उन्नान् [ ১৫৩ ৷ ব্ৰহ্মন পরমব্ৰহ্ম স্বষ্টি করিবার অভিপ্রায়ে প্রথমে প্রকৃতিকে ৰিক্ষেতিত করেন । প্রকৃতি বিক্ষুব্ধ হইলে মহত্তৰ, মহত্তত্ব হইতে ত্ৰিবিধ অহঙ্কার এবং অহঙ্কার হইতে পঞ্চতন্মাত্রের উৎ পত্তি হয়। পরে ব্রহ্ম শব্দতন্মাত্র হইতে মূৰ্ত্তিহীন অনস্ত আকাশ, এবং রসতষ্মাত্র হইতে জলের স্বষ্টি করিয়া নিজমায়াবলে ঐ জলরাশি স্বয়ং ধারণ করেন । তৎপরে তিনি গুণত্রয় স্বরূপে অবস্থিত প্রকৃতিকে স্বষ্টির জন্ত বিক্ষোভিত করিলেন। অনস্তর প্রকৃতি সেই কারণ-জলে ত্রিগুণময় জগদ্বীজ স্থাপিত করিলেন । সেই বীজ ক্রমে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়া সুবিশাল সুবর্ণময় অণ্ডাকারে পরিণত হইল। ক্রমে ঐ অও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইলে জলরাশি তাহার মধ্যে লীন হইল। স্বয়ং ব্রহ্মা ব্রহ্মস্বরূপে সেই অও মধ্যে এক দৈববর্ষ বাস করনান্তর উহা ভেদ করিলেন। তৎপরে তাহাতে জরায়ুরূপ স্বমেরু ও অন্তান্ত পৰ্ব্বতসমূহের অভ্যস্তর ও জলরাশি হইতে সপ্ত সমুদ্র এবং ত্রিগুণময়ী পৃথিবী উৎপন্ন হইলেন। তখন ব্ৰহ্ম প্রকৃতির ইচ্ছাক্রমে নিজ শরীরকে fতন ভাগে বিভক্ত করিলেন । সেই অখণ্ড শরীরের উদ্ধভাগ, চতুমুখ, চতুভূজ, কমলকেশরসল্লিভ আরক্তবর্ণ বিরিঞ্চিশরীরে পরিণত হইল। তাহার মধ্যভাগে বিষ্ণু এবং অধোভাগে শিবরূপ—মুতরাং একাধারে ব্রহ্মা,বিষ্ণু ও মহেশ্বররুপ ত্রিশক্তির উদয় হইল। ব্ৰহ্মার উপর স্বষ্টিশক্তি নিহিত থাকায় তিনিই শ্ৰষ্ট হইলেন । [কালিকাপুরাণের ১২—১৪ অধ্যায়ে বিস্তৃত বিবরণ দ্রষ্টব্য।] উীমদ্ভাগবতে লিখিত আছে যে,— “জগৃহে পৌরুষং রূপং ভগবান মহাদিভিঃ । লস্কৃতং ষোড়শকলমাদে লোকসিস্বক্ষয় । বস্তাস্তসি শয়ানস্ত যোগনিষ্ট্ৰাং বিতস্বত: । নাভিভুদামুজাদালীদূত্রহ্মা বিশ্বস্বজাম্পতিঃ ॥” ইত্যাদি। ( ভাগ- ১।৩১-২ ) ভগবান বিষ্ণু স্বষ্টির মানসে প্রথমত: মহত্তত্ব, অহঙ্কারভার, এবং পঞ্চতন্মাত্র দ্বারা ষোড়শকলা যুক্ত পৌরুষরূপ অর্থাৎ একাদশ ইঞ্জিয় ও পঞ্চমহাভূত এই ষোড়শ অংশ বিশিষ্ট বিরাটু মুৰ্ত্তি ধারণ করিয়া ছিলেন । পুৰ্ব্বে তিনি যোগনিদ্রা বিস্তায় করিয়া একার্ণবে শয়ান হইলে তাহার নাভিস্বরূপ হ্রদস্থ অম্বুজ হইতে বিশ্বস্রন্থগণের পতি ক্ৰন্ধা উৎপন্ন হন। র্তাহার ঐ বিরাটুমূৰ্ত্তির অবয়বসংস্থান বার ভূলোকাদি সকললোক কল্পিত হয়। “সৰং রজস্তমইতি প্রকৃতেগুৰ্ণান্তৈযুক্তঃ পয়ঃ পুরুষ এক ইহাত ধত্তে । हिष्ठाभिरञ्च शब्रिविद्विक्षिझटब्रठियश्छां: শ্ৰেৱালি তত্ৰ খলু সৰতনোৰূর্ণাং জ্য - ভোগ- ১২২৩) XIII { এক পরমপুরুষ প্রকৃতির সত্ব, রজ ও ওম এই গুণত্রয়ে যুক্ত হইয় বিশ্বসংসারের স্বষ্টি, স্থিতি ও লয়ের জন্ত ব্ৰহ্ম, বিষ্ণু ও মহেশ্বর রূপে বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রাপ্ত হইয়াছেন। তিনি ব্ৰহ্ম৷ রূপে জগতের স্বষ্টি, বিষ্ণুরূপে পালন, ও ফ্রঞ্জরীপে সংহার করেন । 