মনস বলিয়া শেষ করা যায় না। এক সুচক আঘাতে শতপত্র ছিদ্র করিলে প্রত্যেক পত্রের ছিদ্র পর পর হয়, কিন্তু তাহ। কালের স্বল্প তা হেতু অনুভব করা মানববুদ্ধির অসাধ্য। মন অতিশয় সূক্ষ্ম, এইজন্য এক কালে দুইটী বিষয়ের €कॉन इग्न न 1 ॥ *অধোগপঞ্চাজ জ্ঞানানাং তস্তাপুত্ত্বমিহেষ্যতে।” (ভাষাপরিচ্ছেদ) মন অণু, অর্থাৎ স্বক্ষ, এইজন্ত জ্ঞানের অযৌগপত্ত্ব, এককালে কোন জ্ঞানই হয় না। চক্ষুঃসংযোগ হইলেই যে জ্ঞান হয়, তাহ নছে। মনে কর, মন একটী বিষয় চিন্তা করিতেছে, কিন্তু দর্শনেন্দ্রিয় চক্ষু একটা পদার্থ দেখিল, দেখিবামাত্র কি তাহার জ্ঞান হইবে ? না, তাহা হইবে না। কারণ দর্শনেঞ্জিয়ের এমন কোন ক্ষমতা নাই যে, সে পদার্থের জ্ঞান জন্মাহতে পারে, তবে দর্শনেন্দ্রি চক্ষু এবং মন উভয়ের পরস্পর সম্বন্ধ হইয়। আত্ম হইতে জ্ঞান হয়। “আত্ম। মনসা যুজ্যতে মন ইঙ্গিয়েণ ইন্দ্ৰিয়ং বিষয়েণ তস্মাদধ্যক্ষং ই ট্যুক্ত দিশা জ্ঞানং জায়তে।” (স্কায়দর্শন) মন সকল ইঞ্জিয়ের সহিত এককালে সংযুক্ত হইতে পারে না, ক্রমশঃ বিভিন্ন ইঞ্জিয়ের সহিত বিভিন্নকালে সংযুক্ত ছইয়। জ্ঞান জন্মাহয়৷ থাকে। নিখিল বিষয়ের সহিত এককালে ইঞ্জিয়ের সন্নিকৰ্ষ হয় না বলিয়। এক কালে সমুদয় स्ॐtन ह्ग्रे न! । মন আত্ম গুণ ও জ্ঞান স্বথাদি প্রত্যক্ষকরণ। অর্থাৎ মনঃ দ্বারা আত্মারই জ্ঞানমুখাদির প্রত্যক্ষ হয় । “যুগপজজ্ঞানাচুৎপত্তিমনসে লিঙ্গং” (গৌতমস্থ• ১।১১৬) গেী তম-স্ব ত্রানুসারে এক কালীন জ্ঞানের অসুৎপত্তিই মনের লক্ষণ । মন এক কালীন বহু জ্ঞান জন্মাহতে পারে না । মন এক কালে এক বিষয়ের জ্ঞানই জন্ম হয়৷ থাকে। স্বায়বৃত্তিকার বলেন, ‘স্বথ{জ্যপলব্ধিসাধনমিশ্রিয়ং।” মনস্বথাপি উপলব্ধি যাধন হহয়! থাকে, মন ব্যতীত স্থাদির জ্ঞান হইতে পারে না, এইজন্যই ‘মুখাস্থ্যপলব্ধিসাধনং ইঞ্জিয়ং মলঃ’ এইরূপ লক্ষণ নির্দিষ্ট হইয়াছে । বাংস্তায়ণ বলিয়াছেন—“যুগপচ খলু ভ্ৰাণদীনাং গন্ধাদীমাঞ্চ সন্নিকর্ষেম সংস্ক যুগপজুজ্ঞাননি নোংপস্ততে তেলামুমায়ুতে অস্তি তত্ত্বদিজিয়সংযোগিসহকারিনিমিত্তাস্তরমব্যাপি ধগুtলন্নিধের্নোংপদ্যতে জ্ঞানং সন্নিধেশ্চোৎপদ্যত ইতি মন: ।” এককালে ঘ্ৰাণাদি ও গদ্ধাদির সন্নিকর্ষে জ্ঞান উৎপন্ন হয় ন, অতএব ইহা দ্বার। অমুমান করা যায় যে, যে ইঞ্জিয়ের জ্ঞান হইবে, সেই দেই ইঞ্জিয়যুক্ত সহকারি ও অব্যাপি অদ্য थकन्ने काङ्ग१ श्रार्श्, वाइद्र अगब्रिषाप्न स्नान फे९”त्र श्ब्र न, [ ১১১ ] - মনস FF-F-T-I- ~-~-~-= F-F -- এবং সন্নিধানে জ্ঞান হয়। যাহার সাহাধে জ্ঞান জন্মে, সেই ইঞ্জিয়ের নামই মন। নৈরায়িকদিগের মতে মনের ৮টা গুণ সংখ্যাদি পঞ্চক, পরত্ব, অপরত্ব ও বেগ। 