মনু - [ ১২৮ ] মনু দেবগণের দিব এবং দক্ষিণায়ন রাত্রি। দেৱতাদিগের দশ বৎসরে মন্থর এক অহোরাত্র, উহার দশগুণে মন্থর এক পক্ষ, উছার দশগুণে এক মাস, ঐরূপ দ্বাদশ মাসে এক ঋতু, তিন ঋতুতে এক অয়ন, দুই অক্সনে এক বৎসর হয়। ইহার চারি সহস্ৰ বৎসর সত্যযুগের পরিমাণ, চারিশত বৎসর সন্ধ্যা, ও চারিশত বৎসর সন্ধ্যাংশ, তিন হাজারবৎসর ত্রেত, ইহার সন্ধ্য ও সন্ধ্যাংশ তিন শত বৎসর, দ্বাপর যুগের পরিমাণ দুই সহস্ৰ বৎসর, সন্ধ্যা ও সন্ধ্যাংশ দুই শত বৎসর, কলিযুগের পরিমাণ এক সহস্ৰ বৎসর, ইহার সন্ধ্য ও সন্ধ্যাংশ শত বৎসর। ইছারই একসপ্ততি যুগ এক এক মন্থর ভোগকাল। এই মন্থর ভোগকালই মন্বস্তর নামে অভিহিত। এইরূপে এক মন্থর কাল অতীত হইলে অপর মঙ্গু হইয়া থাকে। এইরূপে ৰখন চতুর্দশ মন্থর ভোগকাল শেষ হয়, তখনই এক কল্প শেষ ছই। থাকে। (হরিবংশ ৭-৯ অ• ) [ यन्नांछ दिवग्नर्न भवख्द्र cनथ ] হিন্দুশাস্ত্রে মানবজাতির আদিপুরুষ বলিয়া সৰ্ব্বশুদ্ধ চতুর্দশ মন্থর উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রত্যেকে এক এক মন্বস্তর অর্থাৎ ৪৩২০ • • • তেতাল্লিশ লক্ষ কুড়ি সহস্ৰ বৎসর কাল পৃথিবী শাসন কল্পিয়াছিলেন। উপরে স্বায়ভুবাদি চতুর্দশ মমুর নামোল্লেখ করা হইয়াছে। ইহাদের মধ্যে সপ্তম বৈবস্বত মমুর বর্তমান অধিকার। ইনি স্বীয় ধাৰ্ম্মিকতার জন্ত পুরাকালে ঈশ্বরের বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করেন। ঐ সময়ে জগদবাসী সকলে অধৰ্ম্মাচরণে লিপ্ত হইয়াছিল। শতপথব্রাহ্মণে মহাপ্রলয়ের বিস্তারিত বিবরণ আছে, তৎপ্রসঙ্গে মসুরও উপাখ্যান কীর্তিত হইয়াছে। প্রলয়ের বিষয় তিনি পূৰ্ব্বেই মৎস্ত কর্তৃক অবগত হইয়াছিলেন। মৎস্তরূপী ভগবান তাহাকে একখালি জাহাজ নিৰ্ম্মাণ করিয়া আত্মরক্ষা করিতে উপদেশ দেন। পুৰ্ব্বাদেশ মত সেই মৎস্ত আসিয়া জাহাজ চালনা করে । এই মহাপ্রলয় হইতে মমু পরিত্রাণ লাভ করেন ; পরে তাহ হইত্তে পুনরায় জগতে মনুষ্য জাতির স্বষ্টি হয়। [ মৎস্তাবতার দেখ। ] হিব্রুদিগের নিকট ইনিই নোয় ( Noah ) নামে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন । খৃষ্টধৰ্ম্মশাস্ত্র বাইবেলগ্রন্থে নোয়ার উপাখ্যান আছে। মানৰ-স্বষ্টি ও তারক্ষণকল্পে ভগবান কএকজনু পেটিয়ার্ক ( প্রজাপতি ) নিযুক্ত করেন । নোয়ু তন্মধ্যে একজন। ইনি লামেকের ( Lamech ) পুত্র । ৯৫ • বৎসর ইছার জীবনকাল বলিয়। কথিত আছে। ৫ শত বৎসর জীবন-যাপনের পর, লোয়া শুাম, হাম ও জাফেথ নামে তিন,পুত্র লাভ করেন। এই সময়ে প্রজাবৃদ্ধিবশতঃ ধরা