কর্ণ २०é } কর্ণ - -TTT-FT - -``-`` হইতে জন্মভূমিকে রক্ষা করিবার জন্ত অনেকবার মোগল সম্রাটের সহিত যুদ্ধ করিয়াছিলেন । এ সমরে মেবারের নিতান্ত হীন অবস্থা হইয়া পড়িয়াছিল। পুনঃ পুনঃ যুদ্ধ করিয়া মেবারের রাজকোষ শূন্ত, মেবারের প্রধান প্রধান বীরগণ রণশয্যায় চিরনিদ্রিত। এরূপ অবস্থায় রাজপুতবীর আর কতদিন মোগলবাহিনীর বিরুদ্ধে যুঝিতে প্লারেন । এমন কি রাজকোষ শূন্ত হওয়ায়, কর্ণ সুরটনগর লুণ্ঠন করিয়া অর্থসংগ্ৰহ করিতে বাধ্য হন । অবশেষে ১৬১৩ খৃঃ অবো মহাবীর কর্ণ জাহাঙ্গীর পুত্র খুরম্ ( শাহজাহান )-হস্তে পরাজিত হইলেন । এতদিন পরে অাজ মেবারের রাণ অমর মোগলসম্রাটের সহিত সন্ধি করিতে বাধ্য হইলেন। সন্ধি হইলে কর্ণ খুরমের সহিত আজমীরে আসিয়। জাহাঙ্গীর বাদশাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন । বাদশাহ যথেষ্ট আদর অভ্যর্থনা করিয়া কর্ণকে আপন দক্ষিণপাশ্বে বসিতে আসন প্রদান করিলেন। এই সময়ে প্রতিদিন বাদশাহ তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতেন এবং বহুমূল্য খেলাত ও বিবিধ দ্রব্যসামগ্ৰী প্রদান করিয়া সৰ্ব্বদাই তাহার সম্মানবৰ্দ্ধন করি তেন । জাহাঙ্গীর আপিন জীবনীতে লিথিয়া গিয়াছেন— "মাতৃভূমির প্রাকৃতিক অবস্থানুসারে কর্ণ সুথসেব্য দ্রব্য তিনি অতিশয় লাজুক, অতি অল্পভাষী এবং আমাদের সহিত অল্পই মিশিতে চাহিতেন। আমাদের প্রতি র্তাহার বিশ্বাস উৎপাদন BBBB BB BBBB BBBBB BBBB BBBB করিতাম । আমি একদিন তাহাকে মুরজিহানের নিকট শ্লেষ্টয়া ঘাইলাম । মহিষী ৰ্তীঃ কে হস্তী, অশ্ব, তরবারি প্রভূতি নানাপ্রকার থেলাত পারিতোষিক প্রদান করিলেন ।” বাস্তবিক জাহাঙ্গীর কর্ণের সছিত বিজেতার ন্যায় ব্যবহার করিতেন মা, যাহাতে তিনি আপন সন্ত্রম কিছুমাত্র লাঘব জ্ঞান না করেন, তৎপক্ষে জাহাঙ্গীর সব্বদাই চেষ্টা করিলেন । ১৬২১ খৃষ্টাব্দে মেবারের শেষ স্বাধীন রাজা মহারাণ। অমরসিংহ জ্যেষ্ঠপুত্র কর্ণকে সিংহাসন প্রদান করেন । কৰ্ণ রাণা হইলে মেবারে শাস্তির রাজত্ব হুইল । মোগল আক্রমণে মেবারের যে যে অংশ ভগ্ন ও নষ্ট হইয়াছিল, তিনি তাহার পুনঃসংস্কার করিলেন । আপন রাজধানীর চতুঃপার্শ্বস্থ প্রাকার গুলি পরিথ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং পেশোলার জলরোধক বtধটি পরিবর্দ্ধিত করিয়া দিলেন । তিনি ১৬২৮ খৃঃ অব্দে ( ১৬৮৪ সম্বতে ) প্রিয়পুত্র জগৎসিংহের হস্তে রাজ্যতার অর্পণ করিয়া পরলোক গমন করিলেন । কর্ণওয়ালিস্ । লর্ড কর্ণওয়ালিস, যিনি ভারতের গভর্ণর সামগ্রী ব্যবহার করিতে জানিতেন না । o ( २ - - জেনারেল ছিলেন, ১৭৩৮ খৃষ্টাব্দের ৩১এ ডিসেম্বর তারিখে उँोरुाग्न