পশমী [ ৯২ ] وم{و পেশাবর, কাবুল, কালাহার ও কিৰ্ম্মাণী বা পারসীয় পশম দ্বিতীয় শ্রেণীর । অতঃপর অদ্যান্য সকল পশুর লোমই ইহ অপেক্ষ নিকৃষ্টতর। ভারত হইতে পশুর পশম ইংলও প্রভৃতি যুরোপ খণ্ডে ও আমেরিকাদেশে রপ্তানি হুইয়া বিভিন্ন আকারে পুনরায় ভারতে আমদানী হয় । উহ। পশম বা ‘উল’ নামে খ্যাত । ইংলগু এবং অষ্টান্তস্থানীয় ছাগলকুকুরাদির লোম হইতে নিৰ্ম্মিত এক প্রকার শাল ভারতে আমদানী হয়, তাহ বিলাতীশাল’ নামে পরিচিত। উছার মূল্য অপেক্ষাকৃত অনেক কম। ভঙ্কর হইতে যে পশম বোম্বাই নগরে আইসে, তাহ থুল-দেশজ বলিয়া প্রসিদ্ধ। লুধিয়ানায় তাতারদেশীয় ছাগলের পশমে পশমিনা বস্ত্র প্রস্তুত হয়। ঐ পশম কার্পাসবন্ত্র ও লৌহনিৰ্ম্মিত দ্রব্যাদির বিনিময়ে খরিদ হইয় থাকে। ব্যবসায়িগণ গৃহে আনিয়া ঐ পশম বাছিয়া সরু ও মোট লোমগুলি অালাহিদা করিয়া ফেলে। তৎপরে উছকে চাউলের জলে উত্তমরূপে মার্জিত করিয়া স্থত। প্রস্তুত করে । সুন্ম পশমের স্বত্র হইতে রামপুরীচাদর ও অপেক্ষাকৃত মোটাগুলি হইতে নানাপ্রকার পশমিনা • বস্ত্ৰ তৈয়ার হয়। উত্তর-এসিয়া, চীন ও ভারতে পশমী বস্ত্রের অাদর অধিক । কম্বল, নামদা” (পশম চাপিয়া কম্বলের ন্যায় নরম বস্ত্র) চাদর, তাবুর কাপড়, লুই, পত্ত্ব-মলিদা প্রভৃতি শীতের অৰিশুকীয় উপকরণ পশমে প্রস্তুত হয় । এতদ্ভিন্ন ইহার সহিত পাট, ম থমল ও রেশম মিশ্রিত করিয়া মেজে পাতিবার জন্য নানাপ্রকার কাপেট নিৰ্ম্মিত হইয়া থাকে । চীনের পশম পিটিয়া একরূপ কোমল জুতার তলা প্রস্তুত করে। উহা খুব মজবুত ও অনেককাল স্থায়ী হয় । বহু প্রাচীনকাল হইতে পশমের বাণিজ্য চলিতেছে । ভারতের ত কথাই নাই, যুরোপখণ্ডেও বহুদিন পূর্কে পশমের আদর ছিল । খৃষ্ট-পূৰ্ব্বাদে রোমান ও গ্রীকৃগণ পশমীশালের আদর বুঝিতেন । ভারতে মেসিডেনিয় যুদ্ধের পর গ্রীকৃবাসিগণ ভারতে আসিয়া পশমীবস্ত্ৰ নিৰ্ম্মণপ্রণালী শিথিয়া যান । রোমবাসীরা স্ত্রীপুরুষে পশমীবস্ত্র পরিধান করিতেন । ৰাইবেল ধৰ্ম্মপুস্তকেও পশমীবস্ত্রের প্রসঙ্গ আছে । ভারতের প্রাচীন পশমের বাণিজ্যের কথা অনেকেই স্বীকার করিয়া থাকেনক । পশব্য (ত্রি ) পশোরিদং পশবে হিতং বা পশু-যৎ । ১ পশুসম্বন্ধি ২ পশুঙ্কিতকর । পশু (পুং ) অবিশেষেণ সৰ্ব্বং পশুতীতি দৃশ-কু, (অর্জি দৃশি কমামিপংগীতি। উগ, ১।২৮) বা পশয়স্তি পশুস্তি পার্শ্বহস্তাভ্যাং হিতাহিতং, পশ-কু। (ভরত) চতুষ্পদ ও লাঙ্গুলবিশিষ্ট জন্তু বিশেষ । “দ্বিপদে চতুষ্পদে চ পশবে” ( ঋক্ ৩৬২।