মন্দরগিরি [ s७१ ] t মন্দশোর - এতদ্ভিন্ন এই পাহাড়ে অনেক স্বাভাবিক ও মনুষ্য-কৃত কৌতুহলজনক পুরাকীর্তির ভগ্নাবশেষ রহিয়াছে। ইহার পাদদেশে ২১ মাইল ব্যাপিয়া কয়েকটা পুষ্করিণী আছে, এতদ্ভিন্ন অট্টালিকা ও প্রস্তরের প্রতিমূৰ্ত্তিও অনেক দেখা যায়। ইহা দ্বারা অনুমান হয় যে, বহুকাল পূৰ্ব্বে এখানে একট নগর ছিল। এই নগ্নয় সম্বন্ধে এইরূপ কিম্বদন্তীও আছে যে, এই নগরে ৫২ট বাজার ও ৫৩টা গলি ছিল। ইহা ব্যতীত ৮৮টা পুকুর ছিল। মন্দরগিরির পদ প্রান্তে ভগ্নাবস্থায় একটা মন্দির আছে। ইহার দেয়ালের গায়ে অসংখ্য চতুষ্কোণ গৰ্ত্ত রহিয়াছে। প্রবাদ, দেওয়ালি উৎসবের সময় প্রত্যেক গৃহস্থই গৰ্ত্তে এক একটা দীপ দান করিত। ইহার অনতিদূরে আর একটা ভগ্ন অট্টালিকা বর্তমান । কেহ কেহ বলেন, ইহ চোলরাজের প্রাসাদ । এই অট্টালিকা হইতে কিঞ্চিৎ দূরে প্রস্তরনিৰ্ম্মিত একটা বারেন্দা আছে। ইহার উপর সংস্কৃত ভাষায় লিখিত একথও শিলালিপি দৃষ্ট হয়। উক্ত শিলালিপি পাঠে জানা যায়, ২৭৭ বৎসর পুৰ্ব্বে এই নগরের সমৃদ্ধি বর্তমান ছিল। বর্তমান কালে পোষসংক্রান্তির দিন মধুসূদনের প্রতিমূৰ্ত্তি নগর হইতে পাহাড়ের নিকট লইয়! যাওয়া হয় । এই সময়ে প্রায় ৩e॥৪• হাজার লোক নানা দেশ হইতে এই স্থানে সমবেত ছইয়া এই উৎসবে যোগদান করে। এই উৎসব উপলক্ষে এখানে ১৫ দিন পর্য্যন্ত মেলা হইয়া থাকে। কাঞ্চীপুরের চোলরাজ । ব্যাধিগ্রস্ত হইয়া সকল তীর্থ পৰ্য্যটন করেন ; কিন্তু কিছুতেই আরোগ্য লাভ করিতে পারেন নাই ; অবশেষে ইহার নিকটবৰ্ত্তী কোন পুষ্করিণীর জলে স্নান করিয়া ব্যাধিমুক্ত হন, এই জন্য সেই পুষ্করিণী পাপহারিণী নামে খ্যাত হইয়াছে। প্রবাদ, ব্রহ্ম। এখানে লক্ষ লক্ষ বৎসর ভগবানের তপস্ত করিয়াছিলেন। তপস্তান্তে একটা গুপারি ও অন্যান্য জিনিস যজ্ঞাগ্নিতে নিক্ষেপ করেন। ঐ গুপারি গড়াইল্প নিম্নস্থ হ্রদ মধ্যে পতিত হয়। ঐ যজ্ঞিয় গুপারিপ্রভাবে হ্রদ পুণ্যতোয় হয় ও তাহাতে স্নান করিয়াই রাজার ব্যাধি দুর হইয়াছিল। নিকটবৰ্ত্তী গ্রামবাসীর স্বগ্রাম হইতে মৃতদেহ আনিয়া পাপহারিণীর জলে নিক্ষেপ করে। মন্দরপৃঙ্গের নিকট একটা বোন্ধ-মন্দির আছে। জৈনের ইহাকে বিশেষ পবিত্র মনে করেন। এখানে সীতাকুণ্ড নামে ১•• ফিন্টু দীর্ঘ ও ৫• ফিটু বিস্তৃত একটা দীর্থিক আছে। প্রবাদ, গীত ও রাম অরণ্যবাসকালে এটখানে ছিলেন এবং সীতা উহাতে অবগাহন করায় উহার সাভাকুও নাম হয়। অনেক পণ্ডিত বলেন, কালাপাহাড় সমস্ত দেবদেবীর T মূৰ্ত্তি ধ্বংস করিতে করিতে