পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমারহট্ট কুমারসেল, অক্ষা ৬১*১৯ উ:, দ্রাঘি" ৭৭• ২৬ गूः, नभूझडप्ले হইতে ৫৭৮৪ ফুট উচ্চে অবস্থিত। এখানে নদীর ধারে লোকের বসবাসই অধিক, উহারা অনেকেই নদীর জল হইতে স্বর্ণকণা আহরণ করে । এখানে ৩• • • ফুট উচ্চ হইতে নদী নিয়ে পতিত হইয়াছে। এই স্থান রাজপুতের অধীন, এখানকার রাজা ক্ষীরসিংহ ঠাকুর ১৮১৬ খৃষ্টাকে ৭ই ফেব্রুয়ার ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের নিকট সনন্দ প্রাপ্ত হন । কুমারস্মৃতি, একখানি প্রাচীনধৰ্ম্মশাস্ত্র। বিজ্ঞানেশ্বর, শূল। পাণি, নৃসিংহ, নীলকণ্ঠ, প্রভৃতি স্মার্তগণ কুমারস্কৃতির বচন উদ্ধৃত করিয়াছেন। কুমারস্বামী (পুং) ১ কুমারিল ভটের নামান্তর কুমা রিলভট্ট দেখ। ] ২ মল্লিনাথের পুত্র। ইনি ‘প্রতাপরুদ্রযশোভূষণ’নামক গ্রন্থের রত্নার্পণ নামক টীকা রচনা করেন। ৩ ভাস্কর মিশ্রের পিতা । কুমারহট্ট, বাঙ্গালা প্রদেশের একটা গংগ্রাম ইহার অপর নাম হালিসহর বা হাবিলীসহর । ইহা হালিসহর পরগণা নামেও উক্ত হইয়া থাকে। কিন্তু এই পরগণার মধ্যে যেটুকু হালিসহর বলিয়া প্রসিদ্ধ তাহারই নাম কুমারহট্ট । ইহা বৰ্ত্তমান কলিকাতা হইতে ১২শ ক্রোশ উত্তরে অবস্থিত । দিল্লীশ্বর আকবর বাদসাহের সময় হাবিলী-সস্থর পরগণা বিদ্যমান থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। পূৰ্ব্বকালে এই স্থানে অনেক কুস্তকার জাতির বাস থাকায়ও কেহ কেহ কুমারহট্ট নামের কারণ বলিয়া নিৰ্দেশ করেন । সম্রাটু আকবরের পূৰ্ব্বেও এই স্থান কুমারহট্ট নামে প্রসিদ্ধ ছিল । ৮ শ্রীচৈতন্তদেবের দীক্ষা গুরু মহাত্মা ঈশ্বরপুরী এই স্থানে জন্মগ্রহণ করেন এবং মহাপ্রভুর প্রিয় পরিষদ শ্ৰীনিবাস ও এই স্থানে প্রাকুভূত হন। চৈতন্যদেবও এই স্থানে আগমন করিয়াছিলেন। চৈতন্য-ভাগবত্তে লিখিত আছে “আপনে ঈশ্বর শ্রীচৈতন্য ভগবান । দেখিলেন শ্ৰীঈশ্বরী পুরীর জন্মস্থান । প্রভু বলে কুমারহট্টেরে নমস্কার । ঐঈশ্বরীপুরী যে গ্রামে অবতার ! কাদিলেন চৈতন্ত বিস্তর সেই স্থানে । আর কিছু নাই শব্দ ঈশ্বরপুরী বিনে ॥ সেই স্থানের মৃত্তিক আপনে প্ৰভু তুলি । লইলেন বহির্বালে বেঁধে এক বুলি ৷ প্রভু বলে ঈশ্বরপুরীর জন্মস্থান। 4हे यूद्धिक आभांब्र औदन श्वन यां* ॥” ख्यांविधं ● ! 