি, নীলগ্রীব, সিতিকণ্ঠ, ভব, শৰ্ব্ব, মহাদেব ইত্যাদি নাম দেখিতে পাই, তখন আর রুদ্রদেবকে মহাদেব বলিয়া গ্রহণ করিতে আপত্তি থাকে না । বিশেষতঃ অথৰ্ব্বসংহিতায় ‘মহাদেবী (৯৭৭ ), 'ভব’ ( ৬ ৯। ৩১ ), পশুপতি' ( ৯২৫ ) প্রভৃতি নামগুলি দেখিলে আর কি সন্দেহ থাকে । শতপথব্রাহ্মণে (৬১৩৭-১৯ ) এবং শাঙ্খায়নব্রাহ্মণে ( ৬১১-৯ ) যেরূপ ভাবে রুদ্রদেবের উৎপত্তি বর্ণিত হইয়াছে, আধুনিক মার্কণ্ডেয়পুরাণ’ (৫২২) ও বিষ্ণুপুরাণের সহিত মিলাইয়া দেখিলে বৈদিক রুদ্র হইতে লৌকিক রুদ্র বেশী পৃথক হইয়া পড়িবেন না। বেদে লুৰ্য্যের প্রসঙ্গ । বিষ্ণু ও রুদ্রের উপাসনা যেরূপ অতি প্রাচীন, স্বর্য বা আদিত্যের উপাসনাও ঋক্, যজুঃ, সাম ও অথর্ব এই চারি সংহিতাতেই নানা স্থানে আদিত্যদেবের স্তব দৃষ্ট হয় । সুতরাং এ সম্বন্ধে অধিক আলোচনা নিম্প্রয়োজন। (স্বর্য দেথ । ] (১) তৈত্ত্বিরীয় ও বাজসনেয় এই উত্তর সংহিতার মধ্যেই ক্লাধ্যায় আছে। XI 〉8○ [ (ఆసి 1 পুরাণ - বেদে শক্তির প্রসঙ্গ । যাহার শিব গুর্গ নাম গুনিয়াই আধুনিক কালের দেব দেবী মনে করিয়া থাকেন, তাহীদের জানা উচিত, তুর্গ বা শক্তির উপাসনা প্রকৃত প্রস্তাবে আধুনিক নহে । [ দুর্গ দেখ। ] বাজসনেয়সংহিতায় ‘অম্বিকা’ (৩৫৭ ) ও ‘শিব’ ( ১৬১ ), তলবকার উপনিষদে ( ৩১১-১২, ৪। ১-২ ) ব্রহ্মবিদ্যাস্বরূপিণী উম হৈমবতী’, তৈত্তিরীয় অরণ্যকে ( ১-প্র) ‘কস্তাকুমারী' ‘কাত্যায়নী’, ‘দুর্গা", ইত্যাদি প্রসঙ্গ পাঠ করিলে শিবসীমস্তিনী দুর্গার কথাই মনে পড়ে। সেই প্রাচীন সময় হইতেই যে ব্ৰহ্মস্বরূপিণী আদ্যাশক্তির পূজার স্বচনা হইতেছিল, ঐ সকল বৈদিক গ্রন্থ পাঠ করিলে এ সম্বন্ধে কতকটা আভাস পাওয়া যায়। বেদে ও পুরাণে দেবতত্ত্ব । বৈদিক গ্রন্থে যাহার সূচনা, পুরাণে তাহার বিস্তৃতি ও পরিণতি দৃষ্ট হয়। উপাখ্যানের এইরূপ বিস্তৃতি বা পরিণতি দৃষ্টেই অনেকে পুরাণকে আধুনিক বলিয়া মনে করেন। পূৰ্ব্ব পক্ষীয়গণের বিশ্বাস যে, “বৈদিক গ্রন্থে দেবতত্ত্বের যেরূপ আভাস, পুরাণে তাঁহাই সম্পূর্ণ বিকৃত হইয়। বিপুল আয়তন লাভ করিয়াছে। ফলতঃ পূৰ্ব্বতন দেবতাবিশেষের অনেকানেক উপাখ্যান পশ্চাৎ রূপান্তরিত ও পরিবন্ধিত করিয়া পৌরাণিক বিষ্ণুর মহিমাপ্রকাশ-উদ্দেশে মিয়োজিত হইয়াছে, ইহা হিন্দুশাস্ত্রের বহুতর স্থলে দেদীপ্যমান দেখিতে পাওয়া যায় । ভক্ত জনের অগুণীয় সুশোভন অলঙ্কার অপহরণ করিয়া আপন আপন ইষ্টদেবের মনোমত সজ্জা প্রস্তুত করিয়া দিয়াছেন । এইরূপে, 'উদেীর পিগু বুধের স্বন্ধে স্থাপন করিয়া হিন্দুধৰ্ম্মের অভিনবরূপ উৎপাদন করা হইয়াছে। হিন্দুশাস্ত্র ক্রমশঃ কতই পরিবর্তিত ও কি বিপৰ্য্যস্তই হইয়াছে !”১ তাহারা যে পরিবর্তন ও পরিবর্দ্ধন পুরাণে লক্ষ্য করিয়াছেন, আমরা বৈদিকগ্রন্থেই এই পরিবর্তন ও পরিবদ্ধনের অনেক প্রমাণ পাইয়াছি । এখানে একটা প্রমাণ দিলেই যথেষ্ট হইবে— ঋকৃসংহিতায়— “ইদং বিষ্ণুর্বিচক্রমে ত্রেধ নিদধে পদং । সমূঢ়মস্ত পাংমুরে ॥” ( ১২২১৭ ) 'ত্রণি পদ বিচক্রমে বিষ্ণুর্গোপা আদাভ্য: । অতো ধৰ্ম্মাণি ধারয়ন ॥’ ( ১২২১৮) বিষ্ণু এই জগতে তিন পদ বিক্ষেপ করিয়াছিলেন ; সমুদয় জগৎ তাছার ধুলিযুক্ত পদদ্বারা ব্যাপ্ত রহিয়াছে। ছদ্ধধ ও সকল জগতের রক্ষাকারী বিষ্ণু ধৰ্ম্মরক্ষণার্থ পৃথিবী প্রভৃতি স্থানে তিন পদ বিক্ষেপ করিয়াছিলেন । (১) উপাসক-সম্প্রদায় ২ ভাগ উপ" ২৯৭ পৃষ্ঠ ।
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৫৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।