মন্দরগিরিতে উপস্থিত হইবার পূৰ্ব্বেই মধুসুদন সীতাকুণ্ড মধ্যে প্রবেশ করেন এবং মাটীর ভিতর দিয়া ভাগলপুরের নিকটবর্তী কাজরাণী হ্রদে গিয়া উপস্থিত হন। অবশেষে একজন পাণ্ডার প্রতি স্বপ্নাদেশ হওয়ায়, পাও পুনরায় মধুসূদনকে মন্দরে আনিয়া নুতন মন্দিরে স্থাপিত করেন । সীতাকুও হইতে কয়েক ফিটু উদ্ধে শম্বকুও নামে আর একট প্রস্রবণ অাছে। শঙ্খ নামে এক রাক্ষস এই জল মধ্যে বাস করিত বলিয়। ইহার নাম শঙ্খকুও হয়। এই শম্বের দৈর্ঘ্য ৩ ফিট এবং বিস্তার ১ ফুট। মহাভারতে কথিত আছে, এই শঙ্খাস্বরের দেহ হইতেই পাঞ্চজন্য শঙ্খ প্রস্তুত হয় । এতদ্ভিন্ন এখানে আকাশগঙ্গা নামে মার একট প্রশ্রবণ আছে । মনারগিরির গহবরে প্রস্তরখোদিত অনেক প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। তন্মধ্যে নরসিংহরূপধারী বিষ্ণুমূৰ্ত্তিই শ্রেষ্ঠ । বরাহপুরাণ হইতে জানা যায়, ভগবানূ বিষ্ণু শিবের পুত্র স্কমোর নিকট বলিয়াছিলেন যে,মনার সমস্ত তীর্থ হইতে শ্রেষ্ঠ । এই স্থানে লক্ষ্মী বিষ্ণুর সহিত সৰ্ব্বদা বিরাজমান রহিয়াছেন। এতদ্ভিন্ন অনেক যোগী ঋষি এখানে বাস করিয়া থাকেন। [ অপর বিবরণ মন্দর শব্দে দ্রষ্টব্য ] মন্দরহরিণ (পুং) জন্থদ্বীপের আটটি উপদ্বীপের অন্তর্গত একটা দ্বীপ । মন্দরায়, মোগল-রণতরীর জনৈক অধ্যক্ষ। খৃষ্টীয় ১৬০২ অন্ধে বাঙ্গালার অন্তর্গত শণদ্বীপ লইয়। পর্তুগীজদিগের সহিত মোগলদের যে যুদ্ধ হয়, সেই যুদ্ধে মন্দরায় নিহত হন। মন্দবিষ (ত্রি ) ১ বিষহীন। ২ অত্যন্ত্র বিষবিশিষ্ট । মন্দাবসপিন (ত্ৰি ) মন্দ মন গমনশীল। মন্দশোর, মধ্যভারতের অন্তঃপাতী গোয়ালিয়ার রাজ্যের একটা নগর। চম্বল নদীর একটি শাখার তীরে অবস্থিত। উজ্জয়িনী হষ্ট ত উত্তরপশ্চিমদিকে প্রায় ৮• মাইল দূরবর্তী। মহারাষ্ট্রপিন্ধারি যুদ্ধের পর মন্দশোরে হোলকর ও ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্টের সন্ধি হয় (১৮১৮ খৃঃ অধ্য) । মনাশোরে একট রেলওয়ে ষ্টেসন ও মুসলমান রাজাদের আমলের একটা প্রস্তরময় কুষ্ট্ৰেপ্ত দুর্গ আছে। সাধারণ লোকে মন্দশোরকে দশোর’ বগিয়া থাকে। ইহাই রক্তিদেবের রাজধানী স্বপ্রাচীন দশপুর । এই নগরে কুমারগুপ্ত এবং বন্ধুবৰ্ম্মার একখণ্ড শিলালিপি আছে । ইহাতে বর্ণিত আছে যে, কয়েকজন রেশমৰ নিৰ্ম্মিত কি প্রকারে লাটবিষয় হইতে স্থানস্তরে উপনিবেশ স্থাপন করেন। পরে কুমারগুপ্তের
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/১৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।