- কলিকাত{ - - নবাবের হঠাৎ এরূপ সন্ধি করিবার কারণ ছিল । অ্যাডমিরাল নিকলসন যিনি হুগলীতে বহর লইয়া আসিয়াছিলেন, তিনি ইংলও হইতে চট্টগ্রাম ও সমস্ত মুসলমান নৌকা অধিকার করিবার আদেশ পাইয়tiছলেন । নবাব এই সংবাদ শুনিয়া এত শীঘ্ৰ সন্ধি করিয়া ফেলিলেন । তৎপরে জব চাৰ্ণক উলুবেড়িয়ার ডক নিৰ্ম্মাণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন এবং পীড়িত সৈন্য ও ইংরাজগণকে সুতানুটিতে পাঠাইয় দিলেন । ইহার আসিয়া কুঠীরে বাস করিতে লাগিল । এমন সময়ে মালা বারে ইংরাজ ও মোগললেনায় যুদ্ধ বাঁধে, সুতরাং সায়েস্ত থার মনে আবার ইংরাজপীড়নের কথা জাগিল । তিনি সুতানুটি ত্যাগ করিয়। ইংরাজদিগকে হুগলীতে আসিতে আদেশ পাঠাইলেন এবং তঁtহাদিগের সহিত গোলমালে র্তাহার রাজ্যের ক্ষতি হইয়াছে বলিয়া যথেষ্ট টাকা চাছিলেন এবং নিজ সৈন্যদিগকে ইংরাজের যথা সৰ্ব্বস্ব লুণ্ঠনের আদেশ দিলেন । চার্ণকের তখন এরূপ অবস্থা যে তিনি টাকা দিতে বা যুদ্ধ করিতে পারেন না এবং বুঝিলেন যে হুগলীতে ফিরিয়া বাওয়া কোনক্রমে সঙ্গত নহে। কাজেই তাহার আদেশ মত দুইজন ইংরাজ কুঠীয়াল নবাবকে কথায় ভুলাইয়। এই অত্যাচার নিবারণের জন্য ঢাকায় উপস্থিত হইলেন । এই সময়ে ইংলণ্ড হইতে কোর্ট অব ডিরেক্টরের নিকলসনের অকৃতকাৰ্য্যতায় ক্রুদ্ধ হইয়। কাপ্তেন হিদকে ৬৪টি কামান ও ১৬০ জন ইংরাজদৈষ্ট সহ যাঙ্গালায় পাঠাইয়। দিলেন । ঠিদের উপর আদেশ রহিল যে, তিনি হয় উপযুক্ত নিয়মে যুদ্ধ করিয়া বাঙ্গালীয় ইংরাজ-বাণিজ্য বজায় রাখিবেন, নতুবা বাঙ্গালার সমস্ত ইংরাজসৈন্ত ও কুঠীয়ালগণকে মান্দ্রীজে পহুছাইয়া দিয়া চট্টগ্রাম আক্রমণ করিবেন। ১৬৬৮ খৃষ্টাবো, অক্টোবর মাসে হিদ আদিয়া সুতানুটি পহছিলেন । এ সময়ে চার্ণক পূৰ্ব্বোক্ত দুইজন কুঠীয়ালকে নবাবের নিকট ঢাকায় পাঠাইয়া দিয়াছেন এবং তাহাদিগকে বলিয়া দিয়াছেন যে, যদি নবাব কতকটা কথা গ্রাহ করেন, তাহা হইলে তাহtয় নিকট সুতানুটিবাসের ও তথায় জমী খরিদ করিয়া অfবাদাদি নিৰ্ম্মাণের অনুমতি আনিতে হইবে । এই অবস্থায় হিদ সুতানুটিতে উপস্থিত হইয়া নবাবের ফ্যবহারের কথা শুনিলেন এবং নিজে উদ্ধত স্বভাবের লোক বলিয়া তৎক্ষণাৎ চাণকের অনভিমতেও যুদ্ধ করিতে স্থির প্রতিজ্ঞ হইলেন এবং কোম্পানীর সমস্ত কুঠীরাল ও লোকজনকে লইয়া যালেশ্বরাভিমুথে গমন করিলেন। ৰালেশ্বরের শাসনকর্তা নবাৰেয় হইয়া সন্ধি করিতে চাহিলেন, [ २१४ } কলিকাগু। কিন্তু ছিদ শুনিলেন না। তখন সেই শাসনকর্তা বালেশ্বরের ইংরাজ কুঠার দুইজন কুঠীয়ালকে জার্মান