পাতা:বিশ্বকোষ তৃতীয় খণ্ড.djvu/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ণ [ - =rrچایی-بی-سی তাহারা পাঞ্চালরাজের পুরোহিতকে সন্ধির জন্ত ধৃতরাষ্ট্রের নিকট পাঠাইলেন। ভীষ্ম পাওবদিগের কুশল সংবাদ লইয়। কহিলেন, ‘পাণ্ডবেরা পরম ধাৰ্ম্মিক, তাই যুদ্ধে আত্মীয় কুটুম্বের বিনাশ না করিয়া সন্ধির প্রস্তাব করিয়াছেন । বাস্তবিক অর্জুনের স্তায় যোদ্ধা আর নাই। কৌরবপক্ষে এমন কোন বীর নাই যে, তাহার সম্মুখীন হইতে পারে। এই কয়টা কথা কর্ণের অসহ্য হইল, তিনি ভীষ্মের অনেক নিমা করিলেন । শেবে কর্ণও শকুনির পরামর্শে সন্ধি রহিত হইল । কুরুক্ষেত্রের মহাসমরে প্রথমে ভীষ্ম কৌরবসেনাপতি হইলেন। তৎকালে তিনি আপন সেনাগণের মুবন্দোবস্ত করির দুৰ্য্যোধনকে বলেন, “দেখ জুর্য্যোধন ! কর্ণ নীচ জাতি এবং ক্ষুদ্র প্রকৃতি, পরশুরামের নিকট অভিশপ্ত, আপন কবচ ও কুগুলভ্রষ্ট হইয়াছে । এরূপ সামান্ত ব্যক্তিকে অৰ্দ্ধরথী ধিবেচনা করাই উচিত।’ এই কথা শুনিয়া কর্ণের সৰ্ব্বাঙ্গ জলিয়া উঠিল । সেইদিন প্রতিজ্ঞ করিলেন, যতদিন ভীষ্ম জীবিত থাকিবে, ভতদিন কখনই অ।মি যুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিব না।’ এই বলিয় রণক্ষেত্র পরিত্যাগ করিলেন । দশদিন যুদ্ধের পর কুরুপিতামহ ভীষ্ম শরশয্যায় শায়িত হইলেন । কর্ণ একদিন রাত্রিকালে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া কহিলেন, “আপনি সৰ্ব্বদাই যাহার নিন্দ করিতেন, আমি সেই কৰ্ণ । ভীষ্ম চক্ষু মেলিয় রক্ষিদিগকে দূরে সরিয়া যাইতে আদেশ করিলেন, পরে সমেহে কর্ণকে আলিঙ্গন করিয়া বলিলেন, ‘কৰ্ণ ! আমি নারদ ও ব্যাসের মুখে শুনিয়াছি, তুমি কুষ্ঠার পুত্র । তুমি পাওবগণের ৰেব করিবে বলিয়াই অামি তোমাকে কটু কথা বলিতাম । বাস্তবিক তোমার দ্যtয় দাতা ও ব্রহ্মনিষ্ঠাপর আর দ্বিতীয় নাই । তোমার প্রতি আমার যে পূৰ্ব্বভাব ছিল, তাহা দূর হইয়াছে। এখন যদি তুমি আমার কথা শোন, তবে আমার ইচ্ছ, তুমি তোমার আপন সহোদর পাওবগণের সহায়তা কর।” তেজস্বী কর্ণ উত্তর করিলেন, “যখন আপনি বলিতেছেন, তখন নিশ্চয়ই আমি কুম্ভীর পুত্র । পিতামহ । এতদিন বাহার ঐশ্বর্ষ্যে আমি প্রতিপালিত হইয়াছি, যাহাকে একবার অtশ্বাস প্রদান করিরছি, কেমন করিয়৷ সেই প্ৰিয়বন্ধু ফুৰ্য্যোধনের প্রতিকূলাচরণ করি ; বরং প্রাণ যায়, তাহাও শ্রেয়, তবু প্রতিজ্ঞ লঙ্ঘন করিব না । ভীষ্ম কহিলেন, তবে স্বৰ্গকাম হইয়া যুদ্ধ কর। কখন কুটযুদ্ধ করিও না।’ ভীষ্মের পর ত্রোণাচাৰ্য্য কৌরবপক্ষে সেনাপতি হইলেন । -- न्...