भशंद्रांठे সংযুক্ত হইতে লাগিল। ২৪টা প্রদেশ डिग्न অন্তর শাসনশৃঙ্খলতার বিশেষ কোনও চেষ্ট হইল না পক্ষাস্তরে বাজারাওয়ের রণপাণ্ডিত্যদর্শনে অনেকের হিংসানল অধিকতর প্রজলিত হওয়ায় সমাজে অনৈক্যের বীজ উপ্ত হইল । বাঙ্গীরাওয়ের পুত্র ব্রালাজী আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাবিধানে বহু পরিমাণে দক্ষত। প্রকাশ করিয়াছিলেন । তথাপি ছুই এক স্থলে ভ্রান্তনীতির অনুসরণ করিয়৷ তিনি সমাজের বিশেষ গতি সাধন করিয়াছিলেন। রাজ্যের অন্তঃশত্রু স্বরূপ প্রতিপক্ষদিগের অন্ততম রঘুজা ভোঁসলে তাহার কার্য্যপথে বিশেষ বিঘ্ন উপস্থত করিতেছিলেন। তাছাকে অন্তরূপে বশীভূত না করিয়া বালজী বাঙ্গীরাও বঙ্গীয় সুবেদার আলিবর্দী খার পক্ষাবলম্বনপুৰ্ব্বক তাহার বিরুদ্ধে অভিযান করিয়া তাহাকে জর্জরিত করিলেন । অন্তঃশত্রুর দমন জন্ত মহারাষ্ট্রীয়দিগের সাধারণ শত্রুর সাহায্যগ্ৰহণ বালাজার পক্ষে গহিত কায্য বলিয়। অনেকে মনে করেন। কিছু দিন পরে হোলকর ভূতি সদারের পেশবার শক্তি দমন করিবার জন্ত বালাজারই প্রদর্শিত দৃষ্ঠাস্তের অনুসরণ করিয়া মহারাষ্ট্রসমাজের ঘোর শত্র রোহিলা-সদার নজীবখানকে কৌশলে পেশ বার রোযানল হইতে মুক্ত করিয়৷ পাণিপথে স্বজাতির সৰ্ব্বনাশের পথ পরিষ্কৃত করেন । [ পেশব শব্দে ইহার বিস্তৃত বিবরণ দ্রষ্টব্য] প্রাচীন সামস্তদিগের মধ্যে আংগ্রে প্রতিনিধি ও গায়কোয়াড় প্রভৃতি পেশব বিরোধী ছিলেন, একথা পুৰ্ব্বেই বলিয়াছি । পেশবাগণ বাহুবলে ইহাদিগকে অনেকবার বশীভূত করিয়াছিলেন সত্য, কিন্তু ইহার কখনই সম্পূর্ণ বগুত৷ স্বীকার করেন নাহ । গৃহবিবাদে মত্ত হওয়ায় আংগ্রের জন্য পেশবাকে অধিকদিন অসুবিধা ভোগ করিতে হয় নাই । প্রতিনিধি বংশয়ের দিন দিন ক্ষীণতেজ হওয়ায় পেশবtকে বtধ। দেওয়া তাহীদের পক্ষে দুঃসাধ্য হইয়া উঠিল। গায়কোয়াড় ও নাগপুর কর ভোসলেগণ শেষ পর্য্যস্ত পেশবাদিগের অনিষ্ট করিবার সুযোগ পরিত্যাগ করেন নাই। হোলকর প্রভৃতি নুতন সামন্তগণ ক্রমশঃ পেশবার অধীনতাপাশ ছেদন করিবার চেষ্টা করিতেছিলেন । কিন্তু তাহার শেষ পেশব বাজারাওয়ের পুঞ্চ পৰ্য্যস্ত কখনও এ বিষয়ে প্রকাগুভাবে কোন ও কাৰ্য্য করিতে সাহসী হন নাই। তথাপি স্ববিধা পাইলে গোপনে পেশবার বিরুদ্ধাচরণ করিতে তাহার কুষ্ঠিত হইতেন ন। মহলার রাও হোলকর সর্বপ্রথম এ বিষয়ের পথ প্রদর্শন করেন। পরে অপর মর্দারের সেই অসদৃষ্টাস্তের অমুসরণ করেন । ফলে পাণিপথে মহারাষ্ট্রীয়দিগের পরাভব ঘটে । মাধব রাও সর্দারদিগের অসত্তোষ নিরাকরণের চেষ্ট৷ [ 8૬૭ ] মহারাষ্ট্র করিয়াছিলেন । মহারাষ্ট্ররাজ্যের উন্নতিসাধন-বিষয়ে সকUলরই