মাহ্মদ খা খিলিজি যখন মাদ যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত ছিলেন, তখন আক্ষদশাহের পুত্র মহম্মদ খ ৫ হাজার অশ্বারোহী সেনাদল লইয়। সারঙ্গপুর জেলা অধিকার করেন । সে সময়ে হোসঙ্গ থার পলাতক পুত্র উমায় খ চন্দেরীতে ৰিদ্রোহবহ্নি প্রজ্বলিত করিলেন । এইরূপে নানা স্থানে শত্রুপক্ষ কর্তৃক উত্ত্যক্ত হইলেও মাহ্মদের ধৈৰ্য্যচ্যুতি হয় নাই। তিনি বিশেষ বিচক্ষণতার সহিত স্বীয় অধীনস্থ সৈন্তগণের মনস্তুষ্টি করিতে লাগিলেন । যাহাতে দুর্গমধ্যস্থ ব্যক্তিবর্গের পাদ্যাভাব না ঘটে এবং গুর্জরীয় সেনাদল রসদ না পায়, তাহারও ব্যবস্থা করিয়া ফেলিলেন। অধিককাল এইরূপে দুর্গ মধ্যে আবদ্ধ থাকা যুক্তিযুক্ত নহে বিবেচনা করিয়া, তিনি ৮৪২ হিজরা তারাপুর দ্বার দিয়া সদলে নিষ্ক্রান্ত হইলেন এবং ধীরে ধীরে সারঙ্গপুর-অভিমুখে যাত্র। করিলেন। পথিমধ্যে কৈতাল ( চম্বল ) অতিক্রমকালে গুর্জর-সেনানী মালিক হাজির সহিত তাহার যুদ্ধ ঘটে । যুদ্ধে পরাজিত হইয়া হাজি পলায়নপূর্বক মাঙ্গদ শাহের আগমনবাৰ্ত্ত স্বীয় গ্রভূর সকাশে জ্ঞাপন করেন। তদনুসারে গুর্ভররাজ স্বাম পুত্র মহম্মদ খাকে তাহার সহিত মিলিত হইতে আদেশ দেন। মহম্মদ উজ্জয়িনীর পথে প্রত্যাবৃত্ত হইয়। পিতৃসকাশে উপনীত হইলে, সারদপুরের শাসনকৰ্ত্ত মাঙ্কদের সহিত যোগদান করেন। তবকৎ-ই আকবরী পাঠে জানা যায় যে, মাক্ষ,দ মহম্মদ খাঁর পশ্চাৎ পশ্চাদমুগমন করিয়া উজ্জয়িনী পৰ্য্যস্ত অগ্রসর হইয়াছিলেন । এই সুযোগে উমার থ চন্দেরা হইতে সারঙ্গপুর অভিমুখে অগ্রসর হন। মাদ এই সংবাদ পাইয় প্রত্যাবর্তনপুৰ্ব্বক ক্ষুদ্র শত্রুনাশের উদ্যোগ করিলেন। উমার খ’ মাহ্মদের আগমনবান্ত শ্রবণ করিয়া স্বীয় বিশিষ্ট সেনাদলের সাহায্যে র্তাহাকে গুপ্তভাবে নিধনকরণমানসে পথিমধ্যে লুকাইয়া রছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে মাহ্মদ সেই পথেই সেনাদল চালনা করিয়৷ উমারের সন্মুখীন হইলেন। উপায়ান্তর না দেখিয়া কাজে কাজেই উমারকে সম্মুখযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইত্তে হইল । এই যুদ্ধে উমার খ' নিহত হন । এই সময়ে গুজরাতী সেনাদলের মধ্যে মড়ক উপস্থিত হওয়ায় আহ্মদশাহ সদলে প্রত্যাবৃত্ত হইতে বাধ্য হন । তাহার রোগগ্ৰস্ত সেনাদল ছত্রভঙ্গ হইয় পড়ে । আহ্মদ শাহের মৃত্যুর পর, তৎপুত্র স্বলতান মহম্মদ গুর্জর-রাজ্যের অধীশ্বর হন । ১৪৫১ খৃষ্টাব্দে চম্পানের দুর্গ অধিকার মানসে তিনি রাজা ত্রিভঙ্গদাসের পুত্র গঙ্গাদাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্র। করেন। যুদ্ধে পরাজিত হইয়। গঙ্গাদাস দুর্গমধ্যে আশ্রয় লইলেন । কিছুকাল অবরুদ্ধ থাকায় দুর্গ মধ্যস্থ সেনাদলের অন্নতাৰহেতু