কাঞ্চনপল্লী উৎকট রোগের কোন ঔষধ নাই, কবিরাজ লজ্জায় পড়িয়া আপন সন্ত্রম রক্ষার জন্ত আমার কিছু বলিতে পারিতেছেন ন, নচেৎ মাসাবধি গত হইল, এ পর্য্যন্ত রোগের কোন ব্যবস্থা হইল না। আরোগ্যলাভ তে সুদূরপরাহত ! বাহ ছউক, আজি এই কালসপের বিষদুখিত জলপান স্বার। জীবনের সঙ্গে যন্ত্রণার শেষ করিব । রাজা মনে মনে এইটি স্থির করিয়! সেই কালসপের পানীবশেষ পানীয় পান করিক্সেন এবং আপনার অস্তিম কাল উপস্থিত জানিয়া অস্তুকাপ্তক অনন্তশক্তি ঈশ্বরের স্মরণ মননে চিত্তনিবেশ করিলেন । এই অবস্থায় রাজা যেমন শয়ন করিলেন, অমনি শ্রাস্তিহারিণী নিদ্রাদেবী শাসিয় তাহাকে ক্রোড়ে ধায়ণ করিয়া ভাইলেন । রাজার শ্বাসশকে রাণীদিগের নিদ্ৰা ভঙ্গ হইর। গেল ; তাহার। প্রথমতঃ কিছুই স্থির করিতে পারিলেন না। ক্রমে দাসদাসী সকলকে আহবান করিতে করিতে রজনী প্রভাত হুইয়া পড়িল । চণ্ডীচরণ কবিরাজ প্রাতঃস্নানে গমন করিয়া রাজাকে দেখিতে গেলেন এবং অমাত্য-ভূত্য সকলের নিকট হইতে রাজবি বৰ্ত্তমান অবস্থায় কথা অবগত হইয়। নাড়ীপরীক্ষা ও অঙ্গপশ করিয়। কহিলেন, কোন ভর নাই, আমার কোন বরঞ্চ লক্ষণ বোধ হইতেছে না, যতক্ষণ পর্য্যস্ত রাজার আপন৷ হইতে নিদ্রাভঙ্গ না হয়, ততক্ষণ পর্য্যস্ত তোমরা কেহ যেন উ-হাকে জাগাই ও না । বেল স্কি প্রহর অতীত, রাজার নিদ্রাভঙ্গ হইল ; তিনি আশ্চর্য্যাম্বিত হইলেন এবং এই নিদ্র। সেই কালকূট গরলের আচ্ছন্নত। ভিন্ন আর কিছুই নহে মনে করিয়া, কাহারও নিকট কিছু প্রকাশ করি লেন না । বৈকালে নির্দিষ্ট সময়ে কবিরাজ আসিয়া নির্জনে রাঞ্জাকে কছিলেন, আমি এতদিন আপনাকে লজ্জা ও ভয়ে কিছু বলিতে পারি নাই ; আপনার রোগের বে প্রকার ঔষধ ও আকুপান শাস্ত্রে প্রাপ্ত হইয়াছি, তাহা অতি দুর্ঘট ও দুর্লভ। যদি আপনার ইচ্ছা ও অসুমতি হয়, বলিতে পারি। রাজ। শুনিতে ইচ্ছুক হওয়ায় কবিরাজ কহিলেন যে, একখানি প্রাচীন গ্রন্থে এইরূপ নির্দিষ্ট আছে যে, যদি অমানিশার নিশীথ সময় বৃষ্টি হইয়। সেই জল কোন থর্পরে পতিত হর, সেই জল তিন্ন এ রোগের ঔবধের আর কোন অকুপান নাই । ইহা শুনিয়া রাজা কবিরাজকে গত রাত্রের সমস্ত বৃত্তাস্ত অবগত করিলেন এবং সেই জলাধার গৰ্ত্তখনন করিয়া দেখিলেন যে, সেটি কোন শবের মাতার খুলি । ইহাতে রাজা ও কবিরাজ উভয়েরই বিস্ময় উপস্থিত হইল এবং উভয়ের আনপাশ্র নির্গত হইতে লাগিল। রাজ কবিরাজের সন্মানস্বরূপ दिछद्र शनद्गङ्गांछि शॉन