भशब्राप्ले | 88° } भश्iद्भtछे। থ" বলেন—“সস্তাঞ্জী মোগল সর্দায়দিগকে অতীব জর্জরিত করিয়া তুলিয়াছিলেন। তাছার সন্মুখীন হইয়া কোনও মোগলসৈনিক জীবিত অবস্থায় প্রত্যাবৃত্ত হইতে পারিতেন না। বড় বড় মোগল যোদ্ধা ও তাহার সম্মুখীন হইতে ভীত হইতেন। তাহার সহিত যুদ্ধে জয়লাভ করিতে পারে, এমন সর্দার মোগল পক্ষে কেহ ছিল না।” সস্তাজী একবার প্তেনবৎ বেগে আসিয়৷ মোগল-সম্রাটের বস্ত্রাবাস আক্রমণ ও তদুপরিস্থিত সুবর্ণ-কলস হরণ করিয়া প্রত্যাবৃত্ত হইয়াছিলেন । সে সময়ে অরঙ্গজেব তাম্বুতে ছিলেন না বলিয়া রক্ষা পাইয়াছিলেন। ধনাত্নী ও সামান্ত বীরত্ব প্রকাশ করেন নাই । তাহার নাম মোগল তুরঙ্গদলেরও ভাতির স্থল হইয়া উঠিয়াছিল । এমন কি, কথিত আছে, তাহার নাম কর্ণগোচর হইলে মোগুল অশ্ব চমকিয়। জলপান পরিত্যাগ করিত । এদিকে ভীমাতারে বাদশাহী সৈন্ত শিবির সন্নিবেশ করিয়া বিশ্রামের ব্যবস্থা করিলে ধনঞ্জী ও সস্তাজী প্রভৃতি মহারাষ্ট্র বারের দক্ষিণে কর্ণাট হইতে উত্তরে খানদেশ পৰ্য্যন্ত সমস্ত দেশে বিপ্লব উপস্থিত করিয়া একে একে সমস্ত মোগলথানাগুলি অধিকার কল্লিতে লাগিলেন । বিশাল মোগলসৈন্ত ক্ষিপ্রগতিতে ইহাদিগের পশ্চাদ্ধাধন করিতে না পারিয়া কর্ণাটকে রাজারামকে ধরিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। তদুপলক্ষে ডভের নামক স্থানে ১৬৯৪ খৃষ্টাব্দে উভয়পক্ষে ঘোরতর সংগ্রাম ঘটে। সস্তাজীর সহিত যুদ্ধে মোগল সর্দার কাসম খ"াকে প্রাণ হারাহতে হয়। অন্যদিকে বাদশাহী সৈন্য জুলফকার খার অধীনতায় জিঞ্জি দুর্গ অবরোধ করিয়াছিল। পাচ বৎসল্প কাল অবরুদ্ধ অবস্বায়ু অতিবাহিত করিয়া ও রাজারাম ও তাহার সহচরগণ পরাভব স্বীকার করিলেন না। পরিশেষে বাদশাহ জিঞ্জি অধিকার বিষয়ে অতি কঠোর আদেশ প্রেরণ করিলে মোগলসৈন্য প্রাণপণে যুদ্ধ করিয়া জিঞ্জি অধিকার করিল। কিন্তু দুৰ্গে প্রবেশ করিয়৷ डाशबा'cनविन, রাঞ্জারাম ও তদীয় সচিবগণ তৎপূৰ্ব্বেই দুর্গ হইতে পলায়ন করিয়াছেন। (১৬৯৮খুঃ) রাঞ্জারাম জিঞ্জি হইতে পলায়নপুৰ্ব্বক মহারাষ্ট্রে প্রত্যাবৃত্ত হইয়। সাতারায় রাজধানী স্থাপন করিলেন। তথা হইতে সকল সদ্ধারকে সঙ্গে লইয়। তিনি মোগলদিগের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্র করিলেন । এই অভিযানের ফলে উত্তর মহারাষ্ট্রের যে সকল প্রদেশ মোগলদিগের শাসনাধীন ছিল, তাহা হইতে মহারাষ্ট্রীয়দিগের প্রাপ্য চোখ ও সত্বদেশমুখী আদায় হইল। এই সময়ে ১৭•• খৃষ্টাব্দে রাজারামের মৃত্যু ঘটিল। কিন্তু এই দুর্ঘটনাতেও মহারাষ্ট্ৰীৱগণ বিচলিত হইলেন না। पूर्डीब्र ১৯৮• অন্ধ হইতে ১৭০০ খৃঃ অঙ্গ পৰ্য্যন্ত বিংশ বৎসরের মধ্যে একে একে শিরাজী, সাস্তাঙ্গী ও রাজারাম লোকান্তরিত হইলেন ; তথাপি মরাঠাগণের উৎসাহ ও উৎকর্ষের কিছুমাত্র হ্রাগ হইল মা ।
