মাইকেল মধুসূদন দত্ত [ On Granting “Leave of Absence” to my Muse. “Needst thou a testimonial Of my affection, Love! for thee ? This Single fact, ma'am I will suffice That all I Sacrifice for thee Farewell But oh I remember me, Return, before our “Monthlies" all, The “Gleaner”—“Blossom" “Comet” tempt Me, to scribble for them all." তিনি তাহার প্রিয়সুহৃদ গেীরদাস বসাককেও এইরূপে কবিতায় কতকগুলি পত্র লিথিয় যান, উহাতে র্তাহার কবিত্বশক্তির বিকাশ স্পষ্টই বুঝা যায় :– Gour, Excuse mo that in verse My Muse desireth to rehearse; The gratitude she oweth thee;— I thank you most heartilly :" ছাত্রাবস্থায় মধুসূদন বাঙ্গালা ভাষার তেমন অমুশীলন করেন নাই । সে সময়ে উহা অশিক্ষিত ও বৰ্ব্বরের ভাষা মনে করিয়া তিনি মাতৃভাষা বিশ্বত হইতে চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু একবার গেীরদাস বাবুর অনুরোধে তিনি বর্ষবর্ণনচ্ছলে ইংরাজী acrostic শ্রেণীর কবিতায় গেীরদাস বাবুর নাম সংযোগে একটী কবিতা রচনা করিয়াছিলেন, উহা নানাদোষযুক্ত হইলেও মেঘনাদবধরচয়িতার প্রথম রচনা বলিয়া উদ্ধৃত করা গেল— “গভীর গর্জন সদা করে জলধর, উথলিল নদ নদী ধরণী উপয় । রমণী রমণ লয়ে, সুখে কেলি করে দানবাদি দেব যক্ষ সুথিত অস্তরে। সমীরণ ঘন ঘন ঝন ঝন রব, বরুণ প্রলয় দেখি প্রবল প্রভাব । স্বাধীন হইয়া পাছে পরাধীন হয় । কলহ করয়ে কোন মতে শাস্ত নয় ॥” ঐ শ্রেণীর আর একটা কবিতা হিমঞ্চতু” সম্বন্ধে— “হিমস্তের আগমনে সকলে কম্পিত, রামাগণ ভাবে মনে হইয়। দুঃখিত। মনাগুনে ভাবে মনে হইয়া বিকার, নিবিল প্রেমের অগ্নি নাহি জলে আর । " ফুরায়েছে সব আশা মদন রাজার, জাসিৰে বসন্তু আশা এই অাশা সার । আশার আশ্রিত জনে নিরাশা করিলে, জীশাতে আশার বস আশjয় মারিলে। স্বজিয়াছি আশাতর আশিত হইয়া, YIV ১২৭ c og ] মাইকেল মধুসূদন দত্ত নষ্ট কর হেন তরু নিরাশ করিয়া। যে জন করয়ে আশা আশার আশ্বাসে, নিরাশ করয়ে তারে কেমন মানসে।” এই সময়ে বঙ্গসাহিত্যে গুপ্তকবির রাজত্বকাল ; সুতরাং মধুসূদনের কবিতায় এরূপ শঙ্কালঙ্কারের আড়ম্বর ঘটিবে, তাহ বিচিত্র নহে। অর্থ সম্বন্ধে তিনি বিশেষ লক্ষ্য রাখিয়াছিলেন কি না তাহা উক্ত কবিতাম্বয়পাঠে স্পষ্টই অনুমান করা যায়। তৎকালীন শিক্ষিত ব্যক্তির দ্যায় তিনি ইংরাজী সাহিত্যের অনুশীলনে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করিতেন। ইংরাজী ভাষায় গ্ৰন্থরচনা করিয়৷ তিনি যশ: ও প্রতিপত্তি লাভ করিবেন তাহার মনে এরূপ উচ্চ আশা স্থান লাভ করিয়াছিল। বাঙ্গালা ভাষার দুরবস্থা দেখিয়া তিনি প্রসঙ্গক্রমে বলিয়াছিলেন, “বাঙ্গাল ভাষ ভুলিয়া যাওয়াই ভাল।” বাল্যাবধি এই কুসংস্কারের বশবৰ্ত্তী হইয়া এবং সহাধ্যায়ি সঙ্গীদিগের স্তায় আজীবন ইংরাজী সাহিত্যানুশীলনে ব্যাপৃত থাকিয়া তিনি প্রথম জীবনে ইংরাজী ভাষারই চরণসেবা করিয়া গিয়াছেন, কিন্তু তিনিও প্রিয়মুহ wরাজনারায়ণ বসু ও ৮ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের মত পুৰ্ণবয়সে বাঙ্গালার সাহিত্য আলোচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন । হিন্দু কলেজ হইতে র্তাহার বাঙ্গালাভাষা-শিক্ষা শেষ হয় । তিনি স্বীয় স্বাভাবিক প্রতিভাবলে নিজের ভাষা-প্রকাশের প্রণালীর পথ আবিষ্কার করিয়া লন। ক্রমে বাঙ্গালা ভাষায় তাহার অধিকার হয় । এদেশীয় কোন গ্ৰন্থকারের নিকট যদি তিনি ভাষাশিক্ষা সম্বন্ধে ঋণী থাকেন, তবে তাহা দরিদ্র কাশীদাস ও কৃত্তিবাসের নিকট। স্বর্ণ ও রৌপ্য-পদকাদি পুরস্কার এবং বৃত্তিলাভ তৎকালের শিক্ষালাভ ও রচনাশক্তি-পরিবদ্ধনের বিশেষ অমুকুল ছিল। মধুসূদন যখন সিনিয়ার বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়ন করেন, তথন স্বৰ্গীয় রামগোপাল ঘোষ মহাশয় স্ত্রীশিক্ষাবিযয়ক সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট রচনার জন্ত দুইখানি পদক দিতে প্রতিশ্রুত হন। হিন্দুকলেজের মধ্যে যে দুই জন ছাত্র প্রতিযোগিতায় উচ্চ স্থান অধিকার করিবেন, তাহারাই পুরস্কার প্রাপ্ত হইবেন । এই পরীক্ষায় মধুসূদন প্রথম ও ভূদেব দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। গুণানুসারে মধুসূদনই স্বর্ণপদক পাইয়াছিলেন । রিচার্ডসনের যত্নে মধুসূদনের বাল্যকালের রচিত অনেক কবিতা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । ছাত্রাবস্থা হইতে তিনি ভাবী স্বকৰি বলিয়া প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। অনেকে তাহাকে তখন হইতেই কবি বলিয়া ডাকিতেন, তাহারe বৃক্ষ বিশ্বাস জন্সিয়াছিল যে, একদিন জগৎ তাহার কবিদ্বের
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/৫০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।