কালহস্তী [ २१ ] কালহস্তী প্রদেশ হইতে নিঃস্থত হইয়া ভেল মঙ্গে পড়িয়াছে । আবার ,তেল, সান ও রাওল নামক তিনটা নদী একত্র মিলিয়া উত্তরবাহিনী হইয়া উড়িষ্যায় মহানদীতে গিয়া পড়িয়াছে । চারিদিকে এইরূপ নদী ও ঘাটপৰ্ব্বতের নিকট বলিয়া এখানে বৃটিও প্রচুর হয়। এই নিমিত্ত স্থানটী বেশ উর্বরা। উত্তরপশ্চিমভাগে সেগুন কাষ্ঠ জন্মে। চাউল, দাল, তিসি, ইক্ষু, তুলা ও ভূটা গম এখানে প্রচুর পরিমাণে জন্মিয় থাকে। স্থানে স্থামে সপ্তাহে একবার করিয়া হাট বসে। প্রধাননগর ভবানীপভনের হাটই সৰ্ব্বাপেক্ষ বড়। এখানকার জলবায়ু অতিউত্তম। এই স্থান একজন রাজার অধিকারে অাছে। রাজা ইংরাজরাজকে কল্প দিয়া থাকেন। রাজপুতবংশীয় রাজা উদিত প্রতাপদেৰ দিল্লির দরবারে রাজাবাহান্থর উপাধি ও নিজের সন্মানার্থ ৯টা তোপ প্রাপ্ত হন। ১৮৮১ খৃষ্টাব্দে তাহার মৃত্যু হয়। র্তাহার দত্তকপুত্র রাজা রঘুকিশোরদেব ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দে র্তাহার পদে অভিষিক্ত হন । কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্ক বলিয়া বড় রাণীর উপর রাজ্যভার থাকে ও বালকরাজকে জব্বলপুরের রাজকুমারকলেজে পড়িতে দেওয়া হয়। এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই কন্ধ-জাতি বিদ্রোহী হইয়া কুলত নামক ৭• । ৮১ জন হিন্দুজাতিকে হত্যা করিয়া তাহাদের গ্রাম লুটপাট করে। ব্যাপার গুরুতর দেখিয়া ইংরাজ গবর্ণমেন্ট নিজের পুলিস সেন পাঠাইরা বিদ্রোহ দমন করেন । হাঙ্গামাকারীগণের দলপতিদিগের ফঁাসি হইল। সেই অবধি এই প্রদেশের শাসনকাৰ্য্য গবর্ণমেণ্ট নিজ হস্তে রাথিয়াছেন । কালহলদী (দেশজ ) হলুদগাছবিশেষ । (Curcuma casia) কালহস্তী—মাজাজ প্রেসিডেন্সির একটা জমিদার। ইহার কতক অংশ উত্তর আর্কট আমার কতক অংশ নেল্লোর জেলাতে অবস্থিত। লোকসংখ্যা ১,৩৫,১৬৪ । খৃষ্টাব্দের পঞ্চদশ শতাব্দীতে বেল্লমঙ্গাতীয় একজন পলিগার বিজয়নগরের রাজার নিকট হইতে এই জমিদারী প্রাপ্ত হন । তাহার পর পূৰ্ব্বে মাম্রাজ ও কাঞ্চিপুর এবং দক্ষিণে বন্ধীবাস পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত হয় । অরঙ্গজেবের প্রদত্ত সননো দেখা যায় যে এখনকার পলিগায় তাহার সময়ে ৫ হাজার সৈম্ভের অধিনায়কছিলেন। ১৭৯২ খৃষ্টাৰো কালহকী ইংরাজদিগের হস্তে আসে । ১৮০২ খৃষ্টাব্দে গবৰ্ণমেণ্ট এই জমিদারীর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কঙ্গেম । জমিদারের বংশীয় যে ব্যক্তি অৗছেন, ইংরাজের তাঁহাকে রাজা ও C. S. I. উপাধি দিয়াছেন । দেশের জমির ফসলের অর্থাংশ জমিদারকে দিতে হয় । এখানকার স্বত্তিক লালবণ ও