কামরূপ, একজন হিন্দুস্থানী ইহা নিৰ্ম্মাণ করে। মন্দিরের পূর্বারের সম্মুখে পূৰ্ব্বোক্ত কেন্দুকলাই নামক পুরোহিতের ছিন্নমুও প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। শুক্লধ্বজের জীবিতকালে, নরনারায়ণ একবার শনিগ্ৰস্ত হনু। জ্যোতির্মীরা গণিয়া এই কথা জানাইলে, নরনারায়ণ শুক্লধ্বজকে রাজ্যে প্রতিনিধি ब्रांथिम्ना निरुद्ध তীর্থযাত্র করেন। প্রায় এক বৎসর পরে তিনি ফিরিয়৷ আসেন । এই ভ্রমণের সময় আসামরাজের শ্বেত হস্তীর উপর তাহার লোভ হয়। শুক্লধ্বজ এই বিবরণ শুনিয়া ভ্রাতার তৃপ্তির জন্য আসামরাজকে যুদ্ধে পরাস্ত করিয়া হস্তী কাড়িয় আনিলেন। অনেকে বলেন, এই ঘটনা হইতেই তাহার নাম “শুক্লধ্বজ” হয়। আধুনিক বুরীমতে ১৫৮৬ শকে নরনারায়ণের মৃত্যু হয়। ইহার পুত্র লক্ষ্মীনারায়ণ রাজা হইলেন। স্বর্ণকোষী হইতে মহানন্দ পর্য্যস্ত, এবং সরকার ঘোড়াঘাট ও ভোটানের দক্ষিণস্থ পাৰ্ব্বত্যপ্রদেশ পৰ্য্যন্ত সমস্ত ভূভাগ ইহার রাজ্যের অন্তর্ভূত হয়। পশ্চিমোত্তর হইতে দক্ষিণ-পূৰ্ব্বে এই রাজ্য ৯০ মাইল দীর্ঘ ও পুৰ্ব্বোত্তর হইতে দক্ষিণ-পশ্চিমে ৬০ মাইল বিস্তৃত। উত্তর-পশ্চিমে কক্কট সীমান্তপ্রদেশ শিবসিংহের (পূৰ্ব্বোক্ত হীরা ও জীরার মধ্যে জীরার পুত্র শিবসিংহের ) সস্তানগণকে প্রদান করা হয়। লক্ষ্মীনারায়ণের এই রাজ্যকে পূৰ্ব্ব হইতেই “বিহার” বলিত। শিব হীরা ও জীয়ার সহিত বিহার করিতেন বলিয়াই এই স্থানের ঐ নাম হয় ; কিন্তু মগধদেশের বর্তমান নাম বিহার (পাটনা) প্রদেশ হইতে এই বিহারের স্বতন্ত্রতা বুঝিবার জন্ত ইহাকে “কোচবিহার” বলে। আইন-ই-আকবরী পাঠে জানা যায় যে, লক্ষ্মীনারায়ণ আকবরের ব্যতা স্বীকার করিয়াছিলেন। ইহার সময়ে রাজ্যসীমা উত্তরে তিব্বত, দক্ষিণে ঘোড়াঘাট, পশ্চিমে ত্রিহুত ও পূৰ্ব্বে ব্ৰহ্মপুত্র ; পরিমাণফল দৈর্ঘ্যে প্রায় ২০০ শত ক্রোশ। ইহার ৪০০০ অশ্বারোহীসৈন্য, ২ লক্ষ পদাতি, ৭০০ শত হস্তী ও ১০০০ জাহাজ ছিল।—আইন-আকবরীতে আরও জানা যায় যে, লক্ষ্মীনারায়ণের পিতার নাম গুরুগোস্বামী। গুরুগোস্বামী রাজা ছিলেন না, ইহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা বালগোস্বামী রাজা ছিলেন ; বিবাহ না করায় তাহার পুত্রাদি হয় নাই। বালগোসাই অতি স্থবিজ্ঞ রাজা ছিলেন। তিনি তাহার ভ্রাতুপুত্র পাটকুমারকে রাজ্যাধিকারী নির্ণয় করেন। শুরুগোস্বামী আর এক বিবাহ করিলেন, সেই গর্ভে লক্ষ্মীনারায়ণ জন্মগ্রহণ করেন। পাটকুমার বিদ্রোহী হইলেন। এই সময় মানসিংহ বাঙ্গালার