曹 ব্ৰহ্মা বিষ্ণু ও মহেশ্বর এই তিনই পরব্রহ্মের অংশ। এই তিনই এক। প্রম্ভেদ এই যে, যিনি স্থষ্টি করেন, তিনিই ব্ৰহ্মা নামে অভিহিত হন । তৃগু, পুলস্ত্য, পুলহ, ক্রতু, অঙ্গিরা, মরীচি, দক্ষ, অত্রি ও বশিষ্ঠ এই নয় জন ব্ৰহ্মার মানস পুত্র। ইছারাও ব্রহ্মা নামে অভিহিত হইয় থাকেন। ভৃগু পুলস্তং পুলহং ক্রতুমঙ্গিরসস্তথা। মরীচিং দক্ষমস্ট্রিঞ্চ বশিষ্টঞ্চৈব মানসম্। নব ব্রহ্মাণ হত্যেতে পুরাণে নিশ্চয়ং গতা: ॥” (মার্কণ্ডেয় পু•) ४ মৎস্যপুরাণে তৃতীয় অধ্যায়ে ব্রহ্মার চতুমুখ হইবার কারণ এইরূপ লিখিত আছে । ব্ৰহ্মার স্বদেহ হইতে একটী কন্য। উৎপন্ন হয়। ব্রহ্মা ঐ কন্যাকে দেখিয়া কামপীড়িত হন। পরে সতৃষ্ণ নয়নে তিনি ঐ কস্তাকে পুন: পুনঃ অবলোকন করিয়া ‘অতি আশ্চৰ্য্যরূপ’ ‘অতি আশ্চৰ্য্যরূপ’ ইহাই বারংবার বলিতে লাগিলেন । ঐ কম্ভ ব্ৰহ্মার ভাবগতিক দেখিয়া ব্রহ্মাকে প্রদক্ষিণ করিতে লাগিল । ক্রমে ঐ কস্তাকে অবলোকন করিবার জন্য র্তাহার চারিদিক হইতে চারিট মুখ হইল । ( মৎস্ত পু• ৩ অ• } সৃষ্টির প্রথমে ব্ৰহ্মার দশট মানস পুত্র জন্মে। প্রথমে মরীচি, তৎপরে অত্রি, অঙ্গির, পুলস্ত্য, পুলহ, ক্রতু, প্রচেতা, বসিষ্ঠ, ভূগু ও নারদ । ব্ৰহ্মার শরীর হইতে দশ প্রজাপতির উৎপত্তি হয়। দগি ণ অঙ্গুষ্ঠ হইতে দক্ষপ্রজাপতি, স্তনাস্থ হহঁতে ধৰ্ম্ম, দদয় হইতে কুসুমায়ুধ, ক্রমধ্য হইতে ক্রোধ, অধর হইতে লোভ, বুদ্ধি হইতে মোহ, অহঙ্কার হইতে মদ, কণ্ঠ হইতে প্রমোদ, এবং লোচন হইতে মৃত্যুর উদ্ভব হইয়াছিল [ দশপ্রজাপতির বিষয় তত্তং শব্দে ও প্রজাপতি শব্দে দ্রষ্টব্য ] মহাভারতে শাস্তিপর্বে ১৮২ অধ্যায়ে ব্ৰহ্মার উৎপত্ত্বির বিবরণ লিখিত আছে, বাহুল্য ভয়ে তাহা লিখিত হইল না । কল্পারস্তে ব্ৰহ্ম স্থপ্ত হন, এবং কল্পক্ষরে ব্ৰঙ্গার ধ্বংস হয়। ৰন্ধীর পূজাধির বিষয় কালিকাপুরাণে লিখিত আছে— ব্ৰক্ষার মন্ত্ৰোদ্ধার যথা— “পতৃতীযশ্চ বহ্নিশ্চ শেষস্বরসমন্বিত: । চক্সৰিন্দুসমাযুক্তে ব্ৰহ্মমন্ত্র প্রকীৰ্ত্তিতঃ ” (কালিকাপু)
পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/১৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।