মন্ত্র I শিবমস্ত্রে দুগ্ধ দ্বার। তৰ্পণ করিতে হইবে। অভিষেকও এইরূপ প্রণালীতে করিতে হয়। দীপন—“ওঁ ষ্ট্রা শ্ৰী”মন্থে মন্ত্রের দীপ্তি সাধন করিতে হইবে। গুপ্তি—যে মন্ত্র জপ করিবে, তাহ প্রকাশ করিবে না, সৰ্ব্বদা গোপন ভাবে রাখিতে হইবে। এইরূপে মস্ত্রের প্রণালীতে মস্ত্রের সংস্কার করিয়া গ্রহণ করিলে সাধক অভীষ্ট লাভ করে ।* মন্ত্রগ্রহণের পূর্ব দিন গুরু ও শিষ্য উভয়েই সংযত হইয়। থাকিবেন। পরে মন্ত্ৰ লইবার দিন গুরু দীক্ষা-পদ্ধতি অনুসারে শিষাকে মন্ত্র দিবেন। বংশপরম্পরায় এক এক দেবতার উপাসক দেথিতে পাওয়া যায় অর্থাৎ-কোন বংশ কালীমন্ত্র উপাসক, কেহ বা তারামন্ত্র, ইত্যাদি রূপে বিভিন্ন বংশে মহাবিদ্যাদি বিভিন্ন দেবতার উপাসনা প্রণালী প্রচলিত অাছে। বোধ হয়, ঐ ংশের কোন মহাপুরুষ ঐ দেবতার উপাসনায় সিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন, তদবধি তাহার বংশপরম্পরাক্রমে ঐ দেবতার উপাসনা চলিয়া আসিতেছে। এক একটী দেবতার অনেকগুলি বীজ মন্ত্র আছে, গুরু পুৰ্ব্বোক্ত প্রণালী অনুসারে বীজমস্ত্রের মধ্যে কোন বীজমন্ত্র তাহার অমুকুল মন্ত্র হইবে, তাহ স্থির করিয়া শিষ্যকে দিবেন। কিন্তু কুলদেবতা ঠিক রাথিবেন । কুলদেবতা পরিত্যাগ করিয়া অন্ত + "মস্থাণাং মাত্রিকাযন্ত্রাদুদ্ধারো জননং স্মৃতম্। পঙক্তিক্রমেণ বিপিন মুনিভিস্তন্ত্র নিশ্চিতম্ ॥ প্রণবান্তরিতা বৃত্বা মন্ত্রবর্ণন জপেৎ সুধী । প্রত্যেকং শতবারস্তু জীবনং তদুদাঙ্গতম্ ॥ মন্ত্রবর্ণান সমালিখ্য তাড়য়েচন্দনাস্থস । প্রত্যেকং বায়ুবীজেন পুৰ্ববত্তাড়নং মতম্ ॥ দশধ শৃণু দেবেশি তাড়নং পরিকীৰ্ত্তিতম্। বিলিখা মন্ত্রবর্ণাংস্তু প্রস্টনৈ করবারজৈঃ ॥ তন্মন্ত্রবর্ণসংখ্যাকৈণ্ঠস্কাস্ত্রেফেণ বোধনম্। বিলিথ্যাক্ষরসংখ্যাতৈঃ পুষ্পেরক্তহবাদিভিঃ ॥ মন্ত্রবর্ণন বহিনৈকমভিমন্ত্র সত্ত্বৎ সকৃৎ । তত্তন্মস্ত্রোক্তবিধিম৷ অভিষেক: প্রকীৰ্ত্তিতঃ ॥ অখথপন্নবৈঃ সিঞ্চেৎ মন্ত্রী বর্ণার্ণসংখ্যয় । সঞ্চিত মনস মন্ত্ৰং স্বযুদ্ধামূলমধ্যতঃ ॥ জ্যোতিমস্ত্রেণ বিধিবন্দেহম্মলত্ৰয়ং যতিঃ । স্বর্ণেন কুশতোয়েন পুষ্পতোয়েন বা খবা । তেন মন্ত্রেণ বিধিবদাপ্যায়নবিধিঃ কুতঃ। মন্ত্রেণ বারিণী যন্ত্ৰে তৰ্পণং তৰ্পণং মতম্। মধুৰ শক্তিমন্ত্ৰেষু বৈষ্ণবে চেলুমন্ত্ৰলৈঃ। শৈৰে ত্বতেন যুদ্ধেন তৰ্পণং সমাগীরিতম্ব।” ইত্যাদি। (অগ্রসার ) ১৪৮ ] মন্ত্র দেবতার মন্ত্রগ্রহণ কুরিলে