छन्न रुच्न । ईश्ाग्न नाम झाणन् िक७िग्नोनिन । हेमिहे কর্ণওয়ালিস প্রদেশের দ্বিতীয় আরল ও প্রথম মার্ক ইস্ । পিতা বর্তমানে ইনি লর্ড ক্রস নামে পরিচিত ছিলেন। ১৭৬২ খৃষ্টাব্দে ইহার পিতার মৃত্যু হইলে, ইনি পিতৃপদের অধিকারী হইয়। ইংলণ্ডেশ্বরের বিশেষ প্রিয়পাত্র হন । শাসনকার্য্যে ইহার সৰ্ব্বতোমুখী ক্ষমতা ও স্বাধীন মত প্রদান করিবার শক্তি ছিল । এই সময়ে আমেরিকাবাসীরা স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ করে, তাহাতে লর্ড কর্ণওয়ালিস অতি উৎসাহ ও বিশেষ দক্ষতার সহিত নিউইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, কামডেন, পয়েণ্ট কমফর্ট ( সুখ অন্তরীপ ) প্রভৃতি স্থানের যুদ্ধে জয়লাভ করেন; কিন্তু ইয়র্ক নদীতীরে ইয়র্ক নগরের যুদ্ধে ফরাসী ও আমেরিকালাসী দ্বারা একবারে অtফ্রাপ্ত হওয়ার যুদ্ধে পরাজিত হইয়া শক্রহস্তে সদলে আত্মসমর্পণ করিতে বাধ্য হন ( ১৭৮১ খৃঃ) । ইহার পরাজয়েই ইংরাজদিগের হার হইল । ইংরাজের ১৭৮২ খৃষ্টাব্দে সন্ধি করিরা ইহাদের উদ্ধার সাধন করেন । রাজার প্রিয়পাত্র ছিলেন বলিয়। লর্ড কর্ণওয়ালিস্ এই পরাজয়ের জন্য বিশেয তিরস্কৃত হন নাই । ১৭৮৬ খৃষ্টাব্দে লর্ড কর্ণওয়ালিস ভারতের গভর্ণর জেনারেল নির্বাচিত গুষ্টলেন এবং ঐ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কলিকাতায় উপনীত হন । ইনি শাস্তস্বভাব, গন্তীয়বৃদ্ধি, সুবিচারক্ষম, লোকপ্রিয়, মঙ্গন-হৃদয় ও লোকহিতৈষী ছিলেন । যে সময়ে তিনি ভারতে আসিয়া পৌছিলেন, তৎকালে ভারতে যুদ্ধবিগ্রগদি কিছু ছিল না ; কিন্তু ওয়ারেণ হেষ্টিংসের শাসনকালের দুর্নীতিতে দেশ ছাইয়া পড়িয়াছিল। অত্যাচার অবিচারে আপামর সাধারণে পর্যা,দস্ত হইরা গিয়াছিল এবং অনেকানেক দেশীয় রাজ্য বিধবস্ত হইয়াছিল ; সুতরাং এরূপ অবস্থার লর্ড কর্ণওয়ালিস আসিয়া স্বীর স্বভাব-গুণে নানা ষ্ঠিতকর কার্য্যের অনুষ্ঠান করিয়া ভারতীয় প্রজাগণের বিশেয প্রিয় হইয়া উঠিলেন। এ সময়ে বড় বড় ইংরাজ কৰ্ম্মচারীর ও সৈনিকেরা এদেশীয় লোকের সহিত ব্যবসায় বাণিজ্য করিতেন, দেশীয় রাজগণের নিকট উপঢৌকন লষ্টতেন । সৈনিকের নানাবিধ উপারে পুরস্কার গ্রহণ করিত, শান্তিরক্ষার জন্ত কতকগুলি সৈন্ত বুথ। নিযুক্ত করা হইত । লর্ড কর্ণওয়ালিস্ এই সকল কুপ্রথা নিবারণ করেন । ইনি কি দৈনিক কি অদ্যবিধ কৰ্ম্মচারী সকলের জন্যই মাহিনীর বন্দোবস্ত করিয়া দিলেন । অযোধ্যার উজীরের সহিত যে সন্ধি হইয়াছিল, তাহাতে কতকগুলি অন্যায় ও অসঙ্গভ নিয়ম আছে দেখিয়া, লর্ড কর্ণ
পাতা:বিশ্বকোষ তৃতীয় খণ্ড.djvu/২১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।