১৪) ভাষা-রত্নে কণাদ ইহার লক্ষণ এইরূপ নির্দেশ করিয়াছেন, ‘লোমবপ্লাজুলবত্ত্বং পশুত্বং লোম ও লাস্কুলবিশিই জন্তুকে পশু কহে । অমরকোষে পশু ভেদ স্থানে এই সকল পশুর উল্লেখ আছে। সিংহ, ব্যাস্ত্র, তরক্ষু, বরাহ, কপি, ভল্লুক, খড় গী, মহিষ, শৃগাল, বিড়াল, গোধা, শ্বাবিং, হরিণ, কৃষ্ণসার, রুর, ন্যস্কু, রন্ধু, শম্বর, রোঁহিষ, গোকৰ্ণ, পুখত, এণ, ঋষ্য, রোহিত, চমর, গন্ধৰ্ব্ব, শরভ, রাম, স্বমর, গবয়, শশ, থট্টাশ, গে, উন্ট্র, ছাগ, মেষ, খর, হস্তী ও অশ্ব । ( অমর ) পশুর দুই প্রকার ভেদ দেখিতে পাওয়া ষায়, যথা গ্ৰাম্য পশু ও বন্ত পশু । ইহার মধ্যে গে, অবি, অজ, অশ্ব ও অশ্বতর এবং গর্দভ, পৈঠনসী ইহার মধ্যে মনুষ্যকে অন্তভূক্ত করিয়া ৭ প্রকার গ্রাম্য পশু নির্দেশ করিয়াছেন । মহিষ, বানর, ঋক্ষ, সরীস্বপ, কুরু, পৃষত ও যুগ এই ৭ প্রকার আরণ্য পশু । (হুর্গোৎসবতত্বে পৈঠনসী ) * ছাগাদিতে পশুপদ প্রয়োগ হইয়া থাকে। “উষ্ট্রে বা যদি বা মেষশাগো বা যদি বা হয়ঃ । পশুস্থানে নিযুক্তানাং পশুশকোহভিধীয়তে ॥” ( যজ্ঞ পাশ্ব ) উঃ, মেষ, ছাগ ও অশ্ব, ইহারা পশু স্থানে নিযুক্ত হয় ৰলিয়া ইহাদিগকে পশু কহে । বৈদ্যক মতে পশু ভূশয় ও জাঙ্গল এই দুই প্রকার । [ এই সকল পশুর মাংসের গুণাদি ংস শব্দ দ্রষ্টব্য। ] অবৈধ ভাবে পশুহিংসা করিতে নাই, যিনি অবৈধরূপে পশু হনন করেন, তিনি তৎপশুর রোম ংখ্যানুসারে ঘোর নরকে অবস্থান করেন । “বসেৎ স নরকে ঘোরে দিনানি পশুরোমভিঃ । সন্মিতানি ফুরাচারে যে হস্তাবিধিনী পশূন "(গরুড়পু ৬৫ অ’) বিধিপূৰ্ব্বক পশু হিংসা দোষণীয় নহে। তিথিতত্ত্বে বৈধহিংসা-বিচারস্থলে মীমাংসিত হইয়াছে। বৈধহিংসাজনিত কোন প্রকার পাপ হইবে না । কিন্তু সাংখ্যতত্ত্ব কৌমুদীতে বাচস্পতিমিশ্র লিথিয়াছেন, বৈধপশু হিংসা করিলেও তাঁহাতে পশমী ( পারসী ) লোম সম্বন্ধীয়, লোম নিৰ্ম্মিত । পাপ হইবে, সেইস্থলে লিখিত আছে, “ম হিংস্তাৎ সৰ্ব্বা
- গৌরবিয়জেtহশ্বেtহশ্বতরে গর্দভে মনুষ্যশ্চেতি সপ্তগ্রাম্যাঃ পশবঃ । মহিলবানরখক্ষসরীস্থপরুর পূবতমুগাশ্চেতি সপ্তারণ্যাঃ পশবং” চুর্গোৎসবত্তত্ত্বে পৈঠনসী ।
- And we have iudirect evidence from various quarters to show the prevelence of a similar custom, in the East generally, in early times. (Eng. Cyclo. Art. & So, Vol. V. p. 997.]