সিদ্ধি হয় না। এইজন্ত সৰ্ব্বদাই কুলদেবতার প্রতি ভক্তিযুক্ত হওয়া বিধেয়। মন্ত্রগ্রহণে শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত প্রভৃতির ভেদবুদ্ধি বিবেচনা করা সঙ্গত নহে। ইহার মধ্যে যে কোন দেবতার মন্ত্রগ্রহণ করা যাউক না কেন, ভক্তিপূৰ্ব্বক উপাসনা করিলে তাহাতেই সিদ্ধি হইবে। কালী তারাদিনামে পৃথক হইলেও উহ। বস্তুত: পৃথক নহে, এক ; কেবল সাধকদিগের হিতের জন্য মহামায়া নানারূপ ধারণ করিয়াছেন। “ধ্যায়ন্তি তং বৈষ্ণবাশ্চ কৃষ্ণং শু্যামলসুন্দরম । কেচিচ্চতুভূজং শান্তং লক্ষ্মীকান্তং মনোহরম্ ॥ ত্রিশূলধারিণং কেচিৎ পঞ্চবক্তং দিগম্বয়ম্। নানারূপঞ্চ পশুস্তি ধ্যানামুসারতশ্চ যাম্ ॥ স। দেবী প্রকৃতিব্ৰহ্মা তেজোমগুলবাসিনী। কেবলং প্রকৃতিশ্চৈক দৃশুতে ভক্তিযোগতঃ ॥ ভিদ্যতে স৷ কতিবিধা স্বৰ্য্যে দর্পণসন্নিধেী । , আকাশে ভিস্ততে যাদৃক ঘটস্থাদিস্তথা চ সা ॥ একৈব স৷ মহাবিদ্যা নামমাত্ৰং পৃথক পৃথক্ । চিতিরূপ। মহামায়। পরব্রহ্মস্বরূপিণী ॥ সেবকামুগ্রহার্থায় নানারূপং দধার সা।” ইত্যাদি । ( হরতত্ত্বদীধিতিধৃত তন্ত্রবচন ) অমুক ‘কালীমন্ত্র’ গ্ৰহণ করিয়া সিদ্ধি লাভ করিয়াছে, আমি ঐ মন্ত্রগ্রহণ করিলে সিদ্ধ হইতে পারিতাম, সাধকের এইরূপ ভাবনা সৰ্ব্বতোভাবে নিষিদ্ধ। যাহার যে কুল-দেবতা আছে, সেই দেবতার মন্ত্রগ্রহণই তাহার পক্ষে শুভকর। সাধক যদি দৈববশতঃ অনেকগুলি মন্ত্র লাভ করে, তাহ। হইলে সেই সকল দেবতারই পূজাদি করিতে হইবে এবং ঐ সকল দেবতার মধ্যে যে দেবতার প্রতি তাহার ভয় হইবে, তাহার মন্ত্রাদি জপ করাই বিধি । “অথ দৈবাৎ গৃহীতবহুমন্ত্রসাধকস্ত ইতি কৰ্ত্তব্যতামাহ, সময়াচারতন্ত্রে অষ্টমপটলে— বহুমন্ত্রী যদা দেবি সাধকে দৈবযোগতঃ। তস্ত কস্ত জপং কুৰ্য্যাৎ পুজনাদিকমেব চ। সৰ্ব্বদেবনমস্কারং নিত্যং কুৰ্য্যাৎ প্রষত্নতঃ। জপাদিকন্তু তস্তৈব যত্র শঙ্কা প্রজায়তে ॥” (হয়তৰদীধিতি) ७ङ्ग त्रिशारक मञ्जु निम्न शनि cनश्वास्त्रद्र श्रंभन काब्रन, वा उँाशब्र भृङ्गा श्ञ यद९ शिशा पनि श्ब्रश्डेबभङः निस्रभञ्ज বিশ্বত হয়, তাহা হইলে শিষ্য প্রথমে গুরুপুত্রকে ডাকাইয়া মন্ত্রৰিস্থতির কথা নিবেদন করিবে এবং গুরুপুত্রও সেই দেৰতার সমস্ত মন্ত্র উচ্চারণ করিবেন ; লমস্ত মন্ত্র গুলিয়া শিব্যের
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/১৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।