পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনস্ । s

  • .

裙 粵 গুণের আচ্ছাদক তমোগুণের উদ্রেক অবস্থাকেই আমরা নিদ বলি। তমঃ বা অজ্ঞান পদার্থই নিদ্রাবৃত্তির আগম্বন। যখন তমোময় অর্থাৎ অজ্ঞানময় নিদ্রাবৃত্তির উদয় হয়, তখন সৰ্ব্বপ্রকাশক সত্ত্ব গুণটা অভিভূত থাকে। সুতরাং তৎকালে কোনও প্রকার প্রকাগু বস্তুর প্রকাশ থাকে না। সেই জন্তই লোকে বলে, ‘লামি নিদ্রিত ছিলাম, আমার জ্ঞান ছিল না । বস্তুতঃ তাহার কোনও জ্ঞান ছিল না, এরূপ নহে, অজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞানী ছিল । সেই জন্যই সে নিদ্রা ভঙ্গের পর, তৎকালে অজ্ঞান বৃত্তিকে স্মরণ করিয়া থাকে। নিদ্রাকালে অজ্ঞানময় বা তমোময় বৃত্তি অনুভূত হইয়াছিল বলিয়াই নিদ্রাভঙ্গের পর তাহা তাহার স্মরণ হয়, এবং সেই স্মরণের দ্বারাই নিদ্রার বৃত্তিত্ব নির্ণয় হয়। মনের স্মৃতি নামক বৃত্তি ।—বস্তু একবার অনুভূত অর্থাৎ প্রমাণ বৃত্তিতে আরূঢ় হইলে তাহ। আর যায় না, সংস্কাররূপে প্রতিষ্ঠিত থাকে। সেই থাকারই নাম স্মৃতি । তাৎপৰ্য্য এই যে, জাগ্রত অবস্থায় যাহা দেখা, শুন বা অনুভব করা যায়, চিত্তে তাহার সংস্কার আবদ্ধ হয় । উদ্বোধক উপস্থিত হইলেই সেই সংস্কার বা শক্তি বিশেষ প্রবল হইয়া চিত্ত্বে সেই পূৰ্ব্বাসুভূত বস্তুর স্বরূপ পুনরুদিত করিয়া দেয় । সেই সকল সমুদিত মনোবুপ্তির নাম স্থতি বা স্মরণ । এই পাচ প্রকার ভিন্ন, মনের আর কোন প্রকার বৃত্তি নাই । এই পাচ প্রকার মনোবৃত্তিকে রুদ্ধ করিতে পারিলেই সংসার-দুঃখের অবসান হয় । অভ্যাস ও বৈরাগ্য দ্বারা এই মনোবৃত্তি নিরোধ করা যায়। নচেৎ মনোবৃত্তি নিরুদ্ধ হইবে না । ( পাতঞ্জলদশম ) বৈথাকশাস্ত্ৰে মনের উৎপত্তি ও ধৰ্ম্মাদির বিষয় এইরূপ লিথিত আছে,—ত্রিগুণাত্মক মহত্তত্ব হইতে ত্রি গুণান্বিত অহঙ্কার উৎপন্ন হয় । এই অহঙ্কার ও তিন প্রকার, সাত্ত্বিক, রাজমিক, ও তামসিক। রাজস অহঙ্কারের সহিত সাত্ত্বিক অহঙ্কার হইতে ইন্দ্রিয় সকল উৎপন্ন হয়। এই ইঞ্জিয় একাদশ,—পঞ্চ জ্ঞানেঞ্জিয়, পঞ্চ কৰ্ম্মেন্দ্রিয় ও মন। মন আশ্রয় করিয়া হস্ক্রিয়সমুহ স্বকার্য্যে প্রবত্তিত হয়, এই জন্ত মনকে বুদ্ধীন্দ্রিয় ও কৰ্ম্মেন্দ্রিয় এই উভয় ইন্দ্রিয়ই কহে। মনের বিষয় জ্ঞান। মনকে আশ্রয় না করিয়া কোন ইন্দ্ৰিয়ই কাৰ্য্য করিতে পারে না। চক্ষুঃ কর্ণাদি যে কোন ইঞ্জিয় কার্য্যে প্রবৃত্ত হইলে মনই তাহাদের প্রধান সহায় । ত্রিগুণাত্মিক প্রকৃতি হইতে যখন মন উৎপন্ন, তখন সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিকভেদে মনও তিন প্রেকার। লাৰিক মনের লক্ষণ— IXᎥᎳ ১১৩ ] Հ* মনস্ “আস্তিক্যং প্রবিভজ্য ভোজনমমুত্তাপশ্চ তথ্যং বচো মেধাবুদ্ধিধৃতিক্ষমাশ্চ করুণা জ্ঞানঞ্চ নির্দিস্ততা । কৰ্ম্মানিদিতমপূহঞ্চ বিনয়ো ধৰ্ম্মং সদৈবাদরাদেতে সত্ত্বগুণান্বিতস্ত মনসে গীত গুণ জ্ঞানিভিঃ ॥”