'মনোবিভৃিতি মাংসাংসকাঃ মনোনেঞ্জিয়মিতি মায়াবাদি-প্রভূতয়ে বদস্তি । মীমাংসকের বলেন মন বিভু। মায়াবাদী বৈদাস্তিকগণ মনের ইঞ্জিয়ত্ব স্বীকার করেন না। সাংখ্য ও নৈয়ায়িক ইহার উভয়েই মনকে ইঞ্জিয় বলিয়া সিদ্ধাস্ত করিয়াছেন। পাতঞ্জল-দর্শনে লিখিত আছে, ‘ৰোগশ্চিত্তবৃত্তিনিরোধ: ’ পাতঞ্জল স্ব• ১২ ) চিত্ত অর্থাৎ মনোবৃত্তি সমুহকে ক্ষদ্ধ করার নাম যোগ। মনের বৃত্তিসমুহকে নিরেuা করিতে না পাfরলে যোগ অসম্ভব। { যোগ দেখ । ] মনের বৃত্তির বিষয় একটু আলোচমা করিয়া দেখা যাউক, মনোবৃত্তি অসংখ্য, স্বতরাং এক একটা করিয়া গণিতে গেলে শেষ হয় না, মনস্তত্ববিদ যোগীদিগের মতে মনোবৃত্তি অসংখ্য হইলেও তাহার অবস্থাiবভাগ অসংখ্য নহে। মানবদিগের মানসিক অবস্থা পাচ প্রকারের অধিক নহে—গিগু, মুঢ়, বিক্ষিপ্ত, একাগ্র ও নিরুদ্ধ এই পাচ প্রকার মনের বৃত্তি ৰ৷ অবস্থা । মনের ক্ষিপ্তাবস্থা—ক্ষিপ্ত অর্থে পাগল নহে, মনের অস্থিরতা অর্থাৎ চঞ্চলাবস্থার নাম গিধাবস্থা । মন যে স্থির থাকে না, এক বিষয়ে নিবিষ্ট থাকে না, ইহা হউক, উহ হউক করিয়া সৰ্ব্বদাই অস্থির হয়, জলেীকার স্থায় একটা ছাড়িয়া অপ্ত একট, সেট ছাড়িয়। আর একটা গ্ৰহণ করিবার জষ্ঠ ব্যতিব্যস্ত হয়, তাহহে তাহার ক্ষিপ্তাবস্থা। স্থল তাৎপৰ্য্য এই যে, বাহ বস্তুর আকাঙ্ক্ষায় অস্থির থাকাহ মনের চিও বস্থা । মনের মুঢ়াবস্থা—মন যখন কীৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য অগ্রাহ করিয়া কাম-ক্রোধাদির বশীভূত হয় এবং নিপ্রতিস্থাদির অধীন হয়, আলস্তাদি বিবিধ তমোময় বা অজ্ঞানময় অবস্থায় নিমগ্ন থাকে, তখন তাছাকে মূঢ়াবস্থ কহে । মনের বিক্ষিপ্ত অবস্থা—ধিfক্ষপ্ত অবস্থার সহিত পুর্গোক ক্ষিপ্তাবস্থার অত্যন্ত্রই প্রভেদ আছে। প্রভেদ এই ধে,—f৮৫৫৪ পুরোক্ত প্রকার চাঞ্চল্যের মধ্যে গণিক স্থিত, অর্থাং মন চঞ্চলস্বভাব হইলেও সে যে মধ্যে মধ্যে স্থর হয়, সেই স্থির হওয়ার নামই বিক্ষিপ্তাবস্থা । মন যখন দুঃখজনক বিষয় পরিত্যাগ করিয়া সুখজনক বস্তুতে স্থির হয়, চিরাভ্যস্ত চাঞ্চণ্য পরিত্যাগ করির ক্ষণকালের জন্য নিরবলম্বতুল্য হয়, অথবা
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/১১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।