মহিষ [ 849 ) মহি দোষ নাই। প্রকৃত্ত বিবাহ হইবার পূৰ্ব্বে বরগৃহে একটা আস্ত্রবৃক্ষের সহিত বরের এবং কন্সাগৃহে একটা মছয়াবৃক্ষের সহিত কস্তার বিবাহ হয়। সিন্রদান ও লৌহবলয়ধারণই বিবাহের প্রধান অঙ্গ। তাহীদের মধ্যে বহুবিবাহ প্রচলিত নাই। হিন্দুর পূজাপদ্ধতি ও ক্রিয়াকলাপ অনেকাংশে অনুকরণ করিলেও তাছাদের মধ্যে এখনও বড় পাহাড়ী ও মনসাদেবীর পূজা মহাসমারোহে সম্পন্ন হইতে দেখা যায় । ইহার কুৰ্ম্মী, ভূমিজ ও দেশওয়ালী সাওতালদিগের হস্তে অল্পগ্রহণ করে না। মানভূমের উত্তরের মহিলিগণ শব সমাধিস্থ করে, কিন্তু পাতর-মহিলি ও সাওতালপরগণাবাসী মহিলিগণ শব দাহ করিয়া থাকে। ১১শ দিনে তাহারা মৃতের উদ্দেশে শ্রাদ্ধ করে এবং পিণ্ড দেয়। এতদ্ভিন্ন প্রতিবর্ষের কাৰ্ত্তিক ও চৈত্রমাসে পিতৃপুরুষগণের উদ্দেশে ইহার এক একটা বান্মাসিক শ্রাদ্ধের (পিণ্ডদানের ) আয়োজন করিয়া থাকে । কোন ব্যক্তি বিশেষের বাৎসরিক শ্রাদ্ধ কেহই করে না। প্রায়ই মিতাক্ষরা ও দায়ভাগের ব্যবস্থানুসারে ইহাদের উত্তরাধিকারার পিতৃসম্পত্তির ভাগ পাইয় থাকে। বনমহিষমাংসগুণ—দোষকারক, রঘু, দীপন, বলদায়ক। গ্ৰাম্য মহিষমাংসগুণ,—স্নিগ্ধ, মলিনকর, পিত্তহর । (রাজনি•) রাজবল্লভমতে—তৰ্পণ, স্নিগ্ধ, উষ্ণ, মধুর, গুরু, নিদ্রা, পুংস্তু ও স্তন্ত্যবৰ্দ্ধক এবং মাংসদার্ট্যকর। ভাবপ্রকাশমতে পৰ্য্যায়— ঘোটকারি, কাসর, পীলস্কন্ধ, কৃষ্ণকায়। মাংস গুণ-উষ্ণবীৰ্য্য, বায়ুনাশক, নিদ্রাজনক, শুক্রবন্ধক, বলকারক, শরীরের দৃঢ়তাজনক, গুরু, পুষ্টিকারক, মলমূত্রনিঃসারক এবং বায়ু, পিত্ত ও রক্তদোষনাশক । ( ভাবপ্রe ) দেবী ভগৰতীর উদ্দেশে মহিষ বলি দিলে তাহার পরমতৃপ্তি হয় । ইহার ফলে সাধকের শতবৰ্ষ স্বৰ্গ হইয়া থাকে। ( কালিকাপু০ ) মহিষের স্বভাবতঃ বলিষ্ঠ ও স্থূলকায়, ভারবহনে পটু এবং জলময় কর্দমাক্ত স্থানই ইহাদের প্রিয় । . কপালদেশ কুক্ত, শৃঙ্গদ্বয় বৃহৎ ও বক্র। শিরঃসংলগ্ন স্থান অপেক্ষাকৃত স্থল ও চেপ্টা,পদদ্বয় সরু এবং ক্ষুর দ্বিখণ্ডিত,গাত্রে বিরল লোম,পৃষ্ঠের মেরুদণ্ড, মুখদেশ ও উদরের মধ্যস্থল এবং পদ-গ্রন্থিসমূহ অপেক্ষাকৃত অধিক লোমযুক্ত ; অবশিষ্ট গাত্ৰচৰ্ম্ম লোমহীন ও মহিবুধ, ( ত্রি ) ধনবৰ্দ্ধক । ( ঋক্ ৭।