বোধগয়৷ um [ ১১৫ ] বোধগয়া এবং সেই অশ্বখতির সাধারণের নিকট “বোধিদ্রুম’ নাম খ্যাত হয় । ললিতবিস্তরপাঠে জানা যায় যে, সম্রাট অশোক | (প্রিয়দর্শী) বুদ্ধদেবের স্মৃতিচিহ্নসমূহ সংস্থাপনে যত্নবান হইলে, । উপগুপ্ত র্তাহাকে শাক্যসিংহের সমাধিস্থান নিরূপণ করিয়া দেন। তিনিও এখানে এই মহাবোধিমন্দির-স্থাপনের জন্য লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা দান করেন। উরুবিবা (বর্তমান উরেল) গ্রামসীমাস্তে এই মহামন্দির স্থাপিত হইয়াছিল। শাক্যসিংহ বানপ্রস্থাশ্রম অবলম্বনপূৰ্ব্বক এই উরুবিধার বনান্তরালপ্রদেশে অবস্থান করিয়াছিলেন। ললিতবিস্তরের গাথা অংশে তাঙ্কার সবিশেষ বিবরণ পাওয়া যায়। নৈরঞ্জন তীরবর্তী এই প্রাচীন গ্রাম তৎকালে গুল্মলতাদিতে পূর্ণ ছিল । শাক্যমুনি যখন জগত-ক্লেশ অপনোদনাথ প্রগাঢ় চিন্তায় মগ্ন ছিলেন, তখন ক্টবুদ্ধি গ্রাম্য-বালকগণ র্তাহার পবিত্র গাত্রে ধূলিবর্ষণ করিত: | বোধিসত্ত্ব গয়াশীর্ষ পৰ্ব্বতে আসিয়া ভ্রমণ করিতে করিতে উরুবিস্ব গ্রামে আসিয়া উপনীত হন। তিনি এই স্থানের রমণীয়তা অমুভব করিয়া মুগ্ধ হইয়াছিলেন এবং মুক্তি-সাধনের প্রকৃতস্থান জ্ঞানে তথায় বাস করেন। নন্দিক নামে জনৈক সেনাপতি সেই সময়ে এই গ্রামে আধিপত্য করিতেন । তাহার ধৰ্ম্মপরায়ণ কহ সুজাতা প্রত্যহই শাক্যসিংহকে পায়সান্ন দিয়া যাহঁতেন । এই স্থান বুদ্ধদেবের প্রতিকর, রমণীয় এবং বালজনপরিশোভিত হইলে ও কালে.এই পবিত্র তীর্থ নষ্টপ্রায় ইহয়াছিল। রাজপুত্র শাক্যসিংহ এখানে উপন্টুত হুইয়া উরুবিধ-কাগুপের 3.
- খৃষ্ট পূর্ব ১৭ অন্ধে উৎকীর্ণ ভছত শিলাফলকেও এই বৃক্ষ বোধি নামে উল্লিখিত হইয়াছে। হিউ এন সিয়াং হইতেই মহাবোধি, বোধিদ্রুম ও বেধিমও এবং রাজা ধৰ্ম্মপালের শিলালিপিতে ‘মহাবোধি-নিবাসিনা' এই রূপ প্রয়োগ
“দেখিতে পাওয়া যায় + “রমণীয় গুরণানি বনগুম্মাশ্চ বীরুধ: | প্রাচীন উরুবিশ্বায়াং যত্র নৈরঞ্জন নদী ॥” ( ললিতfবস্তুর ) ; "যে গ্রামারকশ্চি গোপালাঃ কাষ্ঠহারকৃণহারী: - পাংশু পিশাচকমিতি মঞ্চস্তে পাংগুন চ স্ত্রক্ষস্তি ॥" ( ললিউবিস্তুর ) “ইস্তি হি ভিক্ষবে ৰোধিসত্ত্বে যথাক্তিপ্ৰেতং গাঙ্গা ৰিছ তা গয়াপর্ষ BBB BBBBBBBBB BBB BBBBBBBBBBBBBBBBBBS BBBBBBBB u DDBBBB BBBB BBBDD BBBBBBBBB BBBDD BBBBB BB BBBB BBBBB BBDDD প্রসন্নমস্কৃৎ । সমে বতায়ং কৃষিপ্রদেশে রমপুর; প্রতিসংলগ্ননানুরূপ:পৰ্য্যাপ্তমিদং প্রহাণাধিকবুলপুত্রসাহিষ্ণ প্রছাপার্থ ষষ্ণু হৰিহৈব তিষ্ঠেয়ৰ " ( ললিতৰিন্তর ) আশ্রমে গমন করেন । সিংহলদেশীয় বৌদ্ধধৰ্ম্মেতিহাসে উরুবিম্বারই প্রসঙ্গ পাওয়া যায়। মহাবংশ পাঠে জানা যায় যে “বুদ্ধবোৰু, সিংহল