পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खचाम् [ »8७ ] ব্ৰহ্মন ঙ্কি ত্রন্ধের একদেশ বা একাংশ প্রপঞ্চাকারে পরিণত হয় । ইঙ্কার উত্তরে যদি বলা যায় যে, কৃংল্প ব্ৰহ্ম জগদাকারে অর্থাৎ কাৰ্য্যাকারে পরিণত হন, তবে মূলোচ্ছেদ হইয় পড়ে এবং ত্রহ্মের দ্রষ্টব্যত্ব উপদেশ এবং তাহার উপায়রূপে শ্রবণমননাদি ও শমদমাদির উপদেশ অনর্থক হয় । কেন না কৃৎঙ্গপরিণাম পক্ষে কাৰ্য্যাতিরিক্ত ব্ৰহ্ম নাই। কাৰ্য্য অযত্নদৃষ্ট, তাহার দর্শনের উপদেশ অনাবশ্যক। তক্ষষ্ঠ শ্রবণমননাদি ব৷ শমদমাদিও অনাবগুক । ব্ৰহ্ম যদি মৃদাদির স্তায় সাবয়ব হক্টতেন, তবে তঁtহার একদেশ কাৰ্য্যাকারে পরিণত বা একদেশ যথাবদ বস্থিত এরূপ কল্পনা করা যাইতে পারিত ও দ্রষ্টবাস্থাদির উপদেশ ও সার্থক হইত। কেন না, কাৰ্য্যাকারে পরিণত সন্ধাংশ অধক্ষ্মদৃষ্ট হইলেও অপরিণত ব্ৰহ্মাংশ অযত্নদৃষ্ট নহে । ত্রহ্মের কিন্তু অবয়ব স্বীকার করা যায় না, কারণ BB BBDDD DDS gBBBS BBBB BBBB BBB BBB ঐ শতির বিরোধ উপস্থিত হয়। এতদুত্ত্বরে শৈবাচার্য্যের। বলিয়৷ থাকেন যে, ব্ৰহ্ম শাগ্নৈকসমধিগম্য, প্রমাণাস্তরগম্য লছে । শাস্ত্রে এন্ধের কার্য্যাকার-পরিণাম, নিরবয়বত্ব এবং কার্য্যব্যতিরেকে ত্রহ্মের অৰস্থান এ সমস্তই শ্রত হইয়াছে। মুতরাং উক্ত আপত্তি উঠিতেই পারে না। ভগধান শঙ্করাচাৰ্য্য এই সকল মতের প্রতি দোষ দিয়া বলেন যে, ব্রহ্মের পরিণামবাদ কোন মতেই সঙ্গত হইতে পারে না । কারণ কার্যাকারে পরিণাম এবং অপরিণত ব্রহ্মের অবস্থান এঃ তুহটী পরম্পরবিরুদ্ধ। এক সময়ে এক বস্তুর পরিণাম ও অপরিণাম ছষ্টতে পারে না । তদ্ধপ সাবয়বত্ব ও নিরবয়বত্ব পরম্পরধিরদ্ধ। এক বস্তু এক সময়ে সাবয়ব ও নির বয়ব হইবে হৈ একান্তু অসম্ভব । শ্রুতি ও অসম্ভব এবং বিরুদ্ধ অর্থ প্রতিপাদন করিতে পারে না। যোগ্যতা শান্ধ বোধের অন্যতম কারণ। সুতরাং শশা, অযোগ্য অর্থ প্রতিপাদন করিতে অক্ষম । SBBBH BBBS BBBBBS BBBBBS BBB BBB জলে ভাসিতেছে, বৃক্ষ সকল যজ্ঞ করিয়া ছিল, ইত্যাদি অসম্ভাবিত অর্থের বোধক অর্থবাদ বাক্যের যেমন যথাপ্রকৃত অর্থে তাৎপৰ্য্য নাই, অর্থাস্তরে তাৎপৰ্য্য, সেইরূপ পরিণামবোধক বাক্যেরও অর্থবিশেষে তাৎপৰ্য্য বলিতে হইবে। ব্ৰহ্ম একাংশে পরিণত এবং অংশান্তরে অপরিণত, এ কল্পনাও যুক্তিসিদ্ধ লছে। ইহাতে জিজ্ঞাস্ত হইতে পারে যে, কাৰ্য্যাকারে পরিণত ব্ৰক্ষাংশ জঙ্ক হইতে ভিন্ন কি অভিন্ন ? যদি ভিন্ন হয়, তবে ব্ৰঞ্চের কার্য্যাকারে পরিণতি হইল না। কেন না কাৰ্য্যাকারে পরিণত ব্ৰক্ষাংশ ব্ৰহ্ম মহে, ব্ৰহ্ম হইতে | ভিন্ন । আম্ভের পরিণামে জজ্ঞের পরিণাম বলা যাইতে পারে