ళ్ళిళు SAASAASAASAASAASAASAASAAAS [ ৯৭ ] পশুমারক কুঞ্জিকাতন্ত্রের সপ্তম পটলে লিখিত আছে,—ভাবত্রয়ের মধ্যে পশুত্তাবই নিকৃষ্ট । যাহারা পশুভাবে আরাধন করে, তাহার কেবল পশুর ন্যায়ই হইয়া থাকে। যাহার রাত্রিকালে যন্ত্র-স্পর্শ বা মন্ত্রের জপ করে না, যাহাদিগের বলিদানে সংশয়, তন্ত্রে সনোহ, মস্ত্রে অক্ষরবৃদ্ধি, গুরুদেবে অবিশ্বাস, প্রতিমায় শিলাজ্ঞান ও দেবসমূহে ভেদবুদ্ধি বর্তমান আছে, যাহার নিরামিষে দেবতার পূজা, অজ্ঞানবশতঃ নিরস্তুর স্নান এবং সকলের নিন্দ করে, তাহারাই পশুভাবালম্বী অধম বলিয়া কথিত ।* পশুভাবাবলম্বীর রাত্রিকালে, অপরাহ্লে, অথবা সন্ধ্যা সময়ে দেবীর পূজা করা কর্তব্য নহে। ঋতুকালে স্ত্রী-গমন, পৰ্ব্বপঞ্চকে মাংসাদি ত্যাগ এবং ইহা ভিন্ন বেদে যে সকলের বিধান আছে, তৎসমুদায়ই অনুষ্ঠান করা কর্তব্য। এই তন্ত্রেও দিব্য ও বীরভাবকেই শ্রেষ্ঠ বলা হইয়াছে। পশুভাব নিকৃষ্ট এবং এই ভাবে মন্ত্ৰসকল কেবল অক্ষরত্নপীই হইয়া থাকে অর্থাৎ পশুভাবে যাহার উপাসনা করে, তাহীদের মন্ত্রের তেজস্বিতা একেবারেই লুপ্ত হইয়া যায়। অতএব সাধকগণ কখন বীরভাব ত্যাগ করিয়া পশুভাবে উপাসনা করিবে না । ( নিত্যাতন্ত্র ১ পটল ) রুদ্রযামলের দ্বিতীয় পটলে লিথিত আছে, পশুভাবস্থিতমানব যদি নিত্যশ্ৰাদ্ধ, সন্ধা, পুজা, পিতৃতর্পণ, দেবতাদর্শন, পীঠদর্শন, গুরুর আজ্ঞাপালন এবং দেবতাদিগকে প্রতিদিন পূজা করেন, তাহ হইলে তিনি মহাসিদ্ধি লাভ করিতে পারেন । { * দিব্যভাবে মহাদেব শ্রেয়ান স সৰ্ব্বসিদ্ধিদঃ । দ্বিতীয়ে মধ্যম: প্রোক্তস্তুতীয়: সৰ্ব্বনিন্দিতঃ ॥ বহুজাপাৎ তথা হোমাৎ কায়ক্লেশ।দিবিস্তয়ৈ: । ন ভাবেন মহাদেব মন্ত্রতন্ত্রীঃ ফলপ্রদী: (রুদ্রযামল ৬ পটল) পশুভাবেইপি সিন্ধি: স্তাদ যদি বেল্লং সদভ্যসেৎ । বেদার্থচিন্তনং নিত্যং বেদপাঠধানিপ্রিয়ম্ ॥ সৰ্ব্বনিমাবিরহিতং হিংসালস্তবিবর্জিতম্। or রুদ্রযামলের ষষ্ঠ পটলে আমার এক স্থানে লিখিত আছে,— পশুভাবাবলম্বী নারায়ণ সদৃশ, ইনি আকস্মিক সিদ্ধিলাভ করিয়া শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম হস্তে গরুড়ের উপর উপবেশনপূর্বক বৈকুণ্ঠ নগরে গমন করেন। সাধক ব্যক্তি ক্রমান্বয়ে তিনটী ভাবই অবলম্বন করিবেন। ভাবত্রয় অবলম্বন করিয়া রাজ্য, ধন, মান, বিদ্যা এবং মোক্ষ ইহার যাহাই কামনা করুন না কেন, তাহ তাহার সিদ্ধ হইয়া থাকে । * পিচ্ছিলা