স্বরূপে বন্দী কfরলেন । এই সময়ে ঢাকায় নবাবের নিকট পূৰ্ব্বপ্রেরিত দুই জন ও অম্ভ দুই ফুঠীঃত দুইজন ইংরাজ কুঠীযাল এবং বালেশ্বরের এই বন্দীদ্বয় ব্যতীত আর সকলেই ষ্টিদের জাহাজে ছিলেন । হিদ উক্ত ৬ জনের প্রাণের আশঙ্কা সত্ত্বে ও সৈন্যসামন্ত লইয়া বালেশ্বর আক্রমণ করিলেন। যে দিন বালেশ্বর আক্রমণ করা হইল, সেইদিনই ঢাকার দূত আসিয়া সংবাদ দিল যে, নবাবসৈন্য ইংরাজের অধীনে আরাকান অধিকার করিবে । হিদ চট্টগ্রাম দখলে সম্ভাবন। দেখিয়া এ প্রস্তাবে সন্মত হইলেন। ১৬৮৯ খৃষ্টাবে ১৩ই ডিসেম্বর তিনি বালেশ্বর ত্যাগ করিয়া চট্টগ্রাম অতিমুখে যাত্রা করিলেন। চট্টগ্রাম মুরক্ষিত দেখিয় আরাকানরাজকে হস্তগত করিয়া কার্য্যোদ্ধারের চেষ্টা দেখিতে লাগিলেন ; কিন্তু রাজার উত্তর দিতে বিলম্ব দেখির স্বয়ং চট্টগ্রাম আক্রমণ করিবেন স্থির করিয়া পূৰ্ব্বোক্ত ৬ জনকে বাঙ্গালীয় ফেলিয়া অন্য সকলকে মন্দ্রিাজে রাখিয়৷ আসিবার জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারী যাত্রা করিলেন । এ দিকে অরঙ্গজেব এই সংবাদে ক্রুদ্ধ হইয়া দেশ হইতে ইংরাজ তাড়াইয়া দিতে আদেশ দিলেন । নানা অত্যাচার ঘটিল। এদিকে সায়েস্তা খ। বুদ্ধবয়সে আগরায় গিয়া প্রাণত্যাগ করিলেন। অালীমৰ্দ্দন খার পুত্র ইব্রাহিম খা নবাব হইলেন । ইব্রাহিম বড় দয়ালু। তিনি নবাব হইয়াই বনী ইংরাজ ৬ জনকে ছাড়িয়া দিলেন ও সম্রাটের আদেশ আনাইয়া ইংরাজগণকে বঙ্গদেশে আসিবার জন্য চার্ণককে পত্র লিখিলেন। ইংরাজগণ ১৬৯০ খৃষ্টাব্দের ২৪এ আগষ্ট তারিখে সু তামুটিতে অtসিয়া স্থায়ীরূপে বসবাস করিতে থাকেন। সাম্রাজিক কোবে বাৎসরিক ৩• • • মুদ্র সরবরাহ করিয়া, পূৰ্ব্বের ন্যায় বাঙ্গালার নানস্থানে কুঠী-স্থাপন ও ব্যবসা বাণিজ্য করিবার জন্ত, ১৬৯১ খৃষ্টাকো (অtল হিজিরা ১০১১) জব চাণক নবাব ইব্রাহিম খার নিকট হইতে সম্রাট প্রদত্ত "সবুল হু কম’ প্রাপ্ত হন । ইংরাজগণ সুতানুটিতে উপনিবেশ স্থাপন করিবার অনুমতি পাইলেন বটে, কিন্তু উক্ত স্থানে দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিবার অtঞ্জ। পাইলেন না । ( ১ ) এই ঘটনার পর ১৬৯২ খৃষ্টাব্দের জানুয়ার মাসের ১০ই দিবসে চার্ণকের মৃত্যু হয়। কোর্ট অব ডিরেক্টারের এইরূপ আজ্ঞা দিয়াছিলেন যে, চার্ণকে য় জীবন কাল পর্য্যন্ত বাঙ্গাল মাঙ্গাজ হইতে পৃথক্ থাকিয়া ব্যবসায় (S) Broome's History of the Rise and Progress of the Bengal Army, Vol. I, p. 24.
পাতা:বিশ্বকোষ তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।