পুরাণ ( দেবীভাগবত ) কৈশোরং মথুরাস্থানং যৌবনং দ্বারকাস্থিতিঃ । ভূভারহরণঞ্চত্রে নিরোধে দশম স্মৃতঃ ॥ নারদেন তু সংবাদে বসুদেবস্ত কীৰ্ত্তিতঃ । যদোশ্চ দত্তাত্রেয়েণ শ্ৰীকৃষ্ণেনোদ্ধবন্ত চ । যাদবানাং মিগোহষ্কশ মুক্তাবেকাদশঃ স্বতঃ। ভবিষ্যকলিনির্দেশে মোক্ষে রাজ্ঞঃ পরীক্ষিতঃ ॥ বেদশাখাপ্রণয়নং মার্কণ্ডেয়তপঃ স্থতং । সেীরবিভূতিরুদিত সাত্বতী চ ততঃপরম্ ॥ পুরাণসংখণকথনমাশ্রয়ে দ্বাদশোহয়ম্। ইত্যেবং কথিতং বৎস শ্ৰীমদ্ভাগবতং তব ॥” হে মরীচে ! শ্রবণ কর, অামি তোমার নিকট বেদব্য{সপ্রণীভ শ্ৰীমদভাগবত নামক ব্রহ্মসম্মিত পুরাণ বলিতেছি। ইহা অষ্টাদশ-সহস্ৰ শ্লোকে পূর্ণ এবং পাপনাশক । ইহ স্বাদশস্কন্ধযুক্ত ও কল্পবৃক্ষশ্বরূপ । হে বিপ্রেক্স । এই পুরাণে বিশ্বরপী ভগবানেরই কীৰ্ত্তন কয় হইয়াছে। ইহার প্রথমস্কন্ধে স্থত এবং ঋষিগণের সমাগম, পুণ্যজনক ব্যাস ও পাগুবদিগের চরিত এবং পরীক্ষিতের উপাখ্যান । পরীক্ষিত এবং শুকসংবাদ, স্মৃতিস্বরলিয়াপণ, ব্রহ্ম ও নারদসংবাদে অবতারচরিত, পুরাণলক্ষণ, এবং স্বষ্টিকারণসম্ভব, এই সমুদয় ধীমান ব্যাস কর্তৃক দ্বিতীয়স্কন্ধে উত্ত হইয়াছে। বিদুরচরিত ও বিদুরের মৈত্রেয় সহ সমাগম, তৎপর পরমাত্ম! ব্রহ্মের স্থষ্টি প্রকরণ এবং কপিলের সংখ্যযোগ কীৰ্ত্তিত হইয়াছে । প্রথমে সতীচরিত, তৎপরে ধ্রুবচরিত এবং পৃথুর ও প্রাচীনবৰ্হির পুণ্যাখ্যান চতুর্থ স্কন্ধে এই চারিট উত্ত্ব হইয়াছে । প্রিয়রত ও তত্বংশোৎপন্ন অন্যান্যদিগের পুণ্য প্ৰদ চরিত, ব্ৰহ্মাও গুর্গত লোকসমূহের বর্ণন এবং নরকস্থিতি প্রভৃতি পঞ্চমে বর্ণিত হইয়াছে। অজামিলচরিত, দক্ষস্থষ্টিনিরূপণ, বৃত্ৰাখ্যান এবং পুণ্য প্রদ মর্যদুগণের জন্ম ষষ্ঠস্বন্ধে কীৰ্ত্তিত হইয়াছে । ৭ম স্বন্ধে পুণ্যময় প্রহর (দচরিত এবং বর্ণাশ্রম নিরূপিত হইয়াছে, গজেশ্রেয় মেক্ষিণ খ্যান, ম স্বস্তুর-নিরূপণ, সমুদ্রমন্থন, বলিবন্ধন, মৎস্তাবতার চরিত প্রভূতি সমুদায় BB BBBB BBB BBBBBS BBB BB BBBBBBBS BBBBBBBBB এবং বংশামুচরিত প্রভৃতি উক্ত হইয়াছে। কৃষ্ণের বাল্য ও কেীমারচরিত, ব্রজে স্থিতি, কৈশোরে মথুরাবাস, যৌবনে দ্বারকাবাস ও ভূভার-হরণ এই সমুদায় বিষয় দশমে বর্ণিত হইয়াছে । বহুদেব-নারদসংবাদ, দত্তাত্রেয়ের সহিত যকুর এবং উদ্ধবের সহিত স্ত্রীকৃষ্ণের সংবাদ এবং যদুগণের পরস্পর বিনাশ একাদশে কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। ভবিষ্যকলিনির্দেশ, রাজা পরীক্ষিতের মোক্ষ, বেদশাখাপ্রণয়ন, মাঞ্চণ্ডেয়ের তপস্তা, গৌরী ও সাত্বতী বিভূতি এবং পুরাণসংখ্যাকখন দ্বাদশ স্কন্ধে কীৰ্ত্তিও হইয়াছে। হে বৎস! এই দ্বাদশ স্কন্ধাত্মক শ্ৰীমদ্ভাগবত তোমার নিকট কীৰ্ত্তন করিলাম । মৎস্ত, নারদ ও পদ্মপুরাণে ভাগবতের যে সকল লক্ষণ নির্দিষ্ট