[ *లిసి ) কামরূপ ৰিকা মজুমদার, ভরাম খাওন্স ও দরঙ্গের বিতাড়িত রাজ বিষ্ণুনারায়ণকে বুটশ গবর্ণমেন্টের সাহায্য প্রার্থনা করি বার জন্ত কলিকাতায় পাঠাই দিলেন। গোৱালপাড়ার ইংরাজ-বণিক রস সাহেব কলভিন বজেট কোম্পানির নামে চিঠি দিলেন। এই সময় কলিকাতায় লর্ড কর্ণওয়ালিস গবর্ণর জেনেরল। তিনি রাজা গৌরীনাথের আবেদনপত্র পাইয়াও প্রথমতঃ সাহায্য করিতে অস্বীকার করেন ; কারণ আত্মবিচ্ছেদে এক পক্ষকে সাহায্য করা অপর রাজার পক্ষে রাজনীতিবিরুদ্ধ ; কিন্তু শেষে দেখিলেন যে রাজা কৃষ্ণনারায়ণ হিন্দুস্থানী সৈন্ত লইয়া কামরূপ লণ্ড ভণ্ড করিতেছেন ; এই হিন্দুস্থানীরা বৃটিশ প্রজা। সুতরাং তাহাদের দমন করা তাহার কৰ্ত্তব্য। এই বিবেচনা করিয়া তিনি ১৭৯২ খৃষ্টাবে কাপ্তেন ওয়েলস্ সাহেবকে সসৈন্তে পাঠাইয়া দিলেন। কাপ্তেন ওয়েলস্ এদেশে পৌঁছিয়াই হিন্দুস্থানীদিগকে দমন করিতে ইচ্ছা করিলেন। এদিকে ভরতসিংহ রাজা হইয়া নিষ্ঠুরভাবে রাজা শাসন করিতেছিলেন। সৈন্যদিগের প্রতি আদেশ ছিল যে, ' তাহারা যেরূপে হউক আহমপ্রজার ধনহরণ ও প্রাণ ! বিনাশ করিবে। রসসাহেবের বরকন্দাজ ও মণিপুরীসৈন্ত পরাস্ত হওয়ায় ভরতসিংহ ভাবিলেন রাজা নিষ্কণ্ঠক হইল । তিনি গৌহাটীর নিকটস্থ কতকটা স্থান অধিকার করিলেন। রাজা গৌরীনাথ এই সংবাদ পাইয়া কিছু সৈন্ত লইয়া সেই দিকে যাত্রা করিলেন। এদিকে কাপ্তেন ওয়েলস সাহেব আসিয়া পৌছিলেন এবং রাজার মুখে দেশের অবস্থা অবগত হইয়া ১৭৯২ খৃষ্টাব্যে ২৯এ নবেম্বর তারিখে গৌহাটী প্রদেশ উদ্ধার করিলেন। মোয়ামরীয় দল ছিন্ন ভিন্ন হইল। গৌরীনাথ গৌহাটীতে রহিলেন । কাপ্তেন ওয়েলস্ ৬ই ডিসেম্বর লৌহিত্যের উত্তরকুলে গমন করিলেন। মোয়ামরায়াগণের পরাজয় শুনিয়া কৃষ্ণনারায়ণের সৈন্তও পলাইল । কৃষ্ণনারায়ণ স্বয়ং বন্দী হইলেন। কৃষ্ণনারায়ণ বলিলেন, আমি গৌরীনাথের বিপক্ষ নহি, মোয়ামরীয়া-বিদ্রোহ নিবারণ করা আমারও ! উদ্দেশু, গৌরীনাথ তাহা বুঝিতে না পারিয়া আমায় বিদ্রোহী বলিয়া গণ্য করিয়াছেন। যাহা হউক, কাপ্তেন ওয়েলস্ থাকিয় গৌরীনাথ ও কৃষ্ণনারায়ণের মধ্যে এইরূপ সন্ধি করিয়া দিলেন যে, কৃষ্ণনারায়ণ দরঙ্গ ছুটীয়া ও চাই-ইয়াবের মায়ুৰ দিবার পরিবর্তে ৫৫•••২ টাকা ও ভোটরাজ্যে ব্যবসায় করিবার জন্ত মাসুল হিসাবে ৩• • •\ টাকা দিবেন। কাপ্তেন ওয়েলস গৌহাটীতে থাকিয় জানিতে পারিলেন যে, গৌরীনাথের বুদ্ধি বিরচনা বড় নাই, রাজ্যনিষ্কণ্টক