কামরূপ পরম শোভন, রূপ বিতোপন, পাছে পুত্র জন্মিলন্ত ॥ অপুত্রক রাজা, পুত্র নাহি কয়, মাতি ভৈলা আকুপাম। পরম মহস্তে, • পণ্ডিত সকলে, নারায়ণ দিল নাম ॥” অর্থাৎ বিশ্বসিংহের শশীসিংহ নামে একটি পুত্র ছিল। শসিংহ অবলে লোকান্তরপ্রাপ্ত হন। তাহার কার গর্ভে ( কাহার ঔরসে ঠিক নাই ) অপুত্ৰক বিশ্বসিংহ রাজার পরম সুন্দর রূপবান একটি দৌহিত্রের জন্ম হয়। পণ্ডিতেরা তাহার নাম নারায়ণ রাখেন। এই নরনারায়ণ এবং ইহার ভ্রাতা শুক্লধ্বজের (চিলারায়ের ) নাম কামরূপে সবিশেষ প্রসিদ্ধ। মহারাজ নরনারায়শ বিশেষ বলশালী ছিলেন। ইনি কামরূপকে বিদেশীর হস্ত হইতে সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার করিয়া, ইহার অনেক উন্নতিসাধন করেন। মহারাজ নরনারায়ণের অন্য একটি নাম মল্লদেব বা মল্পনারায়ণ । ইহার সময়েই পুরুষোত্তম বিদ্যাবাগীশ কর্তৃক অধুনা আসামে প্রচলিত সংস্কৃত রত্নমালী ব্যাক রণ রচিত হয় * । যথা--- “শ্ৰীমন্ত্রদেবন্ত গুণৈকসিন্ধোর্মহীর্মহেন্দ্রস্ত যথা নিদেশম্। যত্নাৎ প্রয়োগোত্তমরত্নমালা বিতঙ্গতে শ্ৰীপুরুষোত্তমেন ॥” রত্নমালা । হিন্দুধৰ্ম্মবিদ্বেষী বিখ্যাত কালাপাহাড় । ১৫৬৪ বা ১৫৬৬ খৃষ্টাব্দে ভগবতী কামাখ্যা-দেবীর মন্দির ভগ্ন করিতে আইসে। কুচবেহারে তখন মহারাজ নরনারাযণ রাজা ছিলেন। কালাপাহাড়ের পরাক্রমে সন্ত্রস্ত হইয়৷ তিনি তাহার সঠিত সন্ধি করেন। কালাপাহাড় ভগবর্তীর মন্দির ভগ্ন এবং পীঠস্থানবৰ্ত্তী সুন্দর সুন্দর অন্যান্ত প্রতিমূৰ্ত্তিগুলি গদাঘাতে বিকৃত করিয়া, স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করিলে মহারাজ র্তাহার ভ্রাতার সহিত ভগবতীর মন্দিরাদির পুন: সংস্কার করেন। অতি কমেও বার বৎসরে এই জীর্ণ সংস্কার কার্য সুসম্পন্ন হইয় উঠে। কামাখ্যা-মন্দিরের বৰ্ত্ত, মান (চলন্ত ) মূৰ্ত্তি (যাহা সাধারণতঃ নাড়াচাড়া করা যায় ) মহারাজ নরনারায়ণ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত। বর্তমান কামাখ্যা-মন্দিরের বহির্ভাগেই মহারাজ নরনারায়ণ এবং তাছার লাতা শুক্লধ্বজের প্রস্তরখোদিত সুন্দর প্রতিমূৰ্ত্তি দুইটি অদ্যপি বর্তমান আছে। ! झुफूभाश। ब्रक्लिङ इग्न مه» ه afg تا چاقی به + কামরূপ অঞ্চলে কালাপাহাড় *t*ाग्नाश्%ाङ्ग, 'cviब्रिांबू?t#.' ‘काज५%ान' ष काशषरन नt:न १ि५i*ि ! @ @ [ ৫২৫ ] రిషి কামরূপ यशंब्रांज नब्रमांब्रांद्रण (अब५ ७ङ्गक्रज भशांबांद्रांङ्ग