পুরাণ (ব্রহ্ম ) অল্পীগৰ্ত্তাখ্যাম, জাঙ্গিরস, শাফল্য, অভিষ্টত প্রভৃতির আখ্যানগুলি পাঠ করিলে জানিবেন, সমস্তন্টু বৈদিক গ্রন্থ হইতে সংগৃহীত ও পরে পুরাণে বিস্তৃত হইয়াছে । ঐতরেয়গ্ৰাহ্মণে ( ৭৩ অঃ ) ও শঙ্খায়নব্রাহ্মণে ( ১৫।১৭ ) ষেরূপ রাজা হরিশ্চন্দ্র, তৎপুত্র রোহিত কওঁ শুমঃশেপের কথা বর্ণিত হইয়াছে, তাহাই একটু বিস্তৃত ভাবে ব্ৰহ্মপুরাণে বর্ণিত দেখা যায় । বাস্তবিক ঐতরেয়ত্ৰীক্ষণ ও ব্রহ্মপুরাণের বিবরণে যেরূপ একতা আছে, অপর কোন গ্রন্থে এরূপ মিল নাই। এমন কি ব্ৰহ্মপুরাণে এইরূপ উপাখ্যানভাগে এমন অনেক বৈদিক কথা রহিয়াছে, যাহার অর্থ করিতে সাধারণ পৌরাণিকেরা অপরিকল্প । যাহারা সভাস্কবেদের শ্ৰীক্ষণভাগ পাঠ না করিয়াছেন, তাছার সহজে ঐ সকল উপাখ্যান হৃদয়ঙ্গম কয়িতে পাল্লিৰেন বলিয়া বোধ হয় না। উপরোক্ত প্রমাণাদি দ্বারা প্রতিপন্ন হইতেছে, আদি ব্ৰহ্মপুরাণ বহু পূৰ্ব্বকালে এমন কি আপস্তম্বধৰ্ম্মস্বত্র রচিত হুইবারও পূৰ্ব্বে রচিত হইয়াছিল, এই জন্তই এই পুরাণে বহুতর প্রাচীন বৈদিক আখ্যান ও বহুতর স্থানে আর্যপ্রয়োগপরিপূর্ণ সুপ্রাচীন সংস্কৃত ভাষার প্রয়োগ আছে। এখন কথা হইতেছে, তবে কি জামরা এখন ষে ব্ৰহ্মপুরাণ পাইতেছি, এই আকারেই কি সেই পূৰ্ব্বতনকালে এই মহাপুরাণ প্রচলিত ছিল। বাস্তবিক জালোচমা করিলে সেরূপ বহু প্রাচীন ৰলিয়া সকল অংশ গ্রহণ করা যায় না । তীর্থমাহীত্ম্যের উপক্রম ও তৎপ্রসঙ্গে বর্ণিত প্রাচীন অাখ্যায়িক উভয়ের ভাষাগত আলোচনা করিলে এক সময়ের রচনা বলিয়া গ্রহণ করিতে বিশেষ সন্দেহ উপস্থিত হয়। বাস্তবিক স্থানমাহাত্ম্য এরূপ বিস্তৃতভাবে বর্ণনা করা প্রাচীনতম পুরাণসমূহের উদ্দেশু ছিল বলিয়া বোধ হয় না। অধিক সম্ভব, বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের প্রাধান্ত কমিয়। অসিলে ব্রাহ্মণ্যধর্মের পুনরভু্যদয় হইতেই ঐ সকল মাহাত্ম্য-রচনার সুত্রপাত। প্রাচীন বৌদ্ধগ্রন্থ ও বৌদ্ধপরিব্রাজকগণের ভ্রমণবৃত্তান্ত পাঠ করিলে বিশেষরূপে জানা যায় যে, যখন বৌদ্ধধৰ্ম্ম হিমালয় হইতে
- ব্রহ্মপুরাণে হরিশ্চন্দ্রবরুণসংবাদে লিখিত আছে—
“নিৰ্দ্দশে পুনরভ্যেত্য যজস্বেত্যাহ তং পৃপম।” ( ১০৪৬৬ ) ঐতরেয়ব্রাহ্মণে ( ৭৩২ ) এইরূপ আছে, “তং হোবাচ নির্ণশোদ্ভুদ বজশ্বমানেBBBS BB BBBBB BBBB BBBBS BBB BBBB BB BBDDDS DDBBD BuDDD DBBBDD BBB BB BDD DBBBt S কথ। এই, যাহার। মূল ব্রাহ্মণ ও ভাষ্য মা দেখিয়াছেন, তাহার কেবল পুরাণের উক্তি দেখিয় যে ঐরাপ অৰ্থ করিতে পারিষেন, এরূপ ৰোধ হয় ল। ব্রহ্মপুরাণের উপাখ্যানভাগে এরূপ অনেক প্রয়োগ আছে। [ գե-օ J J পুরাণ ( ব্রহ্ম ) কুমারিকা পর্যন্ত বিস্তৃত হইয়াছিল, সেই সময় ধাৰ্ম্মিক বৌদ্ধগণ ভারতীয় প্রায় সকল