পুরাণ নিরুক্তকার উক্ত ছুইটী ঋকের সৌরকীর্তিরূপ রূপক ব্যাখ্যা করিতে প্রয়াসী হইলেও শতপথব্রাহ্মণে এইরূপ স্পষ্ট উপাখাtন ज्रमाtछ्- * “দেবাশ্চ বা অনুরাশ্চ উভয়ে প্রাঙ্গাপত্যাঃ পঙ্গুধিরে । ততো দেবী অনুবামিবাস্ত্রররথহাজরা মেনিরেহস্যাকমেৰেদং খলু ভুবনমিতি ॥ ১ ॥ তে ছোচুর্হন্তেমাং পৃথিবীং বিভঞ্জামহৈতাং বিভঙ্গোপজীবমেতি । তামোঞ্জৈ"ভিঃ পশ্চাৎ প্রাঞ্চে বিভূজমান অতীয়ু ॥২ তন্ধৈ দেবাঃ শুশ্ৰুবুৰ্বিভঞ্জস্তে হব। ইমামসুরাঃ পৃথিবীং প্রেত তদেষ্যামো যত্রেমামমুরা বিভাজস্তে । কে ততঃ সাম যদতৈ ন ভজেমহীতি । তে যজ্ঞমেব বিষ্ণুং পুরস্কৃত্যেযুঃ ॥ ৩ ॥ তে হেচুঃ অমুনোহন্তাং পৃথিব্যামভিজতাস্কেব নোংপান্তীং ভাগ ইতি। তেহম্বর অস্থয়ন্ত ইবোচুর্যাবদেবৈধ বিষ্ণুরভিশেতে তাৰদ্বোই ইতি ॥ ৪ ॥ বামনে হি বিষ্ণুরাস। তন্ধেবা ন জিহীড়িয়ে মহন্ধৈ নোইফুর্যে নে যজ্ঞসন্মিতমকুরিতি ॥ ৫ ॥ তে প্রাঞ্চং বিষ্ণুং নিপাদ্য ছনোভিরম্ভিতঃ পর্যাগৃহুন গায়ত্রেণ জ্বাচ্ছন্দস পরিগৃহ্বামীতি দক্ষিণতক্সৈষ্টভেন ত্বাচ্ছন্দস পরিগৃহ্বামীতি পশ্চাজ্জাগতেন ত্বাচ্ছন্দস পরিগৃহ্বামীভূত্তরতঃ॥৬ তং ছন্দোভিয়ভিতঃ পরিগৃহ অগ্নিং পুরস্তাৎ সমাধায় তেনচিন্তঃ শ্রামান্তশ্চেরুস্তেনেমাং সৰ্ব্বাং পৃথিবীং সমধিলন্ত ॥” ( শতপথ• ১।২।৫।৭ ) দেবগণ ও অমুরগণ উভয়ে প্রজাপতির সন্তান । তঁtহার পরস্পর বিবাদ করিয়াছিলেন ; দেবতারাই পরাজিত হইয়াছিলেন। অমুরের মনে করিল, এই পৃথিবী নিশ্চয় আমাদের । পরে তাহার বলিয়াছিল, এস আমরা এই পৃথিবী ভাগ করিয়া লই ও তন্দ্বারা জীবিকানিৰ্ব্বাহ করিতে থাকি । তাহারা বৃক্ষচৰ্ম্ম দিয়া পূৰ্ব্বপশ্চিমে বিভাগ করিতে লাগিল । দেবগণ শুনিয়া বলিলেন, অমুরের পৃথিবী ভাগ করিতেছে, আমরাও চল সেই স্থানে গমন করি। যদি আমরা উহার অংশ না পাই, তাহা হইলে আমাদের কি হইবে ? দেবগণ যজ্ঞরূপী বিষ্ণুকে অগ্রবর্তী করিয়া তথায় চলিলেন ও বলিলেন, অামাদিগকে পৃথিবীর অধিকারী কর । আমাদিগকেও ইহার ভাগ দাও । অমুরের অস্থয়াবশে উত্তর করিল, বিষ্ণু যে প্রমাণ স্থান ব্যাপিয়া থাকিতে পারেন, তাহাই দিব। বিষ্ণু বামন ছিলেন । দেবগণ তাহাতে অস্বীকার করিলেন না। আপনা. দের মধ্যে এই বলাবলি করিতে লাগিলেন, আমুরের আমাদিগকে যজ্ঞপরিমিত স্থান দান করিয়াছে। সুতরাং যথেষ্ট দিয়াছে। পরে তাহারা (দেবগণ) বিষ্ণুকে পূৰ্ব্বদিকে [ ¢१०. l পুরাণ --- *= রাখিয়া ছন্দ পরিবৃত করিলেন ; বলিলেন, “তোমাকে দক্ষিণদিকে গায়ীছলো, পশ্চিমদিকে ত্রিঃভম্বনে ও উত্তরদিকে জগতীছদে