না। মৃত্তিকার পরিণামে সুবর্ণের পরিণাম হয় না। পক্ষাস্তরে কার্য্যাকারে পরিণত ব্ৰহ্মাংশ যদি ব্রহ্ম হইতে ভিন্ন না হয়, অর্থাৎ অভিন্ন হয়, তবে মুলোচ্ছেদের আপত্তি উপস্থিত হয়। পরিণত অংশ ব্রহ্মের অভিন্ন হইলে পরিণত অংশ এবং ব্ৰহ্ম এক বস্তু হইতেছে। সুতরাং সম্পূর্ণ ব্রহ্মের পরিণাম অস্বীকার করিতে পারা যায় না । যদি বলা হয় যে, পরিণত ব্ৰহ্মাংশ ব্রহ্মের ভিল্লাভিয়, অর্থাৎ ব্ৰহ্ম হইতে ভিন্নও বটে, অভিন্ন ও বটে। পরিণত ব্ৰহ্মাংশ কারণরূপে ব্রহ্মের অভিন্ন, এবং কাৰ্য্যরূপে ব্রহ্ম হইতে ভিন্ন। দৃষ্টাস্তস্থলে বলিতে পার। যায় যে, কুণ্ডলমুকুটাদি সুবর্ণরূপে অভিন্ন এবং কুণ্ডলমুকুটাদি রূপে ভিয় । “ভেদ ও অভেদ পরস্পর বিরুদ্ধ পদার্থ, উই এক সময়ে এক বস্তুতে থাকিতে পারে মা, কাৰ্য্যাকারে পরিণত অংশ ব্ৰহ্ম হইতে ভিন্ন হইবে, না হয় অভিন্ন হইবে। ভিন্ন ও হইবে অভিন্ন ও হইবে, ইহা হইতে পারে না। আরও বি চ্য এই যে, ব্ৰহ্ম স্বভাবতঃ অমৃত, তিনি পরিণাম ক্রমে মৰ্ত্ত্যত প্রাপ্ত হইবেন, ইহা হইতে পারে না। পক্ষাস্তরে মর্ত্য জীব, অমৃতব্ৰহ্ম হইবে, ইহাও হইতে পারে না। অমৃত মর্ত্য হয় না, মর্ত্যও অমৃত হয় না। কোন মতেই স্বভাবের অন্যথা হয় না। যাহার বলেন যে, শাস্ত্রানুসারে কৰ্ম্ম ও জ্ঞান এই উভয়ের অনুষ্ঠান দ্বারা মন্ত্য জীবের অমৃতত্ব হইবে, তাছাদের মতও অসঙ্গত। কেন না স্বভাবতঃ অমৃত ব্রহ্মেরও যদি মর্ত্যত হয়, তবে মর্ত্য জীবের কৰ্ম্মজ্ঞানসমুচ্চয়সাধ্য অমৃতভাব অথাৎ মোক্ষাবস্থা স্থায়ী হইবে, ইহা দুরাশা মাত্র । ভগবান শঙ্করাচার্য্য এই সকল দেখিয়া ব্রহ্মবিবৰ্ত্তবাদপক্ষই স্থির করিয়াছেন । তাহার মতে ব্ৰহ্ম শুদ্ধ বা নিৰ্ব্বিশেষ । প্রপঞ্চ সত্য নহে, রজ্জ স্পাদির ভায় মিথ্যা ; সুতরাং ব্রহ্মে কোন বিশেষ বা ধৰ্ম্ম নাই, নিৰ্ব্বিশেষ ব্ৰহ্ম অদ্বিতীয়। প্রপঞ্চ যখন মিথ্যা, হ্রহ্মের অতিরিক্ত বস্তু যখন সত্য নহে, তখন ব্রহ্ম অদ্বিতীয়, ইহা অনায়াসবোধ্য। জীব ব্রহ্ম ভিন্ন নহে, ইহা একটা সামান্ত শ্লোকে অভিহিত হইয়াছে। “শোকার্জেন প্রবক্ষ্যামি যছক্তং গ্র S: l ব্ৰহ্ম সত্যং জগন্মিথ্যা জীবে ব্রহ্মৈব কেবলম্ ॥” কোটি কোটি গ্রন্থে যাহা উক্ত হইয়াছে, আমি শ্লোকাদু দ্বারা তাহ বলিব । তাছা এই, ব্ৰহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা, জীবই ব্ৰহ্ম । শঙ্করাচার্য্যের ইহাই অভিমত । সমস্ত অদ্বৈতবাদীরাই একবাকো শ্রুতিকেই অদ্বৈতবাদের মূল প্রমাণ করিয়াছেন। শ্রীতির তাৎপৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা দ্বারা যাহা স্থির হইবে, তাহ। অবনতমগুকে স্বীকার করিতে সকলেই বাধ্য ।