পশম [ পৰীরব (পুং ) পবেঃ বঞ্জস্য রবঃ, বেদে দীর্ঘঃ । ১ বঙ্গ বা বজের শব্দ । ( ঋক্ ১৷১৭৪৷৪ ) পারবস্ত কুলিশন্ত কুলিশশদস্ত বা’ ( সায়ণ ) পধারবৎ (ত্রি) পবরং বিদ্যতেইসা মতুপ্ত, যস্য ব । ফালসংযুক্ত । “যে জনাশ্মহিষা ইবাতিতন্থে পবীয়বান" ( ঋক্ ১৯৬০৩ ) পব্য (রি ) পূণ্যৎ । ১ শোধ্য। ২ যজ্ঞপাত্রাদি । (ঋক্ ৯৷৮৬৷৩৪) পশ, বন্ধ। চুরাদি, পরীষ্ম, সক, সেট। লট পাশয়তি। লো পাশয়তু । লিট্ পাশল্পাঞ্চকার। লুড় অপীপশৎ । এই পশ-ধাতু পণ, পৰ্য, পস্ এই তিন সকারস্তই আছে। তাহাদের রূপও এই প্রকার হইবে । পশ, ১ বাধ, বিহতি । ভূদি, উভয় সক, সেটু। লটুপশতি-তে। লোটু পশতু-তাং । লিট্ পপাশ, পেশতুঃ, পেশু । পেশে, পেশাতে, পেশিরে। লু অপাশীৎ, অপশিষ্ট। শিচ্ ৷ পাশয়তি । লুপ্ত অগীপশৎ । সৰু পিপশিষতে। যজ্ঞ পাপশুতে। যঙ্গলুক্ পাপশীতি। এই পশধাতুও তিনপ্রকার সকীয়াস্ত আছে, তাহীদের রূপ ও অর্থ এই প্রকার। পশ, বন্ধ। চুরাদি, উভয়’, সক, সেটু। লটু পাশয়তি-তে। নলুঙ অপীপশৎ-ত । পশম, ( পারসি ) উর্ণ, লোম। ২ স্বনামখ্যাত বাণিজ্য দ্রব্য বিশেষ । পশ্বাদির লোমই প্রকৃত পশম নামে অভিহিত । কিন্তু ভারতবর্ষ হইতে ছাগলাদির লোম যুরোপে রপ্তানি হইয়৷ কোমল, মোট ও নরম সুতার আকারে বাণ্ডিল বাধিয়া যে দ্রব্য পুনরায় ভারতাদি নানাদেশে আমদানী হয়, তাহ সাধারণতঃ পশম বা উল নামে খ্যাত। দক্ষিণ-ভারতের অধিত্যক প্রদেশ, নীলগিরি-পৰ্ব্বতমালা, মহিস্থর হইতে সমগ্র দীক্ষিণাত্য, খাদেশ গুজরাত, বেরার, মালব, রাজপুতান, হরিয়ান ও দিল্লীপ্রদেশ এবং হিমালয়-পৰ্ব্বতের অধিকাংশ স্থান, কাশ্মীর ও ভোট-রাজ্যে মেষ ও ছাগাদির গাত্রে প্রভূতপরিমাণে যে লোম জন্মে ; তাহাই প্রধানতঃ পশম’ আখ্যায় অভিধেয় । চামরী-গো ও তিব্বতদেশীয় প্লামা নামক ছাগলের লোমে শাল প্রস্তুত হয় বলিয়া তদেশবাসিগণ অনেক যত্নে মেষ ও ছাগলাদি পশুপালন করে । দাক্ষিণাত্যেও এইরূপ ব্যবসার উদ্দেশে ছাগল পালিত হইয় থাকে। কাশ্মীরের জগদ্ববিখ্যাত পশমী শাল, কম্বল, ধোশ৷ থেস্, জামিয়ার, চোগা, গলাবন্ধ প্রভৃতি বস্ত্র, জামা ও উড়ানির স্কায় গাত্রাবরণী এই লোমে প্রস্তুত হইয়া বিক্রয়ার্থ নানাস্থানে রপ্তানী হয়। শীত প্রধান দেশে এই সকল বস্ত্র শীতনিবারণে বিশেষ উপযোগী । হিমালয়ের নিকটবৰ্ত্তী ও উত্তরবস্ত্রী শীতপ্রধান দেশসমূহ শীতের আধিক্য হেতু পশদ বা পখাদির লোমনিৰ্ম্মিত গরম কাপড়ের আবগুক, তঞ্জর তদেশবাসী ఫి రి } •זכאן লোকেরা পশমী-মেষের বেশী আদর করে । দেশ যতই শীত