পরিবেষ্টিত করি। এইরূপে তাহাকে চতুর্দিকে छ्tग *ग्निएतष्ठेिउ कब्रिप्रां ॐाझांब्र অগ্নিকে, পূর্বদিকে প্রতিষ্ঠিত করিলেন এবং পূজা ও শ্রম করিতে করিতে চলিতে লাগিলেন। এইরূপে তাহারা সমস্ত ভুবন লাভ করিলেন । পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের বিশ্বাস, উক্ত সৌরকীৰ্ত্তি ও যজ্ঞমহিমাপ্রতিপাদক বৈদিক উপাখ্যান হইতে বৈকুণ্ঠবাসী বিষ্ণুর বলি-ছলনা ও ৰামনাবতার-বিষয়ক কি অদ্ভুত উপাখ্যানের रशष्ट झहेग्नां८छ् । পৌরাণিকগণ সকলেই স্বীকার করেন যে পুরাণোক্ত অধিকাংশ উপাখান রূপক । উপরে যে বৈদিক প্রসঙ্গ উদ্ভূত হইল, বামনপুরাণে ঐ উপাখ্যানটাই ত্রিবিক্রমনাম। বামনঅবতার প্রসঙ্গে বিস্তৃতভাবে বর্ণিত হইয়াছে। বামনপুরাণ হইতে জানা যায় ভগবান বিষ্ণু একাধিকবার বামনরূপ ধারণ করিয়াছিলেন। ত্রিবিক্রম নামক বামন অবতারে তিনি ধুন্ধুনামক অসুরকে ছলনা করিয়া ত্রিপাদে সমস্ত ভুবন অধিকার করিয়াছিলেন । বিস্তৃতভাবে কোন আখ্যায়িক। কীৰ্ত্তন করা বেদের উদ্দেএ নহে। বেদে যে কথা অতি সংক্ষেপে কোন বিশেষ উদ্দেশ্রে বর্ণিত, পুরাণে তাঁহাই বিস্তৃত আখ্যায়িকারূপে বর্ণিত হইয়াছে। পৌরাণিক কবিগণের হাতে সাধারণ জনগণের কৌতুহল উদ্দীপনার জন্য ক্ষুদ্র বিষয় বৃহৎ আখ্যায়িকায় পরিণত হইবে, তাহা কিছুমাত্র বিচিত্র নহে । এই বৃহৎ আখ্যায়িকায় অনেক অবাস্তুর কথা যে আসিবে, তাহাও কিছু অসম্ভব নহে। ইহাও সম্ভব, বেদব্যাস কর্তৃক বেদ সংগৃহীত হইবার পূৰ্ব্বেও অনেক উপাখ্যান আৰ্য্যগণের ' মুখে মুখে চলিয়া আসিতেছিল। এই সকল উপাখ্যানের ইঙ্গিতয়ার বেদে দৃষ্ট হয়, কারণ বেদ উপাখ্যানমূলক গ্রন্থ নহে, বেদে স্থলবিশেষে উদাহরণস্বরূপ উপাখ্যান বিবুত হইয়াছে। কিন্তু পুরাণে ঐ সকল উপাখ্যান একত্র সমাবেশ করিবার চেষ্ট হইয়াছিল, তাই বেদ অপেক্ষ পুরাণে আখ্যায়িকার বাহুলা ও বিস্তার লক্ষিত হয় । বিশেষতঃ একটী বহুকালের রূপক উপাখ্যান বহুকাল পরে কেহ লিপিবদ্ধ করিতে গেলে, তন্মধ্যে যে অনেক কাল্পনিক কথা আশ্রয় লাভ করিবে, ইহা স্বতঃসিদ্ধ। বেদের ক্ষুদ্র প্রসঙ্গ পুরাণে বিপুল কায়া ধারণ করিতে গির একটু স্বাতন্ত্র্যরূপ ধারণ করিয়াছে, আমরা গেই জন্য বেদে ও পুরাণে সামাণ্ড বৈলক্ষণ দেখিতেছি, তাহ বলিয়া আমরা শেষোক্ত আখ্যায়িকাকে অদ্ভুত উপাখ্যান বা নিতান্ত আধুনিক জিনিস বলিয়া পরিত্যাগ করিতে পারি না । - ---or *=
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৫৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।