কাষ্য “কাব্যং যশসেহর্থকৃতে ব্যবহারবিদে শিবেতরক্ষভয়ে । সদ্যঃপরনিবৃত্তয়ে কাস্তাসম্মিততরোপদেশ যুজে ।” কাৰ্যপ্রকাশ ৷ যশ, অর্থ, ব্যবহার জ্ঞান, অমঙ্গলবিনাশ, সদ্যপরমনিবৃত্তি এবং কাস্তাসকলের উপযুক্ত উপদেশ প্রয়োগের নিমিত্তই কাব্য । “চতুবৰ্গফলপ্রাপ্তিঃ মুখাদল্পধিয়ামপি। কাব্যাদেব যতস্তেন তৎস্বরূপং নিরূপ্যতে ॥* কাব্য হইতেই অল্পবুদ্ধি ব্যক্তিগণেরও অনায়াসেই ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষরূপ চতুবৰ্গ ফল প্রাপ্তি হয়, অতএব কাব্যের স্বরূপ নিরূপিত হইতেছে । “কাব্যং রসাত্মকং বাক্যং দোষাস্তস্তাপকর্ষকা: | উৎকর্ষহেতবঃ প্রোক্ত গুণালঙ্কাল্পরীতয়: ॥” সাহিত্যদর্পণ । রসায়ুক বাক্যই কাব্য, দোষ তাহার অপকর্ষক ; গুণ, অলঙ্কার ও রীতি ইহারা উহার উৎকর্ষসাধক । “আনন্দবিশেষজনকবাক্যং কাব্যং ” রসগঙ্গাধর । যে বাক্য দ্বারা মানসে আনন্দ বিশেষের উৎপত্তি হয়, তাহাকে কাব্য কহে । “কবিবাঙ, নিৰ্ম্মিত্তিঃ কাব্যম্। স চ মনোহরচমৎকারকারিণী রচনা ” কৌস্তুভ । মনোহর এবং চমৎকারকারিণী রচনাবিশিষ্ট কৰিবাক্য দ্বারা যাহা বিরচিত হয়, তাহাকে কাব্য কহে । প্রথমতঃ তাহা উত্তম, মধ্যম ও অধম ভেদে তিনপ্রকার যথা –ধ্বনি, গুণীভূত ব্যঙ্গ ও চিত্ৰবাক্য। অতিশয় ব্যঙ্গার্থ এবং বাচার্থ অপেক্ষ ধ্বনি অধিক থাকিলে উত্তম, গুণীভূত ব্যঙ্গ থাকিলে মধ্যম, শকচিত্র ও বাচ্যচিত্র এবং ব্যঙ্গ্যার্থণুষ্ঠ হইলে তাহাকে অধম কহে । ঐ কাব্য প্রকারাস্তরে দ্বিবিধ, মহাকাব্য ও খণ্ডকাব্য। মহাকাব্যে সর্গবন্ধন ও তাছাতে এক দেবতা অথবা সদ্বংশজাত ধীরোদাত্ত গুণযুক্ত এক ক্ষত্রিয় কিংবা একবংশীয় সংকুলজাত বহুতর রাজা নায়ক হইবে। শৃঙ্গার, বীর ও শান্ত ইহাঙ্গের মধ্যে এক রস উহার অঙ্গীভূত, সমস্ত রস ও সমস্ত নাটকসন্ধি, ইতিবৃত্ত, অথবা অন্য সজ্জনাশ্রিত চরিত্র এই সকল উহার অঙ্গ। উহার বর্গ চারিটি, তন্মধ্যে একটি ফল । প্রথমে নমস্কার বা আশীৰ্ব্বাদ অথবা বস্তু নির্দেশ, কোথাও খলের নিনা বা সজ্জনগণের গুণাজুকীৰ্ত্তন থাকিবে। সর্গের প্রথমে একৰিধ বৃত্তছন্দঃ দ্বারা , ७ नदर्शन ८लदछांtश अछदि५ वृद्ध बांद्रा दिब्रठिछ हद्देश्य । অতিশয় অল্পও নয় এবং অতিশয় দীর্থও নয় এরূপ [ 8૭ : ] কাব্য ജ്ഞ আটটি সর্গ ইহাতে থাকিৰে । কেহ কেহ কছেন যে, নানাবৃত্তছন্দ: দ্বারা সর্গরচনাও হইতে পারে। উহাতে প্রতিসর্গের