ভারাক্রান্ত হইয় পড়ে। নরমারীগণের প্রেমোন্মাদ, কামুকতা, পরস্পরে ঈর্ষা ও ঈশ্বরে অনচুরক্তি-প্রযুক্ত সমগ্র ধরাবাসী আসুরিক-ভাব ধারণ করিয়াছিল। জগদীশ্বর এই বৈলক্ষণ্য দেখিয়া পাপপ্রবাহ প্রশমনের জন্য জগদ্বিনাশে কৃতসংকল্প হইলেন। তিনি একমাত্র কৃপাপাত্র ও ভক্ত নোয়াকে জীবধ্বংসের সূচনা জানাইয় তাহাকে মোক। (Ark ) নিৰ্ম্মাণ দ্বারা আত্মরক্ষার উপদেশ দিলেন। নোয় তাহার আদেশক্রমে জাহাজমধ্যে জগতের যাবতীয় পদার্থ সংস্থাপনপূর্বক সপরিবারে আরোহণ করিলেন। ক্রমে প্রলয়প্লাবনে ধরা পরিপ্লুত হইয়া গেল। নোয়ার জাহাজ ধীরে ধীরে ঈশ্বর-কৃপায় আরারাষ্ট্ৰ গিরিশৃঙ্গে আসিয়া সংলগ্ন হইল । এখানে অবতীর্ণ হইয়া তিনি সপরিবারে ঈশ্বরের তৃপ্তির জন্য যজ্ঞারম্ভ করিয়াছিলেন। জগদীশ্বর তাহার পূজায় তৃপ্ত হইয়া আশ্বাসবাক্যে তাহাকে অভয়দান করেন। মহাপ্লাৰনের পর, তিনি প্রায় ৩৫০ বৎসর জীবিত থাকিয় ধরাধামে প্রজাবৃদ্ধি করিয়াছিলেন । ( Genesis v-Ix ) বিভিন্ন প্রাচীন জাতির নিকট নোয়া ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন । ঐ সকল জাতির ধৰ্ম্মগ্রন্থই তাক সপ্রমাণ করিতেছে । বালবেক-বাসীদিগের মতে কেল্লাক (Kerak) গ্রামের দক্ষিণাংশে বেকায় অথবা সিলো-সিরিয়ার সমতলক্ষেত্রে নোয়ার সমাধি-মন্দির বিদ্যমান আছে। তাহার সমাধিস্থানের উপর ১০ ফিট লম্বী, ৩ ফিট প্রশস্ত এবং ২ ফিট উচ্চ একটা প্রস্তর-স্তম্ভ গ্রথিত রহিয়াছে। উক্ত সমাধি-মন্দিরট প্রায় ৬০ ফিট উচ্চ । এই সুবৃহৎ অট্টালিকার গঠনকার্য্যও নিতান্ত মন নছে । ইহা সাধারণের নিকট একটি তীর্থক্ষেত্ররূপে পরিগণিত। নোয়ার সমাধির ৪ মাইল অদূরে হার্মিস্ fāstā (Hermes Nicha) sw-xf73 gè Ex i etfel নিকা গ্ৰীক এবং রোমকদিগের নিকট জলদেবতা (Mercury) ৰলিয়া পূজিত । বাইবেল গ্রন্থের নোয়া, মুসলমানদিগের নিকট নু (Nuh) নামে পরিচিত। বাবিলন বা কালদিয়ার অধিবাসিগশের বেরোসাসবালী জিগুগুস (xisuthros ) অথবা শিশুগুসের (Sisuthros) সহিত श्रृंडेश**ाय्झांझिषिक নোয় হিন্দুশাস্ত্রোক্ত মন্থর অনেকটা সোসাদৃপ্ত লক্ষিত হয় । हेनिह डिङिग्नांमएमब्र निकt cभोन् (Maues ), झिखिब्रांनएमब्र নিকট নোএ (Noe), এবং গ্রীকদের নিকট দেউকলীৱন ( Deucalion ) Rita zifR I মহাপ্রলয় সম্বন্ধে কালদীয়ান ( Chaldaean ) জাতির যে উপাখ্যান লিপিবদ্ধ অাছে, তাছার সহিত ছিক্ৰ ৰাইৰেলের
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/১২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।