न्°FF” কৰ্ণ তাহার অধীনে অনেকবার যুদ্ধ করিয়াছিলেন । এই সময়ে | २०8 ] কর্ণ তিনি বালক অভিমস্থ্যকে কুটযুদ্ধে বিনাশ করিবার পরামর্শ দেন এবং এই কার্য্যে যথেষ্ট সহায়তা করেন। কর্ণের বড় অংশ ছিল, ষে একাল্পী শক্তি দ্বারা অর্জুনকে বধ করিবেন, কিন্তু তাছার মনের আশা মনেই রহিল । बथन उँौभमझन घरüt९क5 कूझटैगछनगtन ©दूख् इहेग्ना কর্ণের সন্মুখীন হন, ভখন ভিনি আত্মরক্ষা করিবার জন্ত সেই একাত্নী শক্তি নিক্ষেপ করিয়া ঘটোৎকচকে নিপাত করিলেন। দ্রোণ নিহত হইলে কৰ্ণ কুরুসৈম্ভের সেনাপতি হইলেন । র্তাহার সারথি হইলেন শল্য । যথাসময়ে মহাবীর কর্ণ সসৈন্তে সমরক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন । তাহার যুদ্ধনীতি ও বীরত্ব দর্শনে কৌরব পক্ষে আননধ্বনি এবং পাওবপক্ষে হাহাকারধ্বনি উঠিল । কিন্তু কর্ণের সারথি শল্য র্তাহার প্রতি বিমুখ। কর্ণ ‘অৰ্জুনকে বিনাশ করিব।” যলিয়া যতই অশ্বিালন করেন, শল্য তাহার প্রতিবাদ করিয়া অৰ্জুনের প্রশংসা এবং তাহার নিনা করিতে থাকেন । যাহা হউক, তিনি নিজ বাহুবলে ৭৭ প্রভদ্রক, ২৫ পাঞ্চাল, ভামুদেব, চিত্ৰসেন, সেনাবিন্দু, তপন ও পূরসেন প্রভূতি মহাবীর এবং চেদি ও অপরাপর স্থানের অসংখ্য সৈন্ত নিপাতিত করেন। এমন কি অৰ্জুন ব্যতীত যুধিষ্ঠিরাদি পাণ্ডবগণকে পরাস্ত করেন । তিনি কুন্তীর নিকট প্রতিজ্ঞ করিয়াছিলেন যে অর্জুন ব্যতীত অপর কোন পাওবের প্রাণবধ করিবেন না, তাই যুধিষ্ঠিরাদি পাণ্ডবগণ পরাস্ত হইলেও প্রাণ হারান নাই । শেষে অর্জুনের সহিত কর্ণের ঘোরতর যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধে শ্ৰীকৃষ্ণের কৌশলে অর্জুনহন্তে তিনি অস্তিমশয্যায় শয়ন করেন । ( মহাভারত ) তাহার প্রথম নাম বমুখেন, পালকপিতা সুত তাহার এই নাম রাখিয়াছিলেন। পরে পৃথক পৃথক্ কাৰ্য্যানুসারে কর্ণ, বৈকৰ্ত্তন, অর্কননান, অঙ্গরাজ, অঙ্গেশ্বর, চাম্পেশ, চম্পাধিপ, অঙ্গাধিপ ও ঘটোৎকচান্তক প্রভৃতি নাম প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। প্রতিপালক পিতা ও পালিকা মা তার পরিচয়ামুসারে লোকে তাহাকে স্বতপুত্র রাধেয়, রাধাপুত্র, প্রভৃতি বলিয়াও সম্বোধন করিত। ৩ মৃতরাষ্ট্রের পুত্রবিশেম । { ভারত আদি । ১১৭ ৩ ) ৪ নৌকার দাড় । ৫ হুবর্ণালি বৃক্ষ । ৬ চারি হাত বাহু ও তিনহাত কোটি বিশিষ্ট ক্ষেত্র। ৭ কুটিল । ৮ (কর্ণঃ প্রশস্ত্যেন অস্ত্যন্ত, কর্ণ-অৰ্চ অশাদিত্বাৎ ) দীর্ঘ কর্ণ, লম্ব কর্ণ। ( কৃষ্ণ যজুঃ ২ ৷ ৪ ৷৷ ৪০ । ) কর্ণ। মেবারের একজন রাণী। ইনি রাজপুত বীরকেশরী প্রতাপসিংহের জ্যেষ্ঠপোক্স। পিতৃলিদেশে এবং বিধৰ্ম্ম কবল