প্রধান হইবে, তথাকার পালিত মেধাদির গাত্রের লোম ততই বড় ও র্যাকড়া র্যাকড় হুইবে । আজকাল ইংরাজীর অনুকরণে বাঙ্গালী রমণীগণ ও পশমকে "উল" বলিতে শিখিয়াছে । বিভিন্নদেশে পশমের পৃথক পৃথক্ নাম আছে। পশম, উলবাঙ্গালা ; সুফ, বাবর, তাকৃতিকৃ—আরবী ; রাংমৌ-চীন ; উপা—দিনেমার; Wo1–ওলন্দাজ; লিনে—ফরাসী ; Wolls — জানি ; উৰ্ণ-গুজরাতি ও হিন্দি ; Lana ইতালি ও স্পেন ; বুলু—মলয় ; পশম, পুং, পম্–পারসী $ Welna-Coffers ; La, Laa–oré tv ; Wolna, Seherst-r ; crits 芭作 ংস্কৃত ; Woo-or-oo-স্কটু ; উল-সুইডেন এবং বচু—তেলগু। vætufs Iffsn (sir a Barnes) frfkuftsR, sfðস্থানের ৰেখাল্লা ও সমর্কন জেলাঙ্গাত ছাগলের লোম, কাবুলজীত পগুলোম হইতে অনেকাংশে উৎকৃষ্ট ; কিন্তু তিব্বৎ দেশীয় মেষের লোম অপেক্ষা উহ। পূর্ণমাত্রায় নিকৃষ্ট । কাশ্মীর দেশে যে বিখ্যাত শাল প্রস্তুত হয়, সমর্কদের ছাগলের লোম ও তিববতীয় মেঘের পশমের মিশ্রণেই উহার উৎপত্তি। এইজন্স তুর্কিস্থানজাত ঐ পশুর লোম সমস্ত পঞ্জাবের অন্তর্গত অমৃতসর নগরে আমদানী হইয়া থাকে। কাবুলজাত ছাগলের লোম কোন দেশে রপ্তানী হয় না। স্বদেশবাসীর পরিচ্ছদে উহার সমগ্রই Rifts en i stigen gol ( Fat-tailed Sheep ) ataw ভেড়া হইতে প্রভূত পরিমাণে সাদা লোম পাওয়া যায়, উহ তদেশে পশম-ই-বুৱাক নামে খ্যাত । ইহার নিৰ্ম্মিত বস্ত্র ‘বুরাকৃ’ এবং ছাগলজ লোমে উৎপন্ন পরিচ্ছদাদি পত্ত, নামে অভিহিত । তিনি আরও বলেন, কাবুলের প্রায় পাঁচের চতুর্থাংশ স্থানে পশমের চাসের জন্ত ছাগলাদি প্রতিপালিত হয় । লহোনী ও ঘিলজী জাতিই লোমের জন্ত ছাগল চরাইয়া থাকে। লেমি-সংগ্ৰহ ব্যবসায়ে ইহারাই প্রধান । এখানে এক প্রকার সুগন্ধি চারাগাছ জন্মে, উহা খাইয়াই ছাগলের লোম বন্ধিত ও পরিস্কার হয়। কুম্বা নামক মেষের লোমে নিৰ্ম্মিতবস্ত্র ও কার্পেট প্রভৃতি ভারতে বিক্রয়ার্থ প্রেরিত হয়। পেশাবর, কাবুল, কান্দাহার, হিরাট ও খিলাত প্রভৃতি স্থানের চতুৰ্দ্দিকৃস্থ প্রদেশে এবং লবণ পৰ্ব্বতে (Salt-range ) প্রচুর মেষ আছে। সেই মেঘসমূহ হইতে বহুল পশম উৎপন্ন হয় এবং বাণিজ্যবাপদেশে শাল ও বস্থাদি নিৰ্ম্মাণের জন্ত ভারতে ও অন্যান্ত স্থানে প্রেরিত হয়। পেশাবর ও কাবুলজাত চুম্বার লোমই সাধারণতঃ কাবুলী পশম বা ‘পুৎ’ নামে পরিচিত। ইহাতে ধনবান আফগান ব। মুসলমানগণের পরিধেয় ঝলমলে হাতাযুক্ত চোগা' নামক গদা छांभt &qजुष्ठ एव्र ।
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।