হইয়াছে, শ্ৰীমদ্ভাগবতে তাহার অভাব নাই। নারদীয়ের বচনায়ুসারে বলা যাইতে পারে, প্রচলিত শ্ৰীমদ্ভাগবতই প্রকৃত মহাপুরাণ মধ্যে গণ্য হইতে পারে, কারণ নারদীয়ের উক্তিতে শ্ৰীমদ্ভাগবতের লক্ষণই নির্দিষ্ট হইয়াছে, দেবীভাগবতের নছে । কিন্তু মৎস্তবর্ণিত বিস্তৃতভাবে সারদ্বত-কল্পপ্রসঙ্গ XI >Q や [ ৬২১ J. পুরাণ ( দেবীভাগবত ) শ্ৰীমদ্ভাগবতে নাই । শ্ৰীমদ্ভাগবতে ‘পদ্মং কল্পমথো শৃণু' এইরূপে পায়করের প্রসঙ্গই বিবৃত হইয়াছে। এরপন্থলে আবার শ্ৰীমদ্ভাগবতকে সারস্বতকল্লাশ্রিত মহাপুরাণ বলিয়া গ্রহণ করিতেও স্বীপত্তি জন্মে । আবার শৈবপুরাণ উত্তরখণ্ডে লিথিত আছে— *ভগবত্যাশ্চ দুর্গায়াশ্চরিতং যত্র বিস্তুতে । তত্ত্ব ভাগবতং প্রোক্তং নতু দেবীপুরাণকৰ্ম্ম ॥” যে গ্রন্থে ভগবতী তুর্গার চরিত বর্ণিত আছে, তাছাই দেবীভাগবত নামে প্রসিদ্ধ, পরস্তু দেবীপুরাণ নহে । শৈবনীলকণ্ঠস্থত কালিকাপুরাণের হেমাদ্রি-প্রস্তাবে আছে— “যদিদং কালিকাখ্যং তস্বলং ভাগবতং স্বতম্।” কালিকা নায়ক যে উপপুরাণ তাহার মূল ভাগবত । দেবীযামলে এইরূপ পাওয়া যায়— “শ্ৰীমদ্ভাগবতং নাম পুরাণং বেদসম্মিতম্ । পরীক্ষিতায়োপদিষ্টং সত্যবত্যঙ্গজম্মন ॥ যত্র দেবাবতারাশ্চ বহুবঃ প্রতিপাদিতtঃ । ইদং রহস্তঞ্চরিতং রাধোপাসনমুত্তমম্ ॥ ব্যাসায় মম ভক্তায় প্রোক্তং পূৰ্ব্বং ময়াদ্রিজে । মত্তো রহস্যং জ্ঞাত্বৈব রাধোপাসনমুত্তমম্ ॥ এতস্য বিস্তরং চক্রে শ্ৰীমদ্ভাগবতে তথা । নারদে ব্রহ্মবৈবর্তে লোকালাং হিতকাৰ্য্যয় ॥” শ্ৰীমদ্ভাগবতপুরাণ বেদসন্মিত, সত্যবতীস্বত ব্যাস পরীক্ষিৎপুত্র জনমেজয়কে এই পুরাণ উপদেশ করিয়াছিলেন । এই গ্রন্থে দেবীর নানাবতার, দেবীর রহস্ত ও চরিত এবং রাধার উপাসনা বর্ণিত হইয়াছে, হে অদ্রিজে ! আমি পূৰ্ব্বকালে আমার ভক্ত ব্যাসকে এই রাধার উপাসনা প্রকাশ করিয়াছিলাম। এই রহস্তে মত্ত হইয়া ব্যাস লোকদিগের হিতকামনায় শ্ৰীমদ্ভাগবতে, নারদে ও ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে এই রাধার কথা সবিস্তর বর্ণন করিয়াছেন । চিৎমুখের ভাগবতকথাসংগ্রহে উদ্ধত আছে— “গ্রন্থোহষ্টাদশসাহস্ৰো দ্বাদশস্কন্ধসম্মিতঃ । হয়গ্ৰীবব্রহ্মবিদ্য যত্র বুত্রবধস্তথা । গায়ত্র্য চ সমারস্তস্তদ্বৈ ভাগবতং বিচুঃ ।” গ্রন্থ ১৮০ ০০ ও ১২ট স্কন্ধযুক্ত, যাহাতে হয়গ্ৰীবের ব্রহ্মবিদ্যালাভের কথা ও বৃত্ববধকথা বর্ণিত আছে এবং গায়ত্রী অবলম্বন করিয়া যে পুরাণ আরম্ভ হইয়াছে, তাছাই ভাগবত । উপরে যে সকল প্রমাণ উচ্চত হইল, তাহাতে আবার দেবীভাগবতকেই মহাপুরাণ বলিয়। ধরা যায় । দেবীভাগবতের প্রথমেই ত্রিপদাগাত্রী, কিন্তু বিষ্ণুভাগবতে
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৬২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।