তন্ত্রের দশম পটলে বলিয়াছেন, দিবা ও বীরভাবই মহাভাব, পশুভাব অধম । যাহারা শক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত, তাহাদের পশুভাবে আরাধন করা উচিত নয়। একমাত্র বৈষ্ণবই পশুভাবে অৰ্চনা করিবে। + বামকেশ্বরতন্ত্রে ৫১ পটলে লিখিত আছে, জন্মমাত্র ষোড়শবর্ষ পৰ্য্যস্ত পশুভাব, অতঃপর পঞ্চাশৎ বর্ষ পর্য্যন্ত বীরভাব, তাহার পরে দিব্যভাব হইয়া থাকে। এই ভাবত্রয়ের ঐক্যজ্ঞানই কুলাচার, মানুষ কুলাচার দ্বারাই দেবময় হয়। মানদিক ধৰ্ম্মই ভাব। ইহাকে মনেছারাই অভ্যাস করিবে । প্রাণতোষিণী তন্ত্ৰে ভাবত্রয়ের বিস্তৃত বিবরণ দ্রষ্টব্য। ] পশুমণ্ড (ত্রি ) পশু-মতুপ। পশুসম্বন্ধীয়, পশুযুক্ত। ( খুকু ৩।৫৪১৮) পশুমান পখাদিযুক্তঃ । ( সায়ণ ) পশুমার (অব্য ) পশুশিব মরিয়িত্ব ণমুল পশুর স্তায় হিংসা এরূপ অর্থে শমুল প্রত্যয় হইলে ‘মারয়তি'র অনুপ্রয়োগ হয়। সংস্কৃতে অনুপ্রয়োগ সছই প্রয়োগ হইয়া থাকে। যথা 'পশুমারং মারয়তি, পশুমারসনারয়ৎ I’ ইত্যাদি । পশুমারক (ত্রি ) পশুবধযুক্ত । "ঈজে চ ক্রতুভির্থেরৈদীক্ষিতঃ পশুমারকৈঃ। দেবানু পিতৃ ভূতপতী নানাকামো যথা ভবান ॥" ( ভাগ” ৪।২৭।১১ ) আপনার ন্যায় রাজা পুরঞ্জন নানা প্রকার কামনার বশবর্তী হইয়া ভয়ানক পশুমারক যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়া দেবতা ও পিতৃদিগকে অর্চনা করিয়া থাকেন। লোভমোহকামক্রোধ-ভয় মাৎসৰ্য্যবর্জিতম ।” ( রুদ্রযামল ১১ পটল ) “পশুস্তাবল্পত। যে চ কেবলং পশুরূপিণঃ । রাত্রেী যন্ত্রঞ্চ মন্ত্রঞ্চ ন পৃশেৎ ন জপেৎ কচিৎ ৷ সংশয়ে বলিদাসে চ তন্ত্ৰে চ সংশয়: সদ। ॥ প্রতিমাস্ক শিলাবুদ্ধিৰ্ভেদকে দৈবতে পুনঃ । নিরামিষেণ দেবেশি দেবতায়াঃ প্রপূজনম্।" ( कूछिकांङअ १ श्रृंछेल ) + "নিত্যশ্ৰাদ্ধং তথা সন্ধ্য যন্নং পিতৃতর্পণম্। দেবতাদর্শদং পীঠদর্শন তীর্থদর্শনম | ২৫ গুরোরাজীপালনঞ্চ দেবতানিত্যপুজনম্। পশুভাবস্থিতো মৰ্ত্তে মহাসিদ্ধিং লভেদ্ধ বম্ ॥” * “পুনর্ভাবং পশোরেব শৃণুধদর পুৰ্ব্বকম্। অকস্মাৎ সিদ্ধিমপ্লোত্তি পশুর্নারায়ণেপমঃ ॥ বৈকুণ্ঠনগরে যাতি চতুভূজকলেবরঃ । শঙ্খচক্ৰগদাপদ্মহস্তে গরুড়বাহনঃ ॥” (রুজযা উত্তরখ-) । + "দিব্যৰ্মীরে মহtভাবtধমঃ পশুত্তাবকঃ । বৈষ্ণুবো পশুভাবেল পুজয়েৎ পরমেশ্বর। শক্তিমন্ত্রে বরারোহে পশুভাবে ভয়ামকঃ ”
পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।