প্রাণিরই দেহ স্ব স্ব নির্দিষ্ট কালামুসারে বিলয় প্রাপ্ত হইবে। রিচারপূর্বক দেখিলে এই জীবগণের দেহে পরস্পর কোন প্রকার নুনাধিক্য নাই, কারণ সৰ্ব্বত্ৰ সৰ্ব্বদেহে আহার, নিদ্রা ও ভয় সমভাবেই বিদ্যমান। আমাদের যেমন মরণভয়, সেই প্রকার ব্রহ্মা হইতে কীট পৰ্য্যন্ত সকল দেহধারীরই মৃত্যুভয় আছে। বুদ্ধিপূর্বক বিচার করিলে ইহাই স্থির হয় যে, সকল প্রাণীই সমান, সুতরাং যাহাতে কোন প্রকারে প্রাণিহিংসা না হয়, তাহাই করা কর্তব্য। “অহিংসাই পরম ধৰ্ম্ম” ইহা পুৰ্ব্বতন পণ্ডিতগণ কহিয়াছেন, এই কারণে নরকভীত পুরুষগণ কখন প্রাণিহিংসা করিবেন না । হিংসাকারী ভীষণ নরকে গমন করে, অহিংসক ব্যক্তি স্বৰ্গলাভ করে। মুখ ভোগ করিতে করিতে দেহবিসর্জনের নামই পরমমোক্ষ, ইহা ভিন্ন অন্ত কোনপ্রকার মোক্ষ নাই । বাসনার সহিত পঞ্চবিধ ক্লেশের সমুচ্ছেদ হইলে পর, বিজ্ঞানের নামই যথার্থ মোক্ষ, তত্ত্বজ্ঞানিব্যক্তিগণ এই প্রকার নিশ্চয় করিয়া থাকেন। সমস্ত ভূতগণকে হিংসা করিবে না’ বেদবাদিগণ এই প্রামাণিক শ্রীতিই কীৰ্ত্তন করিয়া থাকেন। হিংসাপ্রবর্তৃক কোন শ্রীতিই প্রামাণিক নহে। ‘অগ্নিষোমীয়ে পশুহত্যা করিবে’ ইত্যাদি যে শ্রীতি আছে, তাহা কেবল অসাধুদিগের ভ্রাস্তি উৎপাদনের জন্ত, বিদ্বান ব্যক্তিগণ তাহাকে প্রমাণ বলিয়া স্বীকার করেন না ।” ইত্যাদি । কাশীখণ্ডে যদিও লিখিত হইয়াছে যে বিষ্ণু কাশীবাসীকে মোহিত করিবার জন্য বৌদ্ধরূপ পরিগ্রহ করেন । বস্তুতঃ ইহা যে রূপক বর্ণনামাত্র, তাহাতে সন্দেহ নাই। এক সময়ে যে কাশীতে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রবল হইয়া হিন্দুধৰ্ম্মের অবমাননা করিয়া ছিল, উক্ত প্রস্তাবে এইমাত্র অনুমিত হয় । সম্ভবতঃ রিপুঞ্জয় দিবোদাসও প্রথমে বৌদ্ধ ছিলেন । কাশীখণ্ডে লিথিত আছে— . “সংসেবিষ্যামহে রাজয়মুরাস্তাং স্ববৈডবৈ: ॥ ২০ বয়ং যতস্তুষিয়ে মুরাবাদোংপি দুৰ্লভঃ ” অমুরগণ এই বলিয়া তাহার (রাজা রিপুঞ্জয় দিবোদাসের ) স্তব করিত, আপনার রাজ্যে দেবগণ থাকিতে পারেন না, সুতরাং আমরা স্ব স্ব বিভবানুসারে আপনার সেবা করিব।” - উক্ত শ্লোকে ইহাই অনুমিত হয় যে, অল্পর অর্থাৎ দেববিজেষিগণ সৰ্ব্বদাই রাজ রিপুঞ্জয়ের নিকট থাকিত এবং দেবগণ অর্থাৎ ৰেক্তক ব্রাহ্মণাদি তাহার রাজ্যে বড় একটা এবং পরে এই রাজ ব্রাঙ্কণ-কর্তৃক হিন্দুধর্শ্বে দীক্ষিত হন। ইহারই সময় হইতে পবিত্র স্বারাণসীধামে পুনরায় দেবমন্দির ও দেবমূৰ্ত্তি সকল স্থাপিত হইতে লাগিল্প। ৰিকুপুরাণেও