थकांख् ভক্ত ছিলেন, এবং ভগবতীও উ হাদিগকে যথেষ্ট অনুগ্রহ করিতেন। মহারাজ কুচবেহার হইতে ৰিজ্ঞ ব্রাহ্মণ জানাইয়া ভগবতীয় পূজাদি নিৰ্ব্বাৰ করিতেন। কেন্দুকলাই নামক কামাখ্যার একজন পুজারী ব্ৰাহ্মণ এবং মহারাজ মরনারায়ণ ও শুক্লধ্বজের সম্বন্ধে কামরূপে অদ্যাপি এইরূপ জনপ্রবাদের প্রচলন আছে —কেন্দুকলাই পূজারীঠাকুর সন্ধ্যার সময় যখন ঘণ্টা বাজাইয়া ভগবতীয় আরতি করিতেন, তখন ভগবতী কেন্দুকলাইয়ের আয়তিতে মুগ্ধ হইয়া, তাহার ঘণ্টাৰাদ্যের তালে তালে মৃত্য করিতেন। মহারাজ নরনারায়ণ ইহা জানিতে পারিয়া ভগবতীর চৈতন্যমূৰ্ত্তি দৰ্শনমানসে কেন্দুকলাই ঠাকুরকে উপায় জিজ্ঞাসা করিলেন। ঠাকুরমহাশয় বলিলেন, যে সন্ধ্যার সময় যখন র্তাহার ঘণ্টধ্বনি গুনা যায়, তখন নাটমন্দিরের “কুন্ত্রাক্ষর জলারে” (রন্ধ বিশেষের মধ্য দিয়া) মন্দিরের তিতরে চাছিলেই, মহারাজ ভগবতীর চৈতন্যমূৰ্ত্তি দেখিতে পাইবেন। এই পরামর্শ মত মহারাজ একদিন সন্ধ্যার সময় নাটমন্দিরের “কুন্ত্রাক্ষ জলা” দিয়া ভগবতীকে দেখেন। দৈবাৎ ভগবতী মহারাজের এই কার্য জানিতে পারিয়া কেন্মুকলাইঠাকুরের শিরশেদ করেন। ("কেন্দুকলাইর মুরছিঙ্গার দরে মুর ছিদিম”—আসামে সেই সময় হইতে এই একটি দৃষ্টান্তই চলিয়া আসিয়াছে। অর্থ–‘কেন্দুকলাইর যেরূপে মন্তকছিন্ন হইয়াছিল, সেইরূপে তোমারও মস্তক ছিন্ন করিব।”) এবং ভগবতী মহারাজ নরনারয়ণকে শাপ দেন যে, ভবিষ্যতে তিনি কি তাহার বংশের কেহই কামাখ্যাদর্শন দূরে থাক, কামাখ্যা মন্দিরের দিকে দেখিলেও তাহাদের শিরশেদ হইবে। এই শাপের ভয়ে আজিও কুচবেহার, বিজনী, দরঙ্গ ইত্যাদি শিববংশী রাজপরিবারের কেহই কামাখ্যা-মন্দিরের দিকে প্রাণান্তেও দৃষ্টপাত করেন না। কোন কাৰ্যবশতঃ কামাখ্যার দিকে যাইতে হইলেও কাপড় দিয়া সেই দিকৃটি অবরোধ করিয়া চলেন । বিশ্বসিংহের মৃত্যুর পর তদীয় রাজ্য, তাহার কুইপুত্র নরনারায়ণ ও শুক্লধ্বজের মধ্যে বিভক্ত হয়। নরনারায়ণ স্বৰ্ণকোষী নদীর পশ্চিমতীরস্থ সমস্ত রাজ্য ও শুক্লধ্বজ উহার পূৰ্ব্বতীরস্থ অবশিষ্ট রাজ্য গ্রাপ্ত হন। শুক্লধ্বজের অংশেই ব্ৰহ্মপুত্রের উভয়তীরস্থ ভূভাগ পড়ে, স্বতরাং কামরূপও শুক্লধ্বজের অধিকারে পড়ে। শুক্লধ্বজের পর তাহার পুত্র রঘুদেবনারায়ণ রাজা হন। প্তাহার পর তাহার দুই পুত্রের মধ্যে জ্যেষ্ঠ পরীক্ষিৎ।
পাতা:বিশ্বকোষ তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।