জনপদেই শাক্যবুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বগণের আবির্ভাব-প্রসঙ্গ উত্থাপন করিয়া সকল স্থানকেই এক প্রকার বৌদ্ধপুণ্যক্ষেত্রে পরিণত করিয়াছিলেন । ... কিন্তু তৎপরে ব্রাহ্মণগণ আবার প্রধান হইয়া উঠিলে তাহারাও এক প্রকার প্রতিশোধ লইয়াছিলেন । বৌদ্ধগণ যেখানে একট তীর্থ স্থাপন করিয়াছিলেন, ব্রাহ্মণগণ স্ব স্ব গ্রাধান্ত ও উদেণ্ড সিদ্ধির জন্ত তথার শত শত তীর্থ জাবিষ্কার করিলেন এবং সাধারণের ভক্তিশ্রদ্ধা আকর্ষণ করিবার জন্ত প্রাচীন পুরাণখ্যানের সহিত সেই সকল তীর্থমাহাত্মা যোজিত করিতে লাগিলেন। বাস্তবিক ব্রাহ্মণধৰ্ম্মের পুনরভু্যদয়ের সহিত যতগুলি দেবমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হুইতেছিল, তাছাদের পূজা প্রচার ও সেই সঙ্গে ব্রাহ্মণগণের নানা প্রকারে ইষ্টসিন্ধির লম্ভাবনা থাকায় বহুতর মহাত্ম্যও রচিত হইতেছিল, এইরূপে প্রাচীনতম পুরাণসমূহে নানা মাছাত্ম্য প্রবেশ লাভ করিয়াছে। সেই জন্যই আদিব্রহ্মপুরাণে কতকগুলি ভেঞ্জাল মিশিয়া লোকের চক্ষে ধাদা উৎপাদন করিয়াছে । অধিকাংশ পুরাণের মতেই ব্ৰহ্মপুরাণের শ্লোকসংখ্যা ১• • • • । কিন্তু প্রচলিত ব্ৰহ্মপুরাণে ১৩৭৮৩ শ্লোক দৃষ্ট হয় । এখন দেখুন, ব্ৰহ্মপুরাণে ৩৭৮৩ট অতিরিক্ত শ্লোক অালিতেছে । এরূপস্থলে তীর্থমাহাত্মাপ্রসঙ্গে প্রচলিত পুরাণে প্রায় s • • • শ্লোক প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে, সুতরাং প্রক্ষিপ্তের অংশ বড় কম নহে। এখন প্রশ্ন উঠিতে পারে, প্রক্ষিপ্ত অংশসংযুক্ত হইয়া কতদিন হইল ব্ৰহ্মপুরাণ বর্তমান আকার ধারণ করিয়াছে ? এই পুরাণে ২১ অধ্যায়ে রামকৃষ্ণাদি অবতারের সহিত কন্ধী অবতারের ও প্রসঙ্গ অাছে। কিন্তু বড়ই অশ্চির্যের বিষয় বুদ্ধাবতারের প্রসঙ্গ অাদেী নাই । প্রসিদ্ধ প্রত্নতত্ত্ববিৎ বুলার সাহেব প্রমাণ করিয়াছেন যে, খৃষ্টীয় ৮ম শতাব্দীতে বুদ্ধদেব হিন্দুদিগের দশাবতার মধ্যে গণ্য হন । সুতরাং বুদ্ধদেব হিন্দুসমাজে অবতার বলিয়া গণ্য হইবার বহুপূৰ্ব্বে এই পুরাণ সঙ্কলিত হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই । খৃষ্টীয় ১ম শতাবীতে দক্ষিণাত্যে ব্রাহ্মণভক্ত সাতবাহনবংশীয় রাজগণ রাজত্ব করিতেন। মহারাষ্ট্র হইতে মাম্রাজ পৰ্য্যস্ত ইহাদের আধিপত্য বিস্তৃত ছিল। এই বংশের পূর্ববর্তী দক্ষিণাত্য নরপতিগণ অধিকাংশই বৌদ্ধধৰ্ম্মাকুরাগী বা বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন ; কিন্তু এই সাতবাহন-বংশের সময় দাক্ষিণাত্যে বৌদ্ধপ্রভাব হ্রাস ন হইলেও ইহার যেরূপ ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মে অমুরাগ প্রকাশ করিয়া
- পুণর আনন্দ প্রম হইতে প্রকাশিত ব্ৰহ্মপুরাণ দ্রষ্টব্য।