পলাশ অাছে। সুকুমার বালক বালিকা ও কোমল-প্রকৃতি রমণী জাতির পক্ষে ইহা একটী মহৌষধ। উহার গদ উত্তমরূপে চূর্ণ করিয়া ১• হইতে ৩• গ্রেণ অল্পমাত্র দারুচিনির সহিত সেবনীয়। অন্ন অহিফেনযোগে সেবন করিলে উহার আরোগশক্তি আরও বৃদ্ধি হয়। মুখে জল উঠা ( Pyrosis), উদরাময় ও অজীর্ণরোগে ইহার টাটুকা-রস বিশেষ উপকারী। ক্ষয়কাশ ও রক্তস্ৰাৰ সম্বন্ধীয় রোগে, সাধারণ ক্ষত এবং বহুকালস্থায়ী গলক্ষত রোগেও ইহার সদ্যোনিষিক্ত রসে বিশেষ ফল দশে । কোঙ্কন-দেশে জয়রোগেও ইহার প্রয়োগ দেখা যায় । *ftastr: wissessi (Opacities of the cornea) ie অকুপক্ষ ( Pterygium ) রোগে চক্রদত্ত সৈন্ধব লবণের ( Rock-salt) সহিত ইহার সেবন-ব্যবস্থা করিয়াছেন । ইহার বীজ কৃমিনাশক ঔষধরূপে ব্যবহার করা যাইতে পারে। কোন কোন চিকিৎসক বলেন, ইহাতে সেণ্টোনাইনের ( Santonine ) কার্য্য করে । অন্ত্রমধ্যে গোলাকার কৃমি ( Lumbrici or round warm ) caqi são, Bei costa বিশেষ উপকার দর্শে । বীজগুলি প্রথমে জলে ভিজাইয়৷ রাখিবে । ছোল জলযোগে ফুলিয়া উঠিলে যত্নপূর্বক ছাড়াইয়৷ উহার শাস উত্তমরূপে শুদ্ধ করিয়৷ গুড়াইয়া লইবে । তিনদিন ক্রমান্বয়ে দিবসে তিনবার করিয়া বীজচুর্ণ ৫ হইতে ২• গ্রেণ মাত্রায় সেবন করিবে । পরে ৪র্থ দিবসে কিয়ৎপরিমাণে এরওতৈল (Castor-oil) সেবন করিতে হয়। ডাঃ অস্বাল্ড ( Dr. Oswald ) ইহার প্রয়োগে বিশেষ উপকার পাইয়াছেন বলিয়া স্বীকার করেন । ইহা কমিরোগে উপকারক, কিন্তু যখন কোন কোন রোগীর পক্ষে ইহার কৃমিনাশক গুণ কাৰ্য্যকর হয় না, তখন মুহুমুহুঃ বিরেচন, বমন ও মূত্রকোষের যন্ত্রণ বুদ্ধি হইতে থাকে। এই জন্ত বিজ্ঞ চিকিৎসকগণ সাবধানে ইহার ব্যবহার করিয়া থাকেন। শাঙ্গ ধর সংহিতায় ও ভাবপ্রকাশে পলাশ-বীজের উপকারিতা সম্বন্ধে লিখিত আছে। উভয় গ্রন্থকারই ইহার যুদ্ধ বিরেচকত্ব ও কৃমিনাশকত্ব গুণের উল্লেখ করিয়াছেন । নেবুর রসের সহিত ইহার বীজ উত্তমরূপে মৰ্দ্দন করিয়া কোনস্থানে প্রলেপ দিলে চৰ্ম্মের প্রদাহ বৃদ্ধি করে এবং সেই স্থান ক্লিষ্টারের ছায় লাল হইয়া উঠে । ইহার প্রলেপে *[R* (2Tt: TtR ( Ringworm, Dhobie’8 itch ) एठtcद्भt*|j श्घ्रं । পুষ্পের গুণ—ধারক, নিৰ্ম্মলতাকারক, মুত্রবৃদ্ধিকর ও কামোদ্দীপক । ইহার পুলটিস্ দিলে মুত্রস্রাব অথবা রজঃস্রাব হইয়া পেটের ফুলা কমিয়া যায়। গর্ভাবস্থায় স্ত্রীলোকদিগের [ १¢ ] পলাশ উদরাময় হইলে, ইহার প্রয়োগে উপকার দর্শে। কোষপ্রদাহে বাহিরে প্রলেপ দিলে জ্বালার উপশম হয়। পত্রের গুণ— ধারক, বলকারক ও কামোদ্দীপক । ত্রণ অথবা ঘামচি জন্য ফোঁড়ায়, উদরাধান জনিত পেটের বেদনায়, • কৃমি ও অৰ্শরোগে ইহাতে বিশেষ ফল পাওয়া যায়। আদার সহিত ইহার ছাল বাটিয়া থাইতে দিলে সর্পদংশন জন্ত বিষজালা দমিত হয় । Et: C#Té (Dr. T. W. Sheppard) fzisłftSA, stfäফেনজাত মফিয়া ( Morphia ) ধৰল করিতে পলাশকাষ্ঠের কয়লার বিশেষ আবশুক। অর্শের বলি ও বাগী প্রভৃতি ঘীয়ে দেশীয়ের পলাশপত্রের পুলটশ লাগাইয়া থাকে। গো-মহিষাদি ইহার পত্র খায়। পলাশপত্রের সার দিলে জমি বেশ উৰ্ব্বর হয় । ইহার গাত্রে লাক্ষার চাষ হইয়া থাকে। বেদাদি গ্রন্থে পলাশ বৃক্ষের কথা লিখিত আছে। নন্দনকাননস্থ ইস্ত্রানীর অঙ্গরাগকর পারিজাত পুষ্পই মৰ্ত্ত্যধামে গন্ধুইনি পলাশ বলিয়া পরিচিত। সোম ( চন্দ্র ) পলtশপ্রিয়। ইহার কাষ্ঠ নবগ্রহজগজন্ত হোমাদিতে ব্যবহৃত হয় । পলাশ পুষ্পে দেবাদির পুজা হয় এবং বসন্ত উৎসবে ও হোলিপৰ্ব্বে সাধারণ পলাশপুষ্পের রঙ্গে বসুস্তিকাপড় চুবাইয়া পরিধান, করে। বেীদ্ধের পলাশ বৃক্ষকে পবিত্র জ্ঞান করিয়া থাকে । ইহার পত্রের তিনটী ফলা কোন কোন স্থানে ব্রহ্ম, বিষ্ণু ও মহেশ্বর নামে কথিত হয় * । ব্রাহ্মণগণের উপনয়ন ক্রিয়tয় পলাশ-দণ্ডের আবখক হয়। প্রাচীন কবিগণ, পলাশপুষ্পকে রমণীদিগের উৎকৃষ্ট কর্ণাভরণরূপে বর্ণনা করিয়া পলাশের বিশেষ প্রশংসা করিয়াছেন । ধাকৃপলাশের পত্রে আমেদাবাদ জেলায় পত্রাবলি’ ( Plate ) ও দিদিয়া’ ( Cups ) তৈয়ারী হইয়। বিক্রয়ার্থ বাজারে নীত হয়। দরিদ্র লোকের ঘরে অথবা ভোজের সময় এই পত্রাবলী দ্বারা থালা ও বাটীর কার্য্য করে । যত্নে রাখিলে উহা দুই বৎসরকাল থাকে । ৪ পলাশের ফলপুষ্প প্রভৃতি । ৫ শঠ। পলং মাংসমন্নাতীতি পল-অশ-অণ, । ৬ রাক্ষস, মাংস ভক্ষণ করে বলিয়া রাক্ষস পলাশ নামে অভিহিত । ৭ হরিত। ৮ মগধদেশ । (ত্রি ) ৯ হরিদ্বর্ণবিশিষ্ট । ১০ নিৰ্দ্দয় । ১১ শাসন । ১২ পরিভাষণ। ১৩ পাশ । ১৪ কিংশুক । “হরিতে পলাশপত্রে শাসনে পরিভাষণে ।” ( হেম ) “বুক্ষপত্রে পলাশং স্যাৎ পলাশোরাক্ষস স্কৃতঃ । পলাশে হরিতোবর্ণঃ পলাশঃ পাশ উচ্যতে ॥” ( অনেকীর্থ স” ) ১৪ তুমি কুষ্মাণ্ড । পলাশক (পুং) পলাশ সংজ্ঞায়াং কন্। ১ শঠ। ( জটাধর )
- চতুর্মমোহাক্সে ইহার পূজাবিধি কল্পিত হইয়াছে।