1V '೨' [ २8४ ] कूमांद्रश्छे এইখানে মুখুৰ্য্যা-পাড়ার মধ্যে ঐনিবাস-ঠাকুরের পাট फयांtछ् । বঙ্গবিখ্যাত বলরাম তর্কসিদ্ধান্ত, কামদেব ন্যায়বাচস্পতি প্রভৃতি পণ্ডিতগণ এই কুমারহস্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন। এক সময়ে কুমারহট্ট সংস্কৃত ভাষা এতদূর অনুশীলন হইয়াছিল, প্রবাদ অাছে—এক দিন নবদ্বীপাধিপতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কলিকাতা যাইতে কুমারহট্টের নিম্নে নৌকা লগাইয় প্রাতঃস্নান করিতেছিলেন। এমন সময় দেখিলেন, তাহার অনতিদূরে এক ব্যক্তি নারিকেলের মালায় বিশুদ্ধভাবে মস্ত্রোচারণ করিয়া তর্পণ করিতেছে। রাজা বিশেষ কৌতুকাবিষ্ট হইয় তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কত্বমূ” ? সে ব্যক্তি উত্তর করিল, “রজকোহহম” । রাজা বিস্ময়াপন্ন হইয়া নিকটস্থ একজনকে জিজ্ঞাসা করিলেন, এই স্থানের নাম কি ? সে বলিল, ইহার নাম “কুমারহট্ট" । কিছুদিন পরে এই স্থান কৃষ্ণচন্ত্রের হস্তগত হইল । তিনি রঞ্জকের বাসস্থানের নাম খাসবাীি রাখিলেন । রজকের প্রপৌত্রের পুত্ৰ এখনও কুমারহট্টে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রদত্ত প্রসাদ ভোগ করিতেছে । প্রতাপাদিত্যের সময় এই স্থান তাহারই অধিকারভুক ছিল । এখনকার ব্ৰহ্মত্র, দেবত্র ও মহত্রাণাদি নিষ্কর ভূমির সম্বন্ধে উক্ত রাজপ্রদত্ত সনন্দাদি অদাপি অনেকের নিকট বিদ্যমান আছে। এই গ্রামের অনতিদূরবর্তী জগদ্দল নামক গ্রামে অরণ্যময় একটি স্থান রাজমহল বলিয়া খ্যাত অাছে। তন্মধ্যে ‘রাজ+ পুকুর’ নামে একটা পুষ্করিণী ও দৃষ্ট হয়। প্রবাদ অাছে যে, ঐ পুস্করিণীট রাজা প্রতাপাদিত্যের গঙ্গাবাসের অন্ত:পুরস্থিত পুষ্করিণী ছিল। এই কুমারহট্ট মহারাজের চারিটি সমাজের মধ্যে একটী প্রধান সমাজ । সাধকোত্তম কবিরঞ্জন রামপ্রসাদ সেন ও এই স্থানে জন্মগ্রহণ করেন । যে স্থানে তঁtহার বাস ছিল, তাহার নাম চড়কডাঙ্গা । রামপ্রসাদ-সেনের বাড়ীর নিকট আজু গোসাই নামে এক হান্তরসোদ্দীপক কবির বাস ছিল । [কবিরঞ্জন রামপ্রসাদ সেন ও অযোধ্যারাম দেখ। ] কুমারহট্টের মধ্যে অতি প্রাচীন দুইটা শক্তিমূৰ্ত্তি আছে । তন্মধ্যে বলদিয়া ঘাটায় সিদ্ধেশ্বরী সাবর্ণচৌধুরী বংশের প্রতিষ্ঠিত এবং খাসবাটীর শু্যামাসুন্দরী অকিঞ্চন ব্রহ্মচারী নামক একজন তান্ত্রিক কুলাচারীর প্রতিষ্ঠিত । এইখানে সুবিখ্যাত চাচড়ার রাজবংশদিগেরও বসবাসের চিহ্ন আছে । हेहांद्र निक प्लेदउँौं ¢कांला नांभक अंांटम नबांग्नदग्न इछौभालाग्न অধ্যক্ষ ছটুহাজরার দুর্গময় প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয় । পুৰ্ব্বে কুমারহটের পাখ দিয়া ভাগিয়র্থী প্রবাহিত হইত, কিন্তু বর্তমান গ্রামের দুর্দশ দেখিয় তিনি যেন সন্ধিয়া জালিয়াছেন।