অন্তে ভাবিসর্গের কথা স্বচন থাকিবে। সন্ধ্য, স্বৰ্য্য, চন্দ্র, রাত্রি, প্রদোষ, অন্ধকার, দিবস, প্রাতঃ, মধ্যাহ, মৃগয়া, পৰ্ব্বত, ঋতু, বন, সাগর, সম্ভোগ, ৰিপ্ৰলন্ত, মুনি, স্বর্ণ, পুর, যজ্ঞ, রণ প্রয়াণ, বিবাহ, মন্ত্র ও পুত্ৰজন্মাদি ইহার বর্ণনীয় বিষয়, এই সকল যথাযোগ্য স্থানে সন্নিবেশিত করিতে হইবে । মোটামুটি কাব্যের দুই প্রকারভেদ, দৃপ্ত ও শ্রব্য। যে সকল কাব্য অভিনয়ের উপযোগী, তাহাকে দৃশুকাব্য কহে ; যথা নাটকাদি । আর যে সকল কাব্য কেবল শ্রবণের উপযোগী, তাহাকে শ্রব্যকাব্য কহে। দৃশুকাব্য আবার নাটক, প্রকরণ, ভাণ, ব্যায়োগ, সমবকার, ডিম, ঈহমৃগ, অঙ্ক, বীর্থী ও প্রহসন ভেদে দশপ্রকার। শ্রব্যকাব্য পদ্য গদ্য ভেদে দ্বিবিধ ; পদ্য কাব্যের মধ্যে দুইপ্রকার ভেদ, মহাকাব্য ও খণ্ডকাব্য । গদ্য কাব্যেরও দুইপ্রকার ভেদ আছে, কথা ও অাখ্যায়িক । ইহা ভিন্ন চম্পু, বিরুদ ও করস্তুক নামক তিনপ্রকার কাব্য দেখিতে পাওয়া যায় । ( সাহিত্যদর্পণ । ) প্রায় সমুদায় কাব্যই অতি শ্রবণ সুখকর, মনোমুগ্ধকর এবং বিবধ রসপ্রকাশক বলিয়া কাব্য আলোচনা করিলে, আর অন্ত কোন শাস্ত্র আলোচনায় ইচ্ছা হয় না। এই জন্তই একটি উদ্ভট কবিতা শুনিতে পায়— “কাব্যেন ইষ্ঠতে শাস্ত্রং কাব্যং গীতেন হস্ততে । গীতঞ্চ স্ত্রীবিলাসেন স্ত্রীবিলাসে বুভূক্ষয় ॥” কাব্য চিন্তা স্বারা নীতিশাস্ত্রচিন্তা বিনষ্ট হয়, আবার ঐ কাব্য চিন্তা সঙ্গীত আলোচনা দ্বার, সঙ্গীত স্ত্রীবিলাস দ্বারা আবার স্ত্রীবিলাস ক্ষুধামুভব দ্বারা বিনষ্ট হইয়া থাকে। কাব্যকলাপ ; অমর চন্দ্রকৃত কাব্যকরলতা ; কাব্যকামধেনু ; তেীতভট্টবিরচিত কাব্যকৌতুক ; কাব্যকৌমুদী ; কাৰ্যকৌস্তুভ ; কবিচন্দ্র ও বিদ্যানিধি পুত্র স্তায়বাগীশ বিরচিত কাব্যচঞ্জিক ২; রত্নপাণি, রাজচূড়ামণি দীক্ষিত ও ঐনিবাসীক্ষিত কৃত কাৰ্যদর্পণ৩; কাস্তিচন্দ্র ও গোবিন্দরচিত কাব্যদীপিকা ২; ধনিক বিরচিত কাব্যনির্ণয় ; কাব্যপরিচ্ছেদ ; ভারতীকবি, বিশ্বনাথ, ভট্টাচাৰ্য্য ও মন্মটভট্টকৃত কাব্যপ্রকাশ ৪ ; রাজানক আনন্দকবিকৃত কাব্যপ্রকাশনিদর্শন ; গোবিনাভট্টকৃত কাব্য প্রীগ , প্রনিবাসরচিত কাবাসায়সংগ্ৰহ , দণ্ডী ও সোমেখর রচিত কাৰ্যাদর্শ ২; বাগভট্টা কাব্যান্থশাসন ও কাৰ্যা DBB SBBB S BBBBBS DDDDDD S BBBBBB
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।