হইলেও BB DD DD DBBBB BBD DD BBDS BD BB ঘর্শ্বে কলিকাতায় পত্র লিখিলেন, “আমি যাহাতে রাজ্যের স্বৰন্দোবস্ত হয় তাহা করিয়া যাইতে চাই। আমার বোধ হয় যে রাজার অন্যায় আচরণেই কৃষ্ণনারায়শ প্রভৃতি বিরোহী হইয়াছে’ ইত্যাদি। কাঃ ওয়েলস ১৭৯৩ খৃষ্টাব্দে মার্চ মাসে প্রধান নগর আক্রমণ করিতে অগ্রসর হইলেন । গৌরীনাথ সঙ্গে গেলেন। ষে দিন নগরের নিকট পৌছিলেন, সেই দিন নগরের অবস্থা জ্ঞাত হইয়। পরদিন প্রাতঃকালে ১২ জন সিপাহী, একজন জমাদার, একজন নায়ক ও একজন হাবিলদার মগরের নিকট পাঠাইয়া দিলেন। রাজা গৌরীনাথ ব্যাপার দেখিয়া বিষঃ হইলেন। পাচ হাজার মোয়ামরীয়ার সহিত এই মুষ্টিমেয় সৈন্তের যুদ্ধ হইবে ভাবিয়া তিনি জয়াশা ত্যাগ করিলেন । ওদিকে মোয়ামরায়ার চারিদিকে খিরিয়া দাড়াইল, ভাবিল এই কয়টা সিপাহী মারিতে পারিলেই বুঝি তাহাদের জয় হয়। ফলে সিপাহীরা বীরভাবে গুলি চালাইতে লাগিল । যথেষ্ট মোয়ামরীয় মরিল । এই কয়জন সিপাহী শত্রুপক্ষ প্রায় নিঃশেষ করিলে, শেষে আর কয়েকজন বৃটিশসৈন্য গিয়া নগর অধিকার করিল। তৎপরদিন বুড়া গোসাই ডাঙ্গরীয় গৌরীনাথকে নগর মধ্যে লইয়া গেলেন। ১৭৯৫ খৃষ্টাব্যের চৈত্রমাসে কাপ্তেন ওয়েলস্ নগর প্রবেশ করিলেন। গৌরীনাথ পুনরায় সিংহাসনে বসিলেন। কাপ্তেন সাহেব বুড়া গোসাঁই ডাঙ্গরীয় প্রভৃতি প্রধান কৰ্ম্মচারীকে অনেক উপদেশ দিলেন এবং গবর্ণর জেনেয়লের উপদেশ বুঝাইয়া দিয়া বলিলেন যে, দেশে মুশাসন স্থির রাখিৰার জন্য কিছু বৃটশসৈন্য এদেশে থাকিবে ও কামরূপের উৎপন্ন হইতে এই সৈন্তদলের খরচ চলিৰে । ওদিকে লর্ড কর্ণওয়ালিস স্বদেশে গেলেন। ১৭৯৪ খৃষ্টাৰে সার জন শোর গবর্ণর হইয়া কাপ্তেনকে ফিরিয়া যাইতে আদেশ করিলেন । তৎপরে ১৮১৭ খৃষ্টাব্দে যখন চক্ৰকান্তসিংহ স্বৰ্গদেবকে বন্দী করিয়া পুরন্দরসিংহ রাজা হন, সেই সময় ষড়ফুকনের লোক গিয়া ব্ৰহ্মদেশের অধীশ্বর আলুঙ্গ মিঙ্গি বা কিওয়া মিঙ্গিকে জানাইলে তিনি সাহায্যাৰ্থ ৩০,• • • সৈন্য পাঠাইলেন। ব্রহ্মসেনাপতি রাজ্যে প্রবেশ করিলে পর পথিমধ্যে পুরন্দর সিংহ সৈন্ত পাঠাইয়া বাধা দিলেন। যুদ্ধে পুরঙ্গর । সিংহের সৈন্য পরাস্ত হইল। পুরনার ভীত হইয়া গৌহাটী পলাইয়া গেলেন। ব্ৰহ্মসেনাপতি চঞ্জকান্তকে রাজা করিয়া পুরনারকে ধরিবার জন্ত সৈন্ত পাঠাইলেন । পুরঙ্গরের পক্ষে
পাতা:বিশ্বকোষ তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।