- ছিন্নোহপি রোহুতি তরুশচন্দ্রঃ ক্ষীণোইপি বৰ্দ্ধতে ।” এই দ্যায়ানুসারে মরাঠাগণের অধ্যবসায় ও বিক্রম দিন দিন বাড়িতে লাগিল । ধনাজী ও রামচন্দ্র পস্তপ্রমুখ মই। রাষ্ট্রীয়গণ মোগলদিগকে কিছুতেই নিশ্চিন্ত হইতে দিলেন না। তাহাদিগের আকস্মিক আবির্ভাব ও তিরোভাব, শীতওঁীষ্মবর্ষায় সমান উৎসাহ, ক্ষুধা, তৃষ্ণ ও বিশ্রামের প্রতি অমনোযোগ ও দুৰ্ব্বার সমরোদ্যম প্রভৃতি দর্শনে স্তম্ভিত হইয়া মোগল সেনানীগণ বলিতে লাগিলেন, “মরহট্টে লোগ আদমি নেছি হায়—এতে ভূতখান হায়!” ইহার পর বাদশাহ স্বয়ং কিছু দিন মরাঠাদিগের বিরুদ্ধে অভিধান করিলেন, কিন্তু তাহাতেও
কোন ও ফললাভ হইল না । মহারাষ্ট্রীয়দিগের কাগান্তক মুষ্ঠির সংহার হইতেছে না দেখিয়া মোগলগণ অগত্য পশ্চাৎপদ হইতে বাধ্য হইলেন। কিন্তু মরাঠাদিগের বিক্রমে পলায়নও তাহাদিগের পক্ষে অতীব বিঘ্নকর হইয়া উঠিল। বৃদ্ধ সম্রাটু নিরুপায় হইয়। হতাশদ্বদয়ে পথিমধ্যে "বৃথায় জন্ম গেল” বলিয়। প্রাণত্যাগ করিলেন ( ,; ১৭০৭ ফেব্রুয়ারি ) ! দক্ষিণাপথে হিন্দুধৰ্ম্ম প্রায় নিষ্কণ্টক হইল। স্বধৰ্ম্মের ও স্বদেশের রক্ষার জন্ম প্রবল পরাক্রান্ত মোগল-সম্রাটের সহিত এরূপ প্রতিকুল অবস্থায় ভারতের আর কোনও জাতি ঈদৃশ দীর্ঘকালৰ্যাপী অবিশ্রান্ত যুদ্ধ করিতে সাহসী হয় নাই । অকৃত্রিম ধৰ্ম্মোৎসাহে ও গভীর স্বদেশভক্তিতে সমগ্র জাতির হৃদয় পুর্ণ না হইলে এরূপ অসাধ্যসাধন মুদুরপরাহত হইত, সন্দেহ নাই । ফলতঃ এ সময়ে মহরাষ্ট্রদেশে স্বধৰ্ম্মামুরাগ ও স্বদেশপ্রীতির অপূৰ্ব্ব বিকাশ ঘটিয়াছিল, স্বয়ং শিবাজীর সময়েও সেরূপ श्म्न माहे । फ्णङ: लियार्थी cरु ब्राड्डीब्र छोप्वब्र बौछ द°न कब्रिग्ना भिग्नाश्प्णिन, ७३ मगप्ङ्ग फोश्। অঙ্কুরিত ও পল্লবিত হইয়া দুৰ্দ্ধৰ্ষ মোগলদিগকে চমকিত করিয়াছিল। সাম্ভাব্দীর হত্যার পর তাহার স্ত্রীপুত্রকে মোগলের বন্দী করিয়া লইয়া গিয়াছিল। তাহাদিগের উদ্ধারসাধনের জন্ত মরাঠাগণ পঞ্চদশ বৎসর কাল বিবিধ চেষ্টা করিate সে বিষয়ে সফলতা লাভ করিতে পারেন নাই। আরঙ্গজেৰেয় স্বত্যুর পর মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের বল, দৰ্প ও সাহস এৰূপ বৃদ্ধি পাইল যে, নৰীন গম্রাট ১৭৯৮ খৃষ্টাৰে সাক্ষাজীৱ পুত্র যুক্তিস্থান