একস্থলে লিখিত আছে, বিষ্ণু একবার চঞ্চুম্বারা বারাণসী দগ্ধ করিয়াছিলেন। (বিষ্ণুপুং ৫ অংশ, ৩৪ অঃ ) * বারাণসীতে যে এককালে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রবল ছিল, অদ্যাপি তাহার অনেক নিদর্শন পাওয়া যায়। বারাণসীর পার্শ্বৱৰ্ত্তী সারনাথ বৌদ্ধদিগের একটি পবিত্র তীর্থস্থান বলিয়া প্রসিদ্ধ, খৃষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে চীনপরিত্রাজক ফা-হিস্থান এবং ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগে হিউএন সিয়াং এই সারনাথে আগমন করিয়াছিলেন, তখনও এই স্থানে অনেক বৌদ্ধকীৰ্ত্তি ছিল, অদ্যাপি তাহার ধ্বংসাবশেষ পড়িয়া আছে। সারনাথ দেখ। ] এখনও কাশীপুরীতে বৌদ্ধকীৰ্ত্তির ধ্বংসাবশেষ যৎসামান্ত দেখিতে পাওয়া যায়। (যথাস্থানে বিবৃত হইত্ত্বে । ) কোন সময়ে কাশীতে হিন্দুধর্মের পুনরভু্যদ্বয় হয়, তাহা নির্ণয় করা কঠিন ! ধৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগে চীনপরিত্রাজক হিউএন্ সিয়াং যখন বারাণসীতে আসিয়াছিলেন, তখন কাশীতে হিন্দুধৰ্ম্ম প্রবল। তিনি বারাণসীধামে শতাধিক দেবমন্দির ও প্রায় দশসহস্র দেবোপাসক দর্শন করিয়াছিলেন * শ্ৰীক্ষেত্রের মাদলাপঞ্জীর মতে উৎকলরাজ যযাতিকেশরী ৩৯৬ শকে ভুবনশ্বরের বিখ্যাত শিবমন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। ভুবনেশ্বর বারাণসীর অনুকরণে নিৰ্ম্মিত হয় । [ একান্ত্র দেখ । ] সুতরাং কাহারও পূর্বে কাশীতে হিন্দুধৰ্ম্মের পুনরুত্থান হইয়াছিল, তাহ অবশুই স্বীকার করিতে হইবে । পতঞ্জলির মহাভাষ্যে বারাণসীর উল্লেখ আছে এবং তৎকালে শিবোপাসনাও প্রচলিত ছিল, তাহারও প্রমাণ পাওয়া যায়। পতঞ্জলি দেখ। ] সম্ভবতঃ বৌদ্ধরাজ অশোকের মৃত্যু হইবার পর এবং মহাভাষ্য রচিত হইবার সময়ে বারাণীতে হিন্দুধৰ্ম্ম পুনরায় প্রবল হইতে আরম্ভ হয়। ছিন্নুর নিকট কাশী অপেক্ষা পবিত্র তীর্থ জগতে আর নাই। প্রাচীন মুনিঋষিগণ প্রাণভরিয়া এই মুক্তিধাম কাশীমাহাত্ম্য কীৰ্ত্তন করিয়া গিয়াছেন। মৎস্কপুরাণ নির্দেশ করিতেছে-- “ইদং গুস্থতমং ক্ষেত্ৰং সদা বারাণসী মম। সৰ্ব্বেৰামেৰ ভূতানাং হেতুর্মেক্ষক বৰ্ব্বদা " ১৮•।৪৭। বাস করিজেন না, বোধ হয়, কানীতে হিন্দুধর্থের পুনরু IV. - . సి • at zzzz AtIt"F#E e" »« भाज ोक हिंन
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্থ খণ্ড.djvu/৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।