নবাব। লক্ষ্মীনারায়ণ মানসিংহের निकों সম্রাটের পরিচিত হুইবার প্রার্থনা করেন ; [ ৫২৭ ] 颚 ~ किरू मांननिश् ऊाश ॐ८भक काग्रम । मांमनिश् ऎशत्र এক কন্সার পাণিগ্রহণ করেন। বালগোঁসাই ১৫৭৮ খৃষ্টাব্দে একবার বাঙ্গালার নবাবের অধীনতা স্বীকার করিয়া দরবারে ৫৪টি হস্তীসহ বিস্তর উপঢৌকন দেন। লক্ষ্মীনারায়ণ ১৫৯৬ খৃষ্টাৰো রাজত্ব করিতেন। তাজক-ই-জাহাগিরী পাঠে জানা যায় যে, লক্ষ্মীনারায়ণ ১৬১৮ খৃষ্টাব্দে গুজরাটের রাজসভায় ৫০০ থান মোহর নজর পাঠাইয়াছিলেন। পাদশাহনাম পাঠে জানা যায় যে, জাহাঙ্গীরের সময়ে পরীক্ষিতনারায়ণ কোচহাজো প্রদেশে, ও লক্ষ্মীনারায়ণ কোচবিহারে রাজত্ব করিতেন। পাদশাহনামা বলেন, লক্ষ্মীনারায়ণ পরীক্ষিতের পিতামহের সহোদর। জাহাঙ্গীরের রাজত্বের ৮ম বৎসরে মুসঙ্গের রাজা রঘুনাথ পরীক্ষিতের বিরুদ্ধে দরবারে অভিযোগ করেন যে, তিনি র্তাহার পরিবারবর্গকে অবরোধ করিয়া রাখিয়াছেন। সেখ আলাউদ্দীন ফতেপুরীইসলাম খাঁ তখন বাঙ্গালার নবাব। তিনি মকরাম খাকে কোচহাজো জয় করিতে পাঠাইরা দেন। লক্ষ্মীনারায়ণ মুসলমান পক্ষে যোগ দেন। যুদ্ধে পরাজিত হইয় পরীক্ষিৎ আত্মসমর্পণ করেন। ইহার ভ্রাতা বলদেব আসামরাজ স্বৰ্গদেবের আশ্রয় লয়েন। তৎপরে পরীক্ষিৎ সম্রাটের আদেশানুসারে দিল্লীতে প্রেরিত হন ও মকরাম খাঁ হাজোর শাসনকর্তা নিযুক্ত হইলেন। বলদেব আসামরাজের সহায়তায় হাজো উদ্ধারার্থ যত্ন করিতে লাগিলেন। আসামরাজ র্তাহাকে স্বীয় অধীনতা স্বীকার করাইয়া সাহায্য করিতে প্রতিশ্রুত হইলেন। মকরাম খাঁ। এই সময়ে শাসনকর্তৃত্ব হইতে অপস্থত হওয়ায় আর একজন নুতন শাসনকর্তার আগমনের অবসরে সুযোগ পাইয়৷ বলদেব দরঙ্গ অধিকার করিলেন । এই সময় এদেশে বাঙ্গালার নবাবের পক্ষ হইতে হাজোপ্রদেশে হাতী-খেদা রক্ষা করিবার জন্ত পাইকের জায়গীর লইয়া বাস করিত। কাশিম খাঁ যখন বাঙ্গালার নবাব, তখন তিনি অনেকদিন । হাতীর আমদানী না পাইয়া হাতী-খেদার সর্দারদিগকে উপস্থিত হইতে আদেশ দেন। সর্দারের উপস্থিত হইলে নবাব তাহাদিগকে বন্দী করেন, তন্মধ্যে সন্তোষ লস্কর ও জয়রাম লস্কর নামক দুইজন সর্দার পলাইয়া গিয়া আসামরাজ স্বৰ্গদেবের আশ্রয় লয়। তৎপরে. যখন ইসলাম খ৷ নবাব হন, তখন পাণ্ডুর অত্যাচারী থানাদার শক্রজিৎ বল দেবের সহিত মিলিত হইয় তাহাকে হাজোর শাসনকর্তা আবদাসসেলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে গোপনে পরামর্শ দেন।
পাতা:বিশ্বকোষ তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।