সমান অধিকার ও কৰ্ত্তব্য একথা তিনি সকলকে বুঝাইয় দেন। তাহার উদার ব্যবহারে পেশৰাধংশের সর্দারগণের মনে যে মাংসৰ্য্যের সঞ্চার হইয়াছিল, তাছা বহু পরিমাণে দূরীভূত হয়। এই কারণে পাণিপথের ক্ষতি অতি অল্পদিনের মধ্যেই মহারাষ্ট্রায়ের পুরণ করিতে সমর্থ হন । দুভাগ্যক্রমে মাধব রাও দীর্ঘজীবী হইলেন না । ইহার পর নানাফডুনাসের মন্ত্রিত্বকালেও সর্দারের পেশপাদিগের প্রতি মাৎসর্য্যপরবশ হুইবার অবকাশ পান নাই । শেষ রাজীরাওয়ের সময়ে সমস্ত মহারাষ্ট্ররাজ্যেহ অরাজকতা ঘটিল। অব্যবস্থিতচিত্ত সামন্তগণ পেশবার পক্ষ সমর্থন করিতে পারিলেন না । সামস্তদিগের শক্তি হ্রাস করিবার জন্ত বাজী রাও বৈদেশিক হংরাজের আশ্রয় গ্রহণ করিলেন । তৎকালে সামস্তদিগের শক্তির লাঘব হইল বটে ; কিন্তু সামস্তদিগের সঙ্গে সঙ্গেহ বাঞ্জী রা ওয়ের সোভাগ্যসূৰ্য্য অস্তমিত হইয় গেল এবং সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্ৰসাম্রাজ্যও বিগান হহল। র্তাহার শাখাস্থানীগ সাম স্তমণ্ডল অদ্যাপি বৃটিশ-শাসনকালেও আপনাদিগের স্বাতন্ত্র্যের অস্তিত্ব রক্ষা করিয়া হিন্দুধৰ্ম্মকে আশ্রয় দান করিতেছেন। মহারাষ্ট্রজাতির চরমোন্নতি । সমস্তদিগের এই সকল অন্তৰ্ব্বিপ্লবের চিত্র ত্যাগ করিয়া মহারাষ্ট্রসমাজের বাহচিত্রে দৃষ্টিপাত করিলে সমগ্রজাতির অসাধারণ উৎসাহের পরিচয়ে বিস্মিত হহতে হয় । ১৭৪০৷৪১ খৃষ্টাব্দে বাজা রাওয়ের পুত্র বালাজী বাজীরাও মহারাষ্ট্রায়গণের নেতৃত্ব প্রাপ্ত হন। তাহার অসাধারণ বুদ্ধিবলে মহারাষ্ট্র-সমাজের বিভিন্নমুখ শক্তিনিচয় কি মৃৎকালের জহু বহু পরিমাণে একাগ্র হইয়াছিল । রামদাস ও শিবাজীর জীবনের প্রধান ব্রত এই সময়ে উদ্যাপিত হয় । বালাজা বাঙ্গীরাওই যাবতীয় মরাঠাকে একত্র করিয়া সৰ্ব্বত্র মহারাষ্ট্রধৰ্ম্মের বিস্তার করিতে বহুপরিমাণে সমর্থ হইয়াছিলেন । তাহার চেষ্টায় দেশে প্রাচীন আৰ্য্যবিদ্যার বহুলচর্ক আরন্ধ হয়। তিনি বেদ, স্মৃতি, দর্শনশাস্ত্র, পুরাণ, জ্যোতিষ, বৈস্তক প্রভৃতি বিবিধ শাস্ত্রে সুপণ্ডিত ব্ৰাহ্মণগণের প্রতিবর্ষে পরীক্ষা গ্রহণপূর্বক তাহাদিগকে পুরস্কৃত করিবার বিশেষ ব্যবস্থা করেন। এতদুপলক্ষে তিনি সময়ে সময়ে বৎসরে ১৬ লক্ষ টাকা পৰ্য্যন্ত ব্যয় করিতেন। কাশী, রামেশ্বর, মিথিলা প্রভৃতির স্থায় দুর দেশ হইতেও বর্ষে বর্ষে বহুসংখ্যক ক্ৰক্ষিণ পরীক্ষাপ্রদান-পূৰ্ব্বক পুরস্কার-গ্রহণের জন্ত পুণায় সমবেত হইত্তেম । সমাগত ব্ৰাহ্মণদিগের পরীক্ষাগ্রন্থপ ও
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/৪৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।