কামরূপ I • কামরুপ হিন্দুমতে বুদ্ধি স্বৰ্গনারায়ণ বা প্রতাপ সিংহ নামে অভিহিত হন। ইনিই এদেশে হুর্গোৎসব এবং স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রা প্রচলিত করেন। ইহার রাজত্বকালে, ১৫৪৯ শকে, কামরূপের শাসনকর্তা সৈয়দ যাবাকর আসাম আক্রমণ করার যুদ্ধ হয়, তাহাতে সৈয়দ মিহত হন ও গৌহাটী আসামরাজের হস্তগত হয়। ইনি বিস্তর পথ-ঘাটাদি প্রস্তুত করিয়া আসামের উন্নতি সাধন করেন। দেবমন্দির ও ব্রাহ্মণের প্রতিপালনার্থ ভূমিদান করিবার প্রখা ইহারই রাজত্বকালে প্রবর্তিত হয়। ইহার মৃত্যুর পর ইহার জ্যেষ্ঠ, তৎপর কনিষ্ঠ পুত্র সিংহাসনারোহণ করেন, কিন্তু তাহারা উভয়েই অত্যন্ত উপদ্রবী ছিলেন, তৰ্জ্জন্ত মন্ত্রিগণ কর্তৃক রাজ্যচু্যত হন। ইহার পর চুতামলা বা জয়ধ্বজ সিংহ রাজা হন। .ইনি একজন পরাক্রমী রাজা ছিলেন ও আসামের বহু উন্নতি সাধন করেন। ১৫৭৭ শকে भैौब्रङ्म्णा ७ भकूम थे। uहे झहेछन भूनणभांन ठेनशांशक আসাম আক্রমণ করেন। আসামরাজ পরাস্ত হইয়া সন্ধি করিতে বাধা হন। ইহার মরণাস্তর চুপংমুং বা চক্ৰধ্বজ সিংহ রাজা হন । ইনি সন্ধির নিয়ম অনুসারে অরঙ্গজেব বাদশাহের প্রাপ্য কর দানে ক্রটি ও বাদশাহের দূতকে অবমাননা করায় বাদশাহের আজ্ঞানুসারে রাজ রাম সিংহ আসাম আক্রমণ করেন, কিন্তু যুদ্ধে পরাস্ত হইয়া পলায়ন করিতে বাধ্য হন, তাহাতে কামরূপ পুনরায় আসামরাজের হস্তগত হয়। আসামের রাজধানী উপর আসামে ছিল, সেখান হইতে দূরস্থ কামরূপের শাসন-কাৰ্য্য সুচারুরূপে নিৰ্ব্বাহ হওয়া সুকঠিন, তাই রাজা গৌহাটীতে একজন বড়ফুকন অর্থাৎ রাজপ্রতিনিধি নিযুক্ত করেন। তাহার দেবপদর বরচর বা মন্ত্রণাগারের চিহ্ন অদ্যাপি আছে। ইহার পর তাহার ভ্রাতা চুন্যৎফ বা উদয়াদিত্য রাজা হন, ও তাহার মরণাস্তে তাত্রাতা চুক্লম্ফ বা রামধ্বজ সিংহ সিংহাসনারোহণ করেন। ইহার পরে যে চারিজন রাজা হন, তাহারা হিন্দুধৰ্ম্ম বা হিন্দু নাম গ্রহণ করেন নাই। ইহাদিগের শেষ রাজা চুতেফা ১৬০১ শকে কামরূপপ্রদেশ মুসলমানদিগকে ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হন। তাহার মরণানন্তর চুলিকৃষ্ণ বা লরারাজ রাজ্য প্রাপ্ত হন। মন্ত্রিগণ ইহাকে সিংহাসনচ্যুত করিয়া চামুণ্ডরীয়বংশীয় চুপাতফা বা গদাধর সিংহকে অভিষেক করেন। ইনি হিন্দু ছিলেন না, হিন্দু ও হিন্দুধৰ্ম্ম উভয়কেই স্থণা করিতেন, ব্রাহ্মণদিগের উপর তাহার বিজাতীয় বিদ্বেষ ছিল ও ব্রাহ্মণদিগের অনেকেই নগর হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিয়াছিলেন। তিনি বলবান ও বৃহৎকায় পুরুষ ছিলেন। মদ্যমাংস বিনা থাকিতে পারিতেন না ; ভেক ও গো-মাংস তাহার প্রিয় श्रीमा हिण। डिबि