৩১১০ ) মহিব্রত (ত্রি) মহাৱত। "মং ঘ উকী মহিন মহিব্রতঃ” ( ঋক্ ১৪৫৩) ‘মহিরতঃ মহাব্ৰত:’ ( সায়ণ ) মহিম (পুং) মংহতি পুণয়তি দেবাননেনেতি, মছি (অধি মসৃণ । ইহাদের ছাল পাতলা হইলে ও চৰ্ম্ম তেমন পাতলা নহে। নিতম্বদ্বয়ের চৰ্ম্ম শরীরের অপরাপর স্থানাপেক্ষ স্থল। ইহাতে মল্লুয্যের ব্যবহারোপযোগী জুতার তলা প্রভৃক্তি মহোষ্টিষচ, উ৭, ১৪৬) ইতি টষচ, স্বনামখ্যাত পশুবিশেষ। পর্য্যায়,—লুলাপ, বাহদ্বিষন, কাসর, সৈরিভ, ষমবাহন, বিষজয়ন, বংশ ভীরু, রজস্বল, আনুপ, রক্তাক্ষ, মশারি, ক্রোধী, কলুষ, মত্ত, বিষাণী, গবলী, বর্গী। ( জটাধর ) 織 ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, ৰৈস্ত, পূদ্র ও অস্ত্যজভেদে মহিষ পাচ প্রকার । ব্রাহ্মণজাতি-অতিশয় কৃষ্ণবর্ণ, পবিত্র, ঘোণ ও বৃষণ, অতিবৃহৎ, ৰন্থভোজী ও মারফ্ট। ক্ষত্রিয়জাতি—কেকরযুক্ত, কামল, স্থল, অতিক্রোধ, মারক, বছভোজী ও প্রভুতবলশালী। বৈহুজাতি-শিথিলাঙ্গ, ক্ষীণশৃঙ্গ, অন্তিক্ৰোধ, ভারবহনক্ষম, জমারক ও প্রভূত বলশালী। শূদ্ৰজাতি-ক্ষীণাঙ্গ, ক্ষীণবল, ক্ষীশপৃঙ্গ, গাণবোণ, মরক্ৰোধ, অল্পভোজী এবং ভারসহিষ্ণু। অভ্যজজাতি—যে সকল মহিষ সৰ্ব্বদা জলাভিলাষী, অল্পসত্ৰ, মহাতেজস্বী, ভারসহিষ্ণু ও কুশৃঙ্গ, তাহাদিগকে অস্ত্যজজাক্তি কহে । *
- "শং কৃষ্ণা; পবিত্ৰাশ্চ বৃহদৃবৃক্ষণবোশক । यश्तोभिटन मग्निकाँ*ई नशिश ब्लभाखांछब्रः ।
প্রস্তুত হইয়া থাকে । মহিষগণ ক্রোধের প্রতিমূৰ্ত্তি। অন্তান্ত পশু অপেক্ষা ইহাদের বলবৎ ক্রোধের অনেক নিদর্শন পাওয়া যায়। নদীবক্ষে সন্তরণকালে যদি কোন কুম্ভীর দৈবাৎ অলক্ষ্যে কোন মহিষশাবক অথবা ইহাদের দলস্থ গো-শাধক প্রভৃতিকে ধরে, তাহ হইলে মহিষের হস্তে পরিত্রাণ পাইবার আর কোন উপায় নাই। মহিষগণ তখন ক্রুদ্ধ হইয়া নদীবক্ষ উদ্বেলিত করে। কুম্ভীর যেখানে সেই শাবক লইয়া গিয়াছে, জলাভ্যস্তরে সেই স্থানে তাহার অনুসরণ করিয়া শৃঙ্গ দ্বারা কেকরা: কামলা: স্থলা ভূশং ক্রুদ্ধাশ্চ মারকাঃ। বহাখিনো বহবল মহিষা: ক্ষত্ৰজাতঃ। দখাঙ্গা: ক্ষীণশৃঙ্গাশ্চ কুকুদ্ধ ভাৱৰাছিনঃ। षभांख्रख्। विश्बलां मश्ािः *श्छिखांज्घ्नः ॥ ক্ষীণ: ক্ষীণবল ক্ষীণশৃঙ্গবোণারুষশ্চ ষে । অল্লাশিনে ভারসহ মহিষা; পূদ্রজাতয় ॥ সৰ্ব্বদ। জলমিচ্ছত্তি যে২য়সৰ মহৌজস: । জারসহী: কুশৃঙ্গাশ্চ তেইস্ত্যজ মহিষ মতা: | এবং দোষ গুণ বাপি বৃত্বমক্ষরোধ। পেৰিপক্ষাঙ্গিসংস্থানং বৃহতুল্যং শুখা মত " (যুক্তিক্ষরতর )