বালুকমিশ্রিত। তাষ ও লৌহ এখানে পাওয়া যায়। কাচের কারখানাও আছে। । IV (t प्लेख अबिझोझैम्न अिशाम भन्नङ्ग कोणश्री या प्लेटकोणी मश्नत्र । जक्र २७s४९* खेः, जावि १०“ss२०* गूः ऋक्षा शूरुगभूषॆौ नभैौडौरव्र भांडांज ८ब्रटणद्र ७ङब्र-*क्रिब श्वप्रंथों ত্রিপতি-স্টেসমের অতি নিকটেই অবস্থিত। লোকসংখ্যা ৯৯৩৫ জন । এই নগরে জমিদারের বাসভবম আছে । এখানে ५कछम थांजिठेब्र७ यां८झ्न । ५थांटम बज्र ब्ररुम यांछांद्र আছে । নিকটস্থ গ্রামে উত্তম কাপড় প্রস্তুত হয় । কালহস্তী একটা তীর্থস্থান। এখানে অনেকগুলি দেবমন্দির আছে । তন্মধ্যে শিবমন্দিরই প্রধান । দক্ষিণের পাওঁ ব্ৰাহ্মণগণ ইহাকে দ্বিতীয় বারাণসী বলিয়া থাকেন। ইহা নগরের নৈঋতকোণে পৰ্ব্বতের নিম্নভাগে অবস্থিত । কালহস্তীমাহাষ্ম্যে লিখিত আছে-“ব্ৰহ্মা তপস্তা করিবার জষ্ঠ কৈলাসপৰ্ব্বতের শৃঙ্গের একাংশ জানিয়া এখানে স্থাপন করেন। সেইজন্য উহার নাম দক্ষিণকৈলাস। ব্ৰহ্মা স্বয়ং এই মন্দিরের মূলস্থাপন করেন ।” চোল রাজা ও বিজয়নগরের কৃষ্ণরায় উহার অপরাপর অংশ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন । মহাদেবের বায়ুমূৰ্ত্তি এখানে বিরাজিত। কথিত আছে, একটা সৰ্প ও হস্তী উভয়েই মহাদেবের পূজা করিত। সর্প নিজের মণি মহাদেবের মস্তকে রাখিয়া এবং হস্তী জলাভিষেক দ্বার আরাধনা করিত । একদিবস হস্তীর অভিয়েচনেয় জল সৰ্পের অঙ্গে লাগায় নাগ ক্রুদ্ধ হইয় তাহার শুণ্ডে দংশন করে। হস্তী জ্বালায় অস্থির হইয়া সপকেও আঘাত করিল। শেষে উভয়েই পঞ্চস্থ পাইল । দুইজন পরমভক্তের এরূপ অবস্থা দেখিয়া মহাদেব তাহাদের পুনরায় জীবন দান করিলেন। উভয়কে চিরস্মরণীয় করিবার জষ্ঠ তাহদের নামে আপন মন্দিরের নাম ‘কাল-হস্তী রাখিলেন । (কাল অর্থাৎ সর্প ও হস্তী এই দুই লইয়া কালহস্তী হইয়াছে ।) এখানকার লোকের কালহস্ত্রীও কহে । তীর্থমাহাত্ম্য মতে, কন্নাপল নামক এক ব্যাধ মহাদেবের অনুগ্রহ লাভ করে । কল্লাপন পৰ্ব্বতের উপরে থাকিত । কিন্তু জাহার করিবার পূৰ্ব্বে পৰ্ব্বত হইতে নামিয়া আসিয়া জাহাৰ্য্য দ্রব্য মহাদেবকে অর্পণ করিয়া নিজে প্রসাদ পাইত । কিছুকাল পরে তাহার মনে হইল যে মহাদেবের একটা চক্ষু নষ্ট হইয়াছে । এই ধারণায় সে আপনার একটা চক্ষু উৎপাটিত করিয়া মহাদেবের নষ্ট চক্ষুতে বসাইয় দিল । জাবার কিছুকাল পরে দেখে যে দেবের অপর চক্ষুও নষ্ট হইয়াছে, এজন্য নিজের অপর চক্ষুটাও লইয়া মহাদেবের চক্ষে বলাইলা দেয়। সেই সময় ব্যাধ এক প। মহাদেবের চক্ষের নিকট রাখিয়ছিল বলিয়া এখনও মহাদেধের চক্ষে তাছার পদচিহ্ন দেখা
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।