वशिष्ठन्न cए, fश्म-५ईहे जाश्य ब५८णव्र পতনের কারণ হইবে। তিনি হিন্দু-ধৰ্ম্ম মানিতেন না, কাজেই কোন হিন্দুদেবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন নাই ; কিন্তু গোঁহাটর নিকট ব্ৰহ্মপুত্রমধ্যস্থিত ভন্মাচল , পৰ্ব্বতে উমানন্দ-শিবের মন্দির তাহারই রাজত্বকালে প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহ অদ্যাপি আছে। তাহার রাজত্বকালে ১৬০৫ শকে পুনরায় মুসলমানের আসাম আক্রমণ করে, কিন্তু যুদ্ধে পরাস্ত হইয়া কামরূপপ্রদেশ ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হয় ও আসামরাজ পুনৰ্ব্বার গৌহাটীতে কামরূপের রাজধানী স্থাপনপূর্বক একজন বড়ফুকন প্রেরণ করেন। তাছার মরণাস্তে র্তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র চুখুংফা বা রুদ্রনাথ সিংহ রাজা হন। ইহার পিতা যেমন হিন্দু ও হিন্দু ধৰ্ম্মবিদ্বেষী ছিলেন, ইনি তেমনই হিন্দু ধৰ্ম্মপরায়ণ ও ব্রাহ্মণভক্ত হইলেন। ইনি অনেক ব্রাহ্মণকে ভূমি-দান ও দেবমন্দির স্থাপন করিয়া গিয়াছেন। শিবসাগরের অন্তর্গত নামডাং নদীর উপর যে বৃহৎ ও সুদৃঢ় প্রস্তরময় সেতু বিদ্যমান আছে ও যাহার উপর অনেক হস্তী, অশ্ব ও লোক গমনাগমন করিতেছে, তাহা ইহারই আদেশমুসারে নিৰ্ম্মিত। তদ্ভিন্ন ইহার স্থাপিত অনেক দেবমন্দিরও বর্তমান আছে। ইনিই বাঙ্গালা দেশ হইতে গায়ক ও বাদ্যকর আনাইয়। এদেশে বাঙ্গালা গান-বাদ্যের প্রচলন করেন। ইনি গঙ্গানদীকে নিজ দেশান্তর্গত করিবার অভিপ্রায়ে বঙ্গদেশ আক্রমণার্থ সসৈন্তে যুদ্ধযাত্রাপুৰ্ব্বক গৌহাটীতে উপস্থিত হন, কিন্তু ফুৰ্দৈৰবশতঃ উক্ত স্থানে রোগাক্রান্ত হইয়। কালের করাল কবলে নিপতিত হওয়ায় তাহার অভিলাষ সিদ্ধ হইল না । তৎপুত্র শিবনাথ সিংহ বা চুতনফা র্তাহার সিংহাসনাধিকারপ্রাপ্ত হন। জাসামদেশে যে সমস্ত দেবোত্তর, ব্রহ্মোত্তর, পীরেভর বা অন্ত প্রকার নিষ্কর ভূমি আছে, তাহার অধিকাংশ ইহারই প্রদত্ত। ইহার পট্টমহিষী ফুলেশ্বরী বা প্রমথেশ্বরীর আদেশানুসারে গৌরীসাগর নামক বৃহৎ পুষ্করিণী নিৰ্ম্মিত হইয়৷ তাহার পারে এক শিবমন্দির স্থাপিত হয়। ইহার মৃত্যু হওয়াতে মহারাজা ইহার ভগিনী দ্রৌপদী বা অম্বিকাকে বিবাহ করিয়া পট্ট মহিষী অভিষেক করেন। ইনি তাহার জ্যেষ্ঠার আদেশে শিবসাগর জিলার দিখু নদীর উত্তরপারে কিঞ্চিদধিক একশত পুরা (চারিশত বিঘা ) ভূমিতে শিবসাগর নামক এক পুষ্করিণী খনন করাইয় তাহার তীরে শিব, দুর্গ ও বিষ্ণুর তিনটি বৃহৎ মন্দির প্রতিষ্ঠা করিয়া দেবসেবার জন্য অনেক ভূমি দান করেন। উক্ত মন্দিরত্রয় ও পুষ্করিণী বর্তমান আছে এবং ঐ পুষ্করিণীর নামানুসারে ঐ প্রদেশের নাম শিবসাগর হইয়াছে ও তাহার
- }