. ( ভাবপ্র০ প্রথমথ• ) আস্তিক্য, মোক্ষ ও পরলোকাদিতে শ্রদ্ধা, সদসদ বিবেচনাপুৰ্ব্বক ভোজন, অক্রোধ, সত্যবাক্যগ্রয়োগ, মেধা, বুদ্ধি, ধৃতি, কাম, ক্রোধ ও লোভাদিতে অগ্রবৃত্তি, ক্ষমা, করুণা, আত্মতত্ত্বজ্ঞান, কপটাভাব, অনিন্দিত কৰ্ম্মাচরণ, অস্পৃহা, বিনয় এবং যত্নপূর্বক ধৰ্ম্মানুষ্ঠান, এই সকল সাত্বিকমনের কার্য্য। যাহাদের মন সত্বগুণম্বিত, তাহার এই সকল কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করেন । রাজসিক মনের লক্ষণ— “ক্রোধস্তাড়নশীলতা চ বহুলং দুঃখমুখেচ্ছাধিক। দম্ভ: কামুকতাপালাকবচনং চাধীরতা দুস্কৃতিঃ । ঐশ্বৰ্য্যাদভিমানিতাতিশল্পিতানন্দোহধিকাশচাটনযু প্রখ্যাত হি রজোগুণেন সহিতস্তৈতে গুণাশ্চেতস: ॥” (ভাবপ্র• পুৰ্ব্বখ• ) ক্রোধ, তাড়নশীলতা, অত্যস্ত দুঃখ ও মুখেচ্ছ, দন্ত, কপটত, কামুকতা, মিথ্যাবাক্যকথন, অধীরতা, অহঙ্কার, ঐশ্বৰ্য্যে অতিশয় অভিমানিত, অধিক আননা ও পরিভ্রমণ, এই সকল রাজসিক মনের লক্ষণ। যাহাদের মন রজোগুণান্বিত, তাহারা এই সকল কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হয়। তামসিক মনের লক্ষণ— “নাস্তিক্যং সুবিষন্নতাতিশয়িতালস্তঞ্চ দুষ্ট মতি: "প্রতিনিন্দিতকৰ্ম্মশৰ্ম্মণি সদা নিদ্ৰালুতাহনিশম্। অজ্ঞানং কিল সৰ্ব্বতোহপি সততং ক্রোধান্ধতা মুঢ়তা . প্রখ্যাত। হি তমোগুণেন সহিতস্তৈতে গুণাশ্চেতস: ॥” (ভাবপ্র০ পুৰ্ব্বথ• ) নাস্তিকতা, অতিশয় বিষমভাব, অধিক আলস্ত, দুষ্টবুদ্ধি, সৰ্ব্বদা নিন্দিতকৰ্ম্মজনিত মুখে গ্ৰীতি, দিবানিশি নিদ্ৰালুতা, সৰ্ব্বথা অজ্ঞানত, সৰ্ব্বদা ক্রোধ ও মুখত এই সকল তামসিক মনের লক্ষণ । যে সকল ব্যক্তির মন তমোগুণাস্থিত, তাহার এই সকল কৰ্ম্মামুষ্ঠান করিয়া থাকে। জীবাত্মা মনোযুক্ত হইয়াই পাপ, পুণ্য, সুখ, দুঃখ প্রভৃতি অনুভব করিয়া থাকে। ইচ্ছা, দ্বেষ, দু:খ, স্বথ, বিষয়ঙ্কান, প্রযত্ন, সংকল্প, বিচারণ, স্থতি, বুদ্ধি, কলাবিজ্ঞতা, প্রাণৰায়ুর উদ্ধ নয়ন, অপান বায়ুর অধঃপ্রেরণ, নয়নের উন্মীলন ও নিমীলন এবং কৃত্যকরণোৎসাহ এই সকল গুণ মনোযুক্ত জীৰে অবস্থিতি করে । ( ভাবপ্ল" ) t" অহঙ্কার হইতে একাদশ ইঞ্জিয়ের উৎপত্তি হয়। প্রত্যেক