মহিন্থর শেষোক্ত শিবমন্দিরটার নিৰ্ম্মাণ-কাৰ্য্য সমাধা হইতে ন হইতেই ১৩১০-১১ খৃঃাৰো মুসলমান সেনাপতি মালিক কাফুর আসিয়া মহিষ্ণুর আক্রমণ করেন ; স্বতরাং এরূপ স্ববৃহৎ মন্দিরটা অসম্পূর্ণ অবস্থায় রহিয়া যায়। এখানকার অধিবাসিবুন্দ প্রধানতঃ কণাড়ী ভাষায় কথা কয় । স্থানবিশেষে ঐ ভাষার ও তারতম্য দেখা যায়। কোথাও পূৰ্ব্বাড়া-ছালে-কণাড়ী অর্থাৎ ৭ম শতাদের শিলালিপি লিখিত কণাড়ী ভাষা । কোথাও হালে-কণাড়া বা ১৪শ শতাদের শেষভাগে প্রবর্তিত প্রাচীন কণাড়া ভাষা, এই ভাষায় যাবতীয় প্রাচীন জৈনধৰ্ম্মশাস্ত্র ও মহিমুরের অধিকাংশ শিলা ফলকই লিখিত হয় এবং ৩য় হোলক৪tড় অথাৎ বত্তমান প্রচলিত কণাড়ী ভাষা প্রচলিত। পূৰ্ব্বে লিথিয়াছি যে, এখানকার অধিবাসীরা সাধারণ কৃষিকাৰ্য্য দ্বারা জীবিকার্জন করিয়া থাকে। মনুষ্যের ভরণপোষণোপযোগী যাবতীয় দ্রব্যই এখানকার প্রজাবর্গের যত্নে উৎপন্ন হয় । সিন্কোন, তুলা, তামাক, দারুচিনি, কাফি, কোকোয়৷ প্রভৃতির প্রভূত চাল হইয়া থাকে। ১৮৭৫-৭৮ খৃষ্টাব্দ পর্য্যস্ত এখানে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দুর্ভিক্ষের স্থচনা হয়। ঐ সময়ে প্রজাবর্গের ক্লেশ অপনোদনের জন্য রাজকোষ হইতে ৭• লক্ষ টাকা ব্যয়িত হইয়াছিল। রাজা নিজামু গ্রহে দুভিক্ষপীড়িত প্রজাদিগকে ২৮ লক্ষ টাকার খাজনা ছাড়িয়া দেন। এতদ্ভিন্ন ইংরাজরাজের নিকট হইতে ৫০ লক্ষ টাকা ধার করিয়া এবং ম্যানসন হাউস রিলিফ ফও হইতে ১৫ লক্ষ ৫ • হাজার টাকা লইয়। খরচ করা হইয়াছিল। তদ্ভিন্ন কএক ৰংসরের উদ্ধৃত্ত টাকা হইতে ৪৬২• • • • টাকা ব্যয়িত হইলেও প্রজার দুঃখ দূর হয় নাই । শস্তাদি বাণিজ্য ভিন্ন এখানে কাগজ, কাচের চুড়ি, লাল মরক্কো চৰ্ম্ম, কম্বল ও পশমী বন্ত্রের বিস্তৃত কারবার আছে। কার্পাসবন্ত্ৰ-বয়নও বিলক্ষণ প্রচলিত। নৌকাপথে ৰাণিজ্য ভিন্ন রেলপথে ও প্রভূত বাণিজ্য পরিচালিত হইয়া থাকে। মান্দ্রাজ ও মরাঠা-রেলপথ এই রাজ্যের মধ্য দিয়া গমনাগমন করায় নঞ্জনগড়, মহিমুর, তুমকুড়, তিপতুর, অজ্জমপুর, দেবনগর, বঙ্গলুর প্রভৃতি নগরে পণ্য দ্রব্যের আমদানী রপ্তানী অপ্রতিহত গতিতে পরিচালিত হইতেছে। এউদ্ভিন্ন গরলোপ, কোলুরু, হায়দারগড়, জগুঘিউ বাধ ৰ কোড়ে কল, সেন ও মঞ্জরাবাদ গিরিসঙ্কট দিয়া উত্তর ও দক্ষিণ-কণাড়ার নানাস্থান গতিৰিধি হুটুর থাকে। [ 8-૧ ] রাগী শস্তই অধিবাসিগণের প্রধান আহার্য্য । । এতদ্ভিন্ন য়ুরোপীয় বণিকূ-সম্প্রদায়ের যত্নে ইক্ষু, নারিকেল, | মহিন্থর ২ উক্ত রাজ্যের অষ্ণুত একটা জেলা। অক্ষা ১১'৬ হইতে ১২:৪৫, উঃ এবং দ্রাধি ৭ere৬ হইতে ৭৭২৪ পুঃ মধ্যে। ভূপরিমাণ ২৯৮৯ বৰ্গ মাইল । মহিমুর নগরে এই জেলার বিচার-সদর ও রাজপ্রাসাদ অবস্থিত। এখানকার স্বাভাবিক সৌন্দয্য বড়হ মনোরম ৷ পাৰ্ব্বতায় অধিত্যক ও উপত্যকাভূমি নিবিড় বনমালা, স্বজণ৷ শস্তখামলা বসুন্ধরা ও প্রথখনিঃস্থত। পাৰ্ব্বত্য জলধারা স্থানে স্থানে বিরাজিত থাকিয়া নিত্য অভিনব শোভা সম্পাদন করিতেছে। পশ্চিমঘাট পৰ্ব্বতের মলনাদ প্রদেশ হইতে ক্রমশঃই এই জেলা পূৰ্ব্বাভিমুখে নিম্ন হহতে নিম্নতর প্রদেশে অবতরণ করিয়াছে। যেখানে কাবেরী নদী ঘাটপধ্বত উল্লঙ্ঘন কল্পিয়৷ প্রপাতাকারে অপেক্ষাকৃত নিম্নভূমিতে আসিন্ধ পড়িয়াছে, সেহ স্থান শিবসমুদ্র নামে খ্যাত। এখানে কাবের শিবসমুদ্র নামক ক্ষুদ্র দ্বাপ বেগুন করিয়া সমুদ্রতীরে নদীমুখে ঔরঙ্গ তাথ নামক পবিত্র ‘ব’ দ্বীপ অতিক্রম করিয়৷ বঙ্গোপসাগরে মিলিত হইয়াছে। এই নদীর ৰামভাগে হেমবর্তী, লোকপাবনা ও সিমুলা এবং দক্ষিণে লক্ষ্মণতীর্থ, কানী ও ছো, হোলে নামক শাখা নদী সমগ্র জেলার জল সরবরাহ করিয়া থাকে । পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করিয়াছি যে, এই স্থান পৰ্ব্বতসঙ্কুল । এথানে শ্লেট, দানাদার, বেলে প্রভৃতি নানাজাতীয় প্রস্তর দেখিতে পাওয়া যায় । পৰ্ব্বত-গহবরে লোহের অভাব নাই । পৰ্ব্বতগাত্রবাহী স্রোতস্বিনাসমূহেও অল্প পরিমাণে সোণা পাওয়া যায়। জলভাগে চন্দন, শাল প্রভূতি কাষ্ঠই অধিক । ব্যাঘ্ৰাদি হিংস্ৰজন্তু ব্যতীত এখানকার জঙ্গলে অসংখ্য বস্ত হস্তী আছে। খেদ করিয়া ঐ হস্তী ধরিয়৷ বিক্রয় করা হয় । মহাভারতের সময়ে এই কাবেরী নদী ও তৎসংলগ্ন তথ খ্যাতি লাভ করিয়াছিল, কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস সম্রাটু অশোকের পরবত্তী সমন্ম হইতে আরম্ভ হয় । গাঙ্গ বংশের অবসানের পর যথাক্রমে চোল, চালুক্য, হোয়শালবল্লাল, বিজয়নগর-রাজবংশ ও উদৈয়ারগণ এখানে শাসন বিস্তার করেন। { তত্তদু রাজবংশের বিবরণ তত্ত৭শষে দ্রষ্টব্য। ] এই উদৈয়ার-রাজগণ বিজয়নগর-রাজপ্রতিনিধি শ্রীরঙ্গরায়লুকে পরাজিত করিয়া শ্রীরঙ্গপ গুনে আধিপত্য বিস্তার করেন। ইহারা পুৰ্ব্বাপর মুসলমানদিগের সহিত সখ্যত। স্থাপন করিয়া রাজকাৰ্য্য পরিচালনা করিয়াছিলেন । ১৬৮৭ খৃষ্টাব্দে ইহারা অরঙ্গঞ্জেৰ-লেমানী কাপিম থায় নিকট হইতে ৩ লক্ষ টাকা মূল্যে বজলুর দুর্গ ক্রয় করেন। ১৬৯৯ শ্বযুদ্ধে দিল্লীর সম্রাটু উদৈার-রাজকে হস্তিদন্তনিৰ্ম্মিত সিংহাসনে
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/৪৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।