পলাণ্ডু পল (দেশজ ) সমুদ্রজ জীবভেদ। ২ রত্নবিশেষ । [ প্রবাল দেখ। ] ৩ তৈলাদি তরল পদার্থ উত্তোলনের পাত্রবিশেষ । পলাকাটা (দেশজ ) গলদেশের অলঙ্কারভেদ । পলগ্নি (পুং পুলন্ত মাংসস্ত অগ্নিী। পিত্তধাতু। (হারাবলী ) পলাও (ক্লী ) পলন্ত অগ্রং সারাংশঃ। মাংসসারাংশ । “জ্ঞাতুংছিশক্যং হিমবাৰুগিরির্ব পলাগ্রতোৰ গুণতোহৰ বাইপি।” ( হরিবংশ ) পলাঙ্গ (পুং ) পলং মাংসং তৎপ্রধানং অঙ্গং যন্ত । শিশুমার। পলাণ্ডু (পুং ) পলন্ত মাংসস্ত আওমিবাচরতীতি ( মৃগয়ুদিয়শ্চ । উৎ ১৩৮) ইতি কুপ্রত্যয়েন সাধু । মূলবিশেষ। চলিত পিরাজ (Allium cepa ) পৰ্যায়—সুকন্দক, লোহিতকৰ্ম্ম, তীক্ষকনা, উষ্ণ, মুখদুষণ, শূদ্ৰপ্রিয়, কৃমিয়, দীপন, মুখগন্ধক, বহুপত্র, বিশ্বগন্ধ, রোচন, মুকুন্দক । ইহার গুণ-কটু, বল্য, কফ, পিত্ত ও বমনদোষনাশক । গুরু, বলকর রোচন ও স্নিগ্ধ । ( রাজনি" ) ভাবপ্রকাশ মতে—পলাণ্ডু, যবনেষ্ট, দুৰ্গন্ধ ও মুখদুষক । পিয়াঙ্গ ভারতের সর্বত্রই উৎপন্ন হয় । বাঙ্গালীয় সাধারণতঃ দুই প্রকার পেয়াজ জন্মে, তাহার মধ্যে বোম্বাই ও জিঞ্জিরাজীত পিয়াজ ক্ষুদ্র ও অপেক্ষাকৃত শ্বেতবর্ণ, কিন্তু যেগুলি পাটুনাই পেয়াজ’ নামে খ্যাত, তাহ পাটনা জেলায় জন্মিয় থাকে। উহার আকৃতি আলুর স্থায় বড়। ইহার ভিতরের আঁইসের রঙ্গ সাদা হইলেও, শুকাইলে গাত্রের ছাল লস্কনের স্থায় সাদ না দেখাইয়। বরং অপেক্ষাকৃত পাংগুলোহিতবর্ণ দেখা যায় । ভারতের কোন কোন স্থানে পিয়াজ ও রশুনের নাম পার্থক্য নাই। এক নামে লাল-পেয়াজ ও সাদা-রগুন উভয়কেই বুঝাইয় থাকে । ভিন্ন ভিন্ন দেশে পিয়াজের বিভিন্ন নাম দেখা যায়। বাঙ্গালা—পিয়াজ, পলাধু ; হিন্দি—পিয়াজ ; আরবী-বজুল ; পারসী—পীয়াজ ; সিন্ধু ও গুজরাতী—তুঙ্গরি ; বোম্বাই— পিয়াজ, কন্দ ; মরাঠী ও কচ্ছ—কানা ; তামিল-বেল্ল-বেঙ্গায়ম, ইরুল্লি, ইর-বেঙ্গায়ম্ ; তেলগু—বুল্লিগডডলু, নিরুল্লি ; কনাড়ি— বেঙ্গায়ম্, নিরুল্লি, কুম্বলি ; মলয়—বাবঙ্গ : সিঙ্গাপুর—লুনু ; $sztést. Onion, ratst–Oignon egge effi–Zwiebel, কীৰ্ত্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ ও মাঘ এই চরিমাস শীতের সময় পিয়াজের চাষ হয়, সেই পেয়াজের কলির উপর যে পুষ্প জন্মে, তাহাতে বীজ থাকে। ঐ বীজ যত্নপূৰ্ব্বক রক্ষা করিলে পরবৎসরে সুফল দশে। দেশী বীজ অপেক্ষ বিলাতী বীজ বেশী অাদরণীয় নহে। বীজ মুক্তিক মধ্যে পুতিলে অথবা পিয়াজ পুতিয়া রাখিলে অল্পদিন মধ্যে উহা হইতে শীষ [ १० | পলাণ্ডু निर्गठ इग्न, ऐल्लेइएक निग्रांप्छन्न ‘कशि' ब८ण ! हेह! ब्रpएमग्न (লণ্ডন ) ভার গুণযুক্ত, বিশেষতঃ মধুররস, মধুর, বিপাক, শীতবীৰ্য্য, কফকারক, মাতিপিত্তল অর্থাৎ অতিশয় পিত্তবৰ্দ্ধক নহে, বায়ুনাশক, বলকারক, বীৰ্য্যবৰ্দ্ধক এবং গুরু। ভাৰপ্রকাশে লিখিত আছে, পেয়াজ ও রগুন অর্থাৎ লগুন একই গুণযুক্ত । গুগ-মাংস ও শুক্রবর্দ্ধক, স্নিগ্ধ, উষ্ণবীৰ্য্য, পাচক, সারক, কটু, মধুররস, কটুবিপাক, তীক্ষ, ভগ্নসন্ধানকারক, কণ্ঠশোধক, গুরু, পিত্ত ও রক্তবদ্ধক, বলকর, বর্ণপ্রসাদক, মেধাজনক, চক্ষুর হিতকর, রসায়ন এবং হৃত্রোগ, জীর্ণজ্বর, কুক্ষিশূল, বিবন্ধ, গুল্ম, অরুচি, কাস, শোথ, আমদোষ, কুষ্ঠ, অগ্নিমালা, কৃমি, বায়ু, শ্বাস ও কফনাশক । যাহার। লণ্ডন বা পলাণ্ডু ভোজন করেন, তাহান্ধুের পক্ষে মদ্য, १न ७ श्रव्रजदा शिङञ्जनद । क्रूि दjांब्रांभ, cद्रोज, cजां५, अठारुg জল, ফুস্ক ও গুড় পলাণ্ডুসেবী পরিত্যাগ করিবেন। (ভাবপ্রকাশ) শাস্ত্রে পলাণ্ডু সেবন দ্বিজাতিদিগের বিশেষ নিষিদ্ধ হইয়াছে। যথা— “পলtণ্ডুং বিটুবরাহষ্ণ ছত্রাকং গ্রামকুকুটং । লণ্ডনং গৃঞ্জনং চৈব জঞ্চ চান্দ্রণয়নঞ্চরেং ” (যাজ্ঞ’ ১১৭৬ ) পলাণ্ডু, বিটবরাহ, ছত্রাক প্রভৃতি যদি দ্বিজাতিগণ ভক্ষণ করে, তাহ হইলে তাহার চাম্ৰায়ণ করিতে হইবে। মইও লিখিয়াছেন— “লণ্ডনং গৃঞ্জনঞ্চৈব পলাণ্ডুং কবকানি চ | অভক্ষ্যাপি দ্বিজাতীনামমেধ্যপ্রভবাপি চ ॥” ( মন্ত ৫৫) লণ্ডন, গৃঞ্জন ও পলাণ্ডু প্রভৃতি দ্বিজাতিদিগের অভক্ষ্য। কুলক এই শ্লোকের টাকায় লিথিয়াছেন, ‘দ্বিজাতনামভক্ষাণি। দ্বিজাতিগ্রহণং শূদ্রপর্যাদাসার্থ। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশু ইহাদিগেরই পলtণ্ডু ভক্ষণ বিশেষ নিষিদ্ধ, কিন্তু শূদ্রের পক্ষে নিষিদ্ধ নহে । সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্রে দ্বিজাতিগণের পেয়াজ ও লণ্ডন ভক্ষণ বিশেষরূপে নিষিদ্ধ হইয়াছে । মকুতে আরও লিখিত আছে, দ্বিজ যদি জ্ঞানপূর্বক পলাধু ভক্ষণ করেন, তাহ হইলে পতিত হইবেন । পলাণ্ডু-ভক্ষক পতিতের প্রায়শ্চিত্ত করিলে বিশুদ্ধ হইবেন । “পলাণ্ডুং গৃঞ্জনঞ্চৈব মত্য জঙ্ক পতেৎ দ্বিজঃ ” ( মন্ত্র ৫১৯ ) পিয়াঙ্গ যেরূপ মাংসযোগে রাধিয়া থাইতে উত্তম, পিয়াজের কলিও ব্যঞ্জনাদির পক্ষে তদ্রুপ সুস্বtছ । পিয়াজ সকল প্রকার ব্যঞ্জনেই মিষ্ট লাগে ; কিন্তু ইহার গন্ধ এরূপ তীব্র যে, গলাধঃকৃত হইলেও গাত্র হইতে গন্ধ বাহির হয়। একদিন পিয়াজ খাইলে পরদিন মলমূত্র হইতেও তাছার গন্ধ পাওয়া যায়। wtarg e stwfMR (Fourcroy s Vauquelin )
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।