হইতে ভারতে আসিয়া বে (বোধি । বৃক্ষ পূজামানসে মগধের অন্তর্গত উরুবেলয় গ্রামে উপস্থিত হন।” শাক্যসিংহ এখানে তপস্তায় আসিবার পূৰ্ব্বে যে । এই স্থান উরুবিৰ নামে খ্যাত ছিল, সন্দেহ নাই। যেহেতু শাক্যের বুদ্ধত্বলাভের পূৰ্ব্বে এই স্থানের ‘বোধগয়া’ নাম হওয় একান্ত অসম্ভব। সুজাতার পিতা সেনাপতি নন্দিক কাকটরাজের অধীনে কৰ্ম্ম করিতেন। গয়ানগরী তৎকালে মগধ রাজ্যের রাজধানী ছিল। পৃষ্ঠায় ৮ম ও ৯ম শতান্সে হিন্দু প্রাধান্ত স্থাপিত হইলে পর উরুবিধায় অশোকপ্রতিষ্ঠিত বৌদ্ধ মন্দিরাদি হইতে গয়াক্ষেত্রের স্বাতন্ত্র্যরক্ষার্থ হিন্দুগণ স্থানের ‘বোধগয়া’ নাম পরিকল্পিত করিয়া থাকিবেন । যেহেতু গয়ালীগণ গয়াধামে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়া গঙ্গার কাষ্টি 2 তীর্থসমূহ সংরক্ষণে যত্নবান ছিলেন। উরুবিধার (যুদ্ধগয়ার পূৰ্ব্বতন অশোককীপ্তিসমূহ ক্রমেই কালক্ৰোড়ে শায়িত ষ্ট তেছিলঃ । হিন্দুগণ প্রতিহিংসাপরবশ হইয়া উরুবিধাৰ تالي • Manual of Buddhism, p. 189. *tol-3to Woo, ইনি উন্নবিধায় বাস হেতু উক্লবিত্ব আখ্যা প্রাপ্ত হন। যুদ্ধের আগমনকালে তিনি অগ্ন্যুপাসক ছিলেন। উহার অপর ভ্রাতৃদ্বয়ের গয়া ও সরিং আখ। ছিল । সুজাতার একটা স্পীও উলুবিল্পিক' নামে খ্যাত ছিলেন। পুকেই উল্লেখ করিয়াছি যে, অমরদেশের খৃষ্টীয় ১০ম শতাব্দীর উৎ** শিলালিপিতে বুদ্ধগয়া নামের উল্লেখ আছে । Asiatic Resourcho Wol, I. p. 284.
- ললিতবিস্তরে লিখিত আছে যে, শাকসিংহ রাজগুহ হইতে গয় নগরে শুভাগমন করেন। মানবের চিতfকাঙ্গায় এখানে তিনি চিত্তসংযম কfব? নিবি? মনে ধ্যান করিবার সংকল্প করিলেন। উন্নবিষ্কার বনে বুদ্ধের সম্বোধি লাভের পর গানগরীই তাহার নির্মাণধৰ্ম্মপ্রচারের মুখ্যক্ষেত্র হইয়াচিয় কিন্তু আক্ষেপের বিষয়, খৃষ্টীয় ৭ম শতাদের প্রারম্ভ কালে (৪.৪%; অঃ) যখন Bান পরিাজক ফা-হিয়ান এখানে আগমন করেন তখন এই স্বানের বৌদ্ধগ্রন্থা এককালেই তিরোহিত এবং সমগ্র নগরীই জনশূন্ত ভগ্নাবশেলে পূর্ণ হঠয়ছিল খৃষ্টয় ৭ম শতদে ছিউএন সিয়াংএর পরিদর্শনকালে এষ্ট স্থানে কিন্তু প্ৰe" স্থাপিত হইতেছিল, সুতরাং গয়ালীগণ গয়ার তীর্থ সমুদায় অধিকার করির তাছারই রক্ষায় যত্নবালু ছিলেন। অনেকে মনে করেন, মহাবোধি
- গুপ্তপ্রায় হইলে হিলুগণ গয়াধামে সেট বৌদ্ধকীৰ্ত্তিসমূহ রূপান্তরে রঙ্গ করিতেছেন। বুদ্ধগয়ার অনেক প্রস্তর ও শিলালিপি এখানকার মন্দিৰ। দিতে আনীত হইলেও গয়ার প্রাচীনত্ব লোপ পায় লাই। এখানকাৰ পিণ্ডদান প্রভৃতি মাহাত্মা-কথা রামায়ণ মহাতারতাদিতে উক্ত হইয়াছে। বায়ু পুরাণান্তর্গত গয়ামাগন্ধে গয়াস্বরের যে অত্যন্ধুত উপাখান সুচিত হইয়াaে.