দারুণ কষ্ট উপস্থিত হইল। রাজ উপায়াস্তুর না দেখিয়৷ [ سوالا ۹ ] মাহ্মদ খা খিলিঙ্গি মাধু নরপতি স্থলতান মাস্কদের সাহায্য প্রার্থন করিলেন । মাঙ্গদ এই আমন্ত্রণে কীত হইয় গুর্জরণতির প্রতিহিংসাপ্রতিবিধানার্থ মালবসীমাস্তস্থ দাছোড় নগরে উপনীত হইলেন। উভয়পক্ষে ঘোরতর যুদ্ধের পর বিপক্ষদল অবরোধ পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইল। অতঃপর মাঙ্ক, স্বরাজ্যে ফিরিলেন ( v*8 हिजब्रां । ) মহম্মদকে ভীরু এবং রাজকাৰ্য্য-পরিচালনে অক্ষম দেখিয়া মুলতান মাহ্ম, গুজরাত আক্রমণের সুবিধা দেখিতে লাগিলেন। এই সময়ে মুসলমান-সাধু শেখ কমলের উত্তেজনায় তিনি গুজরাত আক্রমুণে অগ্রসর হন। মহম্মদ তাছার আগমনসংবাদ পাইয়াই পোতারোহণপুৰ্ব্বক দাউনগরে পলায়নের উদ্যোগ করিতেছিলেন। তিনি রাজ্যরক্ষায় পরাসুখ হইয়। পলায়ন করিতেছেন শুনিয়া, ওমরাহগণ র্তাহার পত্নীকে এই সংবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বিশেষ পীড়াপীড়ি করিয়া তাহার দ্বারাই ভীরু মহম্মদের খাদ্যদ্রব্যে বিষ মিশ্রিত করিয়া দিলেন । ৮৫৫ হি; মহম্মদ লোকাস্তুর গমন করিলে তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র সুলতান কুন্তৰউদ্দীন গুজরাতের সিংহাসনে উপবেশন করেন। এই সময়ে মুলতান মাক্ষদ খিলিজি সদলে মাসিয়। ভরোঁচ দুর্গ আক্রমণ করেন । দুর্গাধিপ মালিক সাজী মর্জান খ। তাছাকে আত্মসমপণ না করিয়৷ দুৰ্গরক্ষার আয়োজন করিতে লাগিলেন । অতঃপর মুলতান তথা হইতে বড়োদা অভিমুখে অগ্রসর হইলেন। বড়োদ-লুণ্ঠনের পর তিনি শুনিলেন যে, সুলতান কুতবউদ্দীন আহ্মদাবাদের কতিপয় বীরচেত। পুরুষসাহায্যে মাহেঞ্জী-তীরবর্তী খানপুর ধাকানীরে তাহার আগমন প্রতীক্ষা করিতেছেন। এই সংবাদে দপিত সিংহের দ্যায় মাক্ষদ অগ্রসর হইয়া রাত্রিযোগে কুতবের শিবির আক্রমণের উদ্যোগ করেন। দিবাভাগে পুনরায় যুদ্ধারম্ভ হয়। ১৪৫১ খৃঃাথে মার্চ মাসে যুদ্ধে পরাণিত হইয়া উদ্ধত মাঙ্ক, পলায়ন করিলেন, তাহার বিখ্যাত সেনানী মুজঃফর খাঁ। বন্দী ও পরে নিহত হইলেন । ইহাতেও ভল্পোঙ্কম ন হইয়। স্বলতান মাঙ্গদ খিলিজি পুনরায় নাগোর আক্রমণে বহির্গত হইলেন। কুতবউদ্দীন তাহার গতিরোধ করিবার জন্ত সৈয়দ আতাউল্লাকে প্রেরণ করেন । শম্বরপ্রদেশে উভয় দলে সাক্ষাৎ হয়। মামুদ প্রথমেই ব্যর্থমনোরথ হইয়। স্বেরাজ্যে ফিরিয়৷ জমান্সিলেন । हेशग्न कि कृमिन १८द्र नाcभाद्रब्राछ कि८ब्रांज थाब्र भूङ्क হইলে, মুজাহির খ। রাজ্যাধিকারপূৰ্ব্বক ফিরোঞ্জের পুত্র সামস থাকে রাজ্য হইতে বিত্বাড়িত করেন। সামস্থ কমলমীরে
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/৭১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।