कब्रिग्नी गांनभ-झलtग्न श्रृंप्लशृ१भन [ 8st 1 কাঞ্চনফুল করিলেন । এই অপূৰ্ব্ব আখ্যানের কতদূর সত্য, তাছা আমরা বলিতে পারি না ; কিন্তু চণ্ডীচরণ রায় ষে একজন অদ্বিতীয় চিকিৎসক ছিলেন, তাহ অদ্যপি অনেকে ঘোষণা করেন। কঁচড়াপাড়ার গ্রাম্য উৎসবস্বরূপ মহাকালী-রাজরাজেশ্বরী ও জগদ্ধাত্রী পূজা বছকাল হইতে চলিয়া আলিতেছে এবং পূৰ্ব্বে পূৰ্ব্বে এই সকল উৎসষে বহু ব্যয়সাধ্য নৃত্যগীত, রাগরঙ্গ, দরিদ্রভোজন এবং অধ্যাপকদিগকে শাল রত্নাদি মূল্যবান বস্ত্র ও রূপার তৈজসাদি বিতরণ হইত। কাঁচড়াপাড়া এক সময় দৈহিক বলবিক্রম বিষয়েও বিখ্যাত ছিল। বেচারাম অধিকারী নামক এক ব্যক্তি একদ। বাহুবলে তালগাছ তুলিয়া ফেলিয়। স্ত্রীলোকদিগের স্নানের পথ পরিষ্কার করির দিয়াছিলেন এবং একবার একদল নব্য সম্প্রদায়ীদিগের মধ্যে একজনকে কুম্ভীরে ধরিলে সকলে ঐক্য হইয়। সেই কুন্ত্রীরকে ডাঙ্গায় তুলিয়াছিলেন । কঁাচড়াপাড়ার মৃত্তিকাকে পূৰ্ব্বে অনেকে বীরমাটি বলিত ; কিন্তু এখন সেই বীরভূমি নীরবৎ ইয়া গিয়াছে। কাঞ্চনপুর (ক্ল । কলিঙ্গরাজ্যের নগরবিশেষ। (জৈন হরি বংশ ২৪ ১১ ) কাঞ্চনপুষ্পক । ক্লা) কাঞ্চন'মৰ পীতং পুষ্পং বস্ত, কাঞ্চন পুষ্প-কপ । অঞ্চল্য দেখ । ] কাঞ্চনপুষ্পী ( ) কাঞ্চনামৰ পুপ যন্তা, জীপ গণিয়ারী 列T区, কাঞ্চনপুঠি ( দেশজ । একজাতীয় পুটিমাছ, ইটার গাত্রবর্ণ অতি চক্কণ সোণার মত, তাই ইঙ্গকে কাঞ্চনপুট কহে । অ{য় :ো গাঢ় । গণি কারিক দেখ । ] ( Barbus conchonis. ) কাঞ্চনপ্রভ (পুং ) ১ ঐল বংশীয় রাজবিশেষ । ২ (ত্রি) কাঞ্চনস্ত প্রভ ইব প্রভা যস্ত, বহুত্রী । স্বর্ণের দ্যায় প্রভাবিশিষ্ট । কাঞ্চনফুল (cos ) ofton (Bauhinia variegata) ইহার গাছের সংস্কৃত নাম—কোবিদার, রক্ত কাঞ্চন, চমরিক, কুদাল, যুগ্মপত্রক, কাঞ্চনার, কণ কারক, কান্তপুষ্প, করক, কাস্তার, বমলচ্ছদ, কাঞ্চনাল, তামপুষ্প, কুদার, বিদল, কাঞ্চনক, গণ্ডারি, শোণপুষ্পক । হিনী কচনার বা সোণ, মহারাষ্ট্ৰী ‘কাঞ্চন, উড়িয়৷ ‘বোরোধ, তামিল সেগাছ মন্থরী, ব্ৰহ্ম মহাহিলগণি, মলর ‘চোবন মুন্দরী’ । কোবিদার ও কাঞ্চন একজাতীয় বৃক্ষ এবং সংস্কৃত তাষায় এক পর্য্যায়বাচক হইলেও উভয়ে স্বল্পবিশেষ প্রভেদ আছে । বর্তমান ইংরাজী উদ্ভিজ্জশাস্ত্রেও উভয় গাছের ato go (Bauhinia variegata), rotocos &to
পাতা:বিশ্বকোষ তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।