কাশিয়ামদেব [ ७२ ] কাশিরামদেব কেহ কেহ বলেন যে, তাহার উপাধিই “দাস” কারণ, মহাভারতের প্রত্যেক ভণিতাতেই এই “দাস” উপাধিরই ব্যবহার দেখিতে পাওয়া যায়, তবে তুই একস্থলে যে “দেৰ” শব্দ দেখা স্বায়, উছা উপাধিবোধক নাও হইতে পারে ; কারণ কাশিরাম যে স্থলে পিতৃপুরুষের পরিচয় দিয়াছেন, সেই সেই স্থলের কোথাও "দেব” উপাধির উল্লেখ করেন নাই। কাশিয়াম প্রতিপদে ব্রাহ্মণ বা বিষ্ণু বা মহাভারতের বনানা গাহিয়া আপনাকে হীন বলিয়া পরিচিত করিয়া ভণিত লিখিয়াছেন, সুতরাং “দেব” উপাধি না লিখিয়া “দাস” উপাধি লিখিয়াছেন ; আর এক কথা এই—অদ্যাপি কয়েক ঘর দাস অথবা দেৰ উপাধিধারী কায়স্থের মধ্যে কেহ কেহ দেব অথবা দাস এই দুইটি পদবী মধ্যে যে কোনটিতে ইচ্ছাকুরূপ পরিচয় দিয়া থাকেন। বোধ হয় কাশিরামও সেইরূপ ইচ্ছামত পরিচয় লিখিয়াছেন । র্তাহার পিতার নাম ছিল কমলাকান্তদাস, ইহ ( ক ), (ঘ ১ ) ও (ট) ভণিত হইতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়। কেহ কেহ ( ক ) অংশ হইতে বিপরীতাৰ্থ ঘটাইয়া প্রমাণ করিতে চাহেন যে, যখন “তমুজ কমলাকাস্ত কৃষ্ণদাস পিতা” এবং (ট) অংশে “কৃষ্ণাদাসাত্মজ, গদাধর জ্যেষ্ঠভ্রাতা” পাঠ দেখা যায়, তখন ইহার পিতার নাম কৃষ্ণদাস ও পুত্রের নাম কমলাকান্ত বলিয়া স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে ; কিন্তু (ঘ ১) অংশ দেখিয়া সহজে বুঝা যায় যে, তাহার পিতার নামই কমলাকান্ত, আর (এ) অংশ হইতে স্পষ্টই প্রমাণ হয় যে কৃষ্ণদাস তাহার জ্যেষ্ঠভ্রাতার নাম ছিল । (ক) অংশের উক্তচরণের “তনুজ” শক “কমলাকাস্তের” পরিচায়ক নছে, উহা “কাশিদাস” শব্দের পরিচায়ক বা বিশেষণ, আর "কৃষ্ণদাস” শব্দটি “পিতা” শব্দের পরিচায়ক নহে, উল্লাহ “পিতা” শব্দের সহিত একপদ (সমাস করা ), আর সমস্ত “কৃষ্ণদাস-পিতা" পদটি "কমলাকান্ত" পদের বিশেষণ বা পরিচায়ক। এইরূপ সমাস করিয়া অর্থ না করিলে, উহার পর "কৃষ্ণদাসামুজ গদাধরজ্যেষ্ঠভ্রাতা”—এই চরণটির অর্থগ্রহ হয় না বা (ঘ ১) অংশের অর্থ কিছুই থাকে না । ईशव्र ८ङाईजाऊांद्र नाम कृक्षमांन (क) ७ (*) । ইহার অার একটি জ্যেষ্ঠভ্রাতার নাম পাওয়া যায় “দেবরাজ”, কিন্তু এ নামে আর দ্বিতীয় ভণিতা মহাভারতে দেখা যায় না । (জ) অংশের অর্থ যদি এরূপে করা যায় ষে, "ব্রাহ্মণের পদরজ; মস্তকে বন্দির, রাজাকুজ কাশিদাসদেব বিরচিলা", তাহ হইলে, “রাজানুজ” শৰে কি বুঝিতে হইবে छांश छांनी यांग्न नः । ইহার কনিষ্ঠভ্রাতার নাম গদাধর ( ক ), (খ), (ট)। ইহার পিতামহের মাম সুধাকর (ক) ও (ট) । এৰং প্রপিতামহের নাম (ক) “প্রিয়ঙ্কর দাস” ব৷ (ট ) “প্রিয়াকর দাস” বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে, বোধ হয় হস্তলিখিত পুথির পাঠ-বিপর্য্যয়েই এরূপ নামে গোল হইয়া থাকিবে । তৎপরে ইহার বাসস্থান-নির্ণয় । (ক) অংশে আছে,— “পূৰ্ব্বাপর হইতে অবস্থিত ইন্দ্রাণীদেশ—যেখানে ভাগীরথী স্বাদশ তীর্থেতে বৈসেন—সেই স্থানস্থিত সিদ্ধিগ্রামে বাস” ; জার (ট) অংশে আছে—“ইন্দ্রাণী নামেতে দেশ বাস সিন্ধুগ্রাম* এক্ষণে কথা হইতেছে যে, কোথায় বা এই “ইন্দ্রাণীদেশ” আর কোথায় বা ‘সিদ্ধি’ বা ‘সিন্ধু’ গ্রাম ?—বৰ্দ্ধমান জেলার উত্তরভাগে ইন্দ্রাণী নামে একটী পরগণা আছে। এই পরগণারই মধ্যে বর্তমান কাটোয়া সহর। ঐ পরগণায় ব্রাহ্মণী নদীতীরে "সিঙ্গি” নামে প্রসিদ্ধ গ্রাম আছে, “সিদ্ধি’ বা ‘সিন্ধু’ নামে কোন গ্রাম ঐ পরগণায় নাই। কেহ কেহ বলেন, হুগলী জেলার মধ্যেও ইন্দ্রাণীগ্রাম আছে, তাহারই মধ্যে সিদ্ধি বা সিন্ধু নামে ক্ষুদ্র গ্রাম থাকিতে পারে । ইহার প্রমাণার্থ তাহার কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চণ্ডীকাব্য হইতে উদ্ধৃত করেন যে,— “মগুলহাট ডাহিনে আছে, থাকিব হাটের কাছে, আনন্দিত সাধুর নন্দন । সম্মুখে ইন্দ্রাণী, ভুবনে দুর্লভ জানি, দেব আইসে যাহার সদন ॥” “ডাহিনে ললিতপুর বাছিল ইন্দ্রাণী । ইন্দ্রেশ্বর পূজা কৈল দিয়া ফুল পাণি।” “লহনা খুল্পনা পায় মাগিয়া মেলানি। বাহিয়৷ অজয়নদী পাইল ইন্দ্রাণী ॥” মুদ্রিত পুস্তকে মণ্ডলহাটের স্থলে মওলঘাট পাঠ দেখিয়া ইন্দ্রাণীকেও হুগলী জেলার মধ্যে গণ্য করা হয় ; কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহে ; কারণ, বৰ্দ্ধমান জেলায় ইস্রাণী পরগণার মধ্যে কাটােয়ার কিছু দক্ষিণে মণ্ডলহাট নামক স্থান আজিও আছে, আর উহারই নিকট ঘোষহাট, একাইহাট, বিকি হাট, পেংনীহাট, ডাইহাট প্রভৃতি হাট শাস্ত ১৩ খানি গ্রাম আছে। এতদ্ভিন্ন এই ইন্দ্রাণী পরগণায় গঙ্গাতীয়ে বার হুয়ারিঘাট, গণেশ মহাতার ঘাট, পীরের ঘাট, ভাওসিংহের ঘাট প্রভৃতি বাল্পটি বাধাঘাট ও ইন্দ্ৰেশ্বর নামে শিবের মন্দির অাছে। কাশিরাম সম্ভবতঃ এই বারটি বাধা-ঘাটকে शक्र कब्रिब्रांहे शलिग्रांदइभ “धांमभङ्गैौtर्षtङ उथ ६बळग ভাগীরথী, জারও মুদ্রিত কবিকঙ্কণের চওঁতে আছে –
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্থ খণ্ড.djvu/৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।